![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৭৯৮ ঈসায়ি সালে ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ রবার্ট ম্যালথাস জনসংখ্যানীতির ওপর তার প্রসিদ্ধ প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। তিনি যুক্তি দেখান যে, মানুষ বৃদ্ধি পায় গাণিতিক হারে, কিন্তু সম্পদ বৃদ্ধি পায় জ্যামিতিক হারে। অর্থাৎ জনসংখ্যা বাড়ে ১, ২, ৪ ও ৮ হারে। কিন্তু সম্পদ বাড়ে শতকরা ৩, ৫ কিংবা ১০ হারে। তিনি বলেন, অল্প কয়েক বছরের মধ্যে জনসংখ্যা দাঁড়াবে দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ। কিন্তু সম্পদ বৃদ্ধি পাবে কেবল একটি নির্দিষ্ট মাত্রার শতকরা হারে। এই অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তিনি ভবিষ্যৎবাণী করেন যে, যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে পৃথিবীতে প্রবল খাদ্যাভাব দেখা দিবে।
পবিত্র কোরআনে বলা হচ্ছে-
দারিদ্রের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা কর না। আমিই তোমাদেরকে রিজিক দেই এবং তাদেরকেও। (আনআম, ০৬ : ১৫১)
অভাব-অনটনের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা কর না। আমিই তাদেরকে রিজিক দেই এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয় তাদের হত্যা করা মহাপাপ। (ইসরা, ১৭ : ৩১)
সকল শিল্পোন্নত দেশই বর্তমানে ম্যালথাসের তত্ত্বকে অনুসরণ করছে এবং তাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এই অবস্থা ঠিক তেমনি যেমনটি কোরান মাজিদ অবতীর্ণ হওয়ার প্রাক্কালে আরব সমাজে ছিল। আরবরা তাদের কন্যা সন্তানদের হত্যা করত। মানুষ বর্তমানে হত্যা করছে না, কিন্তু দারিদ্রের ভয়ে শিশুর জন্ম নিয়ন্ত্রণ করছে। ম্যালথাসের তত্ত্ব ও মানুষের ভয়ের বিপরীতে আল্লাহ তাআলা আছেন এবং মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ করছেন। সন্দেহ নেই আফ্রিকার কোনো কোনো অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব কিছুই ঘটেছে কিছু দায়িত্ব-জ্ঞানহীন মানুষের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে। পুরো মানব সমাজ কোনো গণদুর্ভিক্ষে পতিত হয় নি কিংবা প্রত্যক্ষ করে নি, যা কোরান মাজিদের একটি ভবিষ্যৎবাণী। -priyo.islam
প্রশ্ন হলো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন কেন?
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের ফলে কি লাভ হয়। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন জনসংখ্যা ছিল আনুমানিক ৬/৭ কোটি তখন দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭/১৮ কোটি কিন্তু এখন তো দুর্ভিক্ষ হয় না! আসলে মহান আল্লাহ আমাদের মালিক। তিনিই আমাদের সকলের রিযিক ঠিক করে রেখেছেন।
প্রানীকূলের মধ্যে একমাত্র মানুষই খাদ্য পূর্ব থেকে সংগ্রহ করে রাখে যা ১৮,০০০ হাজার মাখলুকাতের আর কারো মধ্যে নেই। আসলে অন্য সকল সৃষ্টিজীব তাদের সৃষ্টিকর্তকে চিনলেও আমরা মানব জাতি অনেকাংশে ব্যর্থ। আমরা শুধু অর্থের পিছনেই ছুটে চলছি যার ফলে যথ অনর্থ ঘটছে।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথ চেনার, বোঝার ও চলার তৌফিক দান করুন।- আমিন
৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫২
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬
সোজোন বাদিয়া বলেছেন:
প্রানীকূলের মধ্যে একমাত্র মানুষই খাদ্য পূর্ব থেকে সংগ্রহ করে রাখে যা ১৮,০০০ হাজার মাখলুকাতের আর কারো মধ্যে নেই। আসলে অন্য সকল সৃষ্টিজীব তাদের সৃষ্টিকর্তকে চিনলেও আমরা মানব জাতি অনেকাংশে ব্যর্থ।
তাহলে আমাদের শস্য গুদামগুলোর কোনো প্রয়োজন নেই?
৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১১
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: শস্য গুদাম থাকার পরওতো অনেক মানুষ না খেয়ে থাকে!
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪
বিজন রয় বলেছেন: মহান আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথ চেনার, বোঝার ও চলার তৌফিক দান করুন।- আমিন
ভরসা রাখুন।