নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৬শে অক্টোবর চুক্তির পরদিন ভারতীয় সেনাবাহিনী আকাশপথে শ্রীনগর বিমানবন্দরে অবতরণ করল । আজাদ-কাশ্মীর, পাকিস্তানের সাহায্য চাইল । ঘোষণা করল—‘আজাদ-কাশ্মীর গঠিত হওয়ার পর পলাতক রাজা হরি সিং-এর কোনো অধিকার নেই অন্য দেশের (ভারতের) সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করার । এই চুক্তি বে-আইনী’। পাকিস্তান কাশ্মীরের সাহায্যার্থে এগিয়ে এল, আফগানিস্তানও সাহায্য করল । কাশ্মীরে সৃষ্টি হ’ল এক অশান্ত পরিবেশ । অনতিবিলম্বে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জে বিষয়টি উত্থাপন করল ভারত, ১৯৪৮-এর ১লা জানুয়ারি । নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হ’ল ৬ই জানুয়ারি । নেহরু’র দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হ’ল :- কাশ্মীরী অধিবাসীরা গণভোটের মাধ্যমে তাঁদের ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে কাশ্মীর স্বাধীন থাকবে অথবা পাকিস্তান বা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে । এ বিষয়ে কিছু শর্ত ছিল, সেগুলি নিম্নরূপ:-
১) ভারত ও পাকিস্তান পরষ্পর যুদ্ধ থেকে বিরত থাকবে ।
২) যাঁরা জম্মু-কাশ্মীরের অধিবাসী নন্—তাঁরা সেনা হ’ন বা সাধারণ মানুষ হ’ন, তাঁদের জম্মু-কাশ্মীর ছেড়ে চলে যেতে হবে ।
৩) উপজাতি বা পাকিস্তান কর্তৃক কাশ্মীরের দখলীকৃত জায়গা ছেড়ে দিতে হবে, সেখানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শাসন করতে পারবে ।
৪) জম্মু-কাশ্মীর থেকে ভারত, তার সেনাদল সরিয়ে নেবে । প্রশাসনের সাহায্য’র জন্য নামমাত্র সেনা সেখানে মোতায়েন থাকবে ।
৫) উপজাতি বা পাক দখলীকৃত জায়গায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শাসন করতে পারছে কিনা, তা’ দেখাশোনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের তৈরি ‘কমিশন’ থাকবে ।
৬) রাষ্ট্রপুঞ্জ’র মহাসচিব কমিশনের সঙ্গে একমত হয়ে একজন প্রশাসক মনোনীত করবেন । প্রশাসক অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট পরিচালনা করবেন ।
৭) গোলমেলে পরিস্থিতির জন্য যাঁরা দেশত্যাগ করেছিলেন তাঁরা ফিরে আসতে পারবেন ও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ।
৮) সব রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্ত করে দেওয়া হবে ।
এভাবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রচেষ্টায় একটা স্থিতাবস্থা ফিরে এল । যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হ’ল ১৯৪৯-এর ১লা জানুয়ারি ।
উপরিউক্ত ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে আমরা খুব সহজে বুঝতে পারি যে কাশ্মীরের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য ভারতের আন্তরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা অবশ্যই ছিল । স্বয়ং নেহরু’র আদিনিবাস ছিল কাশ্মীর । সে দেশের মানুষের প্রতি তাঁর সহানুভূতি থাকাই স্বাভাবিক ছিল । তাই তিনি বলপ্রয়োগে কোনো কিছু করার কথা না ভেবে, বিষয়টি সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ’র দৃষ্টিতে নিয়ে আসেন, যাতে কাশ্মীর-সমস্যার একটা সুষ্ঠু সমাধানের পথ পাওয়া যায় ।...(চলবে)
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৬
রাকু হাসান বলেছেন: টাইপিং মিস্টেকের জন্য দুঃখিত
গুণি রাজনীতিবিদ নেহেরু ‘র প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেল ইতিহাস তাঁকে স্বরণ করবে । ভারতের এই অবদান টা জানতাম না । চালিয়ে যান গায়েন ভাই! পাশে অাছি ...।আরও পড়তে চাই অনেক
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২১
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: টাইপিং মিস্টেক আমারও হয়। কোনো সমস্যা নেই। আপনি আমার সঙ্গে লেখক-পাঠক বন্ধু হয়ে আছেন, সেটাই বড় কথা। সব দেশের কিছু অবদান অবদান থাকে, মানুুষের ভাল'র জন্য। আবার, খারাপও থাকতে পারে। আমাদের বিবেচনার উপর নির্ভর করে কোন বিষয়টা কীভাবে নেব। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো মানুষ, সমাজ বা দেশকে ঘৃণা বা হিংসার দৃষ্টিতে দেখি না। বলতে পারেন এটা আমার স্বভাবজাত। তবে, ভাই একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে অন্যায়কে তো আমরা ন্যায় ব'লে চালিয়ে দিতে পারি না। কাশ্মীরের ইতিহাস অধিকাংশ মানুষ কম-বেশি জানেন। কিন্তু আমরা সেই ইতিহাসকে বিকৃত না ক'রে কত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারি, সেটাই আমাদের পরীক্ষা।...ভাল থাকবেন !
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: নতুন নতুন বিষয় জানছি।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৮
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার প্রেরণাদায়ক মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ! ইতিহাস তো একই আছে--তবে, আমি চেষ্টা করছি একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার--তাই, হয়তো আপনার কাছে একটু অন্যরকম মনে হচ্ছে। ভাল থাকবেন !
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৫
রাকু হাসান বলেছেন: গুণি রাজনীতিবিদ নেহেরু ‘র প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেল .। ইতহাস তাঁকে স্বরণ করবে । ভারতের এই অবদান টা জানতাম না । চালিয়ে যান গায়েন ভাই! পাশে অাছি ...।আরও পড়তে চাই অনেক