নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নিরবে ফিরে যাওয়া অভিমান-ভেজা চোখ, আমাকে গ্রহণ কর\"- রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

রাকিব আর পি এম সি

একজন মহাকাশপ্রেমী

রাকিব আর পি এম সি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা-অজানার মহাবিশ্ব

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

কখনো কি ভেবে দেখেছেন গ্রহ-নক্ষত্রগুলো গোলাকৃতি কেন? এগুলো কিভাবে ঘুরতে শুরু করলো? রাতের অাকাশের নক্ষত্রগুলো কেন মিটমিট করে জ্বলে? অাজকে অাপনাদেরকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

১) গ্রহ-নক্ষত্রগুলো গোলাকৃতি কেন এবং কিভাবে এগুলো ঘুরতে শুরু করলো?
"এই প্রশ্নটির উত্তর লুকিয়ে অাছে তাদের সৃষ্টি প্রক্রিয়ায়। অামরা জানি গ্রহ-নক্ষত্রগুলো তৈরী হয় নেবুলা বা ধূলিমেঘ থেকে। ধূলিমেঘের কণাগুলো যখন মহাকর্ষ বলের প্রভাবে পরস্পরের সন্নিকটে এসে গুচ্ছবদ্ধ হতে থাকে, তখন তাদের মহাকর্ষ ক্ষেত্রও বেড়ে যায় এবং ধূলিকণার সেই গুচ্ছটি "অ্যাঙ্গুলার মোমেন্টাম" বা "কৌণিক গতিবেগ" প্রাপ্ত হয়, যার দরুন এটি ঘুরতে শুরু করে। একদিকে মহাকর্ষ ক্ষেত্র ধূলিকণাগুলোকে কেন্দ্রের দিকে টানতে থাকে, অন্যদিকে "রোটেশান" বা "ঘূর্ণন" ধূলিকণার এই বিশাল গুচ্ছের প্রান্তকে গোলাকার রূপ দান করতে থাকে। অার এজন্যই গ্রহ-নক্ষত্রগুলোর অাকৃতি এরকম হয়"।

২) রাতের অাকাশের নক্ষত্রগুলো মিটমিট করে জ্বলে কেন?
"নক্ষত্রগুলো অাসলে মিটমিট করে জ্বলে না। অামরা নক্ষত্রগুলোকে মিটমিট করে জ্বলতে দেখি অামাদের বায়ুমন্ডলের জন্য। অামরা জানি যে অামাদের বায়ুমন্ডল স্থির নয়, এখানে সবসময় বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে। অাবার স্থানভেদে বায়ুমন্ডলের ঘনত্বেরও তারতম্য ঘটে। ফলে দূর নক্ষত্র থেকে অালোকরশ্মি যখন পৃথিবীতে প্রবেশ করে, তখন বায়ুমন্ডলে কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার ফলে এই অালোকরশ্মি অামাদের চোখে অবিচ্ছিন্নভাবে পৌছুতে পারে না। তাই নক্ষত্রগুলো মূহূর্ত্বের জন্য অামাদের চোখে অদৃশ্য হয়ে যায়, পর মূহূর্ত্বে অাবার ফিরে অাসে। এই প্রক্রিয়াটি এত দ্রুত ঘটে যে অাপাতদৃষ্টিতে মনে হয় নক্ষত্রগুলো মিটমিট করে জ্বলছে। অামরা যদি বায়ুমন্ডল পেরিয়ে মহাশুন্যে যেয়ে নক্ষত্রগুলোকে দেখি, তখন এগুলোকে স্থিরভাবেই জ্বলতে দেখা যাবে"।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

হাবিব শুভ বলেছেন: ধন্যবাদ জানানোর জন্য

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: অাপনাকেও ধন্যবাদ :)

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

পুলহ বলেছেন: ২নং পয়েন্টটা ইমপর্টেন্ট। আমাদের এখানে একটা ধারণা আছে যে- নক্ষত্রগুলা মিটমিট করে, আর যেগুলা মিটমিট করে না- ঐগুলা গ্রহ। আপনার লেখা পড়ে হয়তো সে ভুল ধারণা ভাংবে।
বিজ্ঞান নিয়ে আপনার লেখালেখি এপ্রিসিয়েট করছি।
শুভকামনা জানবেন ভাই।

৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: ধন্যবাদ। গ্রহগুলো পৃথিবীর নিকটবর্তী হওয়ায় এদের অালোক উৎস অপেক্ষাকৃত বড়। ফলে বায়ুমন্ডলে কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হলেও এদের ক্ষেত্রে "মিটমিট" শব্দটি সেভাবে প্রযোজ্য নয়।

৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: দারুন ইনফরমেশন। ধন্যবাদ জানানোর জন্য।

৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: অাপনাকেও ধন্যবাদ। অাপনাদের মন্তব্যই অামার অনুপ্রেরণা।

৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: অাপনাকেও ধন্যবাদ।

৯| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

লিওনাডাইস বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

১০| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.