মাতাল

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৩:১৮

হ্যারে মুস্তাক।

প্রথমে আমি খালী বোতল ছিলাম। যাকে কেবল মাত্র ভাঙ্গারির দোকানেই বিক্রি করা যেত। তুই আমার ভিতর ওয়াইন ঢেলে, বেঁচে থাকার আশাটা হাজার গুন বাড়িয়ে দিলি। তুই ত মহান রে, তোর মন সাগরের মত বিশাল।

-- চুপ কর! বাজে বকিস না। ড্রিংকস করতে এসেছিস, ড্রিংকস কর। এর তোকে জন্য বাহানা খুজতে হবে না। এ এ ১ মিনিট, পরে ত আবার কোন হাঙ্গামা করবি না?

এ এ তুই আমাকে ড্রিংকস করাবি, আর পরে আমার ইজ্জতের পাঞ্চার করবি অ্যা?

--থাম, থাম তোরা গলা পর্যন্ত ড্রিংকস করিস আর মাতাল হয়ে রাস্তায় পরে থাকিস। আর ফাঁক পেলেই সখিনার উরনা ধরে টানটানি করিস।

এই, এই তোরা মনে হয় জানা নেই, আমরা ড্রিংকস করার পর খুশি হয়ে যাই, চাঁদ-তারাদের কাছে পৌঁছে যাই। বেস্তের ফুল বাগানে ঘুরে বেরাই। শত শত হুর পরি আমাদের সাথে খেলা করে।

--হুম আর বকবক করে পাড়ার লোকের ঘুম নষ্ট করিস।

আরে কি বলিস? এ বকবক নয় রে, এ হচ্ছে সেই সব কথা যা মনের মধ্যে কেবল ঘুরপাক খায়। মদের নেশায় বাইরে আসে। চারদিকে করাপশন, সাস্পেন্স আর সাস্পেন্স। কিছুটা সময়ের জন্য এসব থেকে বাহিরে চলে যাওয়া যায়। তুমি কি বুঝবে হে?

--আরে রাখ যা মনে আসে তাই বলিস না? মাতাল লোক সবসময় সমস্যা সৃষ্টি করে।

মাতল লোকের সমন্ধে তুই কি জানিস হে? বিয়ে বাড়িতে একটু করে মারামারি করতে হয়, তবেই ওই বিয়েতে মজা হয়। ওই মারামারি কে জানিস মাতাল লোক।

জানিস সিনেমা হলে সিটি মারে কে এই মাতাল লোক।
আর মনে রাখিস যেখানে কোন মাতাল লোক নেই, আর পানির কলশিতে এলকোহল নে.............

--ব্যাস, থাম তুই ত শালা ড্রিংকস না করেই বকে যাচ্ছিস।
হ্যা হ্যা আমি এইভাবেই বলি, তুমি অন্য সব কিছু বল আমি সহ্য করব, কিন্তু মাতাল লোকের সম্পর্কে কোন কথা বলবি না। তুমি কে হে মাতাল লোকদের খারাপ বল, কোন দিন কি ড্রিংকস করে দেখেছ? ড্রিংকস করে দেখ, ড্রিংকস করার পর তুমি সজ্ঞে গিয়ে পরবে।

২ টি +০/-০