![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসেন পরিচিত হই।
“ ফোর্সিং গডস হ্যান্ডস” নামক গ্রন্থের লেখিকা গ্রেস হল গেল বলেছেন, ‘...আমাদের গাইড কুব্বাতুস-সাখরার (টুম স্টোন) প্রতি ইঙ্গিত করে বলল, আমাদের তৃতীয় হাইকেলটি আমরা ওখানে নির্মাণ করব। হাইকেল নির্মাণে আমাদের সকল পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে। নির্মাণ সামগ্রী পর্যন্ত এসে পড়েছে। সেগুলো একটি গোপন স্থানে রাখা হয়েছে। বহুসংখ্যক প্রতিষ্ঠান – যেগুলোতে ইসরাইলি কাজ চলছে – হাইকেলের জন্য দুর্লভ সব জিনিসপত্র তৈরি করছে। একটি ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান রেশমের সুতা তৈরি করছে। সেগুলো দিয়ে ইহুদি পণ্ডিতদের পোশাক প্রস্তুত করা হবে’। (হতে পারে এগুলোই সেই তীজান বা সীজানওয়ালা চাদর, যার উল্লেখ হাদিসে এসেছে)।
লেখিকা আরও লিখেছেন, ‘আমাদের গাইড বলল, একথা ঠিক যে, আমরা শেষ সময়ের কাছাকাছি চলে এসেছি, যেমনটি আমি বলেছিলাম যে, কট্টর ইহুদিরা মসজিদটিকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে, যার ফলে মুসলিম বিশ্ব আতঙ্কিত হয়ে উঠবে। এটি হবে ইসরাইলের সঙ্গে একটি পবিত্র যুদ্ধ। এ বিষয়টি মধ্যখানে এসে হস্তক্ষেপ করতে মাসিহকে (দাজ্জাল) বাধ্য করবে’।
১৯৯৮ সালের শেষের দিকে একটি ইসরাইলি সংবাদপত্রের ওয়েবসাইটে হাইকেলে সুলাইমানির চিত্র দেখানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, এর উদ্দেশ্য হলো, মুসলমানদের উপাসনালয়গুলোকে মুক্ত করা এবং তদসম্মুখে হাইকেল নির্মাণ করা। সংবাদপত্রে বলা হয়েছিল, এই হাইকেল নির্মাণের মোক্ষম সময়টি এসে পড়েছে। সংবাদপত্রে ইসরাইলি সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল, তারা যেন অধর্মীয় ইসলামি দখলদারিত্বকে মসজিদের স্থান থেকে অপসারণ করে। পত্রিকাটি আরও দাবি করেছে, তৃতীয় হাইকেল নির্মাণ খুবই সন্নিকটে।
গ্রেস হল সেন আরও লিখেছেন, ‘আমি লেন্ডা ও ব্রাউনের (ইহুদি) আবাসভুমিতে (ইসরাইলে) অবস্থান করি। একদিন সন্ধ্যায় আলাপকালে বললাম, উপাসনালয় নির্মাণের জন্য মসজিদে আকসা ধ্বংস করে দিলে একটি ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। উত্তরে সঙ্গে সঙ্গে উক্ত ইহুদি বলল, আপনার আশঙ্কা যথার্থ। এমন যুদ্ধই তো আমরা কামনা করি। কারণ, সেই যুদ্ধে আমরা জয়ী হব। তারপর আমরা সমস্ত আরবকে ইসরাইলের মাটি থেকে তাড়িয়ে দেব। আর তখনই আমরা আমাদের উপাসনালয়টিকে নতুনভাবে নির্মাণ করব’।
ইলহামের কিতাবের ষোলতম তথ্যে আছে, ফোরাত নদী শুকিয়ে যাবে। এভাবে প্রাচ্যের সম্রাটগণ অনুমতি পেয়ে যাবে যে, এই নদী পার হয়ে তোমরা ইসরাইল পৌঁছে যাও।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিকসন তাঁর “ভিক্টরি উইদাউট ওয়ার” নামক গ্রন্থে লিখেছেন, ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত আমেরিকা সমগ্র বিশ্বের শাসকে পরিণত হবে এবং এই বিজয় তারা যুদ্ধ ছাড়াই অর্জন করবে। তারপর মাসিহ (দাজ্জাল) নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে নিবেন। যেন উল্লেখিত সন পর্যন্ত মাসিহর সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়ে যাবে আর আমেরিকার দায়িত্ব এসব ব্যবস্থাপনাকে সম্পন্ন করা পর্যন্ত। তারপর মাসিহ রাজ্য পরিচালনা করবে।
লাখ লাখ মৌলবাদী খ্রিস্টানের বিশ্বাস হলো, ঈশ্বর ও ইবলিসের মধ্যকার সর্বশেষ যুদ্ধটি তাদের জীবদ্দশাতেই শুরু হবে। তবে তাদের অধিকাংশের কামনা হলো, এই যুদ্ধ শুরু হবার আগেই তাদেরকে তুলে নিয়ে জান্নাতে পৌছিয়ে দেওয়া হোক। খ্রিষ্টান মৌলবাদীরা সামরিক প্রস্তুতিতে এত সোৎসাহ সহযোগিতা কেন করছে, এই দৃষ্টিভঙ্গী থেকেই তাঁর রহস্য উদঘাঁটিত হয়ে যাচ্ছে। এই পলিসি দ্বারা তারা দুটি লক্ষ্য অর্জন করেছে। প্রথমত, তারা আমেরিকানদেরকে তাদের ঐতিহাসিক ভিত্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দিচ্ছে। দ্বিতীয়ত, তাদেরকে সেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছে, যেটি ভবিষ্যতে সংঘটিত হবে এবং যার ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে। ভিসন থমাস তার এক গ্রন্থে লিখেছেন, ‘আরব বিশ্ব খ্রিস্টানদের একটি শত্রুজগত’।
খ্রিস্টানরাও কোন একজন মুক্তিদাতার অপেক্ষায় অপেক্ষামাণ। আর ইহুদিরা এক্ষেত্রে বেশি বিচলিত। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৬৭ সালে বাইতুল মুকাদ্দাস দখলের আগে ইহুদিরা দু’আ করত, হে খোদা, এ বছরটি আমাদেরকে জেরুজালেমে থাকতে দাও। আর এখন তারা প্রার্থনা করছে, হে খোদা, আমাদের মাসিহ যেন শীঘ্র এসে পড়েন।
মোটকথা, যে সব ভবিষ্যৎবাণী ঈসা ইবনে মরিয়ম সম্পর্কে বর্ণিত আছে, ইহুদীরা সেগুলোকে দাজ্জালের জন্য প্রমাণ করতে চায়। এক্ষেত্রে তারা খ্রিস্টানদেরকেও ধোঁকা দিচ্ছে যে, আমরা প্রতিশ্রুত মাসিহর অপেক্ষায় করছি আর মুসলমানরা হল মাসিহ’র বিরোধী। অথচ বাস্তবতা তার বিপরীত। মুসলমান ও খ্রিষ্টান উভয়েই ঈসা ইবনে মরিয়মের অপেক্ষায় অপেক্ষামাণ। পক্ষান্তরে ইহুদীরা যার অপেক্ষা করছে, সে হল দাজ্জাল, ঈসা ইবনে মরিয়ম যাকে হত্যা করবেন। কাজেই বর্তমান পরিস্থিতিতে খ্রিস্টানদের উচিত ছিল মুসলমানদের সঙ্গ দেওয়া – ইহুদীদের নয়। কেননা, ইহুদীরা তাদের পুরনো শত্রু
আমিন বেগ ভাইয়ের ব্লগ থেকে
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব৪৪ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
হানিফঢাকা বলেছেন: totally wrong concept
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬
রাজীব৪৪ বলেছেন: হানিফঢাকা বলেছেন: totally wrong concept পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভুল ধরিয়ে দিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করলে খুশি হবো
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:৩০
হানিফঢাকা বলেছেন:
There are lots of writings on Dajjal. Who is he, how he looks like, where and when will he appear, what he will do and so many things. Though, some people think he is a man, some others argue, the Dajjal is not a man, rather it is a system. And each group of people give proof according to his belief from different books. However, the both are wrong.
Like the so called Imam Mehadi. The concept of Mahadi was originally Shia invention, later Sunni people adopted it, come up with their own idea. Most of the Muslim people (99.99%) knows the concept of Imam Mahadi, but does not know its history of invention and how it becomes a part of our religious faith. (How it happens and how the idea spread, it’s beyond the scope of this writing)
Where the concept of Dajjal does comes from? The Dajjal was mentioned in both OLD and New Testament. In Old Testament, there is also prophecy of coming up a Mesiah. The Jews believe that the prophecy is yet to be fulfilled and the Christian and Muslim believed that the prophecy is already fulfilled. The only real difference between Jews and Christian is that the Jews believe that Mesiah is yet to come and Christian believes that he has already come. Thus the concept of Anti-chirist born in this religion. It’s the long battle between Jews and Christian regarding the coming of prophet “Eliasa”.
What Quran says about Dajjal? Nothing. Why? Either the concept of Dajjal is false or it has no significance for Muslim. Think logically……
1. The Quran is fully detailed and self-explanatory
2. The Quran gives everything that is required to complete our Deen
3. Only revelation to Prophet Muhammd (s) was Quran
4. Quran does not mention anything about Dajjal, but we have seen it is mentioned in Hadith
5. Did Allah forget to mention Dajjal if it were true and so important? (Allah forbids)
Since the Quran does not say anything about it, either the concept of Dajjal is false or it does not have any significance in Islam. You say, the Hadith mentioned it. Ok, but in Quran, we are made to understand that only revelation to the prophet Muhammad (s) was Quran, nothing else. Then, how come prophet says about Dajjal, when Quarn remain silent about it. These are fabricated Hadith copied from biblical concept. There are lots of examples of such type of copying. We must understand that the Quran gives everything details that are required to complete our Deen. If Dajjal concept were so important for Muslim, Allah would have surely mentioned it. Now, if you want to give emphasis on hadith over Quran (As most people does), its your choice. But my priority is always Quran over Hadith.
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
রাজীব৪৪ বলেছেন: "আমি তোমাদের জন্য দুটি বস্তু
রেখে গেলাম। তোমরা যতদিন এ
দুটি আকড়ে থাকবে, ততদিন পথভ্রষ্ট
হবে না। একটি হচ্ছ আল্লাহর
কিতাব
এবং অপরটি রাসূলের সুন্নাত।
___হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)আমি তোমাদের জন্য দুটি বস্তু
রেখে গেলাম। তোমরা যতদিন এ
দুটি আকড়ে থাকবে, ততদিন পথভ্রষ্ট
হবে না। একটি হচ্ছ আল্লাহর
কিতাব
এবং অপরটি রাসূলের সুন্নাত।"
___হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
আমি আসলেই বুঝতে পারছি না আপনি হাদীসকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না কেনো। দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরা কাহফ পড়তে বলেছেন। কখনো ভেবে দেখেছেন কি কেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সূরা কাহাফ পাঠ করতে বলেছেন? আসুন জানার চেষ্টা করি,
এই সূরাটিতে মোট চারটি শিক্ষণীয় ঘটনা আছে, প্রতিটি ঘটনাতেই আছে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য উপদেশ। আসুন সেই ঘটনাগুলো ও তার শিক্ষাগুলো কি জানার চেষ্টা করিঃ
১) গুহাবাসী যুবকদের ঘটনাঃ সূরার শুরুতেই সেই গুহাবাসী যুবকদের ঘটনার বর্ণণা দেয়া হয়েছে যারা এমন একটি জনপদে বসবাস করত যার অধিবাসীরা ছিল অবিশ্বাসী ও সীমালংঘনকারী। কাজেই যুবকেরা সেই নষ্ট সমাজের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন, ‘এদের সাথে আর নয়’। তারা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও আল্লাহর দীনের প্রতি ভালোবাসা থেকে উজ্জিবীত হয়ে সেখান থেকে হিজরত করলেন। আল্লাহ তাদেরকে গুহাতে আশ্রয় দিলেন এবং সূর্যালোক থেকে নিরাপদে রাখলেন। বহু বছর পর যখন তাদের ঘুম ভাঙ্গলো তাঁরা দেখলেন সেই জনপদের অবিশ্বাসী লোকেরা বিদায় নিয়েছে এবং ভালো লোকদের দ্বারা মন্দ লোকেরা প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
শিক্ষাঃ ঈমানের উপর পরীক্ষা।
২) দুইটি বাগানের মালিক ব্যক্তির ঘটনাঃ একজন লোক যাকে আল্লাহ দুইটি প্রাচুর্যময় সুন্দর বাগান দিয়ে ধন্য করেছিলেন, কিন্তু লোকটি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে ভুলে গেল এমনকি পরকালের অস্তিত্ব সম্পর্কে আল্লাহর ওয়াদার উপর সন্দেহ পোষণ করল। কাজেই, এই অকৃতজ্ঞ লোকটির বাগানকে আল্লাহ তায়ালা বিরান করে দিলেন-সে অনুতপ্ত হল, কিন্তু ইতোমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে এবং তার এই অসময়ের অনুশোচনা তার কোন উপকারে আসল না।
শিক্ষাঃ সম্পদের উপর পরীক্ষা।
৩) খিজির ও মুসা আলাইহি সালাম এর ঘটনাঃ যখন মূসা আলাইহি সালামের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “এই পৃথিবীতে সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি কে?” তিনি উত্তর করেছিলেন, “আমি”…কিন্তু আল্লাহ তাঁর কাছে উন্মোচন করে দিলেন যে, এমন এক ব্যক্তি আছেন যাকে আল্লাহ তাঁর চেয়েও বেশি জ্ঞান দান করেছেন। মুসা আলাইহি সালাম সেই ব্যক্তির সাথে ভ্রমণ করলেন এবং দেখলেন, শিখলেন কিভাবে অনেক সময় আল্লাহ তাঁর অসীম জ্ঞানের কারণে এমন অনেক ঘটনা ঘটান যেগুলো আমাদের চোখে খারাপ বলে মনে হয় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেগুলো মানুষের ভালোর জন্যেই করা হয়।
শিক্ষাঃ জ্ঞানের উপর পরীক্ষা।
৪) যুলকারনাইনঃ এটা সেই ক্ষমতাধর বাদশাহর ঘটনা যাকে একই সাথে জ্ঞান এবং ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছিল এবং তিনি সেই উভয় দানের শুকরিয়াস্বরুপ মানুষের উপকারে এবং কল্যাণে তা ব্যয় করতেন। তিনি জনপদের লোকদের ইয়াজুজ মাজুজ এর সমস্যার সমাধান করে দিলেন এবং একটি বিশাল প্রাচীর নির্মাণ করে দিলেন।
শিক্ষাঃ ক্ষমতার উপর পরীক্ষা।
সূরাটির মাঝামাঝি আল্লাহ স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন ইবলিসের কথা যে এই পরীক্ষাগুলোকে আরও কঠিন করে দেয়,
“যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললামঃ ‘আদমকে সেজদা কর’, তখন সবাই সেজদা করল ইবলীস ব্যতীত। সে ছিল জিনদের একজন। সে তার পালনকর্তার আদেশ অমান্য করল। অতএব তোমরা কি আমার পরিবর্তে তাকে এবং তার বংশধরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করছ? অথচ তারা তোমাদের শত্রু। এটা জালেমদের জন্যে খুবই নিকৃষ্ট বদল”। (সূরা কাহাফ ৫০)
আসুন, এবারে জেনে নেয়া যাক, সূরা কাহাফ এবং দাজ্জালের মধ্যে কিসের সম্পর্ক?
দাজ্জাল আবির্ভুত হবে শেষ সময়ে কিয়ামতের একটি বড় লক্ষণ হিসেবে,
সে এই চারটি ফিতনা একত্রে নিয়ে আসবেঃ
••► সে মানুষকে আদেশ করবে যেন আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার ইবাদত করে
ঈমানের উপর পরীক্ষা
••► তাকে বৃষ্টি বর্ষণ/ অনাবৃষ্টি সৃষ্টির ক্ষমতা দেয়া হবে এবং সে মানুষকে তার সম্পদ দিয়ে লোভ দেখাবে
সম্পদের উপর পরীক্ষা
••► সে মানুষকে পরীক্ষায় ফেলে দিবে তার ‘জ্ঞান’ এবং নানারকম সংবাদ প্রদান করে
জ্ঞানের উপর পরীক্ষা
••► সে পৃথিবীর এক বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করবে
ক্ষমতার উপর পরীক্ষা
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯
হানিফঢাকা বলেছেন: I replied your comments, and later found the comments was not uploaded may be due to some internet problem. So I have to write it again.
1.You asked me why I am not giving importance on Hadith. This was well explained in my writing Quran Alone (part-1-5). It’s a long discussion, if you are interested you can read this topics or do your own research on the history of Hadith collection.
2.You mentioned a well know Hadith “"আমি তোমাদের জন্য দুটি বস্তু
রেখে গেলাম। তোমরা যতদিন এ
দুটি আকড়ে থাকবে, ততদিন পথভ্রষ্ট
হবে না। একটি হচ্ছ আল্লাহর
কিতাব
এবং অপরটি রাসূলের সুন্নাত।“ Let me give you example with your own mentioned hadith
Here are the references to the three versions of the Last Sermon, you are requested to kindly read those from the Books of Hadiths mentioned below to understand how Muslims were made to get confused
1) I leave with you Quran and Sunnah, Muwatta, 46/3
2) I leave with you Quran and Ahl al-bayt , Muslim 44/4, Nu2408; ibn Hanbal 4/366; Darimi 23/1, nu 3319.
3) I leave for you the Quran alone you shall uphold it.
Muslim 15/19, nu 1218; ibn Majah 25/84, Abu dawud 11/56.
See Sahih Muslim, Book of Hajj, Book 7 , Number 2803:
So, one can easily understand the difficulty of understand it. So which one you believe? There are lots of examples of such type of conflicts. What Allah says” Do they not reflect on the Qur’an? If it was from any other than God they would have found in it many a discrepancy.
Just to give you a very brief idea, Quran does not in any way authorize hadith of prophet. To me Quranic proof is sufficient enough, however, for the benefit of you let’s see what hadith literature says about itself:
1. "Do not write down anything of me except the Quran. Whoever writes other than that should delete it" (Ahmed, Vol. 1, page 171.....also Sahih Muslim, Book 42, Number 7147)
2. Abu huraira said that the prophet said, "The 'Ummam' (nations/peoples) that preceded you have gone astray when they wrote books and upheld them besides God's scripture" (Ahmed Ibn Hanbal).
3. "Abu Huraira said: The messenger of God came to us while we were writing his sayings and said: "What is it you are writing?" we said "sayings (hadith) we hear from you messenger of God" he said, "A book other than God's book?" then Abu Huraira said, "so we gathered what we had written and burnt it all" (Taqyeed Al-Ilm, by Al-Khateeb Al-Baghdady) also (Oloom Al-Hadith, by Ibn Salah).
The hadith was not written/compiled in the life of Prophet (s) as he strongly forbade it do so. So why the prophet did make such order if it were also a form of revelation? One can argue that the prophet might thought that there might chance his hadith may mixed with the Quran, and therefore he forbade it to do so. But this argument is very naïve. Because Allah promises to guard His book from corruption. So, how the prophet feared of mixing his verses with Quran? Did not he believe Allah’s promise?
So, it is up to you what you believe.
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৯
রাজীব৪৪ বলেছেন: : قُلْ أَطِيعُواْ اللَّهَ وَالرَّسُولَ فإِن تَوَلَّوْاْ فَإِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْكَافِرِينَ ‘বল, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদেরকে ভালবাসেন না’ (সূরা আলে-ইমরান: ৩২)
অন্য এক আয়াতে এসেছে : يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللَّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلاً ‘ হে মুমিনগণ, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্য থেকে কর্তৃত্বের অধিকারিদের। অতঃপর কোন বিষয়ে যদি তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যার্পণ করাও যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। এটি উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্টতর’ (সূরা নিসা: ৫৯)
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন : منْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّهَ وَمَن تَوَلَّى فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظاً ‘যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের ওপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি’ (সূরা নিসা: ৮০)
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে : قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ‘বল, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’(সূরা আলে ইমরান:৩২)
তিনি আরো বলেন : وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُبِينًا ‘আল্লাহ ও তার রাসূল কোনো কাজের আদেশ করলে কোনো ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে এ অধিকার নেই যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ অমান্য করে। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়’ (সূরা আহযাব: ৩৬)
কুরআনের আয়াত দ্বারাই এটা স্পষ্ট রাসুলের আদেশ মানা জরুরি। অর্থাৎ কুরআন মানলে আপনাকে হাদীসও মানতে হবে। তাহলে এটা আশা করি পরিস্কার যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম যা বলেছেন তা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৭
হানিফঢাকা বলেছেন: Brother, what you mentioned in Quranic verse, the full explanation and answer is given in my Writing Quran Alone (Part 1-5)
Quran Alone (Part 1): Click This Link
Quran Alone (Part 2): Click This Link
Quran Alone (Part 3): Click This Link
Quran Alone (Part 4) : Click This Link
Quran Alone (Last Part): Click This Link
If you are interested, you can read. You will get all your answers. Again, Allah never said to follow the hadith of Prophet. Its a old propaganda and conspiracy against Quran.
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২২
রাজীব৪৪ বলেছেন: If you are interested, you can read. You will get all your answers. প্রশ্ন আপনি করছেন আমি শুধু আমার মত করে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি। আপনার কাছে এর বাইরে আমার কোনো প্রশ্ন নেই। হ্যাঁ, আপনি কোনো আলিমে দ্বীনের কাছে গেলে আরো স্পষ্ট এবং উত্তম উত্তর পাবেন।
ভালো থাকবেন।
৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ইঙ্গ্যাল বলেছেন: হানিফের মত লোকজনই দাজ্জালের দরকার। কারণ "দাজ্জালের আগমনের সময়ে দাজ্জাল সম্পর্কে সবাই বিস্মৃত হয়ে যাবে"। হানিফের মত কোরান অনলি শয়তানের দোসরাই তো দাজ্জালের আসার পথকে সুগম করবে এবং দাজ্জালের অনুগামী হবে। কোরানে নামাজের(সালাত) কথা বলা আছে কিন্তু নামাজ কিভাবে আদায় করবো তা তো বলা নাই; এখন "হানিফ নামক কমেন্টকারী বলদ"টা বলুক নামাজ পড়ে কিভাবে; নামাজে গান গায়, শিস বাজায় নাকি চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে? নাকি নামাজই পড়ে না? এসমস্ত ভাঁড়ের কারণেই ইসলামে বিভক্তি।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১০
তালিব উল ইলম বলেছেন: ১) আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর কিতাবকে (কুরআন) রেখে গেলাম , যদি তোমরা এটাকে আঁকড়ে থাকো, তবে কখনো বিপথগামী হবে না। [মুসলিম, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ]
২) মালেক ইবনে আনাস বর্ণিত- রাসূল (সাঃ) বলেছেন- আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি যতদিন আকড়ে ধরবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হলো আল্লাহর কিতাব এবং অপরটি আমার সুন্নাহ্ (মিশকাত-১ম খন্ড হাদিস নং-১৭৭,মুসতাদরাকে হাকিম-১ম খন্ড, ৯৩ পৃষ্ঠা, মুয়াত্তা ইমাম মালিক- ১৬৬১)
৩) আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর কিতাব (কুরআন) ও আমার পরিবারকে (আহলে বাইত) রেখে গেলাম , ... [মুসলিম , আহমাদ, দারিমি]
হাজার হাজার সমবেত মুসলমান শোনার পরেও একই কথার ৩টি ভার্সন পাওয়া যায় কেন? একই ঘটনার হাদিস থেকে আহলে কুরআনরা (Quranist) ১ নং ভার্সন গ্রহন করেছে, সুন্নীরা নিজেদের স্বার্থে ২ নং ভার্সন গ্রহণ করেছে আর শিয়ারা ওদের স্বার্থ অনুযায়ী ৩ নং ভার্সন গ্রহণ করেছে। কাজেই হাদিস কি আদৌ ইসলামি শরিয়তের গ্রহণযোগ্য উৎস হতে পারে?
উত্তরঃ উপরে যে হাদিসগুলোর কথা বলা হল, এর সবগুলোই সহীহ হাদিস। অতএব সবগুলোই নিঃসন্দেহে সত্য। কিন্তু হাদিসগুলো দেখিয়ে যে ‘স্ববিরোধিতা’(?)র কথা বলা হল, এখানে কিছু শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। এই শুভঙ্করের ফাঁকি ব্যবহার করে প্রতি বছর মহররম মাস আসলেই শিয়াদেরকে দেখা যায় হাদিস শাস্ত্র নিয়ে কটু কথা বলতে। তাদের দাবি – সুন্নীরা নাকি ষড়যন্ত্র করে আহলে বাইতের কথা বাদ দিয়ে সুন্নাহর কথা ঢুকিয়েছে (নাউযুবিল্লাহ)। নাস্তিক-মুক্তমনা আর খ্রিষ্টান মিশনারীদেরকেও দেখা যায় শিয়াদের পালে হাওয়া দিয়ে হাদিস শাস্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে। যা হোক, এখানে শুভঙ্করের ফাঁকিটা বের করা যাক।
এখানে ৩টা হাদিসেরই ‘মাতান’ (মূল অর্থ) এ মিল আছে, ৩টা হাদিসেই কমনভাবে আল্লাহর কিতাব বা আল কুরআনের কথা বলা আছে। এই মিলকে কাজে লাগিয়েই ইসলামের শত্রুরা সরলপ্রাণ মুসলিমদেরকে বোঝাতে চায় যে, ৩টা হাদিসই একই ঘটনার ব্যাপারে এবং এগুলোতে পরস্পরবিরোধী তথ্য আছে। কিন্তু আসলেই কি হাদিসগুলো একই ঘটনার ব্যাপারে? এটি জানতে আমাদেরকে চলে যেতে হবে নবী(ﷺ) এর বিদায় হজের ঘটনায়।
এখন যে ঘটনাগুলো বর্ণনা করা হবে, তাতে কিছু তারিখ উল্লেখ থাকবে। পড়বার সময় তারিখগুলো ভালো করে খেয়াল করুন। তাহলে ইসলামের শত্রুদের শুভঙ্করের ফাঁকি ধরা সহজ হবে।
নবী(ﷺ) ১০ম হিজরী সনে যিলকদ মাসের ৪ দিন অবশিষ্ট থাকতে বিদায় হজের উদ্যেশ্যে মদীনা থেকে মক্কার দিকে যাত্রা করেন। দিনটি ছিল শনিবার। [1] আবার হজের সকল কার্যাবলী শেষ করে মক্কা থেকে মদীনার উদ্যেশ্যে রওনা দেন ১৪ই যিলহজ বুধবার। [2] মাঝের এই দিনগুলোতে দিনে বেশ কয়েক বার জনতার উদ্যেশ্যে ভাষণ দেন বলে সহীহ সূত্রে বর্ণিত আছে। [3]
যিলহজ মাসের ৮ তারিখ অর্থাৎ তারবিয়ার দিন নবী(ﷺ) মিনায় গমন করেন এবং পরদিন সকাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে গেলে দিনে বাত্বনে ওয়াদিতে গমন করেন। সেখানে জনতার উদ্যেশ্যে একটি ভাষণ প্রদান করেন। [4] সেই ভাষণে তিনি যা বলেছিলেন তার মধ্যে একটি কথা ছিল –
َوَقَدْ تَرَكْتُ فِيْكُمْ مَا لَنْ تَضِلِّوْا بَعْدَهُ إِنْ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ، كِتَابُ اللهِ
অর্থঃ “আমি তোমাদের মাঝে এমন এক জিনিস রেখে যাচ্ছি যা শক্ত করে ধরে রাখলে তোমরা কখনোও পথহারা হবে না এবং তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব (কুরআন)।” [5]
হজের মূল কার্যক্রম ও ঈদুল আযহা শেষ হয়ে যাবার পরে আইয়ামে তাশরিকের দিনগুলোতেও নবী(ﷺ) কিছু ভাষণ দিয়েছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার(রা.) বলেন, আইয়ামে তাশরিকের মধ্যবর্তী (বা ২য়) দিনে অর্থাৎ ১২ই যিলহজ তারিখে মিনায় সুরা নাসর নাযিল হয়। অতঃপর তিনি ক্বাছওয়া (القَصْواء) উটনীতে সওয়ার হয়ে জামরায়ে আক্বাবায় গমন করেন। অতঃপর কংকর নিক্ষেপ শেষে ফিরে এসে জনগণের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রসিদ্ধ ভাষণটি প্রদান করেন।” [6]
১২ যিলহজ তারিখের এই ভাষণে নবী(ﷺ) যেসব কথা বলেছিলেন, তার মধ্যে ছিল –
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا إِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ فَلَنْ تَضِلُّوا أَبَدًا كِتَابَ اللهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِ-
অর্থঃ '‘হে জনগণ! আমি তোমাদের নিকট এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি, যা মজবুতভাবে ধারণ করলে তোমরা কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আল্লাহর কিতাব (কুরআন) ও তাঁর নবীর সুন্নাহ।” [7]
হজের সকল বিধি-বিধান পালন করার পর ১৪ই যিলহজ বুধবার মসজিদুল হারামে ফজরের সলাত আদায়ের পর রাসুল(ﷺ) তাঁর সাহাবীগণকে নিয়ে মদীনা অভিমুখে রওনা হয়ে যান। [8] পথে রাবেগের নিকটবর্তী খুম কুয়ার নিকট পোঁছালে বুরাইদা আসলামী(রা.) রাসুল(ﷺ)-এর নিকটে আলী(রা.) এর ব্যাপারে গনিমত বণ্টন সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু কথা বলেন। এর প্রেক্ষিতে রাসুল(ﷺ) সাহাবীদের সামনে কিছু বক্তব্য পেশ করেন। এই বক্তব্যের মধ্যকার কিছু অংশ ছিল –
قَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّىاللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا فِينَا خَطِيبًا، بِمَاءٍ يُدْعَى خُمًّا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَوَعَظَ وَذَكَّرَ، ثُمَّ قَالَ
: " أَمَّا بَعْدُ، أَلَا أَيُّهَا النَّاسُ فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ رَسُولُ رَبِّي فَأُجِيبَ، وَأَنَا تَارِكٌ فِيكُمْ ثَقَلَيْنِ: أَوَّلُهُمَا كِتَابُ اللهِ فِيهِ الْهُدَى وَالنُّورُ فَخُذُوا بِكِتَابِ اللهِ، وَاسْتَمْسِكُوا بِهِ " فَحَثَّعَلَى كِتَابِ اللهِ وَرَغَّبَ فِيهِ، ثُمَّ قَالَ: «وَأَهْلُ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمُ اللهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي، أُذَكِّرُكُمُاللهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي، أُذَكِّرُكُمُ اللهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي»
অর্থঃ রাসুলুল্লাহ(ﷺ) একদিন মক্কা ও মদীনার মাঝামাঝি ‘খুম’ নামক স্থানে দাঁড়িয়ে আমাদের সামনে বক্তৃতা দিলেন। আল্লাহর প্রশংসা ও সানা বর্ণনা শেষে ওয়ায-নাসিহত করলেন। অতঃপর বললেনঃ শোনো হে লোক সকল! আমি তো কেবল একজন মানুষ, অতি সত্ত্বরই আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত দূত (মৃত্যুর ফেরেশতা) আসবেন, আর আমিও তাঁর আহ্বানে সাড়া দেবো। আমি তোমাদের নিকট ২টি ভারী জিনিস রেখে যাচ্ছি। এর প্রথমটি হলো আল্লাহর কিতাব (কুরআন)। এতে পথনির্দেশ এবং আলোকবর্তিকা আছে। অতএব তোমরা আল্লাহর কিতাবকে অনুসরণ করো, একে শক্ত করে আঁকড়ে রাখো। তারপর তিনি কুরআনের প্রতি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিলেন। এরপর বলেন, আর [অন্যটি হলো] আমার আহলে বাইত (পরিবারের লোক)। আর আমি আহলে বাইতের (অধিকারের) বিষয়ে তোমাদের আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। আহলে বাইতের ব্যাপারে তোমাদের আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আহলে বাইতের বিষয়ে তোমাদের আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। …” [9]
উপরে ৩টি হাদিসই বর্ণনা করা হল। ঘটনাগুলো সংঘটিত হবার তারিখও উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুল(ﷺ) শুধুমাত্র আল কুরআন রেখে যাবার কথা বলেছেন যিলহজ মাসের ৮ তারিখের ভাষণে, সেখানে তিনি কুরআনের বিধান অনুসরণ করতে বলেছেন। ১২ যিলহজ তারিখের ভাষণে নবী(ﷺ) কুরআন ও সুন্নাহ এই ২টি জিনিসের কথা বলেছেন এবং এই ২টি জিনিসকে অনুসরণ করতে বলেছেন। হজের সকল কার্যাবলি শেষ করে ১৪ই যিলহজ মদীনার উদ্যেশ্যে রওনা হয়েছেন এবং পথে খুম নামক স্থানে বক্তৃতায় কুরআন ও আহলে বাইত রেখে যাবার কথা বলেছেন; কুরআন অনুসরণ করতে বলেছেন এবং আহলে বাইতের অধিকারের ব্যাপারে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
আমরা দেখলাম যে এগুলো আসলে ১ ঘটনা নয় বরং ৩টি পৃথক পৃথক ঘটনা। প্রত্যেকটিই সহীহ সূত্রে প্রমাণিত। ১ম ২টি ঘটনায় তিনি কুরআন এবং সুন্নাহ অনুসরণ করতে বলেছেন, ৩য় ঘটনায় কুরআনের বিধানকে অনুসরণ করতে বলেছেন এবং আহলে বাইতের অধিকারের ব্যাপারে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। অনুসরণ করবার জন্য তিনি মোট ২টি জিনিস রেখে গেছেন আর তা হল কুরআন এবং সুন্নাহ। ১ম ঘটনায় তিনি অনুসরণীয় ১টি জিনিসের (কুরআন) কথা উল্লেখ করেছেন, ২য় ঘটনায় উভয়টির (কুরআন ও সুন্নাহ) কথাই উল্লেখ করেছেন। ৩য় ঘটনায় তিনি পুনরায় কুরআনের কথা উল্লেখ করেছেন এবং আহলে বাইতের অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ৩টি পৃথক ঘটনায় রাসুল(ﷺ) এই কথাগুলো বলেছেন। এগুলো মোটেও একই ঘটনার ৩টি আলাদা ভার্সন নয়। সুন্নীরা মোটেও ষড়যন্ত্র করে কোনো কিছু বাদ দেয়নি, এই সকল হাদিস সুন্নী ইমামদের সংকলিত হাদিস গ্রন্থেই আছে। এবং এগুলোর মধ্যে কোনো পরস্পরবিরোধিতা নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যে সব ভবিষ্যৎবাণী ঈসা ইবনে মরিয়ম সম্পর্কে বর্ণিত আছে, ইহুদীরা সেগুলোকে দাজ্জালের জন্য প্রমাণ করতে চায়। এক্ষেত্রে তারা খ্রিস্টানদেরকেও ধোঁকা দিচ্ছে যে, আমরা প্রতিশ্রুত মাসিহর অপেক্ষায় করছি আর মুসলমানরা হল মাসিহ’র বিরোধী। অথচ বাস্তবতা তার বিপরীত। মুসলমান ও খ্রিষ্টান উভয়েই ঈসা ইবনে মরিয়মের অপেক্ষায় অপেক্ষামাণ। পক্ষান্তরে ইহুদীরা যার অপেক্ষা করছে, সে হল দাজ্জাল, ঈসা ইবনে মরিয়ম যাকে হত্যা করবেন। কাজেই বর্তমান পরিস্থিতিতে খ্রিস্টানদের উচিত ছিল মুসলমানদের সঙ্গ দেওয়া – ইহুদীদের নয়। কেননা, ইহুদীরা তাদের পুরনো শত্রু।
+