নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ \nআধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপাচার্য মহোদয়গণের প্রতি অনুরোধ- ছাত্রাবাসে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাসকক্ষ বরাদ্দ দিন

২১ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৫২


আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়গণের প্রতি অনুরোধ-

ছাত্রাবাসে প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাসকক্ষ বরাদ্দ দিন, কারণ!
বর্তমানে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলোতে কক্ষ বরাদ্দের অদ্ভূত নিয়ম প্রচলিত আছে।

এই অদ্ভূত নিয়ম অনুযায়ী একন কোমলমতি নবীন শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাসে কক্ষ পেতে লাগে কয়েক বছর, আর যাদের অভিজ্ঞতা আছে, বিশেষ করে ছাত্র-রাজনীতির সাথে জড়িত, তারা বাসকক্ষ ধরে রাখতে পারে কয়েক বছর। সে জন্য বর্তমান ব্যবস্থায় একজন নবীন অপরিণত বয়সের শিক্ষার্থীকে কতকগুলো অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও নিরপত্তাগত ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হয়। আর অন্যদিকে এই ব্যবস্থায় ছাত্রাবাসে প্রবীণদের থাকে সুখস্বাচ্ছন্দ্যের সুযোগ এবং নবীনদের উপর কর্তৃত্ব করার সুযোগ। কাজেই একজন নবীন কোমলমতি শিক্ষার্থী যে সদ্য উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় (কলেজ) পাশ করে আসে করে, তাকে আবাসিক কক্ষ বরাদ্দ পেতে একবার ছাত্রাবাস প্রশাসনে দৌঁড়াতে হয় তো, আরেকবার প্রবীণ ছাত্রনেতাদের কাছে ধর্ণা হয়। ছাত্রাবাসে বাসকক্ষ পেতে এই যে গণ্ডগোল, তাই ছাত্র-রাজনীতির নিয়ামক হিসাবে কাজ করে।

কাজেই অদ্ভূত এই নিয়মটি ভেঙ্গে ছাত্রাবাসগুলোতে বাসকক্ষ বরাদ্দের যৌক্তিক নিয়ম চালু করা প্রয়োজন, যেন কোমলমতি নবীন শিক্ষার্থীরা আবাসিক বিশ্ববিদ্যালগুলের ছাত্রাবাসগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাসকক্ষ বরাদ্দ পায়। প্রস্তাবিত এই পদ্ধতিতে ছাত্রাবাগুলোতে বাসক্ষের সংখ্যানুসারে যথাক্রমে প্রথম শিক্ষাবর্ষ ও দ্বিতীয় শিক্ষাবর্ষের ছাত্ররা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাসকক্ষ বরাদ্দ পাবে। বাসকক্ষের সংখ্যা স্বল্পতার কারণে তৃতীয় শিক্ষাবর্ষ বা তদুর্ধ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অপেক্ষাকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বাসকক্ষ পরিত্যাগ করবে। ফলশ্রুতিতে কোমলমতি নবীন শিক্ষার্থীগণ অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাবে। আর প্রথম থেকেই বাসস্থানের নিরাপত্তা পেলে, তারা কোন ঝুঁকি ছাড়া দুই-এক বছরে বিশ্ববদ্যালয়ের নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে উঠতে পারবে। এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও তার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে, তৃতীয়/চতুর্থ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রাবাস থেকে বেরিয়ে নিজের পছন্দমতো যথাপোযুক্ত আবাসিক ব্যবস্থা করে নিতে পারবে। কাজেই এই প্রক্রিয়ায় প্রবীণদের ছাত্রাবাসে বাসকক্ষ অধিকারে রেখে, ছাত্র-রাজনীতির কূটচক্র তৈরী করতে পারবে না। ছাত্রাবাসগুলোতে দ্বন্দ্ব, মারামারি ও ঝগড়া-বিবাদের সুযোগ থাকবে না। তাছাড়া ছাত্রনেতাদের জাতীয় নেতৃত্বের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষকদের উপর খবরদারী করার বর্তমান প্রক্রিয়াটির কার্যকারিতা হারিয়ে যাবে।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

২| ২১ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:১৪

বিজন রয় বলেছেন: এই আর্জি এখানে জানিয়ে কার লাভ বুঝলাম না।

২১ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:২৫

রেজাউল করিম ফকির বলেছেন: এখানে কোনো আর্জি জানানো হয়নি, শিরোনামটি আর্জি জানানোর মতো হয়েছে কেবল। তবে যথাস্থানে এই আর্জিটি জানানো হয়েছে।

৩| ২১ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:২৯

বিজন রয় বলেছেন: তাহলে শিরোনামটি পরিবর্তন করে দিন না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.