নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির, অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় e-mail: [email protected]

রেজাউল করিম ফকির

অধ্যাপক, কোবে গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়

রেজাউল করিম ফকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংবিধানিক পদ ও নির্বাচনী পদ্ধতি আইন, ২০২৫ সম্পর্কে আমার প্রস্তাব

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সংবিধানিক পদ ও নির্বাচনী পদ্ধতি আইন, ২০২৫ সম্পর্কে আমার প্রস্তাব
ধারা ১ : সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও কার্যকারিতা
(১) এই আইন “সংবিধানিক পদ ও নির্বাচনী পদ্ধতি আইন, ২০২৫” নামে পরিচিত হবে।
(২) সরকার কর্তৃক গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখে এই আইন কার্যকর হবে।
ধারা ২ : সংজ্ঞা
এই আইনে, প্রসঙ্গবশত অন্যথা না বুঝালে—
(ক) “কমিশন” বলিতে নির্বাচন কমিশনকে বুঝাইবে;
(খ) “জোট” বলিতে কমিশন-স্বীকৃত একাধিক রাজনৈতিক দলের লিখিত মৈত্রী/ঐক্যকে বুঝাইবে;
(গ) “আনুপাতিক আসন” বলিতে রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত মোট বৈধ ভোটের অনুপাতে বণ্টিত সংসদীয় আসনকে বুঝাইবে;
(ঘ) “ধারাক্রমিক তালিকা (ক্লোজড-লিস্ট)” বলিতে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থিদের কমিশনে দাখিলকৃত ও নিবন্ধিত ক্রমানুসার তালিকাকে বুঝাইবে;
(ঙ) “জাতীয় ভোট” বলিতে সংসদীয় সাধারণ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলসমূহের প্রাপ্ত মোট বৈধ ভোটকে বুঝাইবে।
ধারা ৩ : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
(১) রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হইবেন।
(২) একই নির্বাচনে প্রদত্ত জাতীয় ভোটের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী রাষ্ট্রপতি-নির্বাচিত গণ্য হইবেন।
(৩) রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হইতে হইলে—
(ক) প্রার্থীকে এমন কোনো রাজনৈতিক দল অথবা কমিশন-স্বীকৃত জোট কর্তৃক মনোনীত হইতে হইবে, যাহা/যাহারা অবিলম্বে পূর্ববর্তী সংসদীয় সাধারণ নির্বাচনে সর্বমোট বৈধ ভোটের ন্যূনতম দশ (১০) শতাংশ প্রাপ্ত হইয়াছে; এবং
(খ) সংবিধানসম্মত অন্যান্য যোগ্যতা পূর্ণ করিতে হইবে।
(৪) সমতা (tie) ঘটিলে কমিশন বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পুনঃগণনা বা পুনঃভোটগ্রহণ করিতে পারিবে।
ধারা ৪ : উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন
(১) উপরাষ্ট্রপতি একই নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হইবেন।
(২) উক্ত নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী উপরাষ্ট্রপতি-নির্বাচিত গণ্য হইবেন।
(৩) ধারা ৩(৩)-এর মনোনয়ন ও যোগ্যতার শর্তসমূহ উপরাষ্ট্রপতি-পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে।
(৪) সমতা (tie) ঘটিলে ধারা ৩(৪) অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
ধারা ৫ : প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন
(১) প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হইবেন।
(২) প্রধানমন্ত্রী সংসদের সদস্যদের মধ্য হইতে মনোনীত ও নির্বাচিত হইবেন।
(৩) ভোটগ্রহণের পদ্ধতি, গণনার রীতি ও সংখ্যাগরিষ্ঠতার মানদণ্ড কমিশন বিধি দ্বারা নির্ধারণ করিবে; তবে সাধারণভাবে উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রাপ্তি যথেষ্ট হইবে, যদি না বিধিতে ভিন্নতর কোনো মান নির্ধারিত থাকে।
ধারা ৬ : সংসদ সদস্যের সংখ্যা ও ধরন
(১) সংসদ মোট ছয়শত (৬০০) সদস্যবিশিষ্ট হইবে।
(২) উহার মধ্যে—
(ক) নির্বাচনী এলাকা/আসনভিত্তিক প্রত্যক্ষ ভোটে তিনশত (৩০০) সদস্য নির্বাচন হইবেন; এবং
(খ) রাজনৈতিক দলসমূহের প্রাপ্ত জাতীয় ভোটের অনুপাতে আনুপাতিক হারে তিনশত (৩০০) সদস্য বণ্টন করা হইবে।
ধারা ৬(ক) : আসনভিত্তিক (সরাসরি) নির্বাচন
(১) প্রত্যেক একক-আসনে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী নির্বাচিত হইবেন।
(২) প্রার্থিতা এককভাবে বা কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনয়নে দাখিল করা যাইবে; প্রযোজ্য আইনানুগ যোগ্যতা প্রার্থীকে পূর্ণ করিতে হইবে।
(৩) সমতা ঘটিলে কমিশন বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফল নির্ধারণ করিবে।
ধারা ৬(খ) : আনুপাতিক আসন বণ্টন
(১) কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের প্রাপ্ত জাতীয় বৈধ ভোটের অনুপাতে আনুপাতিক আসন বণ্টন করিবে।
(২) আসন বণ্টনের গণনাপদ্ধতি, ভগ্নাংশ নিষ্পত্তি (remainder allocation) ও সমতা নিরসনের রীতি কমিশন বিধি দ্বারা নির্ধারণ করিবে।
(৩) প্রত্যেক রাজনৈতিক দল আনুপাতিক আসনের জন্য পূর্ব-নিবন্ধিত ধারাক্রমিক (ক্লোজড-লিস্ট) প্রার্থিতালিকা কমিশনে দাখিল করিবে।
(৪) সংসদে আসন পূরণের ক্ষেত্রে উক্ত তালিকার ধারাক্রম শতভাগ মানা সংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হইবে; তালিকা-ধারাক্রম ব্যত্যয়জনিত যে কোনো মনোনয়ন বা আসনবরাদ্দ শূন্য ও বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
(৫) আনুপাতিক শূন্যপদ ঘটিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধিত তালিকার পরবর্তী প্রার্থী স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসন লাভ করিবেন।
ধারা ৭ : জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন
(১) জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হইবেন।
(২) প্রার্থী হইতে হইলে—
(ক) পূর্বে উপজেলা চেয়ারম্যান বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হইয়া দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা থাকিবে; এবং
(খ) প্রযোজ্য আইনানুগ অন্যান্য যোগ্যতা পূর্ণ করিতে হইবে।
ধারা ৮ : মনোনয়ন ও জোট-স্বীকৃতি
(১) ধারা ৩ ও ৪-এর অধীন রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি-পদের মনোনয়ন একমাত্র ধারা ৩(৩)(ক)-এ বর্ণিত যোগ্য দল/জোট কর্তৃক প্রদানযোগ্য হইবে।
(২) কোনো প্রার্থী একাধিক দল/জোটের মনোনয়ন গ্রহণ করিতে পারিবেন না; এমনটি ঘটিলে প্রার্থিতা বাতিল হইবে।
(৩) জোট-স্বীকৃতি, শনাক্তকরণ চিহ্ন, মনোনয়নপত্র দাখিল ও প্রত্যাহারের সময়সীমা কমিশন বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
ধারা ৯ : নির্বাচন পরিচালনা ও অনিয়ম প্রতিকার
(১) নির্বাচন পরিচালনা, তফসিল, আচরণবিধি, ব্যয়সীমা, পর্যবেক্ষণ, গণনা, পুনঃগণনা ও ফল ঘোষণা কমিশন সম্পাদন করিবে।
(২) অনিয়ম, অভিযোগ বা বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি কমিশন বিধি দ্বারা নির্ধারণ করিবে।
ধারা ১০ : বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
(১) এই আইনের উদ্দেশ্য কার্যকরকরণার্থে কমিশন প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
(২) উক্ত বিধি গেজেটে প্রকাশিত হইলে কার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে।
ধারা ১১ : অসামঞ্জস্যতা নিরসন
এই আইনের বিধানসমূহের সহিত অন্য কোনো বিদ্যমান আইন বা বিধির অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হইলে, এই আইনের বিধানসমূহ প্রাধান্য পাইবে, যদি না সংবিধানে ভিন্নতর কিছু নির্ধারিত থাকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.