![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েকদিনের চলাফেরায় তনিমার খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিলাম।কিন্তু মাঝে মাঝে তনিমার আচরণের আঁগাগোড়া কিছুই বুঝতে পারিনা।এই যেমন কয়েকদিন আগের এক ঘটনা।
আমি বললাম তোমার ফোন নাম্বারটা দাওতো।
অমনি চোখদুটো রহস্যময়ী করে বলল,মেয়েদের সাথে দুদিন কথা বললেই ফোন নাম্বার নিতে ইচ্ছে করে,তাইনা?
আমি বললাম,হুম।
অমনি কিছুটা বিচলিত হয়ে ভ্রু কুঁচকে তনিমা বলল,কি?
দেবনা যাও।
ঠিক আছে তবে তোমার মা,র নাম্বার দাও।
আমার মার নাম্বার দিয়ে কি করবে তুমি?
কথা বলব।
কি কথা?
তোমার কথা বলব যে তুমি এত জেদী কেন?
এই শুনে আর কিছু না বলে খোলা চুল উড়িয়ে চুলের গন্ধে আমায় সুভাষিত করে চলে গেল।
আজব মেয়ে তনিমা।ওকে দেখলে মেয়ে জাতিকে আযরাইল মনে হয়।
আবার ওর কোমলতা দেখলে মনে হয় পৃথিবীর সব মায়া যেন মেয়ে মানুষেই আছে।
হ্যাঁ,একটা ব্যাপারে তনিমা আমার প্রতি বেশ দূর্বল।তার কারণ হলো আমি কবি।
আমার কবিতার প্রেমিকা তনিমা,কিন্তু আজো আমার প্রেমিকা করে নিতে পারিনি।যাক সেই কথা।
তনিমা বলে আমার কবিতার ভেতর নাকি প্রেমের এক নতুন অস্তিত্ব আছে যা ওর মন ছুয়ে যায়।কিন্তু আমার ভেতর হয়তবা সেই অস্তিত্ব নেই।
আমি যখন কবিতা শোনাই তখন তনিমা মুহূর্তেই সব অভিমান ভুলে ভালোবাসার কাঙাল হয়ে পড়ে।
কিছুদিন আগেও সন্ধ্যায় একসাথে শাহবাগে ঘুরলাম।সারা সন্ধ্যা ঘুরা শেষে আমি বললাম কি ব্যাপার তোমার মা চিন্তা করবেনা?
না,মাকে বলে এসেছি।
কি বলে এসেছ যে প্রেম করতে যাচ্ছি?
তনিমা শুনে চুপ করে না থেকে সেই আযরাইলের রুপ দেখালো।
তবে সব শেষে আমি যখন ওকে কাঁচের চুরি দিলাম।তখন যেন হঠাত ই স্থির হয়ে গেল।কিছুক্ষণ পর বাড়ি চলে গেল।
আজ হঠাত মনে হলো তনিমাকে বৌ হিসেবে পেলে মন্দ হয়না।কারণ ওর সুন্দর মুখটা যে ধারালো সারাদিন ঝগড়া করে আমাদের দিন কাঁটবে আর বেলা শেষে আমার কবিতা শুনে মান ভেঙে যাবে।
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০১
নামে বইয়ের পোকা বলেছেন: অসাধারণ প্রেম!
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১১
মার্কো পোলো বলেছেন: কবির প্রেমে ঠিকই পটেছে, অপেক্ষা করুন।
ভাল লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৯
সাজ্জাতুল ইমরান ফয়সাল বলেছেন: দারুন