![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আমি মানুষ; শুধু নামেই 'আখলাকুল মকলুকাত'( জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ জীব) কিন্তু আমি চিতার মত ক্ষিপ্রতার সাথে দৌড়াতে পারি না। আমি পেঁচার মত রাতে দেখিনা কিংবা ২৭০ ডিগ্রী (বাঁয়ে ১৩৫ডিগ্রী ডানে ১৩৫ ডিগ্রী)* ঘাড় ঘুরাতে পারি না, আমি পারি না গিরগিটির মত আমার গায়ের রঙ পাল্টাতে কিংবা দু-চোখ ৩৬০ ডিগ্রী (১৮০ প্রতিটি) কোণে ঘুরিয়ে আলাদা করে একই সাথে সামনে পেছনে দেখতে পাই না। আমি বাদুরের মত আল্ট্রাসাউন্ড(সোনার সিস্টেম) দিয়ে দিক নির্নয় করতে পারি না। অক্টোপাসের মত আমার তিনখানা মগজ নেই আর ভীন্নধর্মী নীল রক্তের অধিকারী নই। আমি মাকড়সার মত কৌশলী জাল বুনতে পারি না। আমার মেন্টিস চিংড়ির মত ২০খানা কালার রিসিপেন্ট নেই, মাত্র তিনখানা কালার রিসিপেন্ট নিয়ে আমাই মহাবিশ্বের সব রঙ রূপ দেখার স্পর্ধা দেখাই। আমি পারিনা আমার তথাকতিথ নিকটাত্মীয়দের (প্রাইমেট) মত মহাবিশ্বের সবচাইতে বিরল প্রান গাছ-পালায় উঠে লম্ফ ঝম্ফ করতে। যে গ্রহে আমার বাস তার তিনভাগ পানি, যে পানিতে একটু ভেসে থাকার জন্য আমাকে দীর্ঘ প্রশিক্ষন নিতে হয়।(সদ্যজন্ম নেয়া শিশুরা শুধু কিছু সময়ের জন্য প্রাকৃতিক সাতারু হয়- কিন্তু কয়েক মাস পরেই সে প্রতিক্রিয়া হারিয়ে ফেলে।) প্রকৃতি আমাকে পোষাক দেয়নি- আমাকে সবচেয়ে নাজুক দুর্বল প্রাণ হিসেবে সৃষ্টি করেছে।
তবে আমার দেখা ও জানা যত প্রাণী ও প্রাণ আছে এই বিশ্বভুমে তার মধ্যে একমাত্র আমিই চাঁদের আলোয় উদাস হই, ঝর্ণার কলকল রবে হৃদয় চঞ্চল হয়, সুমুদ্রের বিশালতা আমি মুগ্ধ নয়নে উপভোগ করি,পাহাড়ের প্রত্যেক খাঁজে খাঁজে আমি সৌন্দর্য খুঁজে ফিরি। মহাবিশ্বের তারকারাজি দেখে আমি বিস্ময়ে বাকহারা হই। আমি ইউনিভার্স কিংবা মাল্টি ইউনিভার্সের তুলনায় আমি ক্ষুদ্রতম কণা এটমের থেকে লক্ষ কোটিগুণ ক্ষুদ্র এক প্রাণীমাত্র ; তবুও আমি মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে ভাবি, কোয়াড্রিলিয়ন- ট্রিলিয়ন আলোকবর্ষ বিস্তৃত এই ইউনিভার্সের শুরু ও শেষ ছুতে চাই। (এখানে 'আমি' কোন একক নয়)।
আমরা যখন উন্মাতাল হই কোথায় 'কে হাসের মাংস খাইল আর কে রাজাকার ও কে স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি' তখন পৃথিবীর কোন এক কোনে একদল বিজ্ঞানী সেকেন্ডে হাজার কিলোমিটার গতি সম্পন্ন প্লাজমা রকেট বানাচ্ছে- আর তারা এখানেই থেমে নেই, ওরা চায় আলোর গতিকে ছাড়িয়ে যেতে।
কিছু পাগলাটে মানুষ 'জুকোনজি কোয়ান্টাম ৩' আমাদের কল্পনাকেও হার মানিয়ে বিশ্বের যে কোন কম্পিউটারের তুলনায় ১০ লক্ষ কোটিগুণ গতিসম্পন্ন প্রসেসর বানিয়ে এখনো বিশ্রামে যাননি।
এ আই কি করতে পারে তাই ভাবে আমরা যখন কুল-দিশা হারিয়ে ফেলছি, তখন কিছু প্রোগ্রামার ঘোষনা দিয়ে বসে আছে 'এ আই এর দিন শেষ!' এখন আসছে এস আই (সিন্থেটিক ইন্টিলিজেন্স)। হায় এদিকে কি নিয়ে মহাব্যস্ত আমরা!!!!
✦ আমি জানি যে বিষয় নিয়ে আমি লিখছি সেটা আমার জ্ঞান গম্যি আর যোগ্যতার বিচারে স্পর্ধার সামিল।তবুও বিষয়গুলো একটু জানার কিংবা বোঝার চেষ্টা করতে সমস্যা কি- যখন মনুষ্যজ্ঞানের সব তথ্য প্রযুক্তি আঙ্গুল ছোঁয়ালেই আমার নাগালে আসে। আমি জানি এই নিয়ে অনেকেই ব্যাঙ্গ করবে কিংবা আমার বুদ্ধির গভীরতা মাপতে চাইবে, তাতে কি- আমাকে বেঁধে রাখার সাধ্য আমারই নেই,
i'm the i'm
"Scientists created matter that exists in two places at once – permanently."
(বাংলায়: বিজ্ঞানীরা এমন এক পদার্থ তৈরি করেছেন যা একসাথে দুটি স্থানে বিদ্যমান — স্থায়ীভাবে।)
বিজ্ঞানীরা কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার সাহায্যে একটি অসাধারণ আবিষ্কার করেছেন, যেখানে তারা এমন একটি পদার্থ তৈরি করতে পেরেছেন যা একসাথে দুইটি স্থানে থাকতে পারে — এবং এটা সাময়িক নয়, বরং স্থায়ী (permanent)।
এই ধারণাটি কোয়ান্টাম সুপারপজিশন (quantum superposition) থেকে এসেছে। কোয়ান্টাম দুনিয়ায়, বিশেষ করে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণাগুলোর (যেমন: ইলেকট্রন, ফোটন) ক্ষেত্রে, তারা একসাথে একাধিক অবস্থানে বা অবস্থায় থাকতে পারে — যতক্ষণ না কেউ সেটি পরিমাপ করে।
কিন্তু পূর্বে এসব অবস্থা খুবই অস্থায়ী হতো এবং ভেঙে পড়ত (decoherence) যখনই আশপাশের পরিবেশের সাথে মিথস্ক্রিয়া হতো। নতুন এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এমন একটি সিস্টেম তৈরি করেছেন যা দীর্ঘস্থায়ীভাবে (বা স্থায়ীভাবে) এই দ্বৈত অবস্থান ধরে রাখতে পারে।
কীভাবে এটা সম্ভব?
তারা "টাইম ক্রিস্টাল" বা কোয়ান্টাম ম্যাটার ব্যবহার করে এই ধরনের পরীক্ষায় সফল হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। টাইম ক্রিস্টাল এমন এক অবস্থা যা সময়ের মধ্যেও নিজেকে পুনরাবৃত্ত করে — আর এই সিস্টেমগুলো কোয়ান্টাম সুপারপজিশনের বৈশিষ্ট্যকে দীর্ঘ সময় ধরে বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এটি কী কাজে লাগতে পারে?
✦কোয়ান্টাম কম্পিউটিং: এই আবিষ্কার ভবিষ্যতের দ্রুত ও শক্তিশালী কম্পিউটার তৈরির পথে এক বড় পদক্ষেপ।
✦সিকিউর কমিউনিকেশন: কোয়ান্টাম এনক্রিপশন প্রযুক্তিতে উন্নয়ন।
✦মহাবিশ্ব সম্পর্কে গভীর বোঝাপড়া: বাস্তবতা ও পদার্থের প্রকৃতি নিয়ে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন।
"বিজ্ঞানীরা এমন এক পদার্থ তৈরি করেছেন যা একসাথে দুটি স্থানে বিদ্যমান — স্থায়ীভাবে''
এটা কিভাবে সম্ভব ?
✦প্রশ্ন:
একটা বস্তু কীভাবে একসাথে দুই জায়গায় থাকতে পারে? এটা কি আদৌ সম্ভব?
✦উত্তর:
সাধারণভাবে বললে, আমরা জানি — একটা বস্তু একসাথে এক জায়গায়ই থাকতে পারে। কিন্তু কোয়ান্টাম দুনিয়া (খুব ছোট কণা, যেমন ইলেকট্রন বা পরমাণু) একেবারেই আলাদা নিয়মে চলে।
✦ধরুন আপনি জাদুর বাক্স দেখছেন...
একটা ছোট্ট বল একটি বাক্সে ঢুকিয়ে রাখা হলো। আপনি দেখছেন না বলটি কোন দিকে আছে। তাহলে আপনি বলতে পারেন —
বলটি হয়তো ডান দিকে আছে, হয়তো বাম দিকে, অথবা দুই দিকেই একসাথে থাকতে পারে।
এটাই Quantum Superposition — একটি কণা একসাথে একাধিক জায়গায় থাকতে পারে, যতক্ষণ না আপনি সেটা পরীক্ষা করেন।
কিন্তু আগেও তো এই জিনিস দেখা গেছে!
✦হ্যাঁ, বিজ্ঞানীরা আগেও কণাগুলোর এই ধরনের আচরণ দেখেছেন, কিন্তু এটা খুবই ক্ষণস্থায়ী ছিল। কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যেই এটা ভেঙে পড়ত।
কিন্তু এখন যা ঘটেছে তা নতুন:
এখন কী ঘটেছে?
✦বিজ্ঞানীরা এমন একটি সিস্টেম তৈরি করেছেন, যেখান;
একটি কণা বা কণার দলকে একসাথে দুটি আলাদা জায়গায় রাখা গেছে, এবং সেটি দীর্ঘ সময় ধরে বা স্থায়ীভাবে সেই অবস্থায় ছিল।
তারা এটা Quantum Computer-এর ভিতরে বা Time Crystal এর মাধ্যমে করতে পেরেছেন।
"টাইম ক্রিস্টাল" কী?
এটা এমন এক ধরনের পদার্থ যা শুধু জায়গায় নয়, সময়েও নিজেকে ঘুরে ফিরে একই অবস্থায় নিয়ে যায় — অর্থাৎ এটি সব সময় চলমান থাকে, কিন্তু শক্তি খরচ করে না। একে আপনি বলতেই পারেন, পদার্থের "জীবন্ত ঘড়ি"।
এই টাইম ক্রিস্টাল ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা কোয়ান্টাম সুপারপজিশন অনেক দীর্ঘ সময় ধরে ধরে রাখতে পেরেছেন।
তাহলে আমরা কী বুঝলাম?
✦এটা সাধারণ বস্তু নয় — এটা কোয়ান্টাম কণা বা সিস্টেম।
✦তারা একসাথে দুটি জায়গায় থাকতে পারে (Superposition এর কারণে)।
✦আগে এটা অস্থায়ী ছিল, এখন বিজ্ঞানীরা এটাকে স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে পারছেন।
✦ভবিষ্যতে এটা কোয়ান্টাম কম্পিউটার, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, ও বিশ্বজগতের রহস্য বোঝার জন্য কাজে লাগবে।
এই জিনিসটা আমাদের দৈনন্দিন বাস্তব জগতের মতো না। এটা কোয়ান্টাম জগতের ব্যাপার — যেখানে নিয়মগুলো একদম আলাদা। ঠিক যেন, বিজ্ঞানের এক টুকরো জাদু!
"কেন মানুষ বা বড় প্রাণী একসাথে দুই জায়গায় থাকতে পারে না, কিন্তু কণা বা অণু (quantum particles) পারে?"
✦কেন???
✦ কোয়ান্টাম বনাম ক্লাসিকাল দুনিয়া
বৈশিষ্ট্য কোয়ান্টাম কণা (যেমন: ইলেকট্রন, পরমাণু) বড় বস্তু (যেমন: মানুষ, প্রাণী)আকার খুব ক্ষুদ্র (ন্যানো বা ছোট) অনেক বড়
নিয়ম কোয়ান্টাম আইন (Quantum Mechanics) ক্লাসিকাল পদার্থবিজ্ঞান (Newton's Laws)অবস্থান একসাথে একাধিক জায়গায় থাকতে পারে (সুপারপজিশন) একসাথে একটাই জায়গায় থাকতে পারে।
✦সুপারপজিশন (Superposition) কী?
ধরা যাক, কোয়ান্টাম কণা একটি বাক্সে আছে। যতক্ষণ আমরা সেটাকে দেখি না বা পরিমাপ না করি, ততক্ষণ সে দুই জায়গাতেই থাকতে পারে — এমনকি একসাথে দুই জায়গায়ও!
কিন্তু মানুষ বা প্রাণী? তারা কোটি কোটি পরমাণুর সমষ্টি, তাই তারা এমন সুপারপজিশনের আচরণ করে না।
✦ ডিকোহেরেন্স (Decoherence): বড় জিনিস ব্যর্থ কেন?
বড় বস্তু, যেমন: মানুষ,বিড়াল,চেয়ার, গাড়ি ইত্যাদি এরা আশেপাশের জগতের সঙ্গে খুব দ্রুত মিথস্ক্রিয়া (interaction) করে — আলো, তাপ, শব্দ ইত্যাদির মাধ্যমে। ফলে:এই সুপারপজিশন অবস্থা অত্যন্ত দ্রুত ভেঙে পড়ে।
এই প্রক্রিয়াটাকে বলা হয় ডিকোহেরেন্স — সুপারপজিশন নষ্ট হয়ে যাওয়া।
উদাহরণ: আপনি যদি একটি বিড়ালকে দুই জায়গায় রাখতে চান (যেমন: শ্রডিনজারের বিড়াল ধারণা), তখন সেই বিড়াল আশেপাশের পরিবেশের সঙ্গে এত যোগাযোগ করে যে কোয়ান্টাম প্রভাবগুলো হারিয়ে যায়।
বিজ্ঞানীরা এখন ছোট জিনিস, যেমন অণু বা খুব ছোট বস্তু দিয়ে সুপারপজিশন করার চেষ্টা করছেন।
মানুষকে একসাথে দুই জায়গায় রাখা — সেটা এখনও কল্পবিজ্ঞান।
✦ "Washington State University"-এর বিজ্ঞানীরা এমন একটি তরল তৈরি করেছেন যার 'নেগেটিভ মাস' বা নেতিবাচক ভর আছে। সাধারণ বস্তুর ভর পজিটিভ হয় — মানে, আপনি যদি কিছু ধাক্কা দেন, সেটা ধাক্কার দিকে চলে যায়। কিন্তু এই বিশেষ তরলটি ধাক্কা দিলে উল্টো দিকে সরে যায়!
এখন চলুন এটা সহজ বাংলায় ব্যাখ্যা করি:
✦নেগেটিভ মাস (Negative Mass) কী?
আমরা জানি, সাধারণ বস্তুতে ভর থাকে – যেমন একটা বল, পানি ইত্যাদি। আপনি যদি এই বস্তুর দিকে ধাক্কা দেন, সেটা সেদিকে যাবে।
কিন্তু যদি কোনো বস্তুতে নেগেটিভ মাস থাকে, তাহলে আপনি ওটা ধাক্কা দিলে সেটা উল্টো দিকে যাবে! এটা বাস্তব জীবনের সাধারণ অভিজ্ঞতার বিপরীত।
✦এই "নেগেটিভ মাস" কীভাবে তৈরি হলো?
Washington State University-র বিজ্ঞানীরা রুবিডিয়াম নামের একটি পদার্থকে খুব ঠান্ডা (প্রায় শূন্য কেলভিন বা absolute zero) করে এমন একটি অবস্থা তৈরি করেন যেখানে কণাগুলো অদ্ভুতভাবে আচরণ করে।
এই অবস্থাকে বলা হয় Bose-Einstein Condensate (B.E.C) — এটা এমন একধরনের পদার্থ যেখানে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অদ্ভুত নিয়মগুলো বড় আকারে দেখা যায়। তারপর বিজ্ঞানীরা এই পদার্থে বিশেষ লেজার ব্যবহার করে এমনভাবে আচরণ করান যাতে তার আচরণ হয়ে যায় যেন তার 'ভর নেতিবাচক'।
এর মানে কী? কেন গুরুত্বপূর্ণ?
✦এটা এমন একটি বৈজ্ঞানিক কল্পনার বাস্তব প্রমাণ যেটা আগে শুধু তত্ত্বে (theory) ছিল। এর মাধ্যমে:
✦মহাকাশের রহস্য বুঝতে সাহায্য হতে পারে
✦ডার্ক ম্যাটার বা ডার্ক এনার্জির মতো বিষয় বোঝা সহজ হতে পারে ও ভবিষ্যতের প্রযুক্তিতে নতুন সম্ভাবনা খুলে যেতে পারে।
বিজ্ঞানীরা এমন এক তরল বানিয়েছেন যেটার ভর "নেগেটিভ"
আপনি যদি এটা ধাক্কা দেন, এটা উল্টো দিকে যায়!
এটা বিজ্ঞান ও মহাকাশ গবেষণার জন্য অনেক বড় এক আবিষ্কার-
“নেগেটিভ মাস” বা নেতিবাচক ভরযুক্ত তরল-এর — বিশেষ করে এর আকার, রং, ঘনত্ব ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে নিয়ে নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করছি।
✦এই পদার্থ আসলে কী?
এই পদার্থ হলো রুবিডিয়াম গ্যাস (Rubidium Gas) — যেটিকে অত্যন্ত ঠান্ডা (বিপরীতভাবে উচ্চমাত্রায় শীতল) করে Bose-Einstein Condensate (BEC) নামক বিশেষ অবস্থা তৈরি করা হয়েছে।
✦ আকার (Shape/Size):
সাধারণভাবে, এই পদার্থটি একটি মেঘের মতো গ্যাসীয় মণ্ডল আকারে থাকে।
এটি সাধারণ তরলের মতো বোঝা যায় না — বরং এটি একটি ছড়িয়ে থাকা, কুয়াশার মতো গঠন তৈরি করে।
এর আকার নির্ভর করে কতটুকু রুবিডিয়াম গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে এবং কতটা ঠান্ডা করা হয়েছে।
সাধারণত মিলিমিটারের ভগ্নাংশ আকারের হয় — খুবই ক্ষুদ্র।
✦ রং (Color):
বাস্তবে এই পদার্থের নিজস্ব কোনো রঙ থাকে না — এটি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে দেখা যায় বা ধরা পড়ে।
গবেষণায় ব্যবহৃত লেজার আলো-র কারণে এটি মাঝে মাঝে হালকা নীলচে বা সবুজাভ দেখাতে পারে, কিন্তু এটা আসলে রঙ নয়, বরং আলো প্রতিফলনের ধরন।
তাই একে নির্দিষ্ট কোনো রঙে ব্যাখ্যা করা ঠিক না — এটি মূলত দৃশ্যমান আলোতে প্রায় অদৃশ্য।
✦ ঘনত্ব (Density):
এটি চরমভাবে পাতলা গ্যাস — অর্থাৎ এর ঘনত্ব খুবই কম।
একে বলা যেতে পারে ultracold dilute gas — যেখানে কণাগুলোর সংখ্যা প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে কয়েক হাজার মাত্র।
এই রুবিডিয়াম কণাগুলো একে অপরের থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে, তাই একে গ্যাস বলা হলেও এর আচরণ তরলের মতো অদ্ভুত হয়।
✦ অবস্থা ও আচরণ (State & Behavior):
এটি তরল বা কঠিনের মতো সাধারণ পদার্থ নয়।
বরং এটি Bose-Einstein Condensate (BEC) — যেখানে পার্টিকলগুলো একই কোয়ান্টাম অবস্থা শেয়ার করে।
এই অবস্থায়:
কণাগুলো একসঙ্গে আচরণ করে, যেন তারা একটি "সুপার কণা"
যখন এটা ধাক্কা খায়, এটা উল্টো দিকে সরে যায় (নেগেটিভ মাস)
✦iকীভাবে তৈরি করা হয়?
রুবিডিয়াম গ্যাসকে লেজার কুলিং এবং ম্যাগনেটিক ফিল্ড দিয়ে প্রায় -273.15°C (0 Kelvin) তাপমাত্রায় নামিয়ে আনা হয়।
তখন গ্যাসটি BEC হয়ে যায়। এরপর গ্যাসের কণাগুলোর চলাচল এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় যাতে তার গতির দিক ও বল বিপরীত হয় — তখন দেখা যায় নেগেটিভ মাসের আচরণ।
✦বাস্তবে এটি দেখতে কেমন?
যেহেতু এটি: ক্ষুদ্র,অদৃশ্যের কাছাকাছি,আলোর নির্দিষ্ট তরঙ্গে প্রতিফলিত হয়,তাই মানুষের চোখে সরাসরি দেখা সম্ভব নয়, একে সাধারণত:
স্পেশাল ক্যামেরা বা লেজার আলো ও সেন্সর দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
✦বৈশিষ্ট্য বর্ণনা
নামঃ রুবিডিয়াম ভিত্তিক নেগেটিভ মাস যুক্ত তরল (BEC)
আকারঃ মিলিমিটারের কম, ছড়ানো মেঘের মতো রঙ নির্দিষ্ট নেই, লেজার আলোতে সামান্য রঙিন দেখা যায় ঘনত্ব অত্যন্ত কম, পাতলা গ্যাস অবস্থা Bose-Einstein Condensate (BEC) — সুপার কোল্ড গ্যাস
আচরণঃ ধাক্কা দিলে উল্টো দিকে যায় (নেগেটিভ মাস)
“Scientists discovered a new creature that exists between life and not-life” — এটি একটি বেশ রহস্যময় এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চমকপ্রদ বিষয়।
✦"Between Life and Not-Life" বলতে কী বোঝায়?
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে, কিছু কণিকা বা গঠন রয়েছে যেগুলো প্রাণের কিছু বৈশিষ্ট্য বহন করে, কিন্তু পূর্ণাঙ্গভাবে জীব বলা যায় না। এগুলোকে অনেক সময় "pre-life forms" বা "protobiotic structures" বলা হয়।
✦উদাহরণস্বরূপ:
১. ভাইরাস (Virus):
ভাইরাস একটি চমৎকার উদাহরণ যা জীব ও অজীবের মাঝামাঝি অবস্থানে পড়ে।
এটি একা বেঁচে থাকতে পারে না, তবে অন্য জীবের কোষে প্রবেশ করলে এটি নিজের অনুরূপ তৈরি করতে পারে (reproduce)।
ভাইরাসের নিজস্ব মেটাবলিজম নেই, যা জীবনের অন্যতম শর্ত।
২. প্রোটিন রোবটস বা এক্সোনস (Xenobots):
২০২০ সালে বিজ্ঞানীরা ব্যাঙের স্টেম সেল দিয়ে Xenobots তৈরি করেন — এটি একধরনের জীবন্ত রোবট।
এগুলো জীবের মত আচরণ করলেও প্রথাগত জীব নয়। এরা নিজেরা গঠন পরিবর্তন করতে পারে, চলাফেরা করতে পারে, এমনকি নিজেদের প্রতিলিপি তৈরি করতেও সক্ষম।
৩. প্রোবায়োটিক ঝিল্লি বা নিউক্লিওটাইড সেল মডেল:
গবেষকরা কখনো কখনো এমন কৃত্রিম কোষ তৈরি করেন যেগুলো জীবন শুরু হওয়ার আগে কীভাবে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়াগুলো হয়েছিল — তা বোঝার চেষ্টা করে। এগুলোও “life-like but not living” হিসেবে বিবেচিত হয়।
✦এই আবিষ্কারের তাৎপর্য কী?
জীবনের সংজ্ঞা পুনর্বিবেচনা: নতুন আবিষ্কৃত এই "সৃষ্টির" মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জীবনের সীমানা নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন।জীবনের উৎপত্তি বুঝতে সাহায্য: এটি বোঝার একটি ধাপ যে, কীভাবে জড় পদার্থ (non-living matter) থেকে প্রাণ (life) তৈরি হতে পারে।
এআই ও বায়োইঞ্জিনিয়ারিং: ভবিষ্যতে বুদ্ধিমান জীবন তৈরির পথে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
✦এই ধরনের গবেষণার ব্যবহার কোথায় হতে পারে?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও জীববিদ্যা মিলিয়ে নতুন ধরনের জীবন ফর্ম তৈরি করা।
ওষুধ বহনকারী জীবন্ত ন্যানো-রোবট তৈরি ও ভিনগ্রহের প্রাণের সম্ভাব্য ধরন ব্যাখ্যা করা।
“Sukunaarchaeum mirabile” নামে একটি নতুন ধরনের অণুজীব (microorganism) সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা জীব ও অজীবের মাঝামাঝি একটি রহস্যময় অবস্থায় অবস্থিত—একটি “between life and not‑life” অবস্থা।
✦Sukunaarchaeum mirabile — জীব ও অজীবের সীমানায়
কানাডা ও জাপানের বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের প্ল্যাঙ্কটনের (Citharistes regius) জিনোম বিশ্লেষণের সময় এক ধরণের অজানা জীবের DNA সনাক্ত করেন, যার নাম দেওয়া হয় Sukunaarchaeum mirabile
এটি Archaea ডোমেইনের অন্তর্গত, এবং সম্ভবত জীববিদ্যার নজর এড়ানো একটি গোত্র কিংবা লাইনেজ
✦জীবন vs অজীবের ধাঁধা:
ভাইরাসগুলো সাধারণত জীব হিসেবে বিবেচিত হয় না, কারণ তারা নিজে থেকে প্রোটিন বা শক্তি তৈরি করতে পারে না; তবে Sukunaarchaeum পারে নিজস্বভাবে ribosome (প্রোটিন তৈরির যন্ত্র) এবং mRNA তৈরি করতে পারে, যা ভাইরাসগুলোর ক্ষমতার বাইরে।
তবুও, এর অতি-ছোটাশি genome (মাত্র 238,000 base pairs) দেখায় যে এটি নিজস্ব metabolic pathway (বিপাকীয় পথ) নেই; অর্থাৎ, এটি নিজের শক্তি সংগ্রহ বা স্বাবলম্বী কার্যক্ষমতা চালাতে পারে না—এটির বহুকিছু host‑এর ওপর নির্ভরশীল
✦জীবন সংজ্ঞা কীভাবে পরিবর্তন হচ্ছে:
Sukunaarchaeum পৃথিবীর জীব বৈচিত্র্যের মানচিত্রে এক নতুন “intermediate life-form” (মধ্যবর্তী জীবনরূপ) যোগ করেছে, যা আমাদের জীব ও অজীব সম্পর্কে ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
এটি এমন এক.Borderline form (জীবন শুরুর সীমান্তরেখা) যা শুধু ভাইরাস নয়, আবার পৌরাণিক জীবও নয়, বরং জীবনের আয়তনে একটি মধ্যবর্তী অবস্থানে অবস্থিত।
✦বৈজ্ঞানিক ও প্রয়োগিক গুরুত্ব:
যুদ্ধরত জীবন সংজ্ঞা: আগে জীবন কেবল কোষ, মেটাবলিজম, স্বনির্ভর প্রতিলিপির মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত হতো। Sukunaarchaeum এই উপলব্ধি চ্যালেঞ্জ করছে, উৎপত্তি ও বিবর্তন: এর মতো অর্গানিজমগুলো জীবন কীভাবে শুরু হলো তার সন্ধানে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে পারে—বিশেষ করে জীব ও অজীবের মাঝের ট্রানজিশনাল ধাপ বোঝাতে সহায়ক হতে পারে
✦বসতি ও মহাজাগতিক অন্বেষণ*: যদি পৃথিবীতে এমন অজানা এবং অর্ধ-জীবন্ত সত্তা থাকে, তাহলে সম্ভাবনা থাকে যে অন্য গ্রহেও (যেমন: মার্স, ইউরোপা) এমন জীব থাকতে পারে
তথ্য সুত্রঃThe Washington Post
**
এবার আমরা জানি এর মধ্যে কোনটা কোয়ান্টাম ফিজিক্সর ধারণা নাকি কোয়ান্টাম বায়োলজিক্যাল ধারণা?
তার আগে 'কোয়ান্টাম'-এর মত খটমটে বিষয়টা আমরা বুঝে নিই;
Quantum” শব্দটির আভিধানিক বাংলা অর্থ সাধারণত হয় “অতি ক্ষুদ্র পরিমাণ”, “অণু-পরিমাণ” বা “অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম একক”।
বাংলা অভিধানে এর মানে দাঁড়ায়—
পরিমাণ (যেমন: a quantum of energy → শক্তির একটি নির্দিষ্ট ক্ষুদ্র পরিমাণ),
অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম একক (পদার্থবিজ্ঞানে),কখনো কখনো নির্দিষ্ট অংশ/নির্দিষ্ট মাপ। ( তার মানে এমন ক্ষুদ্রতম কণা যা আর ভাঙ্গা যায় না।)
পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রে “কোয়ান্টাম” বলতে বোঝায় কোনো ভৌত রাশি (যেমন শক্তি, আলো, চার্জ) যা ক্রমাগতভাবে নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট, খণ্ডিত এককে বিদ্যমান থাকে।
✦✦✦
তাহলে "Sukunaarchaeum mirabile"-এর মতো "life and not-life"-এর মাঝে অবস্থানকারী সত্তা কি কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ধারণা, নাকি বায়োলজিক্যাল ধারণা?
এটি মূলত একটি বায়োলজিক্যাল ধারণা।
Sukunaarchaeum mirabile একটি জৈব (biological) অণুজীব (microorganism), যা জীববিজ্ঞানের Archaea (বায়োলজিক্যাল) ডোমেইনের অন্তর্গত।
এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, এবং অণুজীবের মাঝে অবস্থান করে, আর এই পুরো আলোচনা জীববিজ্ঞানের আওতায় পড়ে।
তবে কিছু বিজ্ঞানী তাত্ত্বিকভাবে জীবনের সূচনার (origin of life) ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করেন, যেমন:
“Life vs Not-Life” বিষয়টি জীববিজ্ঞানের এক গভীর ও নতুন চ্যালেঞ্জ, যা আমাদের প্রাণ ধারণের সংজ্ঞাকে প্রসারিত করছে।
এটি কোনো কোয়ান্টাম রহস্য নয়, বরং একটি জটিল, বিকাশমান জীববৈজ্ঞানিক প্রশ্ন।
কোয়ান্টাম জীববিদ্যা (Quantum Biology) এক দারুণ ও রহস্যময় বিষয়, যেখানে জীববিজ্ঞানের অনেক জটিল প্রক্রিয়ার পেছনে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ভূমিকা খোঁজা হয়। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে দিলাম:
✦কোয়ান্টাম জীববিদ্যা (Quantum Biology) কী?
কোয়ান্টাম জীববিদ্যা হলো জীববিজ্ঞান ও কোয়ান্টাম ফিজিক্সের সংমিশ্রণ যেখানে জীবের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রভাব দেখা যায়। এটি ছোটতম কণা, যেমন ইলেকট্রন ও ফোটনের আচরণকে বোঝার মাধ্যমে জীববৈজ্ঞানিক ঘটনা ব্যাখ্যা করে।
কোয়ান্টাম জীববিদ্যার উদাহরণ:
১. সালোকসংশ্লেষণ(Photosynthesis):
গাছপালা এবং ব্যাকটেরিয়ায় আলো থেকে শক্তি সংগ্রহের প্রক্রিয়া।
এখানে কোয়ান্টাম কোহেরেন্স (quantum coherence) বা একযোগিতা কাজ করে, যার ফলে আলো থেকে শক্তি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিবহন হয়।
এই প্রক্রিয়ায় ফোটনের এক ধরণের কোয়ান্টাম সুপারপজিশন (superposition) থাকে, যা শক্তির অপচয় কমায়।
২. এনজাইম বিক্রিয়া (Enzyme Reactions):
কিছু এনজাইমের (দেহকোষে রাসায়নিক পদার্থ বিশেষ) কাজকর্মে কোয়ান্টাম টানেলিং (quantum tunneling) দেখা যায়, যেখানে কণা বাধা পেরিয়ে কাজ করে।এটি বিশেষ করে হাইড্রোজেন ট্রান্সফার রিএকশনে গুরুত্বপূর্ণ।
৩. পাখির দিক-দর্শন (Bird Navigation):
অনেক পাখি পৃথিবীর চুম্বাকীয় ক্ষেত্র (magnetic field) ব্যবহার করে দূরত্ব মাপতে পারে।
ধারণা করা হয়, এ ক্ষেত্রে চোখের ভেতরের কিছু প্রোটিনে কোয়ান্টাম জট (quantum entanglement) বাঁধার কাজ করে।
৪. DNA মিউটেশন ও মেরামত:
DNA তে কোয়ান্টাম টানেলিংয়ের মাধ্যমে বেস পেয়ার বদল হতে পারেএটি বিবর্তনের গতিপথে প্রভাব ফেলে।
✦✦✦
তথ্য সুত্রঃ চ্যাটবট, গুগোল, চ্যাটজিপিটি, ফেসবুক!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: এরকম শিরোনাম ছাড়া কে আর কোয়ান্টাম বিদ্যা খাইবে বলেন
তাই নাই পুরোটা পড়েছেন?? আপনি দেখি প্লাজমা রকেট থেকেও দ্রুতগতির পড়ুয়া!! ধন্যবাদ
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
সঠিকভাবে না'বুঝেও অনেক কিছু লেখা সম্ভব, দেখছি।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমি জানতাম এখানে আপনি আসবেন
জ্বী আমি সেটা এই লেখাতেই নতশিরে স্বীকার করেছি
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: পড়েছি। এইসব বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব পড়তে গিয়ে আমার মাথা এমন ঘুরছে যে মনে হচ্ছে নাসার স্পেসশিপে উঠে চাঁদের বদলে মঙ্গলগ্রহে নেমে পড়েছি! এখন নিজেকে মনে হচ্ছে আমি মানুষ না, যেন বিজ্ঞানের পরীক্ষাগারে আটকে পড়া এক বেচারা ব্যাঙ!
এখন বুঝি- বিজ্ঞানীরা আসলে মানুষ না, তারা অন্য গ্রহের এলিয়েন! আমার মাথার অবস্থা এখন এমন হয়েছে যে- সুপার কম্পিউটারও আমাকে দেখে হেসে বলবে- ‘ভাই, এইসব হিসাব আমিও মিলাতে পারব না!’
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: কি কন ভাই!! এইসবে আপনার যদি মাথা ঘুরে তবে আমরাতো নাই
তাহলে 'হিউম্যান আর নট ফ্রম আর্থ' এটা ঠিক?
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩২
কামাল১৮ বলেছেন: বিজ্ঞানের অনেক গুনগান গাইলেন কিন্তু আশ্রয় নিলেন অন্ধবিশ্বাসে।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: কোন অন্ধবিশ্বাসে আশ্রয় নিলাম??
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫২
কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ জগতের সর্ব শ্রেষ্ঠ জীব।এই ঘোষনা কে দিয়েছে, বাইবেল ও কোরান।কোন বিজ্ঞানী কি বলেছে এই কথা।বলে থাকলে তাকে প্রমান করে দেখাতে হবে।
মানুষ এই পর্যায়ে আসতে কোটি কোটি বছর সময় লেগেছে, সবটাই বিবর্তনের ফসল।
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৪
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনার কিছু পোষ্ট, মন্তব্য, চুলের পনি টেইল দেখে মনে হইছে, আপনি রসিক সংস্কৃতিমনা প্রেমিক মানুষ। আরো ভাবছিলাম বাংলার ফোক সংগীত, ফিউশন, ব্যান্ড, বাউল সংগীত নিয়ে আপনার অবাধ জ্ঞান। যেখানে তুলে আনা হবে লোকজ গানের আধুনিক সংস্করণ-
"কে দিলো পিরিতের বেড়া লিচুরও বাগানে ?
কে দিলো পিরিতের বেড়া লিচুরও বাগানে?
আরে কমলার বাগানে, সই গো, কমলার বাগানে
কমলার বাগানে, সই গো, কমলার বাগানে
কে দিলো পিরিতের বেড়া লিচুরও বাগানে ?
কে দিলো পিরিতের বেড়া লিচুরও বাগানে?"
মত গানের বিষয়!
এই তো দেখি অনেক জটিল বিষয় অবতারণা করলেন। পোষ্ট বিষয়ক মন্তব্য অনেক পড়াশোনা প্রয়োজন; তাই আপাতত তা করতে পারছি না। কিন্তু চোখে পড়লো; বিজ্ঞানীরা এমন এক পদার্থ তৈরি করেছেন যা একসাথে দুটি স্থানে বিদ্যমান — স্থায়ীভাবে'' তৈরি করেছেন নাকি রুপান্তরিত করেছে? আমি তো জানি শূন্য থেকে পদার্থ তৈরি করা যায় না?
আপনার লেখা ন্যারেট, পয়েন্ট আকারে অংলকৃত করার দক্ষতা বেশ প্রশংসনীয়। পড়ে মনে হচ্ছে শাহজাহান তপন স্যারের গাইড বইয়ের জটিল কোন সমীকরণের উওর।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২০
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: একটা পদার্থ একই সাথে দুই জায়গায় থাকতে পারে না।
৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বিশাল পোস্ট দেখে আগ্রহ হারায়নি। অনেক কিছু জানলাম। মন্তব্য উপভোগও করবো।
৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
শিরোনাম নয়, পোস্টের ছবিটি দেখে লগইন হতে হ'লো। বলতেই হবে জটিল বিষয় নিয়ে লেখা।
সাধারণ পদার্থ বিজ্ঞান নিয়েও যতোই ঘাটবেন, আপনি একটা ভোরটেক্স এর ভেতর হাবুডুবু খেতে থাকবেন। আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে ঘাটলে তো আপনার হেমায়েতপুরে যাওয়া কেউ ঠেকাতে পারবেনা ! অবশ্য এতে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই, দেখা যাবে অন্য কোনও প্যারালাল মহাবিশ্বে তখন আপনি শীষ দিতে দিতে দেবানন্দের মতো " হ্যায় আপনা দিল তো আওয়ারা.." গাইতে গাইতে এলিয়েন সুন্দরীদের পিছনে ছুটছেন!
আসলে বিজ্ঞানের অগ্রগতির এসব বিষয় নিয়ে ভাবলে খেই হারিয়ে ফেলতে হয়। দিনে দিনে কতো নতুন নতুন তথ্য যে সামনে আসছে যা শুনলে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলায় দুলতে হয়! তাই বাড়তি পন্ডিতি না করে উপরের মন্তব্যখানি করেই "নেগেটিভ মাস"ওয়ালা তরলের মতোই এই পোস্টটি ছেড়ে উল্টোদিকে হাটা দিলুম.................
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শিরোনামটা কড়া হয়েছে । লেখাও পড়েছি ।