দায়বদ্ধতা

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

সমাজের কিছু গোরামি তে হাত দিলে নিজেকে বিচ্ছিন্ন হতে হবে সমাজ থেকে, এটা সমাজের ই শিক্ষা।কেমন চলছে আমাদের সমাজ সেটা আপনি রন্ধে রন্ধে বুঝতে পারবেন নিজের গ্রামে গেলেই।যৌতুক প্রথা, এমনকি বাল্যবিবাহ অহরহ ঘটছে আমাদের সমাজে। আগে যেটা চিল্লানি দিয়ে করা হতো সেটি এখন হচ্ছে চুপি চুপি।চুপি চুপি করলেই কি আর অপরাধ টাকে মিনিমাইজ করা যাবে!আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, গত এক বছরে আমার ছোট্ট এলাকায় মিনিমাম ১০ টা বাল্যবিবাহ হয়েছে আর যৌতুক ছাড়া কোন ছেলে বা মেয়ের বিয়ে ই হয় নি।যাদের বিয়ে হয়েছে, সবার বয়স ১৪-১৬ এর মধ্যে, গরুর মত ছেলে -মেয়ে কেনা বেচা হয়েছে যাদের দর মিনিমাম ২ লক্ষ টাকা। কিন্তু এগুলো আমরা কিছুই জেনেও জানি না,কেননা একটি মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়া মানে একটি পরিবার নিজেদের বোঝা কে সম্মানের সাথে বিদায় করে নিজেদের হাত ধুয়ে মুছে ফেলেছে আর ছেলের পরিবার ছোটো মেয়েদের বিয়ে করিয়ে এনে যেন পবিত্রতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছে। আর এখনকার দিনের যৌতুক প্রথাটা একটা প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাড়িয়েছে।কার ছেলে কত বেশি যৌতুক পেলো, তার ছেলের ডিমান্ড ততো বেশি!আমাদের উচ্চ শিক্ষিত ছেলেরা সব ই বুঝে কিন্তু কিছুই যেন বোঝেনা এমন করে নিজেদের পরিবারের ঝগড়া এড়ানোর চেষ্টায় রত।Ultimately ঝগড়াটা হচ্ছে সেটা বিয়ের পরে যখন টাকা দিয়ে কেনা গরু কথা শুনতে রাজি নয় ঠিক তখননি।
এগুলো আমাদের সমাজের অস্তিত্তের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে রয়েছে । সমাজের প্রতিটি মানুষ শান্তিতে বাঁচতে চায় কিন্তু তারা শান্তিতে বাচার মত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উপহার দিতে পারছে না সমাজকে, তবে মিছেমিছি কেনই বা শান্তি খোঁজা !!!!!
বিদ্র ঃ আমি নিজেও এর আওতামুক্ত নই কিন্তু থাকতে চাই

০ টি +০/-০