![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যতদিন লেখাপড়ার প্রতি আকর্ষণ থাকে, ততদিন মানুষ জ্ঞানী থাকে, আর যখনই তার ধারণা জম্মে যে সে জ্ঞানী হয়ে গেছে, তখনই মূর্খতা তাকে ঘিরে ধরে।- সক্রেটিস
পতিত স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ । সাধারণ মানুষের কাছে তিনি –বিশ্ব বেহায়া,দুর্নীতিবাজ,ব্যক্তিত্বহীন মানুষ হিশেবে পরিচিত । আর রাজনীতির মাঠে তিনি জাতীয় বেঈমান । তিনি সকালে এক কথা বলেন আর বিকালে আরেক কথা । তারপরও নির্বাচন আসলে বিএনপি-আওয়ামীলীগের কাছে ব্যক্তিত্বহীন এই মানুষটি এবং তার দলের অনেক কদর । অথচ এক সময় বিএনপির প্রতিষ্টাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যাকারী হিশেবে তাকে দোষারপ করা হত কারণ সেই সময় তিনি সেনা বাহিনীর প্রধান ছিলেন । এখন বিএনপি ভুলে গেছে তার প্রতিষ্টাতার হত্যাকারীর কথা ! ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা এরশাদের সাথে হাত মিলাতে প্রস্তুত!! আর আওয়ামীলীগ !! ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে জনসভায় পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন স্বৈরশাসক এরশাদ । ঐদিন নেতা কর্মীদের জীবনের বিনিময়ে শেখ হাসিনার জীবন রক্ষা হয় । নিহত হন ২৪ জন নিরহ আওয়ামী নেতা কর্মী । আজ এরশাদ-হাসিনা সম্পর্কে ভাই বোন !!! আজব এই বাংলাদেশ ! আজব এই বাংলাদেশের রাজনীতি ।
মিথ্যাবাদী লুচ্ছা এরশাদকে নিয়ে একটা গল্প বলি-
এরশাদ কাকু একবার তার দলবল নিয়ে প্রমোদ ভ্রমনে হেলিকপ্টার চড়ে দূরে কোথাও যাচ্ছিলেন। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় হেলিকপ্টার বিধ্বস্থ হলো। এই খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হলো ঐ এলাকায় । অনেক ঝামেলা করে কয়েকঘন্টা পর উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছে দেখল ঐ এলাকার পাহাড়ি গ্রামের লোকজন হেলিকপ্টার বিদ্ধস্থ সবাইকে কবর দিয়ে ফেলেছে।
উদ্ধারকারী দলের নেতা বললেন, 'বাহ, আপনারা অবশ্যই ভালো কাজ করেছেন। আচ্ছা, নেতারা কি সবাই সঙ্গে সঙ্গেই মারা গিয়েছিলেন নাকি কয়েকজন আহত ছিলেন, পরে মারা গেলেন?' গ্রামপ্রধান হেসে বললেন, ' সবাইই মারা গেছিলেন স্যার । অবশ্য এরশাদ সাহেব কবরে ঢুকানোর সময়ও কইতেছিলেন যে উনি বাঁইচা আছেন-তয় আমরা তো জানিই এই এরশাদ সাহেব খালি মিছা কথা । মইরা গিয়াও দিব্যি কইচে বাঁইচা আছে-ওনার কথা বিশ্বাস করলে কি আর চলে? তায় কবর দিয়া দিলাম !!!
মুরালঃ মিথ্যা বলে আর যাই হোক, সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা যায়না ।
©somewhere in net ltd.