নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরএসএস সমর্থকই মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিল।
৩০শে জানুয়ারি ১৯৪৮, ভারতের স্বাধীনতার এক বছর পূর্ণ হওয়ারও আগে মহারাষ্ট্রের এক ধর্মান্ধ হিন্দু নাথুরাম গডসে দিল্লিতে এক প্রার্থনা-সভায় মহাত্মা গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করে। নাথুরাম গডসে ছিল আরএসএস-এর এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, এবং আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কে বি হেডগওয়ারের ঘনিষ্ঠ। গান্ধী হত্যার ঠিক আগে গডসে অবশ্য আরএসএস ছেড়ে দিয়েছিল, এবং সাভারকারের প্ররোচনায় আরেকটি আধিপত্যবাদী গোষ্ঠী হিন্দু মহাসভায় যোগ দিয়েছিল।
তাহলে গান্ধী হত্যায় আরএসএস-কে কখনো অপরাধী সাব্যস্ত করা যায়নি কেন?
গান্ধীহত্যায় যে আরএসএস-কে কখনই সরকারিভাবে জড়িত করা বা তাদের অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়নি, তার নানা কারণের একটা হল, নাথুরাম গডসে-কে কখনই আরএসএস-এর সদস্য প্রমাণ করা যায়নি। কেন যায়নি? কারণ, আরএসএস-এর সদস্যদের নামের কোন রেজিস্টার নেই, কোনদিন ছিলও না। আরএসএস-এর কাজকর্ম বা সভার কোন লিখিত বিবরণীর ব্যাখ্যা হয় না, হতও না। আমার প্রায় দু-দশকের আরএসএস জীবনে আমি কখনো কোনো সাংগঠনিক সদস্য তালিকায় থাকিনি, কিংবা কোনো সদস্য-চাঁদাও দিইনি। অথচ আমি সঙ্ঘশাখায় শিক্ষক, মুখ্যশিক্ষক ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল ছিলাম।
আরএসএস তার কর্মীদের বিভিন্ন শাখা সংগঠনে কাজ করতে পাঠায়। বিজেপি ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের ফ্রন্ট অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর ক্যাডারদের পরামর্শ দেয় আরএসএস। তাদের তৈরি করে দেয়। যেসব সদস্য শিল্পক্ষেত্রে কাজ করে, তাদের পাঠানো হয় আরএসএস-এর শ্রমিক ফ্রন্ট ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘে (বিএমএস)। ব্যবসায়ী জগতের বয়স্ক এবং সাধারণত ধনী কর্মীদের পাঠানো হয় সম্পদশালী ধর্মীয় সংগঠন ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’ বা ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু কাউন্সিল’। এবিভিপি ও বিএমএস ইউনিয়ন দখল করার জন্য নির্বাচনে অংশ নেয়, জেতার জন্য গুন্ডামিও করে থাকে, কিন্তু তারা নিজেদের অরাজনৈতিক বলে দাবি করে। ...(ক্রমশঃ)
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি দুপরের দিকে দিবেন।