![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অভিনন্দন !! শেষ পর্যন্ত আপনি একজন সত্যিকারের স্মার্ট লোকের প্রোফাইল পেয়ে গেছেন। এখন আপনি শান্তিতে মারা যেতে পারেন !!
ভারতীয় অসামাজিক সিরিয়াল গুলো বাংলাদেশে প্রচার করা বন্ধ করতে হবে এবং এর পরিবর্তে বাংলাদেশে মান সম্মত ইতিহাস নির্ভর সিরিয়াল তৈরি করা যেতে পারে সেই সাথে গুণগত মান সম্মত তুর্কি ইরানি আরবীয় সিরিয়াল বাংলাদেশে আমদানী করা যেতে পারে ।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই ভারত বাংলাদেশকে নানাভাবে তাদের গোলাম বানিয়ে রেখেছে ,
হোক সেটা ভূগৌলিক বা অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক।
বর্তমানে বাংলাদেশের ছোটখাটো বিষয় নিয়েও ভারত নির্লজ্জের মতো হস্তক্ষেপ করে , আসলে ভারত অঘোষিতভাবে বাংলাদেশকে তাদের ই একটি অঙ্গরাজ্য মনে করে ।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে ঢুকে পড়েছে ,তারা কৌশুলে বাংলাদেশের পাট শিল্পকে ধংশ করে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেছে , বিনা ফিতে বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে তাদের মালামাল বহন করছে তাদের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে।
এর জন্য অবশ্য বাংলাদেশের সরকারও দায়ী , তবে বাংলাদেশে যেভাবে ভারতীয় দালালের উত্থান হয়েছে এবং যেভাবে ভারতীয় গোয়েন্দারা বাংলাদেশে সক্রিয় তাই সরকার চাইলেইও ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে না ।আর এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দল ই দায়ী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ভারতের অবস্থান এখনো রহস্যময় । কারন ইন্দিরা গান্ধীর ইচ্ছা ছিলো বাংলাদেশের বিদেশনীতি ভারত ঠিক করে দিবে এবং ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে না,
কেউ যদি ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে যায় তাহলে সে হত্যাকাণ্ডেরও শিকার ও হতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ভারতের অবস্থান এখনো রহস্যময় । কারন ইন্দিরা গান্ধীর ইচ্ছা ছিলো বাংলাদেশের বিদেশনীতি ভারত ঠিক করে দিবে এবং ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করা যাবে না, কিন্তু ইন্দিরা গান্ধীর নিষেধ সত্বেও শেখ মুজিবুর রহমান জুলফিকার আলী ভুট্টোর দাওয়াতে লাহোর গিয়েছিলেন অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন এর মিটিংয়ে যেটি মোটেও ভারত ভালো চোখে দেখেনি ।এবং মুজিব পরিবারের হত্যাকাণ্ডে ভারত ছিলো নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
খেয়াল করুন, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর ছিলো বাংলাদেশের জন্য বিরাট একটি প্রজেক্ট এবং এই সমুদ্র বন্দর শেখ হাসিনা সরকারের প্রদান স্বপ্ন ছিলো , বলতে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ই স্বপ্ন ছিলো এবং এই সমুদ্র বন্দর হলে বাংলাদেশের সমুদ্র ব্যবসার আমূল পরিবর্তন হতো কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন চিনে গেলেন এবং এই বন্দর তৈরির বিষয়ে ফাইনাল চুক্তি করবেন ঠিক সেই মুহূর্তে শেখ হাসিনা চুক্তি করা থেকে ফিরে আসেন ভারতীয় চাপে ।
আর এই জন্যই অতি জরুরী বাংলাদেশের উপর থেকে ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ করা ।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের বানিজ্য ব্যবধান আসমান জমিনের ফারাক ।
বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয় পণ্য বিনা বাধায় প্রবেশ করলেও ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পণ্য ঢোকাতে হাজারো আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মুখে পরে যদিও ভারত সরকারের অনুমতি থাকে ।
আর এই সবগুলো কাজ ই করে ভারতের গোয়েন্দারা।
ভারত এখন বাংলাদেশের চিকিত্সা ব্যবস্থা ধংশ করার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে।
বাংলাদেশের কোথাও কোনও একটি হাসপাতালে চিকিৎসকের ধারা একটি দুর্ঘটনা ঘটলে সেটা এমনভাবে হাইলাইটস করা হয় যেন ডাক্তাররা সব কসাই আর এই ভয়েই সবাই এখন ভারতের হাসপাতালে দৌড়াদৌরি করে ।
ভারতের হাসপাতাল থেকে শুরু করে কলকাতা চেন্নাইয়ের সব আবাসিক হোটেলের সব ইনকাম আসে বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছ থেকে এবং কলকাতার শপিং মল গুলোও।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ কি ?
অবশ্যই বাংলাদেশের সরকারের ভিতরে বসবাসকারী ভারতীয় দালাল এবং মিডিয়াতে কাজ করা ভারতীয় গোয়েন্দা সদস্যদের এক এক করে বাংলাদেশের প্রশাসন এবং মিডিয়া থেকে ছাঁটাই করা ,
সরকার প্রধান সচিবরা যাতে স্বাধীন ভাবে যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেটার ব্যবস্থা করা ।
ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ , তার সাথে অবশ্যই ভালো সম্পর্কের দরকার আছে তবে সেটা যেন 50P% হয় সেটার বাস্তবায়ন করতে গেলে সরকারের ভিতরে কোথায় কোথায় বাধা আছে সেগুলো দুর করা ।
আপনি কি জানেন সারা পৃথিবী থেকে এক কোটি প্রবাসী মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রতি বছর 15 বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে রেমিটেনস প্রেরণ করে আর ভারত একাই সেই রেমিটেনস থেকে 13 বিলিয়ন প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যায় , সেটা কিভাবে ? ঐ যে বাংলাদেশীরা ভারতে ভ্রমণ করে হোটেল শপিং মল আর ভারতীয় হাসপাতালগুলোতে টাকা ঢেলে আসে , বাংলাদেশের মার্কেট গুলোতে ভারতীয় পণ্যে সয়লাব।
আমি আপনি আপনারা যদি ভারত ভ্রমণ বন্ধ করি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করে দেশীয় কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করি এবং সরকার যদি সঠিক ব্যবসায়িক নীতি গ্রহণ করে তবেই দেশের টাকা দেশে রাখা সম্ভব।
শুনেছি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নাকি ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর অফিস আছে , অবশ্যই অনতিবিলম্বে এটি বন্ধ করা দরকার।
ভারতীয় অসামাজিক সিরিয়াল গুলো বাংলাদেশে প্রচার করা বন্ধ করতে হবে এবং এর পরিবর্তে বাংলাদেশে মান সম্মত ইতিহাস নির্ভর সিরিয়াল তৈরি করা যেতে পারে সেই সাথে গুণগত মান সম্মত তুর্কি ইরানি আরবীয় সিরিয়াল বাংলাদেশে আমদানী করা যেতে পারে ।
ভারতীয় অসামাজিক সিরিয়াল গুলো বাংলাদেশে প্রচার করা বন্ধ করতে হবে এবং এর পরিবর্তে বাংলাদেশে মান সম্মত ইতিহাস নির্ভর সিরিয়াল তৈরি করা যেতে পারে সেই সাথে গুণগত মান সম্মত তুর্কি ইরানি আরবীয় সিরিয়াল বাংলাদেশে আমদানী করা যেতে পারে ।
বাংলাদেশে থেকে ভারত ঠিকই ট্রানজিট নিচ্ছে বিনা ফিতে কিন্তু এখনো শর্ত মোতাবেক নেপাল ভুটানের সাথে ব্যবসা করার জন্য বাংলাদেশকে ট্রানজিট দিচ্ছে না , এটার একটা সুরাহা করা দরকার সরকারের ।
আন্তর্জাতিক নদীর পানির হিস্যা নিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশকে জাতিসংঘে যাওয়া উচিত এবং প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে কারন ভারত থেকে কিছু পেতে হলে সেটা আইনি ভাবেই পাওয়া যাবে, কাকুতিমিনতি করে নয় , যেমনটি হয়েছে সমুদ্র সীমা নিয়ে।বাংলাদেশ যদি জাতিসংঘে নদীর পানির হিস্যার বিষয়টি তুলে তাহলে অবশ্যই অধিকাংশ দেশের সমর্থন বাংলাদেশ পাবে , প্রয়োজনে চিন তুর্কিকে সাথে নেওয়া যেতে পারে এই বিষয়ে।
বাংলাদেশ যদি জাতিসংঘে নদীর পানির হিস্যার বিষয়টি তুলে তাহলে অবশ্যই অধিকাংশ দেশের সমর্থন বাংলাদেশ পাবে , প্রয়োজনে চিন তুর্কিকে সাথে নেওয়া যেতে পারে এই বিষয়ে।
ছোট দেশ নেপাল সবকিছু দিয়ে ভারতের উপর নির্ভরশীল অথচ সেই নেপাল যদি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চোখ রাঙ্গাতে পারে তাহলে বাংলাদেশ কেনো নয় ?
ইনশাআল্লাহ অবশ্যই সম্ভব, দরকার শুধু কিছু পরিকল্পনা এবং আমাদের মানসিক পরিবর্তন ।
•লেখক পরিচিতিঃ লেখক আহমেদ রোমান মৃধা হলে একজন বাংলাদেশী রাজনীতি বিশ্লেষক। এটি তাঁর লেখা টি আর টি বাংলার জন্য প্রথম প্রবন্ধ।
©somewhere in net ltd.