নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক অবহেলিত বালক

রাকিব হাসান তৌফিক

আমি লিখার চেয়ে পড়তে বেশি ভালোবাসি কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু লিখতে ইচ্ছে করে তখন কি বোর্ডের সামনে বসে পড়ি, মনোভার প্রাকাশ করে যত্ন করে এম.এস. ওয়ার্ডে সেভ করে রাখি। সেই সেভকৃত ফাইল এই ব্লগের মাধ্যমে ধীরেধীরে প্রাকাশ পাবে

রাকিব হাসান তৌফিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাকিব হাসান তৌফিক Eating “ব্লাড_ফিস”

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

হেডলাইনটি ঘোলাটে। হেডলাইন দেখে
মনে হচ্ছে আমি রক্ত ও মাছ খাচ্ছি।
আসল ঘটনা অন্য। পরে আসছি এই
প্রসঙ্গে।
সম্ভবত 1998 সালের ঘটনা। আমি ও আমার
সিনিয়র মামাতো ভাই মামাদের বাড়ির
উঠানে ক্রিকেট খেলছিলাম। বাড়মামার
ঘরের পিছনে একটি তেতুল গাছ ছিলো।
দেখতে পেলাম সেই গাছের মগডালে
একটি কাক একটি ছোট মুরগীর বাচ্চাকে
নিয়ে এসে লাঞ্চের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মামাতো ভাই বল দিয়ে ডিল মারলো।
ডিলটি লক্ষ্য ভেদ করেনি বাট লক্ষ্য পূরণ
করেছিলো। বলটি কাকের গায়ে
লাগেনি কিন্তু ভয় পেয়ে কাকটির মুখ
থেকে মুরগীর বাচ্চাটি নিচে পরে যায়।
আমরা ঐটাকে উদ্ধার করে লালন পালন
শুরু করলাম। সকল কাজিনরা মিলে
ঐটাকে আদর যত্নে অতিষ্ঠ করে তুললাম।
আমরা দুই জন ঐটার রক্ষাকর্তা তাই
আমাদের অধিকার ছিলো বেশি।
সম্ভবত মাস দুই পরে ঐ মুরগির বাচ্চাটি
একটু বড় হয় এবং তাকে জবাই করা হয়।
আমার মামাতো ভাই সবার সামনে
কান্নাকাটি করে খাওয়া দাওয়া বন্ধ
করে দেয়। লুকিয়ে লুকিয়ে চোখের পানি
ঝরালেও ঐ মুরগীর বাচ্চাটির মাংস
আমি খেয়েছিলাম বা খেতে বাধ্য
হয়েছিলাম। ঐটা ছিলো “ব্লাড চিকেন”।
বর্তমান প্রেক্ষাপট। হিন্দি মুভি ব্লাড
মানি দেখে এই শব্দটির অর্থ জানার জন্য
আশুতোষ দেবের ইংরেজী টু বাংলা
ডিকশনারী দেখেছিলাম। ডিকশনারীতে
যা লেখা আছে তা হুবুহু তুলে ধরলাম-
“Blood Money- নিহত ব্যক্তির সবচেয়ে
নিকট সম্পর্কের আত্বীয়কে হত্যাকারী
দন্ডস্বরূপ যে অর্থ দেয়।”
এই ব্লাড মানি থেকেই “ব্লাড চিকেন”
শব্দটি উপরে ব্যবহার করেছি।
এবার “ব্লাড ফিস” প্রসঙ্গে আসি।
কিছুদিন পূর্বে আমাদের বাসার কূপ ও
তাতে বসবাসরত দুটি মাছের ফটো
ফেসবুকে আপলোড করেছিলাম। তাদের
নাম রাখার জন্য সাজেসন চেয়ে ছিলাম।
যাইহক, নাম সিলেক্ট করার পূর্বেই
তাদের নামের পূর্বে লেট লিখতে হবে।
আজ বিকালে বাসায় ফিরে আম্মুকে
মাছ ভাজি করতে দেখলাম। জানতে
পারলাম কূপের মাছ দুটিকে অনেক কষ্ট
করে ধরা হয়েছে। খাবার সময় কিছু অংশ
খেলাম এবং কিছুটা মানসিক কষ্ট অনুভব
করলাম। প্রতিদিন সকালে ব্রাশ করার
সময় মাছ দুটিকে খাবার দেওয়া আমার
রুটিনে পরিনত হয়েছিলো যা কালকে
থেকে আর করতে হবে না।
নিকট আত্বীয়ের খুনির নিকট থেকে
জরিমানা হিসাবে প্রাপ্ত অর্থ
খাওয়াটাকে যদি ইংরেজীতে তার রক্ত
খাওয়াকে বুঝায় তাহলে পোষা প্রাণীর
শরীর খাওয়াও তার রক্ত পান করার
সামীল। নিজেকে ভ্যাম্পায়ার
ভ্যাম্পায়ার লাগছে।
বিঃদ্রঃ লুকিয়ে লুকিয়ে চোখের জল
ফেলার বয়সটা অনেক আগেই পেরিয়ে
এসেছি বাট চোখের জল অনেক কষ্টকে
ধুয়ে মুছে শেষ করে দিতে পারে। বুক ভরা
কষ্ট আর পাকস্থলি ভর্তি “ব্লাড ফিস”।
হোয়াট এ ফিলিংস......

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.