![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অর্ণব। রম্য গল্প লিখতে ভালোবাসি। নিজে সবসময় হাঁসি খুশি থাকি এবং অন্যদের রাখার চেষ্টা করি।
গোপালগঞ্জের পথে যাত্রা শুরু করেছি।
গাড়িতে উঠতেই দেখি আমার পাশের সিট পরেছে এক মুটকি মেয়ের সাথে। মুটকি বললেও অবশ্য ভুল হবে। মুখের গঠন খারাপ না। তবে মিডিয়ামের চেয়ে একটু মোটা। ভাবলাম, সময়টা একটু ভালোই কাটবে। লাইন ঠাইন মারা যাবে।
.
ঘন্টা খানি চলে গেলো কিন্তু লজ্জায় কোন কথা বললাম না। শুধু মনে মনে রসগোল্লা খেতে লাগলাম ললনাকে ভেবে। ঘন্টাখানি পর গাড়ি ফেরিতে উঠলো। গাড়ি থেকে নেমে ফেরি থেকে হালকা কিছু খাবার কিনে আবারো গাড়িতে উঠতেই মেয়েটি আমায় দেখে একটা মুচকি হাঁসি উপহার দিলো। এ হাঁসির রহস্য ভালো না। সে হাঁসি দেখে তো আমি দিলতে পাগাল হে, দিল দিওয়ানা হে হয়ে ললনার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে গেলাম....
.
ললনার দিকে এক নজরে কতক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম সে খেয়াল নেই। তবে হুশ ফিরলো তখন, যখন কিছু বুঝে উঠার আগেই ললনা আমার হাতে ছোট একটা কাগজের টুকরো গুজে দিয়ে বললো- নিন এটা...
.
আমি তো লজ্জায় তখন পুরো লাল হয়ে কাঁচুমাচু অবস্থা। ইসরে - এতোদিনে কপাল মনে হয় এবার খুললো।লজ্জায় ললনার দিকে আর তাকাতে পারলাম না। তো না তাঁকিয়েই এক বুক আশা নিয়ে কাগজটা পাশ কাটিয়ে লুকিয়ে খুললাম। খয়রি রংয়ের মোটা খসখসে কাগজ....
.
কাগজটা ধিরে সুস্থে যত্ন করে খুলতেই পুরো মদন হয়ে গেলাম। সাজানো গোছানো সব স্বপ্ন ক্ষনিকেইই যেন বিষাদে পরিণত হয়ে বেদনার সুরে পরিণত হয়ে গেলো। সুন্দর করে সে কাগজে দেখি বড় বড় লেখা- আপনি কি রোগা পাতলা? কেঙ্গারুর মত শুকনা? হাটলে পরেও গিরায় গিরায় বারি খান? মেয়েরা অপছন্দ করে দূরে দূরে থাকে? কোন ব্যাপার না। চলে আসুন নিম্নক্ত ঠিকানায়। মাত্র এক ফাইলেই যথেষ্ট। হয়ে যান স্লিম ও আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারি....
.
অতঃপর মেয়েটির দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকাতেই মেয়েটা একটা ফকলা হাসি দিয়ে বললো- একটু আগে একজন দিয়ে গেলো। আপনার যা অবস্থা তাতে ভাবলান আপনার মনে হয় ঠিকানাটা কাজে লাগলেও লাগতে পারে, তাই আপনাকে কাগজটা দিলাম। ট্রাই করে দেখিয়েন.....
.
আমি আর কিছু বললাম না। চুপ করে মাথা নিচু করে ক্ষণিকের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মখলেছের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে মাথায় একটা বারি দিয়ে বললাম- অর্ণইব্বা দুঃখ লইস না, ফাডা কপালে আঠা লাগে নারে
©somewhere in net ltd.