নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি রইসউদ্দিন গায়েন। পুরনো দুটি অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে না পারার জন্য আমি একই ব্লগার গায়েন রইসউদ্দিন নামে প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগের লেখাগুলি এখানে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবার প্রকাশ করছি।

গায়েন রইসউদ্দিন

গায়েন রইসউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দানবের পেটে দু\'দশক (মূল গ্রন্থ- IN THE BELLY OF THE BEAST) পর্ব-২০

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮


ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস)
আরএসএস তার এক বিশিষ্ট নেতা দত্তপন্থ ঠেঙাড়ি-কে নিজেদের একটি শ্রমিক ফ্রন্ট খোলার কাজে নিয়োজিত করে। ১৯৫৫ সালের ২৩শে জুলাই ভূপালে তৈরি হয় ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস)। সেই ভূপাল, যা পরে সংবাদ শিরোনামে আসে ১৯৮৪ সালের শেষাশেষি—যখন মার্কিন কারখানা ইউনিয়ন কার্বাইড থেকে ভয়ানক বিষাক্ত মিথাইল আইসোসায়ানেট ছড়িয়ে পড়ে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের প্রান নেয়। আরও হাজার হাজার মানুষ স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, অন্ধ হয়ে যান। এটি খুব সম্ভব আজ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ভারী শিল্প-জনিত বিপর্যয়। মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লীর মধ্যপন্থী ও দক্ষিণপন্থী কংগ্রেস ও বিজেপি সরকার কিন্তু ঐ মার্কিন কোম্পানিটিকে আন্তর্জাতিক আদালতে তুলতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়। ইউনিয়ন কার্বাইডের ভারতীয় ও মার্কিন কর্ণধাররা সারা বিশ্বের শ্রমিক ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সব গোষ্ঠীর কাছে গালি খেলেও তাদের জেলে যেতে হয়নি, তেমন বড়ো কোনও আর্থিক দায়ও নিতে হয়নি। এমনটি হতে পেরেছিল, কারণ কোম্পানির শ্রমিকদের মধ্যে ঐক্য ছিল না—তাদের ইউনিয়নগুলি ছিল বিএমএস ও আইএনটিউসি, যথাক্রমে বিজেপি ও কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। যদিও বিপর্যয়ের সময়ে ও তার পরে বিএমএস ও আরএসএস-এর কর্মীরা আক্রান্ত এলাকার শ্রমিক ও শ্রমিক-পরিবারগুলিকে বেশ কিছুটা সাহায্য করেছিল।
১৯৯১ সালে বামপন্থী ট্রেড-ইউনিয়ন নেতা শঙ্কর গুহনিয়োগীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। শঙ্কর ছিলেন ওই মধ্যপ্রদেশ-ছত্তিশগড় এলাকার জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা। শোনা যায়, তাঁর হত্যাকারীরা ছিল সেখানকার বড় ব্যবসায়ীদের ভাড়া করা গুন্ডা। এর মধ্য দিয়ে ওখানকার বামপন্থী ইউনিয়নের জোর কমিয়ে দেওয়া হল। এবিভিপি-র মত বিএমএস ও নিজেদের অরাজনৈতিক বলে দাবি করে। অথচ তারা কংগ্রেসের ধরনেই ট্রেড ইউনিয়ন করে থাকে। অন্য ইউনিয়নের লোকদের মারধোর করা বা প্রাণে মারাও বাদ যায় না। আশির দশকে শিবসেনা বম্বেতে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নকে পঙ্গু করে দেওয়ার পর মহারাষ্ট্র ও পাশের রাজ্য গুজরাটে বিএমএস-এর প্রতিপত্তি বাড়ে। এ দুটি রাজ্য এদেশে শিল্পক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা। নয়াদিল্লী ও তার আশপাশের শিল্পাঞ্চল, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানের কিছু শহরাঞ্চল, যেসব জায়গায় আরএসএস / বিজেপি-র প্রভাব বেশি, সেসব জায়গায়ও বিএমএস শক্তিশালী। তবে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশের মত বাম-প্রভাবান্বিত রাজ্যে আর তামিলনাড়ু ও কর্নাটকের মত দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বিএমএস-এর প্রভাব ক্ষীণ। বিএমএস-এর মত কৃষক ফ্রন্টে আরএএস ভারতীয় কিসান মোর্চা নামক সংগঠন তৈরি করেছে। এরা আজ ২০২০ সালের কৃষক মহাবিদ্রোহের সময় বিজেপি সরকারকেই সমর্থন করছে। বিএমএস এবং ভারতীয় কিসান মোর্চা শ্রমিক ও কৃষক জগতে কর্পোরেট ইন্ডিয়ারই স্বার্থরক্ষা করে থাকে। (ক্রমশ)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

রাসেদ মিয়া বলেছেন: click here to open google

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০০

চাঁদগাজীর সমর্থকগোষ্ঠী বলেছেন:

কর্পোরেট ইন্ডিয়ান সরকার কি কৃষিতে ভর্তুকি বাড়াবে?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৫১

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: এখনো সন্দেহজনক অবস্থায় রয়েছে। কর্পোরেটরাই তো এদের চালায়, তাই মালিকপক্ষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে এই সরকারের সিদ্ধান্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.