![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অধ্যাপক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশে একটি সর্বব্যাপী ইংরেজি ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা চালু রয়েছে। এই শিক্ষাব্যবস্থাটি ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম ও ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে গঠিত। কিন্তু এই ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থাটি একটি অপরিকল্পিত শিক্ষাব্যবস্থা। এটি অপরিকল্পিত হওয়ার কারণ নিহিত রয়েছে এর ভাষানীতি ও ভাষা-পরিকল্পনার শুন্যতায়। অর্থ্যাৎ ইংরেজি শিক্ষা চালু করতে যে ভাষানীতি প্রয়োজন, তা প্রণয়ন না করেই শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞান থেকেই বর্তমান ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে সাধারণ্যে উচ্চ ধারণা রয়েছে। সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রবর্তিত এই ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থার নেতিবাচক কতকগুলো উপসর্গ পরিদৃষ্ট হচ্ছে। দেশজুড়ে শিক্ষাব্যবস্থায় ও দাপ্তরিক কার্যক্রমে ইংরেজির বিস্তৃতি ঘটছে, অথচ ইংরেজিতে দক্ষ লোকের অভাব পরিদৃষ্ট হচ্ছে।
ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করতে হলে, নেতিবাচক এ সব উপসর্গসমূহ নিরসন করতে হবে। সেজন্য আমাদের ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রমের স্বরূপ ও তার মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে, ভাষা শিক্ষা নিয়ে গত দুই দশকে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। এই সমস্ত গবেষণায় অগ্রবর্তীগণ হলেন তোভি স্কুটনাবব-কাঙ্গাস (১৯৪০-), স্টিফেন ক্রাসেন (১৯৪১-), রড এলিস (১৯৪৪-) ও জেমস কামিনস (১৯৪৯-) প্রমূখ। তাঁদের গবেষণা লব্ধ ফলাফল থেকে জানা যায় যে, ভাষাগত দক্ষতা অর্জন পরিজ্ঞানমূলক বিকাশ ও জ্ঞান অর্জনের সাথে সম্পর্কিত। সে অর্থে জ্ঞান অর্জনে ব্যাপৃত হলে পরিজ্ঞানমূলক বিকাশ ঘটে ও যুগপৎভাবে ভাষাগত দক্ষতা জন্মায়। তাঁদের গবেষণালব্ধ ফলাফল থেকে আরও জানা যায় যে, পারিবারিক পরিমণ্ডলে মাতৃভাষার প্রাথমিক ভিত রচিত হয়। তাই বিদ্যালয়ে মাতৃভাষার আর পাঠ গ্রহণ না করলেও, জ্ঞানীয় বা শাস্ত্রীয় বিষয় পড়াশুনায় ব্যপৃত হলে সয়ংক্রিয়ভাবে মাতৃভাষায় অধিকতর দক্ষতা অর্জন ঘটে। কিন্তু মাতৃভাষার বদলে ভিন্ন কোন ভাষা (বিভাষা) মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করতে হলে, বিদ্যালায় পর্যায়ে সে ভাষায় সাক্ষরতা অর্জন করা প্রয়োজন। সে অর্থে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করতে হলে, প্রথমে সাক্ষরতা ইংরেজির (ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র) শিক্ষা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সাক্ষরতা ইংরেজির ১ম পত্রে মূলত: ইংরেজি মাধ্যমে মানবিক, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও সাহিত্য সম্পর্কিত বিষয় পড়ানো হয়; আর ২য় পত্রের মাধ্যমে মূলত: শুদ্ধভাবে শব্দ, অভিব্যক্তি ও বাক্য গঠন সম্পর্কিত শিক্ষা দান করা হয়। একবার ইংরেজি মাধ্যমে জ্ঞানীয় বা শাস্ত্রীয় বিষয় পড়াশুনায় ব্যপৃত হলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইংরেজিতে ভাষাগত দক্ষতা জন্মায়। সেজন্য মানবিক, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও সাহিত্যকে উপজীব্য করে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হলে, পরিজ্ঞানমূলক বিকাশ, জ্ঞান অর্জন ও ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন যুগপৎভাবে ঘটে থাকে। কিন্তু শিক্ষা জীবনের শুরুতেই যদি ইংরেজিতে যথেষ্ট দক্ষতা না থাকে, তবে সেই দক্ষতা অপূরণীয় থেকে যায়। ফলশ্রুতিতে সারা জীবন ব্যাপী ব্যক্তিবিশেষের পরিজ্ঞামূলক বিকাশ ও জ্ঞান অর্জন ব্যহত হয়। এসব গবেষণালব্ধ ফলাফল বিবেচনায় নিলে বর্তমান ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার করার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়। উল্লেখ্য যে, পেনজা প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুশ ফেডারেশন) গবেষণা সংকলনে প্রকাশিত এই নিবন্ধকারের গবেষণা পত্র থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশের জন্য যুৎসই ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থায় যা যুক্ত হওয়া প্রয়োজন, তা হলো- তৃতীয় শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত এই পাঁচ বছর সাক্ষরতা ইংরেজি শিক্ষা, ইংরেজিতে দক্ষতা থাকা সাপেক্ষে নবম শ্রেণি থেকে এক-তৃতীয়াংশ শাস্ত্রীয় বিষয়ে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা। কাজেই এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কার করা হলে, ইংরেজি শিক্ষার নেতিবাচক উপসর্গ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
বর্তমান ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা থেকে নেতিবাচক উপসর্গসমূহ উৎসরিত হওয়ার কারণ হলো এ শিক্ষাব্যবস্থায় পরিজ্ঞানমূলক বিকাশ, জ্ঞান অর্জন ও ইংরেজি ও বাংলা ভাষাগত দক্ষতা অর্জন —এই তিন ধরণের অর্জনই ব্যাহত হয়। এর পিছনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও ইংরেজি ভাষা-পরিস্থিতি সংশ্লিষ্ট ত্রিবিধ কারণ নিহিত রয়েছে। এগুলো পরস্পর ব্যাখ্যা করা যাক। যে কোনো শিশুরই শিক্ষাজীবন শুরু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। কিন্তু তার ভাষা শিক্ষা শুরু হয় জন্মলগ্ন থেকে। কিন্তু বাংলাদেশে ইংরেজি ভাষা-পরিস্থিতি অনুপস্থিত রয়েছে বলে, জন্মলগ্ন থেকে ইংরেজি শিক্ষার সুযোগ থাকে না। কাজেই বাংলাদেশে একজন শিশু ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন শুরু করে বিদ্যালয় প্রবেশের পর। কিন্তু ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন সম্পন্ন হতে না হতেই, শিশুরা এই স্বল্প আয়ত্বকৃত ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ ও জ্ঞান অর্জনে নিয়োজিত হয়। জেমস কামিনস (১৯৪৯-)-এর গবেষণালব্ধ ফলাফল থেকে জানা যায় যে, স্বল্প ইংরেজি দক্ষতা নিয়ে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা অর্জনে ব্যাপৃত হওয়ার কারণে শিশুর পরিজ্ঞানমূলক বিকাশ ব্যাহত হয়। ফলশ্রুতিতে ভবিষ্যত জ্ঞান অর্জনে সহায়ক পরিজ্ঞানমূলক ভিত রচিত হয় না। অনুরূপভাবে পরিজ্ঞান, জ্ঞান ও ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতা—এই তিনটিতে ঘাটতি নিয়ে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হলে, জ্ঞান অর্জন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। সেজন্য স্কুটনাবব-কাঙ্গাস (১৯৪০-) ও জেমস কামিনস (১৯৪৯-) প্রমূখ ভাষা বিজ্ঞানীগণ ৫-৭ বছর বয়স পর্যন্ত মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। তাঁরা সে সময়কালের মধ্যে বিদেশি ভাষায় (অর্থ্যাৎ সাক্ষরতা ইংরেজি) দক্ষতা অর্জন সাপেক্ষে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে পরামর্শ দেন। উপরের আলোচনা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, সাক্ষরতা ইংরেজি শিক্ষা শুধুমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে প্রয়োজন। তবে তা বাধ্যতামূলক হওয়া অবাঞ্ছনীয়। স্টিফেন ক্রাসেন (১৯৪১-), রড এলিস (১৯৪৪-) থেকে বিবৃত আছে যে, মাধ্যমিক শিক্ষায় প্রবেশের পর শিক্ষা গ্রহণ ও জ্ঞান অর্জনের বাহন হিসাবে কোনো ভাষা ব্যবহার করা হলে, সে ভাষায় স্বত:স্ফূর্তভাবে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটে। সে বিবেচনায় মাধ্যমিক পর্যায় থেকে বাধ্যতামূলক সাক্ষরতা ইংরেজি শিক্ষার প্রয়োজন নেই।
অথচ এসব গবেষণালব্ধ ফলাফলকে বিবেচনায় না নিয়ে, শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করায়, এই অপরিকল্পিত ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা টিকে আছে। এবং তা দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষতি বয়ে আনছে। কাজেই ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থাকে সংস্কার করা প্রয়োজন। বর্তমানে প্রচলিত ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থার সর্বপ্রথম যে বিষয়টি সবচেয়ে পরিমার্জন করা প্রয়োজন, সেটা হলো ভাষাগত দক্ষতা মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিমার্জন। এবং এমন একটি শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন, যেখানে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এই উভয়েরই প্রয়োজনীয় ভাষাগত দক্ষতা নিশ্চিত করা যায়।
ভাষাগত দক্ষতা নিশ্চিত করতে হলে, ভাষাগত দক্ষতা মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। বর্তমানে প্রচলিত কৃতি পরীক্ষার সাথে দক্ষতা ভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতির প্রবর্তন করতে হবে। এ প্রকার মূল্যায়ন পদ্ধতির প্রবর্তন করতে হলে যা জানা প্রয়োজন তা হলো ভাষাগত দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞানীয় প্রবণতা ও জ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত। অথচ শুধুমাত্র ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞানীয় প্রবণতা ও জ্ঞান ইত্যাদির সবগুলো অর্জন ঘটে না। একইভাবে ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতা পরিমাপক IELTS ও TOEFL কেবল ভাষাগত দক্ষতা পরিমাপক নয়, এটি বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞানীয় প্রবণতা ও জ্ঞান পরিমাপকও বটে। আবার SAT (scholastic aptitude test) ও GRE (graduate record examination) যথাক্রমে জ্ঞানীয় প্রবণতা ও জ্ঞান পরিমাপক হলেও, এগুলো ভাষাগত দক্ষতা পরিমাপকও বটে। আমরা জানি যে, ভাষাগত দক্ষতা পরিমাপক দ্বারা প্রারম্ভিক, প্রাথমিক, প্রাগমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চতর ইত্যাদি পরস্পর ক্রমোচ্চ ৬ ধাপে ৪ প্রকার দক্ষতা পরিমাপ করা হয়। এই ৪ প্রকার ভাষাগত দক্ষতা হলো বাচন, শ্রবণ, লিখন ও পঠন। IELTS ও TOEFL-এর সাহায্যে নিম্নতর ধাপে শুধুমাত্র ইংরেজি দক্ষতা পরিমাপ করা হয়। কিন্তু পরস্পর উচ্চতর ধাপে কিছুটা জ্ঞানীয় প্রবণতা ও জ্ঞানও পরিমাপ করা যায়। কাজেই একজন শিক্ষার্থী যে ইংরেজিসহ অন্যান্য যে সব বিষয় পড়ে থাকে, তার সবগুলোই ভাষাগত দক্ষতা পরিমাপকে প্রতিফলিত হয়। সেজন্য বিভিন্ন দেশে SAT ও GRE-এর আদলে নিজস্ব জ্ঞানীয় প্রবণতা ও জ্ঞান পরিমাপক তৈরি করা হয় এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্বে ভর্তির ক্ষেত্রে এই পরিমাপকের সাফাল্যাঙ্ক (score) শর্তযুক্ত করা হয়। কাজেই ভাষাগত বা জ্ঞানগত দক্ষতা ব্যতীত ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকে না বলে, উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম সূচারুরূপে পরিচালিত হয়। এসব বিষয় বিবেচনায় নেয়া হলে, বাংলাদেশেরও নিদেনপক্ষে নিজস্ব ভাষাগত দক্ষতা পরিমাপক তৈরি করা প্রয়োজন ও তা ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থায় ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতা মূল্যায়নে প্রবর্তন করা প্রয়োজন। প্রস্তাবিত এই মূল্যায়ন পরিমাপকের নাম হতে পারে জাতীয় ভাষাগত দক্ষতা পরিমাপক। এটি পরিচালনার জন্য শিক্ষা বিভাগের অধীনে জাতীয় ভাষাগত ও জ্ঞানগত দক্ষতা পরিমাপক সংস্থা নামক একটি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা যেতে পারে। উল্লেখ্য ২০০০ খ্রিস্টাব্দে যখন ইংরেজি মাধ্যমে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত তখনই ইংরেজি দক্ষতা উপযোগিতার বিষয়টি আলোচনায় এসেছিলো। মূলত: সে সময়ই এই মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু তখন এটি চালু না করে শিক্ষাবিদদের পরামর্শে বিশ্বিদ্যালয় ভর্তির বছর ১০০ নম্বরের ইংরেজি ভাষা কোর্স প্রবর্তন করে। এই কোর্স প্রবর্তনের উদ্দেশ্য ছিলো শিক্ষার্থীদের ইংরেজি দক্ষ করে গড়ে তোলা। এ ধরণের কোর্স প্রবর্তনের বিষয়টি নীতি-নির্ধারকদের ইংরেজি শিক্ষা সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অবজ্ঞার কথাই জানান দেয়।
পূর্ববর্তী আলোচনায় স্পষ্ট হয়েছে যে, ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম সংঘটনের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়েরই ভাষাগত ও জ্ঞানগত দক্ষতা থাকা আবশ্যক। কাজেই প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে, তার আওতায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ভাষাগত দক্ষতা মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রবর্তন করা প্রয়োজন। সে প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে জাতীয় ভাষাগত ও জ্ঞানগত দক্ষতা পরিমাপক সংস্হার অধীনে বছরে ৪ বার ভাষাগত দক্ষতা মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। সে মূল্যায়নে প্রাপ্ত সাফাল্যাঙ্ককে বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে শর্তযুক্ত করা যেতে পারে। একই সাথে ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষাব্যবস্থায় পাঠরত শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সাফল্যাঙ্ককে শর্তযুক্ত করা যেতে পারে। এ ব্যবস্থায় ইংরেজি শিক্ষার মূল্যায়ন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে। ফলশ্রুতিতে ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতা জনিত কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ও জ্ঞান অর্জন ব্যাহত হবে না। Click This Link
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৯
গফুর ভাই বলেছেন: আমরা জানি স্বাধীনতার ভিত গড়ে দেয় ভাষাা আন্দোলন কিন্তু সেই দেশে সুপ্রিম কোর্টে এখনো বেশির ভাগ রায় বা আদেশ ইংরেজিতে দেওয়া হয়।সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ও আইনজীবীরা বলছেন, উচ্চ আদালতে বাংলার ব্যবহার না বাড়ার মূলে রয়েছে প্রথাগত মানসিকতা। আইনজীবীরা যেমন প্রথা ভেঙে বাংলায় আবেদন লিখতে চান না, তেমনি বিচারকেরাও কষ্ট করে বাংলায় রায় দিতে চান না। এই প্রথা ভাঙতে তাঁদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
ইংলিশ জানার অবশ্যিই দরকার আছে তার আগে তো বাংলা ভালো জানতে হবে।আপনি তো ভালো বলতে পারবেন ঢাকা বিশবিদ্যলয় শিক্ষক কয়জন আছে পশ্চিমা দেশের কয়টা বই বাংলায় অনুবাদ করেছে।যা বাংলার ছাত্রদের শিখতে সাহায্য করে।ভালো করে কোন কিছু অনুধাবন করতে পারে।
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৬
জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: কম্যুনিকেটিভ ইংরেজি শিক্ষা যেদিন থেকে চালু হয়েছে (আমি সম্ভবত তখন ৯ম শ্রেণির ছাত্র) ইংরেজি শিক্ষার মান নিচে নামা শুরু হয়েছে। ছাত্র জীবনে নামি-দামি স্কুলের বহু ছাত্র-ছাত্রীকে ইংরেজি পড়িয়েছে, কিছুদিন কলেজে শিক্ষকতাও করেছি এবং বারবার হতাশ হয়েছি। দায় আমাদেরই, বিশেষ করে যারা কারিকুলাম তৈরি করেন। আমি প্রাইমারি স্কুলে ভয়ংকর দুইজন শিক্ষক পেয়েছিলাম আর হাই স্কুলে একজনকে। তাদের অবদানের কারণেই কম্যুনিকেটিভ আসার আগে কিছুটা শিখতে পেরেছি। সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং এর ক্ষেত্রে বাইরে এখনো ট্রানস্লেশনকে গুরুত্ব দেয়, কিন্তু আমাদের দেশে ট্রানস্লেশনের চলই উঠে গেছে। লক ডাউনে নিজে নিজে জার্মান শিখছি, পুরনো চলে ট্রান্সলেশনকে ভিত্তি করে, এতে আমার ইংরেজিও আগের চেয়ে উন্নত হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৩
সাসুম বলেছেন: Korean Educational Curriculam
আমাদের দেশের এডুকেশান কারিকুলামের সমস্যা। ছোট বেলা থেকে ইংরেজি শিখায় মাস্টার্স পাস করে এক লাইন শুদ্ধ ইংরেজি বলতে পারেনা। ধর্ম শিখায় আর ইউনিভার্সিটীর পোলাপাইন উটের মুত আর গরুর মুতে পানাহ খুজে পায়।
উপরে কোরিয়ান এডুকেশান এর কারিকুলাম দিলাম। আপনি দেখলে মজা পাবেন। সেখানে ধর্ম ও নাই, বাই ফোর্স ইংরেজি ও নাই। মোরাল, এথিক্স , লাইফ স্কিল, সারভাইবাল- এসব দিয়ে শুরু করে।