![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যতদিন লেখাপড়ার প্রতি আকর্ষণ থাকে, ততদিন মানুষ জ্ঞানী থাকে, আর যখনই তার ধারণা জম্মে যে সে জ্ঞানী হয়ে গেছে, তখনই মূর্খতা তাকে ঘিরে ধরে।- সক্রেটিস
গত কিছু দিন ধরে গাজায় জারজ রাষ্ট্র ইসরায়লের হামলায় শিশু ও নারীসহ শতাধিক নিহত ও হাজারের অধিক আহত হয়েছে । হিংস্র ইহুদীদের নৃশংস হামলায় রক্তে ভেসে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা । অনেকেই ফেসবুক-ব্লগে বলতে দেখলাম,ফিলিস্তিনিদের ফিলিস্তিনি হিসেবে দেখো । ধর্মের ভিত্তিতে বিচার করো না,মুসলিম হিসেবে দেখো না। ভাই, মুসলিম হওয়ার কারণে ফিলিস্তিনিরা নির্যাতিত নিপীড়িত হচ্ছে । ফিলিস্তিনিরা মুসলিম হওয়ার কারণে গণহত্যার শিকার হচ্ছে । মুসলিম হওয়ার কারণে তারা নিজ দেশে পরবাসী,তাদের ভূখন্ডেই ইসরাইল নামের একটি জারজ রাষ্ট্র প্রতিষ্টিত । অথচ ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাচ্ছে না । একবার চিন্তা করুন ফিলিস্তিনিরা খ্রিস্টান হলে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল কি নির্বিচারে হামলা করতে পারত? না পারত না,বৃটেন-আমেরিকা তা হতে দিত না । ‘ফিলিস্তিন’ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যেত অনেক আগেই । তারা মুসলিম তাই তাদের মানবাধিকার থাকতে নেই,স্বাধীনতা চাইতে নেই । তারা শুধু অসহায়ের মত মারা পরবে ।
পূর্ব তিমুর আর দক্ষিণ সুদানের কথা মনে আছে? তাহলে এতক্ষন যা বললাম তার যথার্থতা মিলাতে পারবেন ।
ইন্দোনেশিয়ার অন্তর্গত খ্রিস্টান অধ্যুষিত (৯৭%খ্রিস্টান)‘পূর্ব তিমুর’ ২০০২ সালে স্বাধীনতা লাভ করে । ঠিক একিভাবে খ্রিস্টান অধ্যুষিত হওয়ায় সুদান ভেঙ্গে ২০১১ সালে ‘দক্ষিণ সুদান’ নামে আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হয় । বলার অপেক্ষা রাখেনা মুসলিম রাষ্ট্র সুদানের দক্ষিণ অঞ্চল(দক্ষিণ সুদান) ছিল খ্রিস্টান অধ্যুষিত । এই দুইটি খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চল স্বাধীনতা পাওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছিল তাদের জাত ভাই বৃটেন-আমেরিকার এবং আমেরিকার পোষা কুত্তা জাতিসংঘ ।
খ্রিষ্টান রাষ্ট্র গুলো একে অপরের স্বার্থ রক্ষা করে চলে । অপর দিকে মুসলমাদের আজকের এই পরিনতির জন্য দায়ী মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর মধ্য বিভেদ । তাদের মধ্য কোন ঐক্য নেই । যার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে সংকটে আরবলীগ আর ওআইসি কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না ।।এই দুইটি সংগঠন থেকেও নেই । আর মধ্যপ্রচ্যর প্রভাবশালী রাষ্ট্র সৌদি আরব আছে আমেরিকার সহযোগিতায় কিভাবে ইরান আর সিরিয়াকে শায়েস্ত করা যায় সেই ধান্ধা নিয়ে । এই সুযোগে ইউরোপ-আমেরিকা তাদের স্বার্থ হাছিল করে নিচ্ছে ।
এখন সময় হয়েছে সকল বিভেদ ভুলে সকল এক্যবদ্ধ হওয়ার। সময় হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্র গুলোকে আমেরিকার দালালি বন্ধ করে এক হওয়ার । ঐক্যবদ্ধ শক্তি পারে মুসলমাদের বিরুদ্ধে ইহুদী-খ্রিষ্টানের যাবতীয় ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ।
পরিশেষে,বিশ্ব ইতিহাসে সর্বনিকৃষ্ট,হিংস্র,বর্বর,দখলদার ইহুদী জাতির আশু ধ্বংস কামনা করি ।
©somewhere in net ltd.