![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যতদিন লেখাপড়ার প্রতি আকর্ষণ থাকে, ততদিন মানুষ জ্ঞানী থাকে, আর যখনই তার ধারণা জম্মে যে সে জ্ঞানী হয়ে গেছে, তখনই মূর্খতা তাকে ঘিরে ধরে।- সক্রেটিস
যশোরের অভয়নগরের চাঁপাতলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর তিন ঘন্টা ধরে তান্ডব চলল বার বার চেষ্টা করেও তারা পুলিশের সহযোগিতা পেলনা । ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘটনার এক ঘণ্টা আগে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আওয়ামী লীগের নেতা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও কেউ তাদের রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। এগিয়ে আসলে হয়ত দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করা যেত । কিন্তু প্রতিরোধ করলে তো সস্তা রাজনৈতিক ফাইদা লুটা যাবেনা ! হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা মরুক তাতে কি তাদের তো রাজনীতি করার জন্য ইস্যু লাগবে ! আর মাঝকানে বলি হলেন হিন্দুদের ১১২টি পরিবার যাদের ঘর বাড়ি বলতে এখন কিছুই নেই । যদিও এই নেক্কার জনক হামলাটি ভোট কেন্দ্রিক বা নোংরা রাজনীতি জড়িত তারপর অস্বীকার করার কোন উপায় নেই হামলার সাথে যারা জড়িত তারা মুসলিম সম্প্রদায়ের, তাই একজন মুসলিম হিসাবে আমি লজ্জিত ।
আমাদের ইসলাম ধর্মে অমুসলিমদের উপর হামলা-নির্যাতনকে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে-
"কিয়ামতের দিন আমি এমন যেকারো বিরুদ্বে লড়বো,যে কোন অমুসলিমদের উপর নির্যাতন করে বা তার অধিকার ভঙ্গ করে বা তার সাধ্যের বাইরে তার উপর বোঝা চাপিয়ে দেয় বা তার ইচ্ছার বিরুদ্বে তার কোন জিনিস দখল করে।"–(আল-হাদীস,আবু দাউদ)
"যদি কোন ব্যক্তি মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে বসবাসকারী অমুসলিম নাগরিক বা মুসলিম দেশে অবস্থানকারী অমুসলিম দেশের কোনো অমুসলিম নাগরিককে হত্যা করে তবে সে জান্নাতের সুগন্ধও লাভ করতে পারবে না, যদিও জান্নাতের সুগন্ধ ৪০ বৎসরের দুরত্ব থেকে লাভকরা যায়।" ( আল-বুখারী, হাদীস ৬/২৫৩৩)
"যার হাত আর জবান থেকে মানব জাতি নিরাপদ, সেই প্রকৃত মুসলমান ।"- আল হাদিস
"শেষ জমানায় কিছু প্রতারক সৃষ্টি হবে। তারা ধর্মের নামে দুনিয়া শিকার করবে, তারা মানুষের নিকট নিজেদের সাধুতা প্রকাশ ও মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য ভেড়ার চামড়ার পোষাক পড়বে (মানুষের কল্যাণকারী সাজবে),তাদের রসনা হবে চিনির চেয়ে মিষ্টি, কিন্তু তাদের হৃদয় হবে নেকড়ের হৃদয়ের মতো হিংস্র।"-(তিরমিজী শরীফ)
যদিও যশোরের যারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের সাথে জড়িত তারা মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত কিন্তু তারা প্রকৃত মুসলিম নয় তারা বিশৃংঙ্খলাকারী শয়তান । শান্তিপ্রিয় ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসাবে আমাদের সকলের উচিত অমুসলিমদের ধর্মীয় স্থাপনা,বাড়ি-ঘর এবং তাদের জানমাল রক্ষায় এগিয়ে আসা ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
মোঃ রায়হান খান ঝুমন বলেছেন: কেউ ক্ষমতায় থাকার জন্য গুলি করে মানুষ মারে, ভুল্ডোজার দিয়ে ঘর বাড়ি গুড়িয়ে দেয়। কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পেট্রল বোমা মেরে মানুষ মারে, ঘর বাড়ি জালিয়ে দেয়। কেউ ভোট না দিলে হিন্দুদের হামলার হুমকি দেয় আবার কেউ ভোট দিলে বাড়ি ঘরে হামলা করে। এই দেশে সংখ্যাগুরু -সংখ্যালঘু কেউ নিরাপদ না।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৯
হারানোপ্রেম বলেছেন: ২০০১ সালের নির্বাচনের পর কালীগঞ্জের একটি আক্রান্ত গ্রামে গেলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধ নারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘বাবা, ভোটার তালিকা থেকে আমাদের নামটি বাদ দিয়ে দাও। তাহলে আমরা পৈতৃক ভিটেমাটিতে থাকতে পারব। না হলে প্রতিটি নির্বাচনের পর আমাদের এভাবে হামলার শিকার হতে হবে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৪
মোঃ রায়হান খান ঝুমন বলেছেন: নির্মম বাস্তবতা !
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
না প্রেমিক না বিপ্লবী বলেছেন: আমাদের অপরাধ কখনো ক্ষমার যোগ্য নয়॥
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৯
মোঃ রায়হান খান ঝুমন বলেছেন: দুর্বৃত্তদের বিচার চাই সে যে দলের হোক ।
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০২
HHH বলেছেন: যারা মনে করছেন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল "সংখ্যালঘু" দের পক্ষে কাজ করে, তাদের জন্য বলি সেই বিশেষ দলটি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করেছে। কারণ ধর্মীয় সংখ্যালঘু যারা তারা অন্ধ বিশ্বাসের দরুন একদল অসুস্থ মস্তিস্ক রাজনীতিবিদদের খেলার পুতুলে রুপান্তর হয়েছেন।
একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় কারা সংখ্যালঘু নির্যাতনে সবচেয়ে বেশি লাভবান হন।
সনাতনি সম্প্রদায়ের কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে চোখের উপর থেকে দলীয় চশমাটা খুলুন আর দেখুন আপনাদের উপরে হামলা হলে কারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়। একটি নির্দিষ্ট ইস্যু থেকে সারা দুনিয়ার দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দিয়ে সবার কারুনা পাওয়া কাদের জন্য আজকের দিনে লাভবান হতে পারে।
এটা ধর্মীয় কোন বিষয়ই না। এইসব যারা করছে তাদের কাছে নিজের ধর্ম আর নিজের সৃষ্টিকর্তার চেয়ে নিজের রাজনৈতিক দল আর নেতা অনেক বড়।
কাজেই দয়া করে ধর্মকে দোষারপ করবেন না।
যারা সত্যিকারের গণমানুষের রাজনীতি করেন তাদের আজকে দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে নিজ পাড়া-মহল্লা-জেলায় সংখ্যালঘুদের জান-মাল রক্ষার।
আর আমার মুসলিম ভাইদের বলবো, চলেন আমরা নিজ নিজ এলাকার সংখ্যালঘুদের রক্ষার দায়িত্ব নিই। কারণ তারা নির্যাতিত হলে আমাদের বদনাম হয় বেশি।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৯
মোঃ রায়হান খান ঝুমন বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন ভাই । এর সাথে ধর্মের সম্পর্ক নেই বরং নোংরা রাজনীতি জড়িত । আর আপনার সাথে সুর মিলিয়ে বলব- চলেন আমরা নিজ নিজ এলাকার সংখ্যালঘুদের রক্ষার দায়িত্ব নিই। কারণ তারা নির্যাতিত হলে আমাদের বদনাম হয় বেশি।
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তিনটি কেস ষ্টাডিঃ সংখ্যালঘুদের উপর হামলাঃ মিডিয়ার প্রচার বনাম বাস্তবতা
এই তিন-চারটি রিপোর্ট পড়লেই বুঝা যায়। বিষয়টি ছিল, পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রার্থি প্রবল ক্ষমতাধর আব্দুল ওহাব বনাম একই দলের এমপি রনজিতের বিরোধ। ওহাব তার প্রতিপক্ষ বিজয়ী রনজিতের সাথে পেরে না ঊঠে হামলা পরিচালনা করে। যেহেতু ওহাব নাম ধারী মুসলমান, বিজয়ী রনজিত হিন্দু, তাই সহজেই এটাকে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বলে চালিয়ে দেয়া গেছে।
আর মিডিয়ার জন্য কেষ্টা বেটা জামাত-বিএনপি তো রেডি! হায়রে মিডিয়া, হায়রে জাতি!
আসুন আমরা এই সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামার নিন্দা জানাই। দাবি জানাই দায়ী ব্যক্তি যে দলেরেই হোক প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হোক। শাস্তি দেয়া হোক, বন্ধ হোক এই মিডিয়া সন্ত্রাস।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মিতক্ষরা বলেছেন: পুরো বাংলাদেশের চিত্র একই। আলাদা করে কোন গোষ্ঠীর প্রতি তাই সহানুভূতি নেই। সব নির্যাতিতদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর আহ্বান।