![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশপ্রেমের নামে শতোশতো রুগির ভোগান্তি করে টানা২০দিন রাস্তায় বসে থাকা যাবে, খিঁচুনি দিয়ে শ্লোগান তোলা যাবে, ভেংচিকেটে একটা একটা জবাই করার মতো বর্বর ও জঙ্গি শ্লোগান দেওয়া যাবে, ব্যক্তি বিশেষের নাম ধরে তাদের হত্যার প্রকাশ্য হুমকি দেওয়া যাবে_ কিন্তু নবীপ্রেমের অংশ হিসেবে শান্তিপূ্ণ বিক্ষোভে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করে উল্টো আন্দোলনকারীদেরকে জঙগি বলা হবে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীর তকমা দেওয়া হবে।
নেতৃস্থানীয়দের কেউ নয়, এমন কে বা কারা কোথায় পতাকা পুড়েছে, সেটার জন্য গোটা আন্দোলনের বিরোদ্ধে বিশোদগার করা হবে, কিন্তু কয়েক ডজন নিরীহ লোক হত্যার সংবাদটি নিয়ে কোন তোলপাড় হবে না! আজ কেউ কুরআন পুড়লে তার বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করা হলে নাস্তিকরা নসীহত করতো, কুরআন পুড়লে কী কুরআনের মর্যাদা কমে যাবে? সেই কুকর্মের বিরোদ্ধে আন্দোলন করলে বলা হতো, ধর্মের নামে অরাজকতা রোখা হবে!! অনেকে বলতো ধর্মের নামে অশান্তি করা কি ঠিক? (কিন্তু দেশপ্রেম ও রাজনীতির নামে কেউ এসব করলে আর অশান্তির থিউরি উধাও)
ঢাবির ছেলেমেয়েরা পড়শুনা বাদ দিয়ে আজ শাহবাগ আড্ডায় জমেছে, ইসলাম বিরোধী কোন আন্দোলনে মাদরাসা ছাত্ররা এভাবে দিনের পর দিন রাস্তায় বসে থাকলে বলা হতো, এদের বাপমা কি এসব করতে মাদরাসায় দিয়েছে?
অনেকেই বলেন-শাহবাগে রাজাকার বিরোধী কতো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হচ্ছে, ইসলামিস্টরা কেন সহিংস আন্দোলন করলো? কতোবড়ো গাঁজাখুরি কথা! বিশ্বের কোন বিপ্লব বা আন্দোলনে ক্ষমতাসীনদের সমর্থন থাকে নি। পুলিশ ঠান্ডাপানি আর বিরানীর প্যকেট বিতরণ করেনি। সরকারের মন্ত্রীরা এসে বাহবা দিয়ে যায়নি। শাহবাগের বিপ্লব বিপ্লবের কলংক। গৃহপালিত বিপ্লবের জামাই আদরের মতো সুবিধা হুজুরদেরকে দিয়ে দেখতেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কাকে বলে দেখিয়ে দিতো। কোথায় গবরের লাদি, কোথায় শেখসাদি?
©somewhere in net ltd.