নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনলাইন মাধ্যমে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে যেসব লেখা বাংলা ভাষায় পেয়েছি ,তা আমাকে তৃপ্ত করতে পারেনি । হয়তো আমার মতো অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটতে এমন অনুভব । তাই একটু অতি গুরুত্বর্ণ বিষয় নিয়ে লেখার সাহস দেখাতে যাচ্ছি ।
বিপ্লব বা Revolution কি ?
Revolution ইংরেজী শব্দ । লাতিন ভাষা থেকে এসেছে । বিপ্লব হচ্ছে রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে একটি মৌলিক সামাজিক পরিবর্তন যা তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত সময়ে ঘটে যখন জনগণ চলমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে জেগে উঠে ।
ক্রেন ব্রিনটনের মতে-
প্রতিষ্ঠিত সরকারকে বিধি বহির্ভূতভাবে সশস্ত্র উপায়ে পরিবর্তন করাই হলো বিপ্লব।
আর কার্ল কার্ল মার্কস মনে করেন সামাজিক সম্পর্কসমূহের গুণগত পরিবর্তনই বিপ্লব ।
কালজয়ী দার্শনিক এরিস্টটল দুই ধরনের রাজনৈতিক বিপ্লবের কথা বলেছেন ।
১। এক সংবিধান থেকে অন্য সংবিধানে পূর্ণাঙ্গ পরিবর্তন
২।একটি বিরাজমান সংবিধানের সংস্কার
নানা দেশে নানান বিপ্লবের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ।
বিপ্লব শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি পরিচিত । যে বিপ্লব পাল্টে দেয় সমাজ,রাষ্ট্রনীতির গতি পথ । কিংবা কেড়ে নেয় হাজারো প্রাণ । তেমনি পূর্ব দিগন্তের স্বপ্নের সূর্যের মতোই নিয়ে আসে পরিবর্তনের বার্তা । মানব সভ্যতা আজ পর্যন্ত হাজরো বিপ্লব হয়েছে । ছোট বড় মিলিয়ে । এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ বিপ্লব ব্যর্থ হয়েছে । যে বিপ্লব সফল হয় ,সেই বিপ্লব নিয়েই আমাদের মাতামাতি । এটাই স্বাভাবিক মানুষের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের কারণে । বিশ্ব প্রথম বিপ্লব দেখেছিল মিশরে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে । মনে করতে পারি আধুনিক কালের হোয়াইট White Lotus Rebellion ( ১৭৯৬-১৮০৪ খ্রি.) Irish Rebellion ( ১৭৯৮) , Rum Rebellion (১৮০৮ –অস্ট্রেলিয়া), French Revolution ( ১৭৮৯-১৭৯৯-ফ্রান্স), Miao Rebellion-(১৮৫৪-চীন), Russian Revolution-১৯০৫,রাশিয়া, বলে রাখা ভালো ,এই বিপ্লবের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার করার পথ সুগম হয়েছিল, Mexican Revolution-(১৯১০),October Revolution -(১৯১৭-রাশিয়াতে অক্টোবর বিপ্লবের মাধ্যমে বিশ্ব প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার সাথে পরিচিত হয় ),Wahhabi Rebellion -(১৯২৭-আরব),এবং ১৯৯০ সালে শুরু হওয়া Digital Revolution । যা এখন পর্যন্ত চলমান । পুরোদমে এখনও শুরু হয়নি ।বলা হয় খেলার পূর্বে ওয়ার্ম আপ করার মতো অবস্থা । Digital Revolution কে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবও বলা হয়। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব নামেই অধিক পরিচিত। প্রথম শিল্প হয়েছিল স্ট্রিম ইঞ্জিন আবিষ্কারের মাধ্যমে । । দ্বিতীয়টির কারণ বিদ্যুৎ শক্তি।তৃতীয়টি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী উৎপাদন ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণেই। বর্তমানে আমরা অবস্থান করছি ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে । যেখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে ডিজিটাল,পিজিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল সিস্টেম ।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রারম্ভিক ধারণা
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জনক বলা হয় ক্লাউস সোয়াব (Klaus Schwab) কে । তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের চেয়্যারম্যান । তার লেখা দ্যা ফোর্থ ইনডাস্ট্রিয়াল রেভোলেশন নামক বইয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন । আগেকার বিপ্লবগুলোর মূলকেন্দ্র বিন্দু ছিল কৃষি,প্রাণী শক্তি,রাজনৈতিবক কারণ,ভূগোলিক পরিবর্তনসহ ইত্যাদি। কিন্তু ৪র্থ শিল্প বিপ্লব অনেকাংশেই ভিন্ন । ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের মূল নিয়ামক হিসাবে কাজ করছে প্রযুক্তি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার,দক্ষতা,চিন্তাশক্তি,কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা । একাধিক বিষয় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ্য ভাবে জড়িত আসছে শিল্প বিপ্লবে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের নিউ ইকোনমিক ফাউন্ডেশনের ওয়ালিসের বক্তব্য শুনা যাক । পুরো রিপোর্টটিও দেখতে পারেন।
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের যেসব স্কিল প্রয়োজন
মাত্র ৫ বছরের আগে ৩৫ শতাংশ চাকরি ছিল নির্দিষ্ট স্কিল নির্ভর । কিন্তু বর্তমানের চাকরির বাজারে স্কিল বা দক্ষতাছাড়া চাকুরি মেলা ভার।
ফিউচার জব রির্পোট অনুসারে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ১০ টি কর্ম দক্ষতা তুলে ধরছি ।
১। প্রভলেম সলভিং স্কিল
২। ক্রিটিক্যাল থিংকিং
৩।ক্রিয়েটিভিটি বা সৃজনশীলতা
৪। পিপল ম্যানেজমেন্ট বা এইচআরএম ( human resource management (HRM) )
৫।কোওরডিনেটিং ( প্লানিং,সাংগঠিক দক্ষতা,ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট,যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি )
৬।ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ( আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা )
৭। জাজমেন্ট ও ডিসিশন মেকিং ( বিচারিক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা) উল্লেখ্য এখানে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকেই বিবেচনা করি ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের দক্ষমা হিসাবে।
৮। সার্ভিস ওরিয়েন্টেশন ।
৯। বিতর্ক ও উপস্থাপন দক্ষতা।
১০। Cognitive Flexibility
চাইলে এই ভিডিওটি দেখলেও তথ্য পেয়ে যাবেন ।
এককেটি টপিকে বিস্তর লেখার মতো । তবে এসব স্কিলগুলোর মৌলিক স্কিল হিসাবে কাজ করবে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স । একবিংশ শতাব্দিতে চাকরির বাজারে আপনার এ্ই স্কিল লাগবেই । এ বিষয়ে আরও জানতে ক্লিক করুন ।। চাকরির বাজারে আসছে রোবট । পাল্লা দিতে এসব স্কিলের কোনো বিন্দুমাত্র বিকল্প নেই । কোনো পরিবর্তন আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে না । বরং পরিবর্তনের আভাসে আমাদেরকেই পরিবর্তন করে নিতে হবে।
অন্যতায় ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে টিকে থাকা শুধু কঠিনই না বরং অম্ভব ।
বিশ্বজুড়ে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাব
প্রথমেই উল্লেখ করা ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জনকের মুখ থেকে এই বক্তব্য '' “The Fourth Industrial Revolution, finally, will change not only what we do but also who we are. It will affect our identity and all the issues associated with it: our sense of privacy, our notions of ownership, our consumption patterns, the time we devote to work and leisure, and how we develop our careers, cultivate our skills, meet people, and nurture relationships.” —Klaus Schwab, The Fourth Industrial Revolution ''
আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ % জব রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেশিন লানিং অধীনে চলে যাবে । এটা শুরু হয়ে গিয়েছে একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন । শিল্প কারখানাগুলো তাদের শ্রমিকদের ছাঁটাই করছে । এসব সেক্টরে যোগ হচ্ছে মেশিন । যে কাজ একশ জন করতো সেখানে দেখা যাচ্ছে ৪/৫ জনেই সহজে করে ফেলছে । ধীরে ধীরে রোবট এই প্রতিযোগিতায় চলে আসবে । কিছু দিন আগে একটি চমকপ্রদ ভিডিও দেখলাম । চীন কৃত্রিম টিভি সংবাদ উপস্থাপক বানিয়েছে । বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য গবেষণা ও কাজ চলছে । এভাবে প্রত্যেক সেক্টরের কাজের জন্য ভাবছে নতুন মেশিন বা রোবট তৈরিতে । ২০২০ সালের মধ্যে শুধু মাত্র রোবোটিক্স সেক্টরে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের চাকরির বাজার সৃষ্টি হবে। মেডিক্যাল মেশিন লানিং সেক্টরেও রয়েছে ৩০ বিলিয়ন মূল্যের চাকরির বাজার । ২০২৫ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন সংযোগ তৈরির সম্ভাবনা অটোমেশনের কারণে চাকরির ঝুঁকি বাড়বে (যুক্তরাষ্ট্র: ৩৮% – ৪৭%, জার্মানি: ৩৫%, ব্রিটেন: ৩০%, জাপান: ২১%) ।
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ইতিবাচক প্রভাব
১।প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তি আসছে । যেগুলো আগে বাজারে এসেছে সেগুলোও উন্নত হচ্ছে ক্রমানয়ে । জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে । এগুলো
দিনকে দিন তথ্যের সহজলভ্যা বৃদ্ধি করাচ্ছে । শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন । যা শিল্প বিপ্লবের প্রভাব।
২।ধীরে ধীরে বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত ও দ্রুততর হচ্ছে।জ্ঞান অর্জন ও জ্ঞান দানের সিস্টেমটাই পাল্টে দিচ্ছে । জ্ঞানের অর্জনের পাশাপাশি দক্ষতা অর্জনও সমান গুরুত্ব পাচ্ছে । বিশ্বময় পরিবর্তন হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক । গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন উদ্ভাবন । পরিবর্তনের জন্য নতুন নতুন স্কিল সামনে নিয়ে আসছে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব। সে
গুলোর আলোকেই পরিবর্তনের দিকে এগোচ্ছে । পুঁতিগত বিদ্যার চেয়ে বাস্তব জ্ঞান/দক্ষতার চাহিদা সব ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ।
৩। বিপ্লবের প্রভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যক জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি লক্ষ্যণীয় । ফেসবুক,টুইটার , ইউটিউব ,ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ( অনলাইন মাধ্যমে ) । ইমো,হোয়াটস এপ্স,ম্যাসেন্জার কল বিগত বছরগুলো থেকে আয় ও ব্যবহারকারীদের দিক থেকে এগিয়ে ।
৪। ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখন দোকান বুকিং ,অগ্রিম টাকা প্রদান ,ভাড়া ইত্যাদি পুরাতন পদ্ধতি । বাজার ব্যবস্থা এখন অনলাইন মাধ্যমেই হয় । ইউরোপে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক মার্কেট ক্রেতা সংকটে ভুগছে( আগের তুলনায় )। এই পরিবর্তনের জোয়ার ইউরোপের গণ্ডি পেরিয়ে আমাদের এখানেও পড়েছে । আজ থেকে দুই তিন বছর আগরে বাংলাদেশের কথা যদি বিবেচনায় নেওয়া যায় ,সেখানে হয়তো কিছু ই-কমার্স মাকের্ট এর নাম দেখতে পাব । কিন্তু এখন তা এমনই বেড়েছে যে খোলা চোখে লক্ষ্য করার মতো । তার জন্য গুগল না ঘাটলেও চলবে। বাংলাদেশ থেকে ২০১৭ সালে ই-কর্মাস মার্কেটগুলো বিজ্ঞাপন থেকে আয় করেছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা । ১৩৩৫৭১ টি অনলাইন ভিত্তিক ওয়েব সাইট থেকে । যা ২০২১ সালের মধ্যে পৌঁছাতে পারে ৭০ বিলিয়ন বা ৭ হাজার কোটি টাকায় ।
৫।চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাব পড়েছে মেডিকেল সাইন্স সেক্টরে । নিরাপদ ,উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর একবিংশ শতাব্দির জনসাধারণ ।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ,প্রযুক্তির মাধ্যমে জটিল রোগের চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে । যা শিল্প বিপ্লবের প্রভাব ।
৬। কৃষিক্ষেত্রেও রয়েছে এর প্রভাব। গবেষকরা চেষ্টা চালাচ্ছেন বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান অনেকটাই সফল। নতুন নতুন কৃষিজ বীজ উদ্ভাবন,প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ । Robotic sprayers মতো প্রযুক্তি এখন কৃষি ক্ষেত্রে নিয়মিতই ব্যবহার হচ্ছে। জিন প্রযুক্তি,থ্রিডি-পেইন্টিং,কোয়ান্টাম কোম্পিউটিং, ব্লগ চেইন এছাড়াও অলনাইন মাধ্যমে আউটর্সোসিংয়ের কাজগুলো চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কাজ।
এ রকম অনেক কিছুই বলে লেখা দীর্ঘ করা যাবে। আমি ,আপনি যেসব আধুনিক প্রযুক্তি গত সুবিধা ভোগ করছি সেসব অবশ্যই ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের কল্যাণের জন্যই । এখন আলোকপাত করা কিছু নেতিবাচক দিক নিয়ে ।
মানুষের অলসতা বৃদ্ধি পেয়েছে । শারীরিক ও মানসিক শক্তি ভোঁতা করে দিচ্ছে । এখন তো আমরা সাধারণ যোগ বিয়োগ করতেই মোবাইলের ক্যালকুলেটার ব্যবহার করি । ভার্চুয়াল জগত গ্রাস করছে আমাদের। এসব ভার্চুয়াল জগতের এক্টিভিটি নেতিবাচক প্রভাব তো রাখছেই । এমন উদাহারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিছু অনুসরণ করলেই পাবেন। প্রযুক্তির কল্যাণে প্রায়শই প্রকাশ হচ্ছে আপত্তিকর তথ্য ,ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই প্রভাবই আছে । সাইবার ঝুঁকি ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের অংশ । আগামী দিনে আরও হুমকির মুখোমুখি হবে। এ সেক্টরে যেমন চাকরি তৈরি হবে তেমনি নিরাপত্তা ঝুঁকিং বৃদ্ধি পাবে। বায়ো টেকনোলজি,প্রোগ্রামিং,কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা,রোবোটিক্স ধ্বংসাত্বক ও অনৈতিক কাজে ব্যবহার বাড়বে এবং হচ্ছেও তাই। জলবায়ু পরিবর্তন ,অভিবাসন সমস্যাকেও বলা হয় বিশ্বময় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাব। এসব সমস্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ
১।তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ
২।প্রযুক্তিগত সমস্যায় উৎপাদনে ব্যাঘাত
৩।ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা
৪।ইন্টারনেট ও অন্যান্য প্রযুক্তির মধ্যে অব্যাহত সংযোগ নিশ্চিত
৫।অটোমেশনের কারণে বহু মানুষের কাজের সুযোগ হ্রাস
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা
১।অটোমেশনের প্রভাবে কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি হ্রাস
২।উৎপাদন শিল্পে নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি
৩।স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে বড় পরিবর্তন
৪।বিশেষায়িত পেশার চাহিদা বৃদ্ধি
৫।সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি বা করণীয় কি ?
বাংলাদেশ সরকার ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে’ । ধন্যবাদ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে পাল্লা দিতে কিছু না হলেও কাজ করে যাচ্ছে । দেশের বেকারদের মধ্যে প্রায় সবাই অদক্ষ । শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক গলদ দূর করতে হবে। কখন একজন অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী ইমেল,ফেসবুক আইডি খুলতে পারে না ? ব্লগ কি বা কিভাবে লিখে সে সব কিছুই জানে না । আমরা পারদর্শী শুধু ফেসবুক ,ইউটিউব ব্যবহারে। কারিগরি শিক্ষায় জোর দিচ্ছে সরকার এটা সুখবর । তবে সাধারণ শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নামক বিভাগ চালু করা যায় । নবম শ্রেণিতে তিনটি বিভাগের সাথে শিক্ষার্থীরা আইসিটি নামক বিভাগে পড়বে। এখানে প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক ধারণা ও কারিগরি জ্ঞান লাভ করবে । বিশ্বমানের স্কিল অর্জনের উদ্দেশ্যে পাঠ কার্যক্রম চালু করার জোর দাবী আমার । এই সেক্টর বিজ্ঞান বিভাগ রিলেটড জব সেক্টর এর চেয়ে কোনো অংশেই কম নয় । বরং বেশি । ছেলে মেয়েরা এখনও স্বপ্ন দেখে সেনাবাহিনী,ডাক্টার,ইঞ্জিনিয়ার হতে । এগুলো কে খারাপ বলছি না । সবার স্বপ্ন কে শ্রদ্ধা জানাই । তবে তাদের জানিয়ে দিতে হবে আমাদের আসছে বিপ্লব সর্ম্পকে। তাঁদের স্বপ দেখাতে হবে আমাদের
প্রোগ্রামার .ডাটা সাইন্সটিক হতে । আমার মতে এত সংখ্যক শিক্ষার্থীদের অনার্স করার চেয়ে বিষয় ভিত্তিক বিষয়ে পড়াশোনা বা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত খুব বড় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে । বাংলাদেশের অধিকাংশ জনের পড়াশোনার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ভালো একটা চাকরি । দীর্ঘ ৪/৫ বছর অর্নাস করার চেয়ে আইসিটি নির্ভর কাজ শিখলে চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে অসুবিধা হবে না । স্কিল থাকলে তখন হবে বিশ্ব শ্রমিক। অর্থ ও সময় ব্যয় করেও ঘুরতে হয় চাকরির জন্য । সহনীয় মাত্রার ঘোষ আদান -প্রদান তো আছেই । তরুণরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ অনেকটা সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হিসাবে ধরে নেয় । যেখানে স্কিল অর্জনটা মুখ্য ভূমিকা পালন করে না । আমরা যে বদলে যাওয়া আধিপত্য বিস্তারকারী চীন,জাপান কে দেখতে পাচ্ছি সে সব অর্জিত হয়েছে তাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্যই । সরকারের আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত । উঠতি তরুণদের আকর্ষন করাতে হবে স্কিল অর্জনে । অন্যতায় ভয়াবহ সমস্যা দেখা দিবে। বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোতে গবেষনা ও প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোগ নিতে হবে। আইসিটি বিষয় টি মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ানো হয় ,অথচ শিক্ষার্থীরা বাস্তব জ্ঞান পাচ্ছে না বলেই জেনেছি সরেজমিনে। শিক্ষকরা আগ্রহী না তাদের বাস্তব জ্ঞান দিতে । রয়েছে দক্ষ শিক্ষকের অভাব ।শিক্ষা ব্যবস্থা অচিরেই ঢেলে সাজানো এখন সময়ের সেরাদের সেরা দাবী । বুঝতে পারছি না ,এখন সরকার সে রকম শিক্ষানীতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে । আামাদের বেশ কিছু স্কুলে কম্পিউটার রুম রয়েছে কিন্তু সেগুলোর ব্যবহার নেই । তদারকিও নেই । আইসিটি বিষয়ে ব্যবহারিক অংশ চিত্র আঁকা আঁকি করার মানে খোঁজে পাই না । এখানে যদি ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাই করে নম্বর প্রণয়ন করলে সুফল ভালো হবে ।
টাইপ জনিত বানান ভুল থাকতে পারে । সেগুলো ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি । সময় করে এডিটিংয়ে বসবো একটি শক্তিশালী টপিক ছিল লেখার জন্য । মন মতো লিখতে পারি নি বলে দুঃখ প্রকাশ করছি । খুশি হতাম যদি আহমেদ জি এস ,আখেনাটেন,জোবাইর ভাইয়ার মতো শক্তিমান ব্লগাররা এই টপিকে লিখতো
তথ্যসূত্র-forbes.com,fortuneindia.com,careerki.com.linkedin.com and The fourth industrial revolution by Klaus Schwab.weforum.com
২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৪৯
রাকু হাসান বলেছেন:
হাহাহা এইসব ভয় আরও আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে ।
যার জন্য এত এত সম্ভাবনা থাকা স্বত্ত্বেও দেশের রপ্তানী আয়ের ঐ একমাত্র উৎস তৈরি পোশাক (প্রায় ৮৪ শতাংশ) গরীব মেয়েদের রক্ত পানি করা পরিশ্রমে। এই নিয়েই আমাদের থাকতে হবে।
--কষ্ট অনুভূত হয় তাঁদের জন্য । আরেক সেক্টর প্রবাসীদের আয় । বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এই দুই শ্রেণির অবদান অনেক। মজার ব্যাপার এরা সবাই নিম্ন বিত্ত ।
শিক্ষাকে এখনও লস প্রজেক্ট ভাবে বিত্তবানরা । যে শিক্ষার ! বিদেশী বিনিয়োগ আসবে না তেমন।
২০১৬ সালে এই সেক্টরে বিনিয়োগ হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার ,যেখানে মাত্র ১০ বিলিয়ন বিদেশী বিনিয়োগ ।-- এখানে কাদের বিনিয়োগ বুঝিয়েছেন।
কাদের বলতে নির্দিষ্ট কোনো জনোগোষ্ঠীকে বুঝাইনি। এই দশ বিলিয়ন ঠিক কোন কোন প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে সে তথ্য আলাদা আমার কাছে নেই । তবে আমি যে সোর্স থেকে নোট করেছে সেখানে এভাবেই উল্লেখ করা । বিদেশী বিনিয়োগ আরও বেশি হতে পারে ,বাংলাদেশের বাজারের আলোকে । এই বাক্যতে বুঝাতে চেয়েছি বাংলাদেশে এই সেক্টরে আরও বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে । যেখানে দেশীয় বিনিয়োগের পাশে বিদেশী বিনোয়োগের পরিমাণটা কম বলেই মনে হয় ।
পোস্টটি আরও ঘষামাঝা করেই দেওয়া উচিত ছিল । ভালোথাকবেন । দারুণ মন্তব্য করেছেন । শুভেচ্ছা ও শুভরাত্রি ।
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
"ডিজিটাল বাংলাদেশ" কথাটা শুনে মনে হয়, বাংলাদেশের সবাই কম্প্যুটার ব্যবহার করছেন, মেশিন লার্নিং প্রয়োগ করে সরকার বাজেট করছেন, সকাল-বিকাল ঘুঁড়ির মত স্যাটেলাইট উড়াচ্ছেন, আমেরিকানরা চাকুরীর খোঁজে বাংলাদেশে আসছে। কাজের মাঝে যা হয়েছে, সেটা হলো: ফেসবুকে সবার বৌ'এর ছবি লোড হয়েছে, সেলফোনে সবাই পর্ন দেখছে ও প্রশ্নফাঁস সহজ হয়েছে।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৫১
রাকু হাসান বলেছেন:
বিপ্লবে অংশ নিতে সরকারের আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে । যোগ্য লোকদের দায়িত্ব দিতে হবে। একটা সত্য ইন্টানেটের সহজলভ্যতা আমাদের ফেসবুক ব্যবহার শিখিয়েছে অনন্ত ।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
যাক, এই পোষ্ট লেখার পর, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবটা আপনার কাছে পরিস্কার হয়েছে তো?
২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৫২
রাকু হাসান বলেছেন:
হুম আশা করছি তো পরিষ্কার । ধন্যবাদ নিবেন পড়ে মন্তব্য করার জন্য স্যার।
৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৩১
ল বলেছেন: বাহ .........জানলাম .....
২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৫৩
রাকু হাসান বলেছেন:
তোমাদের এসব আর কি জানাবো । বরং আমার চেয়ে ভালো জানো । শুভেচ্ছা ও শুভরািাত্র ।
৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:০২
আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় রাকু ভাই,
আপাতত লাইক দিয়ে গেলাম, মন্তব্য সময় নিয়ে পড়ে পরে করবো।
ইদানিং দীর্ঘসময় আপনাকে অনলাইনে দেখেই বুঝতে পেরেছি বেশ খাস্তাা কিছু দিবেন।
রাত তো প্রায় শেষ। শুভ ভোররাত্রি।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
রাকু হাসান বলেছেন:
আরোগ্য ভাই কেমন আছেন । আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম । অনেক দিন কিছু লিখি না ,তাই লেখার চেষ্টা করেছিলাম । আপনার ধারণা সত্য । ভালো থাকুন সব সময় ভাই ।
৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:১১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীর বিভিন্ন গবেষণা সিষ্টেম আমার কাছে ত্রুটিপূর্ণ মনে হয়।
বিভিন্ন কর্পোরেট জায়েন্ট কম্পানী ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণায় বিপুল অর্থ ব্যয় করছে। গবেষণার ফলাফল কুক্ষিগত করে অসীম উচ্চমুল্যে বিক্রি করেছে।
এতে একই জিনিস বার বার আবিষ্কার করার প্রয়োজন হচ্ছে। ক্যানসার ও এইডসের ঔষধ মুল্যে কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে
বোইং ও এয়ারবাস বাদে আর কেউ যাত্রিবাহি বিমান বানাতে পারছে না।
গবেষণা হতে হবে গ্লোবাল ফান্ড থেকে। সব দেশ দিবে। জনসংখ্যা অনুযায়ী। পৃথিবীর বড় বর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজ ভাগ ভাগ করে দিবে।
এতে একই জিনিস বার বার আবিষ্কার করে সময় ও অর্থের অপচয় হবে না
কম্পানীরা ফলাফল সংগত মুল্যে কিনে নিবে। প্রডাক্ট মুল্যে সব দেশে) নাগালের ভেতর থাকবে।
ফলাফল কুক্ষিগত করা চলবে না।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭
রাকু হাসান বলেছেন:
আপনার ভাবনাটি সুন্দর । এমনটা করলে বিশ্ব উপকৃতই হবে । কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব নয় বলেই মনে হয় । বিশ্ববাসী বিশ্বস্বার্থে এক যোগে কাজ করবে বলে মনে হয় না । কৃতজ্ঞতা আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য । ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা রইলো হাসান ভাই ।
৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার টাইপো--- পোষ্টে ফরাসী বিপ্লবের টাইম লাইন সঠিক হয়নি
২০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
রাকু হাসান বলেছেন:
বিচক্ষণতার সাথে পড়েছেন । হুম ভুল ছিল । ঠিক করে দিয়েছি । কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি ধরিয়ে দেবার জন্য । দীর্ঘ আয়ু লাভ করুন ।
৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:৩৯
জোবাইর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটির জন্য অভিনন্দন রইলো। লেখার গঠনশৈলী আগের থেকে অনেক উন্নত! কিছু টাইপো বানান ভুল ও ছোটখাটো ত্রুটি থাকলেও আমি রেটিং ৫-এর মধ্যে ৪ দিলাম।
লেখাতে সংযুক্ত তথ্য ও ডাটার সূত্র উল্লেখ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ডিজিটাল বিপ্লবে সবকিছু দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। তাই তথ্য ও ডাটার সূত্র ও আপডেট তারিখ উল্লেখ থাকলে লেখার গুরুত্ব ও বিশ্বস্থতা আরো বৃদ্ধি পাবে। আরো বেশি করে এ ধরনের লেখা চাই।
অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে লেখার ইচ্ছা থাকলেও ব্লগের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে আর উৎসাহ থাকে না। আমাদের সুপরিচিত একজন ব্লগারের একটি চমৎকার মন্তব্য এখানে উল্লেখ করলাম:
(বল প্রয়োগ) যদি একটা ছাগলকেও (বস্তু) একচুল সরানো না যায় তবে কোনও কাজ হয় নাই বলিতে হইবে। " আমাদের সমস্যা নিয়ে ভাবা আর তার সমাধান খোঁজাও মনে হয় " নো ওয়র্ক ডান" ক্যাটেগরীতে পড়বে! -আহমেদ জী এস
যাই-হোক, নিয়মিত না হলেও মাঝেমধ্যে লেখার চেষ্টা করবো।
শুভকামনা রইলো।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৩
রাকু হাসান বলেছেন:
ভাইয়া আপনি যে এই লেখা পড়েছেন তাতেই আমি খুশি । এত ব্যস্ততার মাঝে পড়ে অতি চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্যও করেছেন।
লেখার গঠনশৈলী আগের থেকে অনেক উন্নত! কিছু টাইপো বানান ভুল ও ছোটখাটো ত্রুটি থাকলেও আমি রেটিং ৫-এর মধ্যে ৪ দিলাম। --কিছুটা তাড়াহুড়া ছিল ভাইয়া । আমাকে সাহস ,প্রেরণা দিলাম । ভালো করার দ্বায়বোধ বেড়ে েগেল । চেষ্টা থাকবে আমার । বানান ও টাইপো গুলো শুধরে নিব ।
লেখাতে সংযুক্ত তথ্য ও ডাটার সূত্র উল্লেখ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ--তথ্যসূত্র দিলাম । তবে লিংক সহ যোগ করে দেওয়ার উচিত ছিল । আগে সংরক্ষণ করে রাখি নি তাই এখন দেওয়া কষ্টসাধ্য । তবে পরের বার থেকে সংশ্লিষ্ট লিংকযুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ্ । এই পরামর্শগুলো আমার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ । দোয়া রাখবেন প্রতিদান দিতে পারি যেন ।
অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে লেখার ইচ্ছা থাকলেও ব্লগের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে আর উৎসাহ থাকে না। --হুম এটা আমারও ফিল হয় । কিন্তু অনেকটা শখের বসেই কিছু একটা লেখার চেষ্টা করা । জানি যে আগের মতো পাঠক পাব না তবু দেওয়া । ব্লগাররা দমে যাওয়ার পাত্র নয় । তারা লিখবেই ।
-আহমেদ জী এস স্যার ছোট মন্তব্যেই অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন । ওদের টনক নড়বে না । তবুও হাত পা নিস পিস করার জন্য ব্লগাররা লিখবেই ।সেই আশাবাদ আমার ।
যাই-হোক, নিয়মিত না হলেও মাঝেমধ্যে লেখার চেষ্টা করবো।---এটাই সবচেয়ে বড় সুখবর । আপনারা লিখলে ,দেখলে ,পড়লে খুব ভালো লাাগে । আমি আগ্রহভরে অপেক্ষা করছি এবং করবো নতুন লেখার ।
আবারও বলতে আপনার পরামর্শগুলো মানার চেষ্টা থাকবে আমার । আমার সালাম ,শ্রদ্ধা,ভালোবাসা রইলো । শুভ সন্ধ্যা ভাইয়া ।
৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:৩৪
চাঙ্কু বলেছেন: এত দেখি কুটি কুটি ইনফো! এটা নিয়ে আসলে অনেক বড় আলোচনা হতে পারে।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৫
রাকু হাসান বলেছেন:
যাক তালিপরে জেডা গর্ত থেকে বার হইলো ,জেডা কিছু একটা পোস্টান । অন্যতায় অবনতির জন্য জানাচ্ছি যে পুনরায় ব্লগে বোমা হামলা করবো । ভালো আছি জেডা ,আশা করছি আপনিও ভালো আছেন ।
১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১০
রাজীব নুর বলেছেন: সমস্যা এবং সমাধান আপনিই বলে দিয়েছেন।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৬
রাকু হাসান বলেছেন:
ধন্যবাদ রাজীব ভাই। ভালো থাকবেন ।
১১| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ব্লগে অনিয়মিত হওয়াতে তোমার পোস্টটি সময়ে দেখে ওঠা সম্ভব হয়নি। দুঃখিত।
তুমি বিপ্লবের আদ্দিকাল ধরে আলোচনা করেছ। তবে বিপ্লব আগে যাই ঘটুক 1789 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের মূলমন্ত্র সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতা আধুনিক যুগে বিপ্লবের প্রেরণা শক্তি। যদিও তিনি পরে 1848 খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ঘটনা উল্লেখ করেছ। মূল পোস্ট পড়ে পরে আবার আসছি।
পোস্টে অষ্টম লাইক।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবে।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১০
রাকু হাসান বলেছেন:
তোমাকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম । ব্যস্ততার জন্য ব্লগে অনিয়মিত জেনে কিছু টা স্বস্তি পেলাম । ছেড়ো না আমাদের । প্রত্যাশা আবারও নিয়মিত দেখবো তোমায় ।
তবে বিপ্লব আগে যাই ঘটুক 1789 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের মূলমন্ত্র সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতা আধুনিক যুগে বিপ্লবের প্রেরণা শক্তি।--আমিও শতভাগ একমত তোমার সাথে । ফরাসি বিপ্লব শুধু ফ্রান্সের না ,সারা পৃথিবীর জন্য আর্শীবাদের বার্তা নিয়ে এসেছিল । লাইক ও আন্তরিকতাময় মন্তব্য রেখে গেছ । আবার মন্তব্য নিয়ে আসছো জেনে ভালো লাগছে । আসো তোমার অপেক্ষায় ।সেই পর্যন্ত ভালো থেকো । মেঘের জন্য চিন্তা হচ্ছে আমার । আমার আদর দিও তাঁকে ।
১২| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট।+
২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৫
রাকু হাসান বলেছেন:
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা কবি। শুভকামনা ।
১৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
রাকু ভাই ,
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই জানা হলো।ইতিবাচক নেতিবাচক সমাধান সবই আছে এর মধ্যে । এরপরও বলতে হয়
পরিবর্তনের আভাসে আমাদেরকেই পরিবর্তন করে নিতে হবে । ধন্যবাদ রইলো ।
২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৭
রাকু হাসান বলেছেন:
মুক্তা আপু শুভেচ্ছা নিবেন । প্রশংসা ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা নিবেন ।
পরিবর্তনের আভাসে আমাদেরকেই পরিবর্তন করে নিতে হবে ।
যথার্থ বলেছেন । আমরা পরিবর্তন হলেই টিকে যাব । ভালো বলেছেন আপু । শুভরাত্রি আপনাকে ।
১৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভেবেছেন, এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টির উপর যেটুকু আলোকপাত করেছেন তাতে হয়তো অনেকেরই এ বিষয়ে জানার আগ্রহ অনেকটা বেড়ে যাবে, যারা কিছুই জানতো না তারা বিস্মিত হয়ে আরেকটু জানতে চাবে।
পোস্টে বেশ কিছু ভাল মন্তব্য এসেছে। সেগুলোতে 'লাইক। +
পোস্টেও 'লাইক' + +।
২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১৮
রাকু হাসান বলেছেন:
আগ্রহ বাড়লে এবং জানলেই আমার লেখার স্বার্থকতা খোঁজে পাব স্যার । শক্তিমান ব্লগাররা খুব গঠনমূলক মন্তব্য করে গেছেন ,নিশ্চয় আরও আসবে । আপনি সেগুলোকে লাইক প্রদান করার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা । লাইক ও সুন্দর মন্তব্য রেখেছেন । শুভকামনা জানবেন । আপনার বিনয় আমাকে মুগ্ধ করে । সাথে আছি এতেই আমি খুশি । ভালো থাকবেন স্যার ।
১৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাকু হাসান,
সবটা মিলিয়ে একটি জ্ঞানগর্ভ পোস্ট।
এমন বিপ্লব আসবেই, আজ অথবা কাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এটাই হবে মানুষ ও মেশিনের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
তবে এই বাক্যটি ঠিক বুঝিনি ---"চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় করণীয়" । "মোকাবেলা" মানে তো প্রতিরোধ করা, আটকে দেয়া, বাঁধা দেয়া ইত্যাদির মতো একটা সংঘাতময় ব্যাপার স্যাপার। কিন্তু এই বিপ্লবকে তো আপনি স্বাগত জানাতে বলেছেন। মোকাবেলা হবে কি ভাবে?
লাইকড................
২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৩
রাকু হাসান বলেছেন:
প্রশংসায় ধন্যবাদ নিবেন স্যার । আশা রাখছি আপনি ভালো আছেন । আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাকে ধরিয়ে দিলেন । শিখলাম । কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । মোকাবেলা শব্দটি যে আমি ভুল প্রয়োগ করেছি তা আপনার মন্তব্য দেখার পর মাথায় আসলো । সাদরে গ্রহণ করে পোস্ট এডিট করে দিলাম । কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনার প্রতি । খুব বেশি ভালো থাকুন । দোয়া ও শ্রদ্ধা নিবেন আমার । শুভেচ্ছা ও শুভরাত্রি স্যার ।
১৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:১১
আখেনাটেন বলেছেন: ২০১৬ সালে এই সেক্টরে বিনিয়োগ হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার ,যেখানে মাত্র ১০ বিলিয়ন বিদেশী বিনিয়োগ -- এই বাক্যে গণ্ডগোল রয়েছে। এটা কি অন্য দেশ বাংলাদেশে প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ করেছে। নাকি গোটা বিশ্বে এই পরিমাণ বিনিয়োগ হয়েছে। বাক্যে আপনি বিলিয়ন ডলার উল্লেখ করেছেন।
কারণ বাংলাদেশে ২০১৮ সালে যেখানে সব সেক্টর মিলে বিদেশী বিনিয়োগ ছিল মোটেই ৩.৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭ তে ২.১৫ বিলিয়ন ডলার। সেখানে শুধুমাত্র প্রযুক্তিখাতে ১০ বিলিয়ন।
সুূতরাং বুঝতেই পারছেন ওটা একটা অবাস্তব সংখ্যা।
ধন্যবাদ ব্লগার রাকু হাসান।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০৩
রাকু হাসান বলেছেন:
পোস্টের কিছু অংশ অনেক আগে রেডি করেছিলাম । কোন সূত্র থেকে যে তথ্যটা নিলাম সেটার কুল কিনারা পেলাম না । একটু খোঁজলাম ও ,ব্যস্ততার জন্য আরও খোঁজার সময় ও পাচ্ছি না । এটাও হতে পারে তথ্যের ভুল। বা নিজের ভুল বসিয়ে দিয়েছি আমি । তবে তা অবশ্যই জেনে বুঝে না । এমন একটা ছিল উল্লেখ করেছিল বলেই আমি পোস্টে তথ্য দিয়েছি । এটাও নিশ্চিত সেটা বিশ্বাসযোগ্য সূত্র ছিল । যা হোক সার্বিক বিবেচনায় ডিপেন্স করছি না । আপনার তথ্যে বিশ্বাস রাখলাম । তবে একটি কথা আপনার এই কমেন্ট আমাকে আরও সচেতন করলো তথ্যের ব্যাপারে । কাজে দিবে আমায় ।এই জন্যই বলি এসব টপিক শক্তিমান ব্লগাররা লিখাই উত্তম । আমি সেই তথ্যটা মুছে দিচ্ছি । কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি । আপনাদের দেখে আমার মতো ছোট ব্লগারের শেখার অনেক কিছুই আছে । ভালো থাকবেন । আবারও মন্তব্য করায় শুভেচ্ছা রইলো ভাইয়া ।
১৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:১৪
আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় রাকু ভাই,
আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি তবে দুদিন ধরে গরমটা একটু বেশি বোধ হয়। আশা করি আপনিও ভালো আছে।
শুরু থেকে এই পর্যন্ত সময় বিভিন্নভাবে পরিবর্তন হয়েছে। হরেক রকম বিপ্লব তার মধ্যে একটি। ডিজিটাল জীবন মানুষকে যত সুবিধা দিয়েছে আমি মনে করি প্রকৃতির জন্য তা ততই ভয়াবহ। কিন্তু যেহেতু এটাই চলমান তাই এগোতে হলে এটাই আঁকড়ে ধরতে হবে। মানব দেহ আরামপ্রিয় কিন্তু অলসতা অকালে বার্ধক্য এনে দেয়। যেমনটি আপনিই বললেন অল্পতেইআমরা এখন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করি যার ফলে অতিসহজ হিসাব করতে গেলেও দ্বিধাদ্বন্দে পড়তে হয়। আজকাল মানুষ অনেক বেশি ডিপ্রেশনে ভুগছে তার অন্যতম কারণ অতিবেশি ডিজিটালাইজেশন। এক পরিবারে বসবাস করা সত্বেও মানুষ একে অপরের সাথে কথা বলে না। রোবটের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে মানুষের জন্য তা কতটা সুফল বয়ে আনবে তা সময়ই বলে দিবে।
আমি ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের বিরোধী নয় বরং এর ফলাফল নিয়ে শঙ্কিত। সম্প্রতি আমাদের সরকার নাকি সুন্দরবনের সন্নিকটে কোন এক শিল্প কারখানা তৈরী করার অনুমোদন দিয়েছে। সেটা সাময়িক লাভজনক হলেও পরিণামে কতটা ক্ষতিকর তা সহজেই অনুমেয়। যেটি বললেন এদেশে টেকনোলজি ব্যবহারে ততটা দক্ষতা নেই বা ভীত। যেসব দেশ এদিক দিয়ে দক্ষ তাদের সুখভোগ হয়তো দীর্ঘমেয়াদী কিন্তু প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য তা কতটাযুক্তিসংগত। এদিক দিয়ে আমি মনে করি শিল্প বিপ্লব হোক তবে তা অনেকাংশে পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত।
এই পোস্টটি লিখতে ভারী পরিশ্রম করতে হয়েছে। বেশ তত্ত্ব উপাত্ত যোগ করেছেন তার অনেক সাধুবাদ জানাই। সময় নিয়ে পোস্ট পড়েছি তাই মন্তব্য করতে বিলম্ব হল। চমৎকার লিখেছেন।
সদা আরোগ্য থাকুন। শুভ রাত্রি রাকু ভাই।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৭
রাকু হাসান বলেছেন:
আরোগ্য ভাই আসলেন । স্বাগতম । জানলাম আপনি ভালো আছি । আমিও ভালো আছি তবে গরমে আমি নাজেহাল । গরমটা আামর সহ্য হয় না । শীতকাল ভালো লাগে কিন্তু প্রিয় শীত দিন দিন যেভাবে তার জৌলুশ হারাচ্ছে ,চিন্তা হয় ।
ডিজিটাল জীবন মানুষকে যত সুবিধা দিয়েছে আমি মনে করি প্রকৃতির জন্য তা ততই ভয়াবহ।---আপনার মনে করা মোটওে ভুল নয় । সুচিন্তিত । আমরা যায় আবিষ্কার করি না কেন সে সবের সকল ধকল তো প্রকৃতিই বহন করে করছে । কিন্তু প্রকৃতি সহ্যের ক্ষমতা কল্পনাতীত । কিন্তু তাই বলে সারা জীবন নিরীহ হয়েই থাকবে না । প্রকৃতিও নিষ্ঠুর হয় ,আঘাত করে ,প্রতিশোধ নেয় । যেটার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে । প্রকৃতির মতো প্রতিশোধ বোধহয় কেউ নিতে পারে না । একদম পিসে দেয় আামাদের । এভাবেই কালের পরিক্রমায় বিদায় নিয়েছে নানান প্রাণী ।
আজকাল মানুষ অনেক বেশি ডিপ্রেশনে ভুগছে তার অন্যতম কারণ অতিবেশি ডিজিটালাইজেশন--না ,আমি আপনার মতো দ্বিমত পোষণ করবো না । তবে আমাদের দরকার ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় থাকা । কেননা প্রযুক্তি ছাড়া চলা এক রকম অসম্ভব । রোবটের ব্যবহার মানুষের জন্য ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই বার্তাই নিয়ে আসছে । মানুষের চ্যালেঞ্জটা বেড়ে যাচ্ছে । তবে রোবটের ব্যবহার থামানো যাবে না মনে হচ্ছে । আমাদের জন্য অবশ্যই চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
sb]আমি ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের বিরোধী নয় বরং এর ফলাফল নিয়ে শঙ্কিত।--এমন ভাবনাটা আমি করি। আমরা চাইলেও বিপ্লব থামাতে পারবো না । হবেই । কিন্তু আমাদের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত পরিহার করতে হবে । খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে এগাতে হবে ।
শিল্প বিপ্লব হোক তবে তা অনেকাংশে পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত। ---একজন সচেতন,বোধ ক্ষমতাসম্পন্ন নাগরিক মাত্রই এটা ভাববে।আপনার ভাবনা মুগ্ধ করেছে আমায় । এই চিন্তাটা বিশ্বময় করতে হবে । ৭ কোটি মানুষের পৃথিবীতে যদি তিন ভাগের এক ভাগও গাছ লাগায় পরিবেশ বিপর্যয় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় । উন্নতির জন্য নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছি আমরা । ভয়াবহতা সবাই বুঝে তবু অবাক করার মতো বিষয় যে জোর দিয়ে কাজ হচ্ছে না । তবে েএই বছর পৃথিবীর ইতিহাসে উষ্ণতম বছর । এখন যদি মোড়লরা নড়েচড়ে বসে। আরোগ্য ভাই ,চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলতে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসে জলবায়ু পরিবর্তন ।
হুম পরিশ্রম হয়েছে ,আর আপনি,আপনারা সেই ভাবেই আমাকে সম্মান করেছেন । খুব সুন্দর ,জ্ঞানী মন্তব্য উপহার ;দিলেন । অন্যরাও গঠনমূলক মন্তব্য রেখেছে । েএটাই প্রাপ্তি । তাই তো পরিশ্রমী পোস্ট করতে উৎসাহ পাই । সময় নিয়েছেন বলেই
জ্বলজ্বল করা মন্তব্য পেলাম । ভালো থাকবেন আপনি । আর সালাম জানবেন আমার । শুভেচ্ছা ,শুভকামনা ,শ্রদ্ধা ভালোবাসা থাকলো । কথা হবে আরোগ্য ভাই ।
১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট। এজন্য ধন্যবাদ প্রিয় রাকু হাসান ভাই। আমরা জানি প্রথম শিল্প বিপ্লব হয় যুক্তরাজ্যে। ইংল্যান্ডের ইতিহাসে মোটামুটি ১৭৫০-১৮৫০ খ্রিস্টাব্দ এই সময়কালে কৃষি এবং বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থেকে আধুনিক শিল্পায়নের দিকে গতি শুরু হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটে। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর সমুদ্র যাত্রা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের পথ খুলে দেয়। এরপর পুঁজিবাদের উদ্ভব, বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার, কয়লার খনি আর ইস্পাতের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে অনেক শিল্প শহর আর কারখানা গড়ে উঠে।
ইংল্যান্ডে প্রথম শিল্প বিপ্লব হওয়ায় উপনিবেশ স্থাপনে ইংল্যান্ড ছিল সবচেয়ে অগ্রণী। তার সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বজুড়ে। কথাই ছিল, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনও সূর্য অস্ত যায়না। তারপরেই ছিল ফ্রান্সের স্থান, যদিও ফ্রান্সে শিল্প বিপ্লব হয়েছিল বেশ কিছুটা দেরিতে। জার্মানি, রাশিয়া ও ইতালিতে আরও পরে শিল্প বিপ্লব হয়েছিল বলে উপনিবেশ স্থাপনের প্রতিযোগিতায় তারা অনেক পিছিয়ে ছিল। যাই হোক, উনিশ শতকের শেষ পর্বে আফ্রিকার প্রায় সর্বত্র এবং এশিয়ার এক বৃহৎ অংশ জুড়ে উপনিবেশ স্থাপিত হয়েছিল।
এবার সর্বশেষ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিষয়ে আসি, ই বিপ্লব মূলত প্রযুক্তির বিপ্লব যা পৃথিবীর মানুষদের জীবনকে নিয়ে যেতে যায় এক ধাপেই ১০০ বছর সামনে। এই পরিবর্তন সব মানুষের জীবন মান উন্নত করবে, আয় বাড়াবে সব শ্রেণির মানুষেরই। প্রযুক্তির উৎকর্ষতা কাজে লাগিয়ে পরিবর্তিত-পরিবর্ধিত হবে শিল্প-অর্থনীতির সকল ক্ষেত্র। উন্নত প্রযুক্তির দু’একটি উদাহরণ দেয়া যাক, ইন্টারনেট অফ থিংস আপনার বাসার সকল আসবাব ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনের সাথে যুক্ত-এই সিস্টেমকেই বলা যায় ইন্টারনেট অফ থিংস। যেমন – আপনার বিদ্যুতের বিল দেয়া নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না, বিলটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলে যাবে আপনার স্মার্টফোনে, বাসায় কি বাজার নেই তা জানিয়ে দেবে ফ্রিজ! আপনার শরীর কি পুষ্টি উপাদান বাকী তাও জানিয়ে দেবে আপনার স্মার্টফোনের স্ক্রিন! তখন আপনি চিন্তিত হবেন কি নিয়ে বলুন তো?
রোবটিকস দূর নিরাপত্তা, কারখানার বিপদজনক কাজ, স্থাপনার শ্রমিক, কিংবা স্রেফ নিরাপত্তা প্রহরী বা গৃহস্থালি কাজ সব কাজই করতে শুরু করবে রোবট। ‘পায়ের উপর পা তুলে খেতে’ এখন কেবল একটি রোবটেরই অপেক্ষা! অটোমেশন কারখানার সবগুলো মেশিন এমন একটি সিস্টেমের সাথে যুক্ত থাকবে যেটি স্বয়ংক্রিয় চালনা থেকে শুরু করে পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও অত্ত্বাবধান করবে-একেই বলা হচ্ছে অটোমেশন। এতে বাঁচবে শ্রম খরচ, কমবে মানবিক ত্রুটি। একাধিক কাজ যখন একটি যন্ত্র করতে পারবে তখন খরচ নিয়েও আর ভাবতে হবে না!
ভৌগলিক কিংবা অর্থনৈতিক কারণে অন্যান্য বিপ্লবগুলোর মতই বাংলাদেশে উন্নয়নের ছোঁয়া দেরীতে পৌছায়। সে হিসেবে ৪র্থ বিপ্লবের ধাক্কা বাংলাদেশে পুরোপুরি পৌঁছুতে কিছুটা সময় লাগবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব মূলত স্মার্ট কারখানার ধারণাকে সংজ্ঞায়িত করে। সেই হিসেবে দিন ফুরাবে কায়িক শ্রম ভিত্তিক বাংলাদেশের। ছোট্ট দুটি একটি উদাহরণ দিই, বিংশ শতকের গোড়ায় যখন সবাক চলচ্চিত্র শুরু হয় অসংখ্য অভিনেতা-অভিনেত্রী হঠাৎ কাজ হারায়, সবাক ছবিতে খাপ খাইয়ে নিতে অপরাগ হওয়ায়। অসংখ্য শিল্পী-কলাকুশলী হেরে যায় সমকালীন প্রযুক্তি এডপ্ট করতে না পারায়।
আশি’র দশকে প্রচুর মানুষ টাইপিং শিখতো সহজে চাকরি পাবার আশায়। নব্বই এর দশকে এই মানুষগুলো কাজ হারায় কম্পিউটার এসে যাওয়ায়। যে কম্পিউটার চালাতে পারে, কম্পিউটারে লিখতে পারে তাকে রেখে শুধু টাইপিং জানা লোকটি কেন কাজ পাবে? সম্প্রতি বাংলাদেশ গার্মেন্ট শিল্পে লেজারের কাটিং মেশিন ব্যবহার শুরু হয়েছে যা কয়েকটি ব্যাচে অজস্র কাপড় কেটে ফেলতে পারে স্বল্প সময়েই। ক্রমাণ্বয়ে কারখানার সকল কাজেই মানুষের বিকল্প হবে প্রযুক্তি। তাহলে পোশাক শিল্পে নিয়োজিত বিশাল এ জনসম্পদ কিংবা স্বল্প শিক্ষিত, কেবল কায়িক শ্রমে উপার্জনে নির্ভর মানুষগুলো কি করবে? আমেরিকার মত প্রযুক্তিনির্ভর দেশেই ৪৭ শতাংশ মানুষ কাজ হারাবে। তাহলে চাকুরিভিত্তিক বাংলাদেশ কি করবে? সময় এখন তাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এডপ্ট করার, প্রযুক্তি জ্ঞান আর ব্যবহার প্রবণতা বাড়ানো। কেবল প্রযুক্তিতে দক্ষতাই শিল্প বিপ্লবের যুগের মানুষদের উত্তীর্ণ করবে।
ধন্যবাদ, রাকু ভাই।
২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৪০
রাকু হাসান বলেছেন:
প্রথমেই বলবো আপনার অতিমূল্যবান এই মন্তব্যটিকে একটি পোস্ট বললে ভুল হবে না । দারুণ মন্তব্য রেখেছেন ভাইয়া ।
পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর সমুদ্র যাত্রা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের পথ খুলে দেয়। এরপর পুঁজিবাদের উদ্ভব, বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার, কয়লার খনি আর ইস্পাতের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে অনেক শিল্প শহর আর কারখানা গড়ে উঠে।
বিপ্লব ও পরিবর্তন এটা এভাবেই সামনে এগিয়ে ছিল।
ইংল্যান্ডে প্রথম শিল্প বিপ্লব হওয়ায় উপনিবেশ স্থাপনে ইংল্যান্ড ছিল সবচেয়ে অগ্রণী। তার সাম্রাজ্য ছিল বিশ্বজুড়ে। কথাই ছিল, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনও সূর্য অস্ত যায়না। তারপরেই ছিল ফ্রান্সের স্থান, যদিও ফ্রান্সে শিল্প বিপ্লব হয়েছিল বেশ কিছুটা দেরিতে। জার্মানি, রাশিয়া ও ইতালিতে আরও পরে শিল্প বিপ্লব হয়েছিল বলে উপনিবেশ স্থাপনের প্রতিযোগিতায় তারা অনেক পিছিয়ে ছিল। যাই হোক, উনিশ শতকের শেষ পর্বে আফ্রিকার প্রায় সর্বত্র এবং এশিয়ার এক বৃহৎ অংশ জুড়ে উপনিবেশ স্থাপিত হয়েছিল।--আপনার এসবের জ্ঞান চমৎকার । সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন ।িএইজন্যই বলেছিলাম আপনাদের মম গুনী ব্লগাররা এই টপিকে লিখলে খুব ভালো একটি পোস্ট হতো । ইংল্যান্ড প্রথম শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিল বলেই উপনিবেশ স্থাপন করতে সহজ হয়ে গিয়েছিল।এখন পৃথিবী এভাবেই এগাবে বলে আমার ধারণা । যারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বের সারিতে থাকবে তারাই হবে আগামীর পৃথিবীর মোড়ল।
একটি ভালো উদাহারণ টেনেছেন আপনি । হুম এভাবে কাজ এখনই হারাচ্ছে । একটু খোঁজ নিলেই দেখবেন প্রায় সকল কোম্পানিগুলো লোকবল ছাটাই হয় । সেটার কারণ কর্মদক্ষতা বা মেশিনের আর্বিভাব হওয়ার কারণেই ।চাকরি হারাবে ,নতুন চাকরিও সৃষ্টি হবে । আমাদের সেইভাবেই গড়ে তুলতে হবে নিজেদের এবং প্রজন্ম কে সেই প্রেরণা দিতে হবে। যখন জানলাম ৪৭% লোক কেবল আমিরিকাতেই কাজ হারাবে তখন ভাবলে মাথা ঘুরে আমাদের মতো দেশেই কি অবস্থা হবে । আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে যে পোশাক শ্রমিকরা তিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন । যখন বিপ্লব পুরোদমে শুরু হবে তখন অনেকেই চাকরি হারাবে। আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়ার বিকল্প নেিই। সময় নেই একদম । আপনার সাথে সুর মিলিয়ে আমি বলবো
কেবল প্রযুক্তিতে দক্ষতাই শিল্প বিপ্লবের যুগের মানুষদের উত্তীর্ণ করবে।
--
কাওসার ভাইয়া আপনি আপনার ওজন মত মন্তব্য করেছেন । যেখানে আপনার নিজস্ব একটা ছাপ রেখে গেছেন । আপনার মন্তব্যগুলো এমনই হয় । তাই তো বারবার শ্রদ্ধা বেড়ে যায় আপনার প্রতি । আপনার নতুন পোস্টের অপেক্ষা করছি । ভালো
থাকবেন । একান্ত কারণে প্রতি উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় ক্ষমা করবেন ভাইয়া ।
১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন: আপনি লেখাটি ভালো লিখেছেন। কিন্তু এ ধরণের লেখায় যেহেতু অনেক তথ্য-উপাত্ত থাকে সেগুলো সঠিক না হলে ভুল বার্তা দেয়।
এ ধরণের পোস্ট আরো লিখুন। আমি সাধারণত ডেটাসমৃদ্ধ পোস্ট ভালো পাই।
তবে এভাবে সোর্স উল্লেখ থাকলে আর সে সমস্যা থাকে না।
নতুন লেখার অপেক্ষায় থাকলুম ব্লগার রাকু হাসান।
০১ লা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪
রাকু হাসান বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইয়া আবারও মন্তব্যে আশায় । নতুন লেখা লিখবো । দোয়া রাখবেন । শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ আখেনাটেন ভাইয়া ।
২০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ইয়েস এটি একটি পোষ্ট ও সুন্দর একটি গাইড।
সাবাস।
পোস্টে লাইক ও প্রিয়তে রইলো প্রয়োজনে পাওয়া যাবে।
ধন্যবাদ রাকু হাসান ভাই।
০১ লা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
রাকু হাসান বলেছেন:
ঠাকুরমাহমুদ ভাইয়া ধন্যবাদ । প্রেরণা দেওয়ার জন্য । লাইক ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । দেরিতে মন্তব্য করায় দুঃক প্রকাশ করছি । ক্ষমা করবেন । আশা করছি ভালো আছেন ।
২১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব:-
১-একদম শুরুতে সমাজ বিপ্লবের প্রসঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রসঙ্গটি কেন এলো ঠিক বুঝতে পারলাম না।
পোস্টে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সম্পর্কে অবহিত হয়ে খুশি হলাম। উপস্থাপন ভালো হয়েছে ।ধন্যবাদ তোমাকে।
যে বিষয়গুলি আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে উঠে এসেছে, অবশ্য বিপ্লবের নেতিবাচক দিক-
১-তুমি দশটি স্কিলের প্রসঙ্গ আনলেই যেখানে পাঁচ বছর আগে 35 শতাংশ চাকরি স্কিল নির্ভর হলেও বর্তমানে চাকরি স্কিল কেন্দ্রিক হলেও প্রার্থীরা যেখানে স্কিল বা দক্ষ সেখানে সার্বিক কর্মসংস্থানের সুযোগ কতটা বেড়েছে না কমেছে? সে বিষয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কতটা কর্মমুখী হতে পেরেছে সে বিষয়ে একটা প্রশ্ন রয়ে গেল।
২- 2025 সালের মধ্যে 30% রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ,মেশিন লার্নিং অধীনে চলে গেলে সভ্যতা নিঃসন্দেহে এগিয়ে যাবে সে কথা বলা বাহুল্য। এ প্রসঙ্গে তোমার চীনের কৃত্রিম সংবাদ উপস্থাপকের বিষয়টিও বেশ ভালো লাগলো। কিন্তু বিষয়টি মোটের উপরে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিপন্থী বলেই আমার বিশ্বাস। কারণ এখানেও যথাযথ কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে বলে বিষয়টি মনে হলো না। আমি তোমার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
বিপ্লবের ইতিবাচক দিক নিয়ে পরে আবার আসছি।
০১ লা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
রাকু হাসান বলেছেন:
প্রথমে চেয়েছিলাম একদম শুরু থেকে আলোচনা করবো । কিন্তু আদতে শুরুর কথা না আনাটাই বেটার ছিল ।
তুমি দশটি স্কিলের প্রসঙ্গ আনলেই যেখানে পাঁচ বছর আগে 35 শতাংশ চাকরি স্কিল নির্ভর হলেও বর্তমানে চাকরি স্কিল কেন্দ্রিক হলেও প্রার্থীরা যেখানে স্কিল বা দক্ষ সেখানে সার্বিক কর্মসংস্থানের সুযোগ কতটা বেড়েছে না কমেছে?--স্কিল নির্ভর চাকরির বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে কোনো সন্দেহ নেই । হয়তো স্থান বিশেষ এখনও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কর্মমুখী হওয়ার দৌড়ে কম বেশি হতে পারে । যেমন আমি যদি ডানা সাইন্সটিক হয়ে বাংলাদেশের বাজারে বড় চাকরি আশায় বসে থাকি তাহলে বড় ধরনের ( দক্ষতা মত ) চাকরি না পাওয়ার সম্ভবনাই বেশি ।আবারও ইউরোপ,আমেরিকায় আছে ব্যাপক চাকরির বাজার । স্থান কাল পাত্র ভেদে ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক । কৃত্রিম সংবাদ উপস্থাপনানের বিশাল বাজার বাজার না থাকলেও সামগ্রিক দৃষ্টিতে এর বিশ্ববাজার কম নয় । এতো ছোট উদাহারণ আরও সেক্টর আছে যেগুলোতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব রীতিমত খালি চোখে পড়ার মতো প্রভাব রাখছে । তোমার পরের মন্তব্য তে যাই ।
২২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রাকু,
কমেন্টের পরবর্তী অংশ:-
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ইতিবাচক দিক,
১-প্রযুক্তিগত ক্রমোন্নতি ও জনপ্রিয়তা।
২-খা ব্যবস্থার উন্নতি ও আধুনিকীকরণ।
৩-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা।
৪-বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কি ক্রমশ জনপ্রিয়তা। তবে এখানে একটি অশনি সংকেত দেখছি,পাড়ার ক্ষুদ্র ও মাঝারি বাজারের বা দোকান গুলির আগামী দিনে কর্মহীনতার সমূহ সম্ভাবনা।
৫-চিকিৎসা বিজ্ঞানে উন্নতি।
৬-সে ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি।
সর্বশেষে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কিছু সতর্কীকরণ। সব মিলিয়ে পোস্টটি অত্যন্ত সুন্দর ও কার্যকরী মনে হয়েছে। অনেকগুলো বিষয় এই পোস্টে উঠে এসেছে, যা পাঠকদের আগামী দিনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সহযোগী হয়ে উঠতে যথেষ্ট সাহায্য করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
পোস্টে যথেষ্ট বড় হওয়াতে অনেক গুলো জায়গায় টাইপো থেকে গেছে। আশা করি সময় নিয়ে রি-এডিট করবে।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোট্ট ভাইটিকে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮
রাকু হাসান বলেছেন:
খুব প্রাণবদ্ধ মন্তব্য করেছ। আবার আসায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি পদাতিক ভাইয়া ।
সুচিন্তিত,মহার্ঘ মন্তব্যের মাধ্যমে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক তুলে ধরলে ,পোস্ট ছেকে এবং নিজের জ্ঞানের মাধ্যমে । একটি পূর্ণাঙ্গ মন্তব্য । সময় নিয়ে পড়েছ। মন্তব্যও বড় ভাইয়ের মতো পেয়েছি । এসব মন্তব্য অবশ্যই লেখকের জন্য আর্শীবাদ। তুমি ঠিক বলেছ । বেশ কিছু টাইপো ছিল । রি এডিট করেছি । এখনও থাকলে ,থাকতে পারে । ইদানীং ব্যস্ত সময় যাচ্ছে । আামার লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করা খুব দরকার । অনিয়মত বা সঠিক সময়ে মন্তব্যের উত্তর না দিতে পারাও এই কারণে । আশা করছি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে । আমিও মন্তব্য করে অপেক্ষা করি প্রতি উত্তর দেখার জন্য । সেটা কষ্ট কর বটে । তবে জানই তো আমি দ্রুত প্রতি উত্তর দিতে পছন্দ করি । তবে ব্যস্ততার জন্য অনেক সময়ই হয়ে উঠে । শুভকামনা ও ভালোবাসা নিবে । আচ্ছা বাংলাদেশ ভ্রমণ করছো কবে ? ভালো থাক সব সময়ের জন্য ,সেই কামনা করি ।
২৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
খুব তথ্যবহুল লেখা। অনেক ধন্যবাদ এ নিয়ে লেখার জন্যে।
নিচের চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে পাশ কাটিয়ে এগুলো থেকে দেশ উপকৃত হতে পারে তা নিয়ে আরো আলোকপাত আশা করছি।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ
১। তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণঃ সাইবার সিকিউরিটি'র ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে আরো ভালো ভাবে কাজ করতে পারি এই সমস্যা নিরসনে? বাংলাদেশে কি কি ধরণের তথ্য গোপন রাখতে হবে, এবং সেই ধরণের তথ্য প্রকাশ পেলে কি শাস্তি হবে?
২। প্রযুক্তিগত সমস্যায় উৎপাদনে ব্যাঘাতঃ বাংলাদেশের উতপাদনশীল খাতগুলোতে কি রকম প্রভাব ফেলতে পারে?
৩। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষাঃ কি ধরণের টেকনোলজি ব্যবহার করলে এ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে?
৪। ইন্টারনেট ও অন্যান্য প্রযুক্তির মধ্যে অব্যাহত সংযোগ নিশ্চিতঃ এটা কিভাবে করা সম্ভব?
৫। অটোমেশনের কারণে বহু মানুষের কাজের সুযোগ হ্রাসঃ আমি কোথায় যেন পড়েছিলাম, বাংলাদেশে অটোমেশনের কারণে ৪০ লক্ষ মানুষ চাকরী হারাবে। সেই চাকরী'র বাজার কিভাবে পূরণ হবে?
১১ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩১
রাকু হাসান বলেছেন:
অতি সুন্দর মন্তব্য সময় নিয়ে উত্তর দিচ্ছি । ক্ষমা করবেন আমায় । গঠনমূল ব্লগীয় মন্তব্য রাখায় আপনাকে প্রথমেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছি । কেমন আছেন ? ইদের ছুটি খুব ভালো মত যাচ্ছে ব্লগের সাথে । খুব ভালো ।
১। তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণঃ সাইবার সিকিউরিটি'র ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে আরো ভালো ভাবে কাজ করতে পারি এই সমস্যা নিরসনে? বাংলাদেশে কি কি ধরণের তথ্য গোপন রাখতে হবে, এবং সেই ধরণের তথ্য প্রকাশ পেলে কি শাস্তি হবে?
আগামী পৃথিবীতে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করি ।বাংলাদেশ সকরার তথ্য আইন করেছে ।কিন্তু প্রিয়তা পায় নি । যথেষ্ট বির্তক আছে । সেগুলো সংস্কার করে জনকল্যাণমুখী করতে হবে । বলেছেন কি ধরনের তথ্য গোপন রাখতে হবে । সহজ ভাবে বললে যেসব তথ্য প্রকাশ হলে
ব্যক্তির ভাবমূর্তি নষ্ট হবে কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংগত কারণে গোপন রাখতে চান ,সে সব তথ্য প্রকাশ যাতে না হয় সবাররই সাবধান হতে হবে। তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিকরণে জনসচেতনতার বিকল্প নেই । সরকার একার পক্সে সাইবার নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব না । কোনো দেশেই সম্ভব না । হয়তো সরকারী সংস্থাগুলো কে দিয়ে থাকে । বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে আমাদের অনেক সচেতনতা অবলম্বন করে চলতে হবে । বিশেষ কোড যতটা সম্ভব শক্তিশালী করে দিতে । তারপর নিয়মিত আপডেট করার বিকল্প নেই । তা আপনি জানেন ।
কোন অপরাধে কেমন শাস্তি হওয়া উচিত তা বাংলাদেশের আইন রয়েছে । সেই আইনের আলোকে শাস্তি নির্ধারণ হবে । আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি যদি বলি,তাহলে বলবো আইনের আইনের নেতিবাচক সুযোগ যেন কোনো পক্ষ নিতে না পারে ।যেসব তথ্য ব্যক্তি,সমাজ,রাষ্ট্র বা বিশেষ কোনো জনগোষ্ঠীর অনুভূতিতে আঘাত করে যেসব তথ্য প্রকাশ করা যাবে । এই তথ্যগুলোই আমাদের নিরাপদে সংরক্ষণ করতে হবে ।
২। প্রযুক্তিগত সমস্যায় উৎপাদনে ব্যাঘাতঃ বাংলাদেশের উতপাদনশীল খাতগুলোতে কি রকম প্রভাব ফেলতে পারে?
হ্যাঁ ,কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের কৃষিজ পণ্য উৎপাদনের সহায়ক হতে পারে । একটা সময় কৃষি পণ্য
উৎপাদনে শ্রমিকের অভাব হতো না কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে । শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পারার খবর গুলো বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে ছিল । প্রতিবেশী দেশ কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে read। আমাদের স্থান কাল পাত্র ভেদে শুরু করা উচিত । এর জন্য দরকার সরকারের ইচ্ছা ও সরকারী বেসরকারী পৃষ্ঠপোষকতা । কৃষি জমির সল্পতার কারণে গবাদি পশুর খাদ্যের যোগান দেওয়ায় হিমশীম খেতে হয় এবং এই সমস্যা বড় আকার ধারণ করবে আগামী দিনগুলোতে । ঘাস উৎপাদনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করলে তা সল্প সময়েই সমস্যা সমাধান হবে। জেনিটিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারি । ইউরোপ আমিরিকায় এই প্রযুক্তিগুলো প্রভাব বিস্তার করেছে । খাদ্যর চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে কৃষক উপকৃত হয়েছে । এছাড়াও এপ্সও গুরুত্ব ভূমিকা পালন করবে । কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশও এপ্স এর ব্যবহার বাড়ছে । এটা সুখবর । শুষ্ক মৌসুমে কৃষিজ পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করতে অবশ্যই প্রযুক্তির ব্যবহার করা লাগবে । এসব সেক্টরে বিনিয়োগ ও গবেষণা দুটিই ব্যাপক প্রয়োজন আছে বলেই আমার মনে হয় । কিছু উদহারণ টানলাম । আপনি প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন । আমার মতামত বাংলাদেশে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার শুধু খাদ্যের চাহিদায় মিটাবে না বরং বিভিন্ন কৃষি পণ্য রপ্তানি করার সুযোগ আসবে । অন্য দেশ থেকে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারের বেশি সুফল পাব । কেননা আমাদের মাটি উর্বর । আশা করছি অনুমেয় কেমন প্রভাব ফেলতে পারে ।
৩। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষাঃ কি ধরণের টেকনোলজি ব্যবহার করলে এ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে?
আসলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য একেক সেক্টরে ্একেট প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে । সবার উর্ধ্বে জনসচেনতা । কম্পিউটারের শক্তিশালী এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করা । ফেসবুকে টু ফেক্টর চালু করে রাখা । যেসব সাইটে একাউন্ড করা আছে ,এখন প্রয়োজন নেই প্রবেশ বা লগ ইন করা । সেই সব সাইটের একাউন্ট ডিলিট করে দেওয়া । তা না হলে তথ্য বিক্রি বা পাচার হয়ে থাকে । এপ্স ও সফটওয়্যার জাতীয় টেকনোলজিই ব্যবহার করতে হবে । ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় প্রযুক্তির চেয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব/মানসিকতা/ সচেতনতাই মূখ্য ভূমিকা পালন করবে ।
৪। ইন্টারনেট ও অন্যান্য প্রযুক্তির মধ্যে অব্যাহত সংযোগ নিশ্চিতঃ এটা কিভাবে করা সম্ভব
এই উত্তর টা প্রযুক্তিবিদরা দেক
৫। অটোমেশনের কারণে বহু মানুষের কাজের সুযোগ হ্রাসঃ আমি কোথায় যেন পড়েছিলাম, বাংলাদেশে অটোমেশনের কারণে ৪০ লক্ষ মানুষ চাকরী হারাবে। সেই চাকরী'র বাজার কিভাবে পূরণ হবে?
তথ্যটি যে বাংলাদেশের আমি নিশ্চিত নই । আমিরিকার হতে পারে । তবে অটোমেশনের কারণে বাংলাদেশেও যে চাকরি হারাবে সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায় । প্রভাব তো পড়বেই । আপনি বলেছেন চাকরির বাজার খালি হলে সেটা কিভাবে পূরণ হবে । চাকরির বাজার তো অটোমেশনই দখল করে নিবে । যদি বুঝিয়ে থাকেন চাকরি হারানো মানুষদের কর্মসংস্থান কিভাবে হবে ,তাহলে আলোকপাত করা যায় । এরা কেউ কেউ ঝরে পড়বে আবার কেউ মানিয়ে নিবে । স্কিল অর্জনে মেধা শ্রম দিয়ে বিশ্ব বাজারের সাথে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া তো
রাস্তাও নেই ।
সেরা একটি মন্তব্য রেখেছেন ভাই । সত্যিই পোস্টের মর্যাদা বাড়িয়ে দেওয়া মন্তব্য । ধন্যবাদ আপনাকে । উত্তর দিতে দেরি করায় আবারও ক্ষমা চাচ্ছি । এভাবেই আমাদরে পাশে থাকুন । ব্লগে আসবেন । ব্যস্ত থাকলেও সেই কামনা করি । সালাম ও শুভেচ্ছা আর হ্যাঁ ইদের শুভেচ্ছা ও রইলো । ঈদ মোবারক ভাই । শুভরাত্রি আপনাকে । আপনি সুখি হউন । ভালো থাকুন ।
২৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: প্রশ্নগুলোর উত্তর অনেক ভাবনার খোরাক যুগিয়েছে। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৫
রাকু হাসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই । আবারও আসার জন্য । ভয়ে ছিলাম আপনার মন্তব্যের উত্তরে প্রতি উত্তর কেমন করতে পারি । ক্ষুদ্র জ্ঞানে যাই মনে হয়েছে বলার চেষ্টা করেছি । এটাই বেস্ট উত্তরও নয় ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: প্রযুক্তির ট্রেন উল্কার গতিতে ছুটে চলেছে। আমাদের ট্রেনে এখনও দৌড়ে উঠা যায়। তাই আমাদের শিল্প বিপ্লবের সুফল ভোগ খুব একটা সুখকর হবে না।
মাথামোটা রাজনীতিকদের দিয়ে আর যাই হোক শিল্প বিপ্লব সাধন সম্ভব নয়। যারা তথ্য পাচার হবে ভেবে সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ নিতে আঁৎকে উঠে কিংবা যারা টাকা পাচার হবে ভেবে পেপলকে দেশে আনতে ভয় পায়(টাকা কিন্তু ঠিকই পাচার হচ্ছে)।
যার জন্য এত এত সম্ভাবনা থাকা স্বত্ত্বেও দেশের রপ্তানী আয়ের ঐ একমাত্র উৎস তৈরি পোশাক (প্রায় ৮৪ শতাংশ) গরীব মেয়েদের রক্ত পানি করা পরিশ্রমে। এই নিয়েই আমাদের থাকতে হবে।
অন্যরা দশধাপ এগিয়ে গেলেও আমরা একধাপ এগিয়েই ঢোলে বাজিয়ে দেশ কাঁপিয়ে দিতে পারি। কিন্তু শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করতে পারি না, এই খাতে অব্যবস্থাপনা, অনাচার দূর করতে পারি না।
*২০১৬ সালে এই সেক্টরে বিনিয়োগ হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার ,যেখানে মাত্র ১০ বিলিয়ন বিদেশী বিনিয়োগ ।-- এখানে কাদের বিনিয়োগ বুঝিয়েছেন। লেখাটিকে আরেকটু ঘষামাঝা করে পোস্ট করা যেত। ভালো লেগেছে।