![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা কেন মুক্তিযুদ্ধ করেছি ? সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের অন্যতম নেতা মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, বিসমিল্লাহ ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি— এ তিনটির বিরুদ্ধে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। ২০১১ সালের ২ জুন প্রেসক্লাবে তিনি বলেন, সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, বিসমিল্লাহ ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি তুলে না দেয়া হলে হরতালের হুমকি দেন। সেই হরতাল আর দেয়া হয় নি কারন তাদের দাবি পুরন করেছেন আমাদের সরকার।
বর্তমান ইসলামী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান যিনি ইদানিং টক শো আলেম হয়েছেন তার মতে, পৃথিবীতে যত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রয়েছে, তার সবই ইসলাম ও মুসলমানদের মধ্যে (!)। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের মধ্যে কোনো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নেই। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরা সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত নয়। ২০০৯ সালের ২৮ মার্চ ‘সন্ত্রাস নিরসনে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ ধরনের উদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করেন।
বর্তমান আইনমন্ত্রী যিনি জাহানারা ইমামের গণাদালতের বিচারপতি ছিলেন তিনি আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি বিরুপভাবে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, কওমি মাদরাসাগুলো এখন জঙ্গিদের প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কওমি মাদরাসাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বিস্তার লাভ করেছে। এসব কওমি মাদরাসায় যে শিক্ষা দেয়া হয়, তা কূপমণ্ডূকতার সৃষ্টি করছে।
২০০৯ সালের ১ এপ্রিল আওয়ামীপন্থী শিল্পপতিদের অর্থে পরিচালিত সুশীল (?) থিংক ট্যাংক বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট আয়োজিত ওয়ার্কশপে বক্তৃতায় বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছিলেন, ’৭৫-পরবর্তী সামরিক শাসনামলে বিভিন্ন সংশোধনী এনে ’৭২-এর সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনাকে নস্যাত্ করার ফলেই এবং ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণার পর ধর্মের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়েছে। (সুত্র- অনলাইন)
©somewhere in net ltd.