![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“রাজিবের মৃত্যুতে দুঃখ পেয়েছি, শিবিরকর্মী মারা গেলেও দুঃখ পাই: বাঙালি স্লোগান দিয়ে অসাম্প্রদায়িক হওয়া যায় না। সত্যিকারার্থে অসম্প্রদায়িক হতে হলে সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে হবে। শাহবাগের আন্দোলন সরকারের সাজানো নাটক” ফরহাদ মজহার
বিশিষ্ট কলামিস্ট ও কবি ফরহাদ মজহার বলেছেন, “ব্লগার রাজিব মারা যাওয়ায় আমি যেমন দুঃখ পেয়েছি, শিবিরের কোনো ছেলে মারা গেলেও দুঃখ পাই।কারণ আমি একজন মানবাধিকার কর্মী।”
শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অবরুদ্ধ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের তিনটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে’ তিনি এ কথা বলেন।
এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কলামিস্ট ফরহাদ মজহার বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিরা কখনো কোনো ধর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে পারেন না। কোনো ধর্ম সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া যায় না।”
তিনি বলেন, “ব্লগার রাজিবের বাসায় গিয়ে শেখ হাসিনা মূলত তার আদর্শকে ধারণ করেছেন। এরপর থেকে কোনো ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তির পক্ষে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার প্রতি কোনো সমর্থন থাকতে পারে না।”
এ ছাড়া শাহবাগের আন্দোলনকে সরকারের সাজানো নাটক বলে আখ্যায়িত করে ফরহাদ মজহার বলেন, “গণজাগরণ মঞ্চে যারা সংস্কৃতিকর্মী বলে দাবি করছে, তাদের তো আমরা চিনি। তারা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের লোক।”
তিনি শাহবাগের স্লোগান ‘তুমি কে আমি কে- বাঙালি বাঙালি’ এর বিরোধিতা করে বলেন, “বাঙালি স্লোগান দিয়ে অসাম্প্রদায়িক হওয়া যায় না। সত্যিকারার্থে অসম্প্রদায়িক হতে হলে সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে হবে।”
প্রকাশনা উৎসবে লেখক মাহমুদুর রহমান উপস্থিত না হতে পারলেও তিনি তার অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকাশনা উৎসবে অংশ নেন।
প্রকাশনা উৎসবে মাহমুদুর রহমানের লেখা ‘জয় আসলে ভারতের’, ‘গুমরাজ্যে প্রত্যাবর্তন’, ‘দুর্নীতিমুক্ত দেশ, সমাজচিন্তকদের ভাবনা’ নামের তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বই তিনটি প্রকাশ করে যথাক্রমে ইতি প্রকাশন, কাশবন ও সৃজন প্রকাশনী।
প্রকাশনা উৎসবে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, সাবেক বিচারপতি আব্দুর রউফ, ঢাবির সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, সাংবাদিক শফিক রেহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ প্রমুখ।
©somewhere in net ltd.