![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাঈমের আজকের দিনের সবচেয়ে বড় ইতিহাস হলো ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী রুনাকে নিয়ে।তবে তার আরো ইতিহাস আছে।দিনাজপুরের লিচু তার বেশ প্রিয় সেই#লিচুর প্রেম স্থানান্তরিত করেই লিমার প্রেমে প্রায় মাসখানেক হাবুডুবু খেয়েছিল।কিন্তু সব খাবার #হজম করা কঠিন তাইতো ছলনাময়ী লিমাও #বদহজম করে নাঈমের প্রেমের বাগানে আগুন জ্বালিয়ে চলে গেছে।নাঈমের প্রেমের সৌরভ লিমাকে খুব বেশীদিন সুভাষিত করতে পারেনি।বাস্তবতার খাতিরে লিমা হয়ে গেল অন্য কারো।
বেশ কষ্ট পেলেও নাঈম কিছুদিনের ভেতরেই ভার্সিটিতে অপরুপা ললনা #রুণাকে খুঁজে পেয়ে ভুলেছিল সেই বিষ্ফোরিত অতীত।
তবে রুণার কথাতেই এবার আসা যাক।ভার্সিটির সব ছেলেরই পিয়াসী চোখ যার দিকে সেই একমাত্র মেয়ে ছিল রুণা।রুণার সাথে নাঈমের বন্ধুত্বটা বেশ আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি সত্যি রুণাই এসে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিল নাঈমের দিকে।নাঈমের মনে বন্ধুত্বের মাত্রা অল্প দিনেই প্রেমকে স্পর্শ করল।হাজার হলেও প্রেমের অপেক্ষায় এক #ক্ষুধার্থ মন।কিন্তু বলা হয়ে ওঠেনি তখনো সেই প্রেমের অনূভুতি।নাঈমের মনে বেশ বিশ্বাস ছিল যে রুণার মত এত চঞ্চল মেয়ে এমনি বুঝতে পারবে তার প্রেম।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো যে রুণা যখন চঞ্চলতা মাখা কথা বলতো একের পর এক নাঈম তা শুনেই হয়ে পরত এক বৈঠা হারা মাঝি।রুণার প্রতিটি কথা শুনলে মনে হত সে যেন নেশার ঘোরে আছে কি শুনছে আর কি বা ভাবছে তার কিছুই মনে থাকেনা।শুধুমাত্র রুণার ঐ কোমল মুখের দৃশ্য মনের মাঝে বাঁশি বাঁজাতে থাকে অবিরত।
এতসব ঘটনা বেশ ভালোই চলছিল।হঠাত একদিন রুণা নাঈমকে বলল সে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চায়।এই শুনে তো নাঈম আত্মহারা।ভেবেই নিল যে রুণা তাকে ভালোবাসার কথা জানাতে চায়।
এরকম এক বুক আশা নিয়েই পরদিন দেখাও করল রুণার সাথে।
কিন্তু কি আশ্চর্য!রুণার সাথে সেদিন অন্য কোন ছেলে ছিল।
বেশ #উষ্কখুষ্ক_সন্ত্রাস ধরণের এক ছেলে।নাঈম যেন কিছুই বুঝতে পারছিলনা।রুণা হঠাতই সেই ছেলেটির সাথে তার সম্পর্কের সব কথা খুলে বলল।নাঈম যেন সেদিন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলনা কিছুতেই।শুধূ রুণার প্রতিটি কথার জবাবে হু হু করে গেল।
তবে একটি বিষয় উল্লেখ করার মতো।নাঈমের তুলনায় সেই ছেলেটির কোন বিশেষ গুনই ছিলনা।তবুও একটা কথা তা হলো যে রামায়ণ কিংবা মহাভারতের মতো কোন বিশেষ কিতাবে যদিও উল্লেখ নেই তবু জ্ঞানু ব্যক্তিদের মতে ধারণা করা হয় #সুন্দরী_মেয়েদের_পছন্দ_সবসময়ই_নিম্নমানের।
তবে যাই হোক সেই ঘটনার পর রুণার ওপর বেশ অভিমান জমেছিল নাঈমের।সেই থেকে রুণার থেকে নিজেকে সবসময় আড়াল করে রাখত নিজেকে।অবশেষেও পাওয়া হয়নি রুণার এক মুহুর্তের ভালোবাসা।তবে নাঈম আজ এত দূরে থেকেও রুণাকে ভালোবাসে সেই নতুনত্বে।
©somewhere in net ltd.