নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মাদ ইউসুফ রানা

মোহাম্মাদ ইউসুফ রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইজতেমায় নামাজ পড়া নাকি মক্কা মদিনাতে নামাজ পড়া থেকে উত্তম । ইজতেমায় জমজমাট করার জন্য তাবলিগের নতুন কৌশল

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২২


তাবলিগীদের টঙ্গীর ইজতেমায় ১ রাকাত নামাজ পড়লে উনপঞ্চাশ কোটি রাকআতের সাওয়াব, অথচ ১ রাকাত মদিনায় পড়লে ৫০ হাজার আর মক্কায় পড়লে ১ লাখ (!!!!!!)
...................
অাসতাগফিরুল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে মক্কা মদিনার ছেয়ে হাজার হাজার গুণ বেশি সওয়াব ইজতেমায় সেখানে মানুষ খুব সহজে ইজতেমায় না গিয়ে কেনই বা লাখ লাখ টাকা খরচ করে মক্কা মদিনায় যাবে !!!
আবার ও বলি নাউযুবিল্লাহ

দেখুন কত জঘন্য মিথ্যাচার। ইতিহাসে এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচার আর কেউ করেছে কিনা সন্দেহ। “দাওয়াতে তাবলীগ” নামক এক তাবলিগী বই পড়তে গিয়ে হতবাক হয়ে গেলাম। এমন মিথ্যাচার কিভাবে করা সম্ভব?
এই তাবলিগী লেখক উক্ত কিতাবের ৮০ পৃষ্ঠায় লিখেছে , মক্কা শরীফে এক রাকাত নামাজ পড়লে এক লক্ষ রাকাত নামাজের ছাওয়াব। মদীনা শরীফে নামাজ পড়লে পঞ্চাশ হাজার রাকাত রাকাতের ছাওয়াব। বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফে নামাজ পড়লে পঁচিশ হাজার রাকাত নামাজের ছাওয়াব।

কিন্ত... বিশ্ব ইজতেমায় এসে নামাজ পড়লে উনপঞ্চাশ কোটি রাকাত নামাজের ছাওয়াব হয়। (লা’হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)
(রেফারেন্স: দাওয়াতে তাবলীগ, পৃষ্ঠা ৮০, লেখক: আশরাফ আলী তালেবী, প্রকাশনা: আফতাবীয়া লাইব্রেরি)
জঘন্য মিথ্যাচারের এখানেই শেষ নয়। এই নিকৃষ্ট কথার দলীল দিয়েছে ইবনে মাজাহ শরীফ ও আবু দাউদের নাম ভাঙ্গিয়ে।


বিঃদ্রঃ উক্ত কিতাবের স্ক্যান কপি উপরে ছবিতে দেয়া আছে।

এতটুকুও বুক কাঁপলো না এমন মিথ্যাচার করতে?
আল্লাহ পাকের ঘর কাবা শরীফ, নবীজীর মসজিদ মসজিদে নববী থেকেও এদের টঙ্গীর ময়দানের দাম বেড়ে গেলো?
এরপরও কি সাধারন মানুষ এদের ফাঁদে পা দিয়ে এদের দলে যোগ দিবে? এখনও কি আপনাদের মাথায় ঢুকে না কেন কুরান ও হাদিসে অনুসারি আলেমরা এই বিদআতের বিরুদ্ধে বলে।

আমি যখন ১ম আমার ফেসবুক ওয়ালে এটা নিয়ে পোস্ট করি তখন অনেক তাবলিগ বন্ধু ও ভাইয়েরা আমার উপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। তাদের অনেকের ধারণ এটা আমি মিথ্যা প্রচার করতেছি, কেউ বা বুঝাল এটা ফটোশপ, আবার কেউ বা বুঝাতে চাইল যে লিখেছে সে তাবলিগ বা দেওবন্ধীদের কেউ না। আর ও কত যুক্তি । মুকুট নামে একভাই বলে উঠল ইজতেমা আসলে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যায়। মুলত তারা পীরের মুরিদের মত অন্ধ বিশ্বাসকে পুজি করে তর্কই করে গেছে । একবার ও যাচাই করেনি এর পিছনে কারা ছিল ।

আসুন আমরা দেখে নিয় এই বইয়ের লেখক এবং কিতাবটিকে কারা সত্যায়ন করেছেন?
মুলত এই বইটি লিখেছেন মাওলানা মুফতী আশরাফ আলী তলেবী


তাছাড়া বাংলাদেশের দেওবন্দীদের অন্যতম সব মুরুব্বীরা এই বইটি সত্যায়ন করে বাণী দিয়েছেন। যারা সত্যায়িত করেছে তাদের বক্তব্যসহ স্ক্যান কপি নিচে দেয়া হয়েছে। তারা হলেন,


আল্লামা আহমাদ শফি সাহেব,নায়েবে আমীর হেফাজত ইসলাম, সত্যায়ন করেছেন ০৯/০৯/২০০৮ ও মুফতি ফজলুল হক আমীনি, সত্যায়ন করেছেন ০৬/০৮/২০০৬ তারিখে ।


আল্লামা ইসহাক আল গাজি, সত্যায়িত করেছেন ০৯/১০/২৬ হিজরীতে


মাওলানা মহিউদ্দিন খান- সম্পাদক মাসিক মদিনা, মাওলানা মোঃ মজাম্মেল হক


আল্লামা আব্দুল হালিম আল বুখারি,


মুফতি শামসুদ্দিন (জিয়া)।

এদের সত্যায়ন দ্বারাই বোঝা গেলো এরাও এই আক্বীদা পোষন করে থাকে। তাদের কাছে টঙ্গীতে নামাজ পড়ার মূল্য মক্কা শরীফ, মদীনা শরীফ, বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফ থেকেও বেশি। নাউযুবিল্লাহ।
এই যদি হয় আলেমদের অবস্থা, তাহলে সাধারণ জনগণ এর কি অবস্থ হবে ভাবুন। তাইতো এটাকে গরিবের হজ্জ- মনে করে হাজার হাজার মানুষ (নারী-পুরুষ সহ) আসে যাদের হজ্জ করা সামর্ত্য নাই।
দেখুন ভিডিও সহ





এরপরও যারা এদের দলে যোগ দিবে তারা আদৌ হক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত কিনা বিচারের ভার আপনাদের হাতে থাকলো। আর রাসুল সা. এর সুন্নাহ ও তার রেখে যাওয়া দ্বীন কতটা নিরাপদ এদের হাতে তাও ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।
তাবলিগ ও তাদের শিরকি বয়ান ওজালিয়াতি সম্পর্কিত পূর্বের পোষ্টটি দেখুন , নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
তাবলীগ জামাত কি বিস্তারিত জানুন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.