নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিন্তু রাজনীতি বড় কূট, জটিল এক গোলক-ধাঁধা, তা’ কাশ্মীরের জনগণ এমনকি জননায়ক স্বয়ং আব্দুল্লাও অনুধাবন করতে পারেননি। নেহরুর একদিকে কাশ্মীরী স্বজন-প্রীতি, আর একদিকে শেখ আব্দুল্লা প্রোরোচিত ভারত-কাশ্মীর অন্তর্ভুক্তির প্রত্যাশা-- পন্ডিত নেহরুকে আইনী কৌশল প্রয়োগে উৎসাহিত করেছিল। এ জন্যেই শেখ আব্দুল্লা তাঁর ঐতিহাসিক ভুলের দায় এড়াতে পারেন না। খুব দৃঢ় মনোবল নিয়ে যদি সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ’র নির্দেশিকা অনুসরণ করা হ’ত, তবে কাশ্মীরের স্বাধীনতা হরণের প্রশ্ন উঠত না। জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছা যাঁচাই না ক’রে শেখ আব্দুল্লা-নেহরু স্ব-রচিত,স্ব-মনোনীত শর্তে নতুনভাবে চুক্তিবদ্ধ হতে থাকলেন । ১৯৫২ সালের ২৬শে জুলাই আব্দুল্লা-নেহরু মনোনীত চুক্তিতে আবদ্ধ হলেন । চুক্তিগুলি হ’ল—‘কাশ্মীরের জন্য আলাদা নাগরিকত্ব, ভিন্ন পতাকা, পৃথক আইন তৈরির অধিকার সব বাতিল ক’রে দেওয়া হ’ল। বাতিল হ’ল ‘মহারাজ’ পদ। তার বদলে থাকবে ‘সদর-এ-রিয়াসত’।' আর তখন থেকে মহারাজা করণ সিং-এর নতুন পরিচয় হ’ল ‘সদর-ই রিয়াসত’। রাজনীতির খেলায় কখন, কার ভাগ্য কীভাবে নির্ধারিত হয়, তা’ অনুমান করা কঠিন । মাত্র ১বছর পেরোতে না পেরোতেই ১৯৫৩-র অগাস্ট মাসে কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ভারতের বিরুদ্ধাচরণ করছেন, ষড়যন্ত্র করছেন। কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ক’রে, তিনি নাকি স্বাধীন কাশ্মীর গ’ড়ে তোলার চক্রান্ত করছেন। কাশ্মীরের জনগণ শেখ আব্দুল্লাকে এতদিন ‘শের-এ-কাশ্মীর’ ব’লে মনে করতেন, তাঁদের কাছে এই ঘটনা চরম আঘাত মনে হ’ল। কাশ্মীরী জনগণ শেখ আব্দুল্লার এই অপ্রত্যাশিত গ্রেপ্তার হওয়াকে ‘ভারতের বেইমানী ও কাশ্মীরী জাতির চরম অপমান’ ব’লে আখ্যায়িত করল। ‘কনস্টিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলী’ বা ‘সংবিধান সভা’-র গুরুত্ব হ্রাস পেল, জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক বৈশিষ্ট্য হারাল। তখন, ভারত সরকারের কৌশলে প্রধানমন্ত্রীর পদে, এমন একজন ব্যক্তিকে বসানো হ’ল, যিনি ভারত সরকারের ইচ্ছানুসারে কাজ করবেন। তিনি হলেন বক্সী গুলাম মহম্মদ। ...(চলবে)
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: চলতে থাক অজানা কাহিনী গুলো........
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: এ পর্বে লেখা এত কম ক্যান?
ছোট ছোট করে লিখে কি পর্ব বাড়াতে চান?
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪
জগতারন বলেছেন: (১) রাজনীতি বড় কূট, জটিল এক গোলক-ধাঁধা, তা’ কাশ্মীরের জনগণ এমনকি জননায়ক স্বয়ং আব্দুল্লাও অনুধাবন করতে পারেননি।
(২) নেহরুর একদিকে কাশ্মীরী স্বজন-প্রীতি, আর একদিকে শেখ আব্দুল্লা প্রোরোচিত ভারত-কাশ্মীর অন্তর্ভুক্তির প্রত্যাশা-- পন্ডিত নেহরুকে আইনী কৌশল প্রয়োগে উৎসাহিত করেছিল।
(৩) এ জন্যেই শেখ আব্দুল্লা তাঁর ঐতিহাসিক ভুলের দায় এড়াতে পারেন না।
(৪) খুব দৃঢ় মনোবল নিয়ে যদি সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ’র নির্দেশিকা অনুসরণ করা হ’ত, তবে কাশ্মীরের স্বাধীনতা হরণের প্রশ্ন উঠত না।
(৫)জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছা যাঁচাই না ক’রে শেখ আব্দুল্লা-নেহরু স্ব-রচিত,স্ব-মনোনীত শর্তে নতুনভাবে চুক্তিবদ্ধ হতে থাকলেন।
পন্ডিত নেহরুকে আইনী কৌশল প্রয়োগে উৎসাহিত হওয়ার কারনও ছিল; পন্ডিত সাহেব এ কাজ না করলে তার মাথার উপর আরেক জাদরেল; ফীল্ড মার্শাল মুহাম্মদ আয়ুব খাঁন যে সব দখল করে নিয়া যায়, ইতি মধ্যে তিনি আজাদ কাশ্মীর গ্রাস করে ফেলেছেন।
উপরের ৪ নম্বরই সকল ভুলের প্রবেশ দ্বার।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৫৯
রাকু হাসান বলেছেন: এতটুক পড়ে যা বুঝতে পারলাম কাশ্মীরী সমস্যার জন্য মূলত নিজেরাই দোষী । নেহেরু সাহেবের আগের অবস্থান ভাল লাগছিলো .কিন্তু যেখানে তাদের স্বয়ং রাজায় চাচ্ছে চুক্তি করতে তখন সে সুযোগ নিয়েছে । তখন ভারতের প্রধান মন্ত্রী কে ছিল ? ভারত ডুকে পড়লো তাহলে দেখার বিষয় পাকরা আদিপত্য বিস্তার কিভাবে করে....মনে হয় আসছে পাকদের প্রসঙ্গ