নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নিরবে ফিরে যাওয়া অভিমান-ভেজা চোখ, আমাকে গ্রহণ কর\"- রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

রাকিব আর পি এম সি

একজন মহাকাশপ্রেমী

রাকিব আর পি এম সি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালের গর্ভে স্টিফেন হকিং

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৫


স্টিফেন উইলিয়াম হকিং, বিশ্বতত্ত্বের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। জীবনের অধিকাংশ সময় হুইলচেয়ারে বসে কাটালেও নিজের চিন্তাশক্তি দিয়ে মহাবিশ্বের সর্বত্র পদচারণা করেছেন। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি মরণব্যাধি মোটর নিউরন ডিজিজ (অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরোসিস) এ অাক্রান্ত হন। এই রোগে অাক্রান্ত প্রায় অর্ধেক মানুষই ২-৪ বছরের মধ্যেই মারা যায়, অার ১০% মানুষ দশ বছর বা তার বেশি সময় বেঁচে থাকে। কিন্তু স্টিফেন হকিং বিস্ময়করভাবে এই মরণব্যাধি নিয়েও অারো প্রায় ৫৫ বছর জীবিত ছিলেন।

স্টিফেন হকিং এর জন্ম-মৃত্যুর মাঝেও রয়েছে বিস্ময়কর কিছু মিল। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিও'র মৃত্যুর (৮ জানুয়ারি ১৬৪২) ঠিক ৩০০ বছর পর একই দিনে (৮ জানুয়ারি ১৯৪২) স্টিফেন হকিং জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অন্যদিকে তার মৃত্যু ঘটলো ঠিক সেই দিনে যেদিন অারেক বিশ্বনন্দিত বিজ্ঞানী অালবার্ট অাইনস্টাইন জন্মগ্রহণ করেছিলেন (১৪ মার্চ)।

স্টিফেন হকিং স্মরণীয় হয়ে থাকবেন কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে তার অালোচিত অাবিষ্কার "হকিং রেডিয়েশন" এর জন্য। একসময় মনে করা হতো কৃষ্ণগহ্বরের কোন মৃত্যু নেই। কিন্তু স্টিফেন হকিং তাত্ত্বিকভাবে প্রমাণ করেন যে কৃষ্ণগহ্বরগুলোও বিকিরণ ঘটিয়ে একসময় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়বে যদিও এতে লক্ষ কোটি বছর সময় লেগে যাবে। তার কালজয়ী গ্রন্থ "কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস" প্রজন্মের পর প্রজন্মকে বিশ্বতত্ত্বের প্রতি অাকৃষ্ট করবে।

অন্যায়ের বিরূদ্ধেও তিনি ছিলেন সোচ্চার, যার জন্য বিশ্ববাসী তাকে মনে রাখবে। ফিলিস্তিনিদের দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি ২০১৩ সালে ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ কর্তৃক জেরুজালেমে অায়োজিত "দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল কনফারেন্স" বয়কট করেন। এ প্রসঙ্গে অায়োজকদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে তিনি বলেন, "ইসরায়েলের বর্তমান সরকারের নীতি বিপর্যয় ডেকে অানবে। অামি শুধু শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে অামার মতামত দেয়ার উদ্দেশ্যেই অামন্ত্রণ গ্রহণ করিনি, পশ্চিম তীরের উপর বক্তৃতা দিতে পারবো এটাও একটা কারন ছিল। কিন্তু অামি ফিলিস্তিনের বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদের ইমেইল পেয়েছি। তাদের সবাই বলেছে, অামার উচিত বয়কটকে সমর্থন করা। এই প্রেক্ষিতে অামি ঠিক করেছি, অবশ্যই ওই সম্মেলন যোগদানে বিরত থাকবো"।

স্টিফেন হকিং এর মত বিজ্ঞানীরা কখনো মরে না। তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী বেঁচে থাকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রহস্যগুলোর মাঝে, শুধু তাদের বাহ্যিক অস্তিত্বটা বিলীন হয়ে যায় কালের গর্ভে....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.