![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজনীতি বলেত আমাদের সমাজে এমন এক ধারণা প্রচলিত আছে যে রাজনীতি মানেই খারাপ কিছু। কথায় কথায় বলা হয় 'আমার সঙ্গে রাজনীতি?' আমিও কম রাজনীতি জানি না? বা টাউটদের বিষয়ে বলতে গেলে বলা হয় সে থুব ভাল রাজনীতি জানে। এই হচ্ছে রাজনীতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারনা। হওয়াই স্বাভাবিক। কারণ রাজনীতিবিদ বলতে টাউটদেরকেই চেনে। কিন্তু রাজনীতি মানে যে উচ্চতর হৃদয়বৃত্তি মানুষের কাছে তা যেন অতিকথেনর মত শোনায়। যাই হোক এর মধ্যেও মানুষের সংগ্রাম থেমে খাকে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চলতেই থাকবে শেষ পর্যন্ত। আর এ লড়াই যারা কবেন তাদের চরিত্রও উন্নত হবে নিশ্চয়ই। এমনি এক নেতার বক্তব্য সবার সঙ্গে শেয়ার করছি সবার সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
(গত ৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত বাসদ সমর্থক ফোরামের একাদশ বার্ষিক মিলনমেলায় দলের আহ্বায়ক কমরেড খালেকুজ্জামানের প্রদত্ত বক্তব্য)
পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রদ্ধেয় নেতৃবৃন্দ, সমর্থক ফোরামের সদস্যবৃন্দ, শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী, পৌঢ়, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সমবেত সর্ববয়সের বাসদ পরিবারের ভাই বোন, সুহৃদ, অভিভাবক, সম্মানিত অতিথিবৃন্দ, কমরেড ও বন্ধুগণ।
এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কালো ছায়া পেছনে ফেলে নতুন জীবনের আলো ফুটিয়ে যারা হৃদয়ের টানে প্রাণের মেলায় মিলিত হয়েছেন, সবাইকে সমর্থক ফোরাম ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির পড়্গ থেকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন ও রক্তিম শুভেচ্ছা।
এটা আমাদের একাদশ মিলনমেলা। গত বছর ১৪ মার্চ দশম মিলনমেলায় শোভিত সৌহার্দবন্ধনে আমরা মিলেছিলাম। আজও সারা দিনমান আমাদের সকলের প্রাণবন্ত উপস্থিতি একটি ছবি এঁকে যাবে - গুণে মানে যার চিত্র এ সমাজের অন্যত্র দুর্লভ। কারণ আমরা যে সমাজের স্বপ্ন দেখি বিজলি চমকে উদ্ভাসিত ড়্গণিকের দেখা ভুবনদৃশ্যের মতো এখানে তার প্রতিচ্ছবি আমাদের আবেগে অনুভবে প্রতিবারই গভীর ছাপ ফেলে যায়। তাই এ মেলার আকর্ষণ, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ও আমাদের প্রেরণা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।
গতবার তেরশত জন রেজিস্ট্রেশন করার পর অনুষ্ঠানের দিন আরও তিনশত যোগ হয়ে ১৬শ’ জনের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। এবার তা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এখানে কর্মক্লানিত্ম, একঘেয়েমি, আর অবড়্গয়ী সমাজের জীবনযন্ত্রণা থেকে কিছুটা হলেও আমরা যেন স্বসিত্ম খুঁজে পাই। এটা আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামকে ঘিরে জীবনের সর্বক্ষেত্র ব্যাপী সংগ্রামের একটি বিশেষ অর্জন।
শ্রদ্ধেয় সুধী, আজ এখানে আমাদের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের বাইরেও কিছু সম্মানিত অতিথি রয়েছেন। প্রতিবারেই সত্য, সুন্দর জীবন প্রত্যাশী, শোষণমুক্ত সভ্যতা নির্মাণের রাজনৈতিক শক্তি সম্ভাবনার অনুসন্ধানী কিছু মানুষ আসেন যারা তাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি, সমালোচনা, পরামর্শ ও শুভকামনা ছড়িয়ে দিয়ে আমাদেরকে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে চলতে অনুপ্রাণিত করে যান। আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কষ্ট স্বীকার করে এবং মূল্যবান সময় অপচয় করে আমাদের সাথী হওয়া এই সকল অতিথিবৃন্দকে এ মিলনমেলার পড়্গ থেকে এবং পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সংগ্রামী বন্ধুগণ, এক সাগর রক্ত ঢেলে হিমালয়-চূড়া ছাড়িয়ে অবারিত দিগন্তে আশা জাগিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। সমগ্র জাতি যখন অসীম শোকের অপার শক্তিতে বিজয় উলস্নাসে মাতোয়ারা হয়েছিল, ঠিক একই সময়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিজয়মালা আমাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। তারপর আমরা দেখলাম রক্তের দাগ না শুকাতেই স্বাধীন দেশে জনগণের স্বার্থ এবং আকাঙ্খার বিপরীতে শাসন-প্রশাসন কাঠামো দাঁড়িয়ে গেল। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা ও চেতনা এক এক করে মুখ থুবড়ে পড়তে শুরু করলো। আমাদের স্বপ্ন পরিণত হলো দুঃস্বপ্নে। সূর্যোদয় হতে না হতেই ঘন কৃষ্ণ মেঘ আকাশ ছেয়ে ফেললো। তারপর থেকে কখন দিন আর কখন রাত এ পার্থক্য বোঝার উপায় রইলো না। কৃষক হারালো জমি, শ্রমিক হারালো কাজ ও কমলো মজুরি, লক্ষ্-কোটি হাত হয়ে থাকলো কর্মহীন, জাতীয় সম্পদ জনগণের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের উপায় না হয়ে হয়ে গেল লুটপাট ও পাচার সামগ্রী। ৬ কোটি মানুষকে নিঃস্ব করে, ২ কোটি মানুষকে ছিন্নমূল বানিয়ে, ৯৫ ভাগ মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়ে ৩০ হাজার কোটিপতি আর ৩৬ পরিবার এখন বাংলাদেশের অধিপতি। এদের গড়ে তুলতে এবং স্বার্থ রক্ষা করতেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আশির্বাদ নিয়ে পুঁজিবাদের পথে দেশকে পরিচালিত করা
হলো। এখানে বলে রাখা ভালো, আজ থেকে ১৬০ বছর আগে মনীষী কার্ল মার্কস দেখিয়েছিলেন, সপ্তদশ শতাব্দির প্রতিযোগী পুঁজিবাদ কিভাবে তার প্রগতিশীল ভূমিকা হারিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দিতে এসে একচেটিয়া রূপ ধারণ করে চরম প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠেছে। এখন পুঁজিবাদ মানেই লুটেরা গোষ্ঠীর পৌষমাস, জনগণের সর্বনাশ। ৯০ বছর আগে রুশ বিপ্লবের নেতা মনীষী লেনিন দেখিয়েছিলেন কিভাবে পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদে পরিণত হয়ে পররাজ্য, সম্পদ লুট, অস্ত্রব্যবসা ও যুদ্ধের মাঝে বাঁচতে চাইছে। ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিনের যুদ্ধ, গণহত্যা ও উচ্ছেদ অভিযানসহ বিশ্বব্যাপী নজরদারী আর লুটপাটের প্রকাশ্য এবং গোপন চাপ-চুক্তি ইত্যাদি তার সাক্ষ্য বহন করে। আমাদের মতো অনুনড়বত পশ্চাদপদ পুঁজিবাদী দেশের বুর্জোয়ারা সাম্রাজ্যবাদের বাসদ সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের একাদশ বার্ষিক মিলনমেলায় উপস্থিত বিশাল জমায়েতের একাংশ সাথে হাত মিলিয়ে নতজানু হয়ে একদিকে পালাক্রমে জনগণের অধিকার হরণ, শোষণ-নির্যাতন, দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, অন্যদিকে নিজেদের মধ্যে হানাহানি, সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত থেকে গ্রাস রক্ত ঝরাচ্ছে কিংবা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে চলেছে। এরা দুর্নীতি-দুবৃর্ত্তায়নের পথে নিজেদের বিত্তপ্রতিপত্তি গড়ার পাশাপাশি দেশী-বিদেশী লুটেরাদের ভাগ্য নির্মাণ করে চলেছে। যার ফলে একদিকে শোষিত মেহনতি মানুষের হৃদয়ে চলছে অবিরাম রক্তক্ষরণ; অন্যদিকে সন্ত্রাস, হত্যা, খুন একের পর এক বীভৎস রূপে আত্মপ্রকাশ করছে। গত ২৫ ফেব্রম্নয়ারি ঘটে যাওয়া বিডিআর বিদ্রোহের মাঝে ষড়যন্ত্রের কালো হাত বর্বরতার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত রেখে গেছে। এতে সারাদেশের মানুষের সাথে আমরাও শোকাহত। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক নিহত সামরিক কর্মকর্তাসহ অসামরিক ব্যক্তিদের পরিবারে শোকের গভীর ক্ষত আর জীবিত অর্ধলক্ষাধিক বিডিআর জওয়ানদের পরিবারে উৎকণ্ঠা, অনিশ্চয়তার কালো মেঘ যেভাবে জমাট বেঁধেছে তার ফলে আরেকটি ভয়াবহ অশনি সংকেত থেকে গোটা জাতি কীভাবে মুক্ত হবে তা নিঃসংশয়ে কেউ বলতে পারছে না।
তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ কি? আমরা শুরম্ন থেকেই বলে এসেছি প্রচলিত পুঁজিবাদী আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা, বুর্জোয়া শ্রেণীশাসন, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও নীতি-আদর্শ বর্জিত বুর্জোয়া রাজনীতি ও জবাবদিহিতাহীন ঔপনিবেশিক-সামনত্মতান্ত্রিক ধাঁচের সামরিক অসামরিক প্রা-প্রতিষ্ঠান বহাল রেখে আমাদের ভবিষ্যৎ নেই। অর্থাৎ একের পর এক ঘনীভূত সংকটের মধ্যে পড়ে আমরা ধ্বংসের শেষ ধাপে উপনীত হবো। তার আর খুব বেশী বাকি নেই। যদিও বাংলাদেশের মানুষের ঘুরে দাঁড়াবার এবং ধ্বংসসত্মূপে বাসা বাঁধার ইতিহাস সু-প্রাচীন। এটাই আমাদের একমাত্র ভরসা। কিন্ত প্রচলিত ব্যবস্থা বহাল রেখে এবং শাসকশ্রেণীর উপর ভরসা করে সেই আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা যাবেনা। ৩৭ বছর যথেষ্ট সময় এ সত্য উপলব্ধির জন্য।
সংগ্রামী বন্ধুগণ, সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদ শুধু আমাদের জাতীয় সম্পদ ও গৃহ সম্পদ লুটতরাজ করেই থামেনি, তারা আমাদের মানবিক সত্ত্বার উপরও প্রচন্ড আঘাত হেনে চলেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের জীবনে সুখ এবং স্বাচ্ছন্দ্য আনার কথা। যেমন একদিন যখন সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্র ছিল তখন প্রযুক্তি বিকাশের সাথে সাথে কমরেড স্ট্যালিন শ্রমঘণ্টা ৮ থেকে ২ ঘণ্টা কমিয়ে ৬ ঘণ্টা করার প্রস্তাব করেছিলেন। কায়িক শ্রমের সময় কমিয়ে মানবিক ও সাংস্কৃতিক চেতনা ও শক্তি বিকাশের তাগিদ অনুভব করেছিলেন। মানব-সভ্যতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। গতকাল ৫ মার্চ ছিল এ মহান নেতার ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁকে স্মরণ করছি। ওই সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা আজ টিকে নেই। কিন' কেন সে ব্যবস্থা টিকলো না তা আমরা গভীরে দেখে বুঝতে চাই না। ডাক্তারি চিকিৎসায় ক্যান্সারের রোগীকে বাঁচানো গেল না বলে ঝাড়-ফুঁকের কাছে কেউ ফিরে যায় না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মধ্যেই তার সমাধান খুঁজতে হয়। আর জলে ডোবা মাছ যেমন শুকনো ডাঙায় বাঁচে না, তেমনি পুঁজিবাদী নিয়ম ও ভাবমানসের মাঝে সমাজতন্ত্রকে বাঁচানো যায় না। রাশিয়া সেজন্যই পুঁজিবাদে ফিরে এসেছে। তবে তা বিশ্বের দরবারে দুই ব্যবস্থার পার্থক্যকেও দিনের আলোর মতো স্পষ্ট তুলে ধরেছে। সমাজতন্ত্র যখন ছিল, তখন মানবসভ্যতার কলঙ্ক ভিক্ষাবৃত্তি, পতিতাবৃত্তি, বেকারত্ব ইত্যাদি মুছে গিয়েছিল। আজ পুঁজিবাদ এগুলোকে সাথে নিয়েই রাশিয়ায় ফিরে এসেছে। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র সব আমেরিকানদের শিক্ষা, চিকিৎসা, কাজ, ঘর দিতে পারে না। ১৭/১৮ বছরের ছেলেদের আমরা ইরাক, আফগানিস্তানের যুদ্ধময়দানে দেখতে পাই। এ বয়সে তো পড়াশুনা করার কথা। দারিদ্র্য কঠিনভাবে আঘাত না করলে লেখাপড়া ছেড়ে এই তরম্নণ বয়সে কেউ কি মৃত্যুর মুখে অগ্রসর হয়? তাও আবার অন্যায় যুদ্ধ করার জন্য? আর অন্যদিকে আমেরিকার কোলে খুবই নগণ্য সম্পদ নিয়ে সমাজতান্ত্রিক কিউবা সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে। তাইতো পুরো ল্যাটিন আমেরিকা জুড়ে আবার সমাজতন্ত্রের উচ্চকিত আওয়াজ উঠেছে যার প্রতিধ্বনি আমরা দূর প্রান্ত দক্ষিণ এশিয়ায় বসেও শুনতে পাই। ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়ার শাসকরা এটা বুঝেছেন যে দেশের উন্নতি, মানুষের সত্যিকার কল্যাণ, জাতীয় সম্পদ রক্ষা, সার্বভৌমত্ব ও আত্মমর্যাদা সংরক্ষণ, শান্তি-প্রীতি ও উন্নত সংস্কৃতির বন্ধন কোনটাই প্রতিষ্ঠা করা যাবেনা দেশের অভ্যন্তরে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করা ছাড়া। একদিন বুর্জোয়াশ্রেণী রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করেছিল। এখন সে কাজটাও বুর্জোয়াদের দ্বারা সম্ভব নয়। নেপাল তার একটা জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত, আমাদের পাশেই তা রয়েছে।
আজ এখানে যে শিশুরা এসেছে এরা যেভাবে বেড়ে উঠছে তাতে কি একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসাবে বিকশিত হতে পারবে? এ সমাজে সে ব্যবস্থা তো নেই, এমনকি সে চেতনাও নেই। আমরা আদিম যুগে বাস করি না। সভ্যতা বিকাশের পথে নব নব বস'সামগ্রী - খাদ্য, পোষাক, ঔষধ, নির্মাণ সামগ্রীসহ বহুবিদ উৎপাদন - যেমন আমরা আয়ত্ত করেছি তেমনি ইতিহাস, দর্শন, বিজ্ঞান, সাহিত্য, সঙ্গীত, নাটক, সিনেমা, চিত্রকলা, ভাস্কর্য, নৃত্যকলাসহ বহু মঞ্চে উপবিষ্ট বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ভাবগত সাংস্কৃতিক উপাদানও সৃষ্টি করেই আমরা বর্তমান সভ্যতার এই লগেড়ব এসে দাঁড়িয়েছি। এখন যদি আমাদের পূর্ণাঙ্গ মানবিক অসিত্মত্ব রক্ষা করতে হয় এবং সামনে এগিয়ে যেতে হয় তাহলে প্রমে দরকার অতীত অর্জনকে ধারণ করা এবং সৃষ্টিশীলতার মধ্যে তাকে বিকশিত করে তোলা। কিন্তু স্কুলে গান, নাচ, ছবি আঁকা, শরীর চর্চা, সাঁতার কাটা, খেলাধুলাসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখাকে জীবনের সাথে নিবিষ্ট করে সুস্থ-সবল দেহ ও উন্নত সাংস্কৃতিক মানবিক মনন গড়ে তোলার কোনো ব্যবস্থা কিংবা আয়োজন নেই বললেই চলে। সামাজিক পরিবেশে তা থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আকরিক লোহাকে অতি উত্তাপে ঢালাই ছাঁচে ফেলে লোহার রড তৈরির মতো করে কি মানুষ তৈরি চলে? কিন্তু তাই চলছে এ সমাজে। পড়া মুখস্ত করা আর কোচিং করে পাস করার বাইরে যেন আর কিছুই নেই।
ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনে যেভাবে শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে কি নীতি-আদর্শমূলক শিক্ষণীয় কোনো কিছু শিশুরা শিখতে পাচ্ছে? ক্ষুধার খাদ্যে যেমন মেলামইন বিষ তেমনি মানসিক খোরাকেও বিষ ঢালা হচ্ছে প্রতিদিন। আমরা এ বোধ সমাজে সঞ্চারিত করার চেষ্টা যেমন করছি তেমনি দলীয় পরিবেশে যথাসম্ভব সীমিত আয়োজন অনুষ্ঠানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিশু-কিশোর মেলার মাধ্যমে দিনে দিনে আমাদের সাধ্য সামর্থকে আরও বাড়াবার চেষ্টা করবো। আপনাদের বিগত দিনের পরামর্শগুলো আমাদের চিন্তায় রয়েছে এবং আমরা কিছুটা এগোবারও চেষ্টা করছি। দলের শক্তি বৃদ্ধি এবং আপনাদের আরও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে আমরা অগ্রসর হতে পারবো। তবে সত্যিকার পূর্ণ আয়োজন সম্পনড়ব করতে হলে সমাজ বিপস্নব সম্পনড়ব করা ছাড়া পারা যাবেনা, তা আপনারা মানেন। সে চেষ্টাও আমরা অবিরাম করে চলেছি এবং তার স্বীকৃতিও আমরা পাচ্ছি বিভিনড়ব মহল থেকে। আজকের এ অনুষ্ঠানও তার স্বাড়্গর বহন করে। যদিও এখনও আমাদের দুর্বলতা ঘাটতি অনেক। প্রয়োজনের এবং সময়ের চাহিদা আমরা পূরণ করে চলতে পারছিনা। তবে ভরসা এই যে আমরা সবাই পরস্পরের হাতে হাত ধরে সাধ্যের সীমানা ছোঁয়া চেষ্টায় এ পরিসি'তি মোকাবেলার সংকল্প করছি। কারণ আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই যদি বড় ধরনের কোন ভুল বা বিচ্যুতির মধ্যে বামপন্থী আন্দোলন না পড়ে তাহলে বুর্জোয়াদের বিপরীতে বুর্জোয়া - এই সমীকরণ বদলে গিয়ে বুর্জোয়া বনাম বাম বিপ্লবী শক্তি - এই বিভাজনে দুই শ্রেণী দুই মেরুতে অবস্থান গ্রহণ করবে। তখনই বিপস্নবের কার্যকর সম্ভাবনা রাজনীতির আকাশে ধ্রুবতারার মতো জ্বলে উঠবে।
তরুণ-যুবকদের অবস্থা কি? জীবনবিমুখতা, হতাশা, উচ্ছৃঙ্খলতা, ভোগবাদী উন্মাদনা, অপঃসংস্কৃতি আর নেশায় তছনছ হয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ তরুণযুবে কর জীবন। কিশোরী-তরম্নণীরা হিংস্র জন' পরিবেষ্টিত জঙ্গলভীতির চেয়েও অধিক ভীতিকর যন্ত্রণাদায়ক পরিবেশকে নিয়তি বলে মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে কিংবা আত্মহননের পথে পা বাড়াচ্ছে। অর্থনৈতিক গভীর সংকট মনোজগতে যে অসি'রতার জন্ম দিয়েছে তাতে পেটের ক্ষুধা ও ভোগের চাহিদা যত বাড়ছে সহিংস মনোবিকার ও মনোবৃত্তি যেন সমানতালে বেড়ে চলেছে। পুলিশ-মিলিটারী, বন্ধুক-কামান দিয়ে কি এর মোকাবেলা সম্ভব? আমরা তা মনে করিনা। একটা শক্তিশালী সাংস্কৃতিক আন্দোলন দরকার। নীতিনিষ্ঠ আদর্শবাদী বিপস্নবী রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ দরকার। আপনাদের আরও সক্রিয় সমর্থন-সহযোগিতা ছাড়া আমরা একাজে সফল হতে পারবোনা। আমাদের মতো অনুন্নত পুঁজিবাদী দেশে কায়িক শ্রমজীবীদের বিপস্নবী শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলার অন্যতম শর্ত মানসিক শ্রমজীবী তথা প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের নানা ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আসা। আমরা সে আবেদনও আপনাদের কাছে রাখছি।
বামপন্থার আজকের দুর্বল অবস্থানের কারণ অতীত বহু বিচ্যুতি-ভ্রান্তির পাশাপাশি সাম্প্রতিক কালের আত্মঘাতি পদক্ষেপের মাঝে নিহিত। আমরা তার জন্য দায়ী না হলেও তার দায় এড়াতে পারিনা। নির্মাণের কষ্টসাধ্য কাজের পাশাপাশি অতীতের সেই বোঝা বহন করে চলতে হচ্ছে বলে আমরা সময়ের অনেক কাজ সুসম্পন্ন করে উঠতে পারিনি। তবে নির্দিষ্টভাবে আমাদের অবস্থান এবং অন্যদের সাথে আমাদের পার্থক্য যত পরিষ্কার করতে পারবো, ততোই আমাদের চলার গতি ও কাজের অগ্রগতি সাধিত হবে বলে আমরা আশা করি। আমরা বিশ্বাস করি বিপস্নব করে জনগণ, পরিচালনা করে পার্টি। সমাজের শোষিত অংশের প্রত্যেকটি মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ, সক্রি-আধাসক্রিয়, নানামুখী বিপ্লবী অবদানের যতক্ষণ সংযোগ না তৈরি হবে ততক্ষণ বিপ্লবী অভ্যুত্থান দুঃসাধ্য হবে। সঙ্গীত পরিবেশন করছে শিশু কিশোর মেলার সদস্যরা আমাদের সমর্থকেরা অতীতে বহু সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে যে ভূমিকা পালন করেছেন তাও একটা অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। প্রবল স্রোতের বিরম্নদ্ধে দাঁড়িয়ে আমাদের সমর্থক কমরেডরা দলের ঝান্ডা উঁচিয়ে ধরে ছিলেন। অনেক এলাকায় শুধু সংগঠনের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে বেশ কয়েকজন সমর্থক নিজের অর্থ এবং সময় ব্যবহার করে, ব্যবসায়-চাকুরীর ক্ষতি করেও নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। নির্বাচনে জিতবেন না শুধু নয় এমনকি জামানতের দশ হাজার টাকাও ফেরৎ পাবেননা জেনে শুনে তারা এ দায়িত্ব পালন করেছেন। একদিন হয়তো বহু স্থানে দলের জেতার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে, তখন আমাদের এ সকল কমরেডরা দল না বললে নমিনেশন চাইতে আসবে না। এটা একটা সংস্কৃতি। দুঃসময়ের বোঝা বয়ে যাবো, সুসময়ের ফল ভোগ করতে আসবো না - এই মানসিক জমি তৈরি করতে না পারলে সমাজতন্ত্র আসবে না, আসলেও টিকবে না।
আজ ঘরে বাইরে সর্বত্র অশান্তির আগুন লেগে আছে। পুঁজিবাদ অবক্ষয়ী এবং ক্ষয়িষ্ণু হওয়ার কারণে তার কোষ বা ইউনিট হিসাবে পরিবারগুলো সুস্থ থাকতে পারছে না। একদিন সামনত্ম একানড়ববর্তী পরিবারের জরাগ্রসত্ম ভাঙন-দশা থেকে মুক্ত করে গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের ভিতের উপর বুর্জোয়ারা পারিবারিক বন্ধন নির্মাণ করেছিল। আপেড়্গিক অর্থে হলেও সেদিনের পরিবারগুলোর সদস্যদের মধ্যে ভারসাম্য মূলক শ্রদ্ধা, ভালবাসা, দায়িত্ব-কর্তব্যের এক গতিময়তা ও সৌন্দর্য প্রকাশিত ছিল। আজ তাতে ভাঙন এসেছে। আজ আবার সাম্য-চেতনায় পরিবারের সকল সদস্যদের নব-বন্ধন তৈরি করতে না পারলে স্বসিত্ম আসবেনা। আর্থিক সমস্যার সমাধান হয়তো এতে মিলবে না কিন' উনড়বতি-অবনতির পুঁজিবাদী কার্যকারণ ধরতে পারলে মানসিক ভোগান্তির তীব্রতা কমে আসবে। তাছাড়া বিপ্লবী সংগ্রাম ও শিক্ষায় ছেলে-মেয়েদেরকে প্রকৃত মানুষ হতে দেখলে এই দুর্যোগের কালে বাবা-মায়েদের একটা সান্তনা হলেও মিলবে। সেজন্যই আমরা অভিবাবকদের এখানে আসতে বলি। ইতোমধ্যে আমরা ক্ষুদ্র স্বার্থ-কেন্দ্রিক পরিবারের গন্ডি কাটিয়ে বৃহত্তর বাসদ পরিবারের এক ক্ষেত্র গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সমর্থক ফোরাম গঠনের এটাও একটা উদ্দেশ্য ছিল।
আপনারা অবগত রয়েছেন যে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট তার রজতজয়ন্তী বর্ষের সফল সূচনার মধ্য দিয়ে ছাত্রসমাজের সামনে এক নতুন আশা জাগিয়ে তুলতে সড়্গম হয়েছে। ২০১০ সালে রজতজয়ন্তীর সমাপনীতে ২০ সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীর সমাবেশ ঘটিয়ে ছাত্রআন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণের ডাক দিয়ে ছাত্রআন্দোলনের অতীত ঐতিহ্য ও গৌরব ফিরিয়ে আনতে সড়্গম হবে বলে আমরা মনে করি। এ বছরের শেষ দিকে পার্টির কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের বর্ধিত ফোরাম সদস্যদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অনত্মর্ভুক্ত করে বামপন্থী আন্দোলনে গতিসঞ্চার ও বাম ধারায় প্রাধান্য বিস্তারের আস্থা বামমহলে তৈরি করতে সক্ষম হবো বলে আমরা বিশ্বাস করি।
গতবার আমাদের এই মিলনমেলায় খাবারের আর্থিক দায়িত্ব একজন সমর্থক নিয়েছিলেন। এবারও রেজিস্ট্রেশনের টাকা পার্টি ফান্ডে জমা করার স্বার্থে তিনি খাবারসহ একটা বড় অংশের আর্থিক দায়-দায়িত্ব নিয়েছেন। এখানে দেখবেন এর বিনিময়ে পার্টির কাছে তার কিছু চাওয়ার নেই। সার্বিক ব্যবস'াপনার সর্বোচ্চ মনযোগী অংশগ্রহণ তার থাকলেও খবরদারির কোনো মনোবৃত্তি নেই। গত দুই বছর গণচাঁদা সংগ্রহ করার ড়্গেত্রে জরম্নরি অবস্থা একটা বড় বাধা ছিল। আপনাদের সহায়তায় পার্টির কার্যক্রম পরিচালনায় তেমন কোনো সংকটে আমাদের পড়তে হয়নি। এবারের নির্বাচনে এক ভোট এক নোট আন্দোলনেও আমরা সাফল্য অর্জন করেছি। ৫৭টি এলাকার নির্বাচনের প্রায় পুরো খরচ জনগণের কাছ থেকে আমরা সংগ্রহ করেছি। এটা জনতার শক্তি, সমাজতন্ত্রের শক্তি, নীতি-আদর্শের শক্তি। এ শক্তি তিলে তিলে অর্জন করে করে এগোতে না পারলে ড়্গমতা দখল করতে পারলেও সাম্রাজ্যবাদের কাছে হাত পাতা ছাড়া জনগণের শক্তি সামর্থের ওপর ভর করে স্বাধীন জাতীয় অর্থনীতির ভিত রচনা করা যাবে না। কারণ বিপস্নব শুধু হঠাৎ কোনো এক চরম মুহূর্তের ক্ষমতা দখল নয়, সাম্যবাদ-কে সামনে রেখে সেই লক্ষ্যে পৌঁছার ক্ষুদ্র বৃহৎ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আদর্শগত, সাংস্কৃতিক আন্দোলনসহ শোষিত শ্রেণীসমূহের সংগ্রামী ঐক্য গঠনের এক নিরবচ্ছিনড়ব প্রয়াস প্রচেষ্টা। কেউ মনে করতে পারেন তাহলে তো একশত বছরেও বিপস্নব হবে না। তারা বুঝতে চান না যে কোনো সম্পূর্ণ নতুন অথচ কীর্তিমান বড় কাজের সূচনাপর্ব ভাঙা- গড়ার বহু জটিল আয়োজনের দীর্ঘ প্রলম্বিত সময়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলতে চলতেই একসময় লাফিয়ে লাফিয়ে অগ্রসর হয়। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, “শত বর্ষ ধরে, একটি পুষ্পের কলি ফোটাবার তরে চলে ধীর আয়োজন।” আমরা অনেক পুরোনো জঞ্জাল পরিচ্ছনড়ব করেছি, বাধার বহু বিন্ধ্যাচল অতিক্রম করেছি। এখনো অনেক দূর যেতে হবে। আগামী ২০/৩০ বছরের মধ্যে সারা পৃথিবীর বহু স্থানে আবার লাল ঝান্ডা উড্ডীন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা
দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী নবযাত্রার সেই দিনে যেন আমরা সামনের কাতারে দাঁড়াতে পারি সেই আহ্বান রাখছি। আমাদের রাজনৈতিক আলোচনার জন্য পরবর্তী সমর্থক ফোরামের বৈঠক এবং সুধীজনদের জন্য বিশেষ আলোচনার ইচ্ছা রইলো। আপনারা এই ফোরাম এবং ফোরামের উনড়বতি সাধন, মিলনমেলা ও শিশু-কিশোরদের সহযোগিতা করবেন। আপনাদের সকলের বিজ্ঞ মতামত শোনার জন্য সময় হয়তো আমরা পাবো না, সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনাদের সুশৃঙ্খল অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য আবারও ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি। আমরা আবার মিলবো নতুন শক্তিতে, নব প্রত্যাশায়।
জয় সমাজতন্ত্র! জয় সর্বহারা!
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:১৯
দ্বিজু বলেছেন: শিরনামেই মাইর খাইছেন
১০ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১০
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন: কেমনে.............?
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:০৯
মিতামারিয়া বলেছেন: এগুলো শুধুই বক্তব্য
০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৪৭
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
ভাল বুঝলাম না। একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ....................
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৫৭
ইমন সরওয়ার বলেছেন: বক্তৃতার সাথে পতাকাটার সংযোগ কি?
দীর্ঘবক্তৃতা খুবই ক্লান্তিকর।
এসব কাজে পরিণত করে দেখাতে হয়, কথায় নয়।
ব্যক্তিবিশেষের চরিত্র নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না, অধিকাংশের জায়গায় বিশেষণের কতটা মূল্য?
'জয় হোক মেহনতি মানুষের' এই শ্লোগানটিও এখন শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আসলে রাজনীতিকে শ্লোগান থেকে সরে এসে চর্চা করতে হবে, এই আমার ধারণা।
তবু পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
মঙ্গলময় থাকুন।
০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫১
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন:
বক্তৃতার সঙ্গে পতাকা সম্পর্ক হচ্ছে এই যে তা উভয়ই শোষণ মক্তির সংগ্রামেরত।
আপনাকে বক্তব্যটি ভাল করে পড়ার অনুরোধ করিছ। আপনি মনেহয় না পড়েই মন্তব্য করেছেন গতানুগতিকভাবে। এটাই হচ্ছে অন্যত একটি সমস্যা। নতুন কোন চিন্তা করার বা গ্রহন করার মানিসকতার অভাব প্রচন্ড। আপিন যা বলেছেন তার সকল জবাব এই বক্তব্যতেই আছে। আগে ভাল করে পড়ুন ..............................
৫| ১০ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: নেতাদের বক্তব্য(বানী)তো অমনই আকর্ষনীয় হয়। কিন্তু বাস্তবতা অনেক ভিন্নতর!
১১ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:১৯
নতুনের পথে অনন্ত যাত্রা বলেছেন: আপনার কথার সঙ্গে একমত হতে না পারায় দুঃখিত। প্রতিটা বিষয়ের দুটি রূপ আছে- অভ্যন্তরীন আর বাহ্যিক। অভ্যন্তরীনটাই মুখ্য। মানুষের ভিতরের সৌন্দর্য যদি না থাকে তার বাহির টাও সুন্দর হয়না। বাহিরটা যতই প্রলেপ দিয়ে সুন্দর করার বৃথা চেষ্টা করা হোকনা কেন তার কদর্য রূপ আচরেনর মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হবেই। তেমনি একটা পার্টির ক্ষেত্রেও তাই। তার অভ্যন্তন্তরীন সৌন্দর্য বা শৃঙ্খলা না থাকলে নেতার চরিত্রও উন্নত হবে না, সে যতই ভান করুক না কেন। কারণ নেতৃত্বের মাধমেই তার সর্বোচ্চ নীতি আদর্শের প্রতিফলন ঘটে। কিন্ত এ পার্থক্যও আবার হঠাৎ করে সবার দৃষ্টিগোচর হবে না যদি বিচারের দৃষ্টি ভঙ্গী সঠিক না হয়। আবার তাও বোঝা যাবে যদি দীর্ঘ দিনের পর্যবেক্ষণ থাকে। তাই সব কিছুকে গড্ডালিকা প্রবাহে বিচার না করে পর্যবেক্ষণ করতে থাকুন তাহলে অবশ্যই সত্য মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে পারবেন। আবেগ বা পূর্বের কোন মনগড়া ধরনা নয় সব কিছুকে বিচার করতে শিখুন যুক্তির মাধ্যমে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:৩২
*পাগলা জগাই* বলেছেন: বক্তৃতাটা ভালো লাগল, আশা জাগানিয়া কথা। আসলেই রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ ছাড়া বাংলাদেশের সামনে আর কোন উপায় নেই।