নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নিরবে ফিরে যাওয়া অভিমান-ভেজা চোখ, আমাকে গ্রহণ কর\"- রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

রাকিব আর পি এম সি

একজন মহাকাশপ্রেমী

রাকিব আর পি এম সি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবসৃষ্ট প্রযুক্তি ও মানবসভ্যতার বিনাশ

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭


তথ্য-প্রযুক্তিতে মানবজাতি যত অগ্রগতি লাভ করছে, মানব সভ্যতার জন্য হুমকিও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একসময় পৃথিবীর বুকে যেই ডায়নোসররা রাজত্ব করে বেড়িয়েছে, তাদেরকেও এক নির্মম পরিণতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। মানব সভ্যতা কিভাবে ধ্বংস হতে পারে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার কোন শেষ নেই। তবে মানব সভ্যতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি তাদের নিজেদের অাবিষ্কৃত প্রযুক্তিই। অাসুন জেনে নিই এমন ৫টি বিধ্বংসী প্রযুক্তি যা অামাদের জন্য যেকোন সময় বিপর্যয় ডেকে অানতে পারে।

১) হার্প বা হাই ফ্রিকোয়েন্সি একটিভ অরোরাল রিসার্স প্রোগ্রাম হলো এমন একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রযুক্তি চালু করে। অনেক গবেষকদের মতে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শক্তিশালী তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে সুনামি, ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটানো যায়।

২) পারমাণবিক অস্ত্র সবসময়ই মানবজাতির জন্য এক হুমকির নাম। অার সেই অস্ত্র যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, তবে হুমকির মাত্রাও বহুগুণ বেড়ে যায়। রাশিয়ার কাছে এমনই এক স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি অাছে। পেরিমিটার নামে পরিচিত ডেড হ্যান্ড সিস্টেম অাপদকালীন সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পারমাণবিক ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম।

৩) বর্তমান সময়ের অালোচিত অারেকটি প্রযুক্তির নাম "লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার" বা সংক্ষেপে "এলএইচসি"। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অফ নিউক্লিয়ার রিসার্স কর্তৃক পরিচালিত এই যন্ত্রটি প্রায় ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এর ওজন প্রায় ৩৮ হাজার টন! এর ভেতরে বিভিন্ন পারমাণবিক কণিকার মাঝে কৃত্রিমভাবে সংঘর্ষ ঘটানো হয়। অনেকেই ধারনা করেছিল, এধরনের সংঘর্ষের ফলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষ্ণগহবর তৈরী হয়ে সমগ্র মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।

৪) বিভিন্ন মুভিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবটের উপস্থিতি প্রায়ই চোখে পড়ে। তবে মুভির সেই রোবটগুলোকে বাস্তব রূপ দানের জন্যও অনেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীতে এখন অনেক উন্নত রোবট অাছে এবং সেগুলোকে অারও উন্নত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান রোবটগুলো মানুষের নির্দেশ মেনে চললেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবটকে মানুষ কিভাবে বশ করবে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকেই যাচ্ছে।

৫) এলিয়েন তথা ভীনগ্রহবাসীদের নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। মানুষ সবসময়ই চেয়েছে অন্য কোন গ্রহে যদি বুদ্ধিমান কোন প্রজাতি থেকে থাকে, তারা যেন মানব সভ্যতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। সেই উদ্দেশ্যে ১৯৭৭ সালে মহাকাশে ভয়েজার ১ ও ২ নভোযান প্রেরন করা হয় যাতে বিশ্বের ৫৫টি ভাষায় সম্বোধন রেকর্ড করা অাছে। এছাড়াও রয়েছে মানুষের হৃৎপিন্ডের শব্দ, বৃষ্টির শব্দ এবং পাথর নির্মিত যন্ত্রপাতির শব্দ। মানুষের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে একদিন মানবজাতির বিপর্যয় ডেকে অানতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারন কলাম্বাসের অামেরিকা অাবিষ্কার পর সেখানকার অাদিবাসীদের কি অবস্থা হয়েছিল, সেই ইতিহাস নিশ্চয় সবার জানা অাছে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: RakibRpmc ,




ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন । তবে আমার মনে হয় " এনার্জী ক্রাইসিস"ই সভ্যতাকে ডোবাবে । এনার্জী ক্রাইসিস হলেই জীবন থেমে যাবে । যাদের হাতে আছে শক্তি তারা যে কোনও উপায়ে এনার্জীর উৎসগুলো ( তেল,গ্যাস, কয়লা, পানি ইত্যাদি ) ছিনিয়ে নেবে অন্যের থেকে তা বোমা মেরেই হোক বা অন্য রাষ্ট্রের মানুষ মেরেই হোক । আলামত তো দেখতেই পাচ্ছেন । যতো যুদ্ধ, তার প্রায় সবটার পেছনেই আছে তেল,গ্যাস । বাহ্যিক কারন যাই-ই থাকনা কেন ।
তাই তো মানুষ এনার্জীর উৎসগুলো খুঁজছে পৃথিবীর বাইরে বাইরে ।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: হুম, অামি অাপনার সাথে একমত। জ্বালানী সংকট বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান সমস্যা এবং বিশ্বজুড়ে অস্থিরতারও অন্যতম প্রধান কারন এই জ্বালানী সংকট। এই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় সৌরশক্তিকে বেশি করে কাজে লাগানো। অামার বিশ্বাস ২০৫০ সাল নাগাদ মানবজীবন অনেকটাই সৌরশক্তি নির্ভর হয়ে পড়বে। অাপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
প্রথমেই পোস্ট সম্পর্কে বলি, চমৎকার পোস্ট।

কৃত্রিমভাবে সুনামি বা ভূমিকম্প ঘটানোর ব্যাপারে আমি কখনো বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু গতবছর নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং টানা কয়েকদিন একই সময়ের ভূমিকম্প হওয়ার পর কিছুটা বিশ্বাস করতে বাধ্যও হই। প্রথমটা প্রাকৃতিক হতে পারে, কিন্তু পরের গুলো সম্পর্কে কেন জানি সন্দিহান।

লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার নিয়ে আশংকাটা এখনো বিলীন হয়ে যায়নি। আশংকা আছে, থাকবেই। স্ট্রিং থিউরির প্রুভ কখনো হবে কিনা জানিনা, যদি না হয় - তাহলে কোলাইডারের কৃষ্ণগহ্বরের সৃষ্টির আশংকা সত্যি হতেও পারে। মনে হয় না এটার কোন লজিক্যাল এক্সপ্লেনেশন পাওয়া যাবে।

ভয়েজার মহাকাশযান এখনো কিন্তু মহাকাশেই আছে। আপনার কথাই ঠিক - যদি অন্য কোন ভিনগ্রহী প্রাণী থেকেই থাকে তাহলে শঙ্কা অবশ্যই একটা আছে।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:০১

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। এই প্রযুক্তিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে অানা অত্যন্ত জরুরী। এর জন্য প্রয়োজন একটি শক্তিশালী অান্তর্জাতিক নীতিমালা, যা প্রতিটি দেশের প্রতিটি নাগরিক মানতে বাধ্য থাকবে।

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২০

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: ভাল একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ । নতুন একটি বিষয় জানা হলো, সেই আতংকগ্রস্থ ।

৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

সেলিম৮৩ বলেছেন: অাপনার এক নাম্বার বিষয়টা এখনো গবেষণালব্ধ । এটার বাস্তব প্রতিপলন এখনো সম্ভব হয়নি। নেপালের ব্যপারে যে কথাটি বলা হয় সেটা ছিলো অামেরিকার নামে একটা গুজব। এতো দেশ থাকতে কেন অামেরিকা নেপালকে ধ্বংস করতে যাবে। অার উনাদের যদি সেই প্রযুক্তিই থাকতো তবে ইতিমধ্যে অনেকগুলা দেশ টেকনিকালি ধ্বংস করে দিতো।
২য় নাম্বারটা বিষয়টা নিয়ে পৃথিবীর সবাই অাতংকগ্রস্থ। পারমানবিক যুদ্ধ হলে মানব সভ্যতা বিলিন হবেনা কিন্তু শত কোটি মানুষ প্রাণ হারাবে, দূর্ভিক্ষ দেখা দেবে।
৩য় বিষয়টা এলএইচসি যন্ত্রটি দ্বারা পারমানবিক কণিকার সংঘর্ষ ঘটিয়ে কৃষ্ণগহবর সৃষ্টি করার বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতবিরোধ অাছে। বাস্তবিক এটা সম্ভব কিনা বা সম্ভব হলেও মানব জাতির জন্য কতটা হুমকি হবে সেটা তারা সঠিক করে বলতে পারেন না।
৪র্থ বিষয়টা স্ব-চিন্তাশক্তির ব্যতিক্রম বিষয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রোগামের কিছু ফলাফল। যেটা কার্যকারণে রুপান্তর হয়। এখানে নিজস্ব কোন বুদ্ধমত্তা নেই। শুধু তাকে কমান্ড করে পরবর্তি স্টেজে তার ভূমিকা নিয়ে বিজ্ঞানীরা খানিকটা চিন্তিত।
৫ ম বিষয়টা কাল্পনিক বিষয়। কোন সঠিক তথ্য প্রমাণ নেই। বলা যায়, গুজব টাইপের। যে তথ্যগুলো অামরা শুনি বা দেখি তা তাদের বিশ্বাসের পক্ষে সাফাই গাওয়া ছাড়া অার কিছুই নয়।
অাপনার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

৭| ১৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

স্বতু সাঁই বলেছেন: শুনে সবই আজগুবি কাল্পনিক গল্প বলে মনে হলো। পৃথিবীর ধ্বংস কখনই হবে না। কারণ পৃথিবী তার বৈরী পরিস্থিতির মোকাবেলা করে নিজেকে ভারসাম্য করতে সক্ষম। সে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনে এই মানব সভ্যতাকে যদি ধ্বংস করতে হয় তাও সে করবে এবং নতুনভাবে আবার মানব প্রজন্ম ঘটাবে।

পুঁজিবাদীরা সমাজ থেকে দারিদ্রতা বা দাসত্ব দূরিকরণের আশাবাদী গল্প শুনানোর বদলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে, বোঝাতে চায় এ দুনিয়া দুদিনের জন্য তাই ভালো কিছু করে লাভ কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.