নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার সবথেকে ভাল উপায় হলো প্রশ্ন করা

অসির চেয়ে মসির শক্তি বেশি। কিন্তু অসির কাজ মসি দিয়া হয় না

রাজীব৪৪

আসেন পরিচিত হই।

রাজীব৪৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাজ্জালের গঠন-প্রকৃতি

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,



“পৃথিবীতে যত নবী রাসূল প্রেরিত হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ উম্মতকে মিথ্যাবাদী কানা দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছে। দাজ্জাল কানা-ই হবে। আর তোমাদের রব অবশ্যই কানা নন। আর দাজ্জালের দুই চোখের মাঝখানে লিখা থাকবে ‘কাফিরুন’”।

(সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৬৫৯৮)



হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,



“দাজ্জালের ডান চোখ কানা হবে, যেন সেটি ফুলে থাকা আঙুর”। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৬৫৯০)



হযরত হুজায়ফা (রাঃ) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,



“দাজ্জালের বাঁ চোখ কানা হবে। মাথার চুলগুলো হবে ঘন ও এলোমেলো। তার সঙ্গে জান্নাত ও জাহান্নাম থাকবে। কিন্তু মূলত তার জাহান্নাম হল জান্নাত আর জান্নাত হল জাহান্নাম”।

(সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২২৪৮)



দাজ্জালের চুল সম্পর্কে ফাহুল বারীতে আছেঃ



‘তাঁর মাথাটা যেন কোনও গাছের কতগুলো ডাল’।



অর্থাৎ - চুল পরিমাণে বেশি ও এলোমেলো হওয়ার কারণে মাথাটিকে গাছের ডাল পালার মত মনে হবে।



অপর এক বর্ণনায় আছে,



“দাজ্জালের একটি চোখ বসানো থাকবে। অপর চোখে মোটা দানা থাকবে। তাঁর দুই চোখের মাঝে ‘কাফিরুন’ লিখা থাকবে, যেটি লেখাপড়া জানা অজানা সব মুমিন পড়তে পারবে”।

(মিশকাত শরীফ, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৫২৩৭)



মুসনাদে আহমাদের বর্ণনায় একথাও আছে যে,



“তাঁর সঙ্গে দুজন ফেরেশতা থাকবে। তারা দুজন নবীর আকারে তার হাতে থাকবে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি চাইলে উক্ত দুই নবী ও তাদের পিতাদেরও নাম বলতে পারবো। তাদের একজন দাজ্জালের ডান দিকে, একজন বাঁ দিকে থাকবে। এটি হবে পরীক্ষা।



দাজ্জাল বলবে, আমি তোমাদের রব নই কি? আমি কি মৃতকে জীবিত করতে পারি না? আমি কি মৃত্যু দিতে পারি না? উত্তরে এক ফেরেশতা বলবে, তুমি মিথ্যা বলছ। তার এই উক্তি দ্বিতীয় ফেরেশতা ছাড়া আর কেউ শুনতে পাবে না। ফলে দ্বিতীয় ফেরেশতা তার উত্তরে বলবে, তুমি ঠিকই বলেছ। দ্বিতীয় ফেরেশতার এই উক্তি সবাই শুনতে পাবে এবং ধরে নিবে, এই ফেরেশতা দাজ্জালকে সত্যায়ন করছে। এটিও হবে একটি পরীক্ষা”।

(মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২২১)



দাজ্জাল সুনির্দিষ্ট এক ব্যক্তি হবে। কারণ, হাদিসে সুস্পষ্টভাবে এ বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে। কাজেই কোন রাষ্ট্রকে দাজ্জাল মনে করা ঠিক নয়। যেমনটি খাওয়ারিজ ও জাহমিয়া প্রভৃতি ভ্রান্ত দলসমূহ মনে করে থাকে। কাজী ইয়াজ (রহঃ) বলেছেন, ‘ইমাম মুসলিম প্রমুখ দাজ্জালের কাহিনীতে এই যে হাদিসগুলো বর্ণনা করেছেন, এগুলো প্রমাণ করছে, দাজ্জালের অস্তিত্ব যথার্থ এবং সে সুনির্দিষ্ট একজন ব্যক্তি হবে’



আমিন বেগ ভাইয়ের ব্লগ থেকে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

সীমাবেস্ট বলেছেন: ওরে বাবা পড়লেও ভয় করে ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

রাজীব৪৪ বলেছেন: ভয় দেখানোর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

নিজাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কিন্তু এই দাজ্জাল থেকে পরিত্রাণ পাবার উপায় কী সেটা তো বললেন না। আমি যতদূর জানি, প্রত্যহ সকালে সুরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত এবং সন্ধ্যায় শেষ দশ আয়াত তেলওয়াত করলে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে আল্লাহ মুক্তি দেবেন। আমার ভুল হলে জানাবেন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

রাজীব৪৪ বলেছেন: ধারাবাহিকভাবে লিখে যাবো। তাই প্রথমেই পরিত্রাণ পাবার উপায় বলি নি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাচার জন্য সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত পড়তে বলেছেন। ভুল হওয়ার তো কারন দেখছি না।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ১১:০৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমি থরে কম্পমান হয়ে গেছি।

০৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২১

রাজীব৪৪ বলেছেন: দাজ্জালের উপর ধারাবাহিকভাবে লিখে যাচ্ছি। পড়ার আমন্ত্রন রইল।

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১১

ইসলামের ইলম বলেছেন: আপনি অনেক মহান কাজ শুরু করেছেন। আল্লাহ আপনাকে সফল করুন। সঠিক সময়ে সঠিক বিষয় উপস্থাপনে জানি না কেন আলেম রা চুপ রয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.