নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সারা বাংলাদেশটা শান্তিতে ভরে যাক

রেদওয়ান কাদের

রেদওয়ান কাদের › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে ধর্মে বিয়ে যেমন

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫০


বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যেক ধর্মেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। কোন ধর্মেই বিয়ে বিহীন সহবস্থান গ্রহণ করে না। বিভিন্ন ধর্মে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে কিছু ধারণা দেওয়া হল :

হিন্দু ধর্মে বিয়ে : পাত্র-পাত্রী পছন্দ এবং উভয় পরিবারের সমঝোতার পর শুভ দিন এবং শুভ তিথি বা লগ্ন নির্ধারণ করা হয়। ওই তারিখ এবং সময়ে উভয়পক্ষের ২ জন ব্রাহ্মণ এবং অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বিবাহ কার্য সম্পাদন করা হয়। বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার আগে উভয়পক্ষের ব্রাহ্মণরা পাত্র এবং পাত্রী দু’জনকে কিছু প্রতিজ্ঞা, প্রতিশ্রুতি এবং শর্ত জুড়ে দেন। পাত্র-পাত্রী উভয়েই ওই শর্ত মেনে নিয়ে সম্মতি প্রকাশ করলেই বিবাহ কার্য শুরু হয়।

একটি ব্যাপার এখানে লক্ষণীয়, বিবাহের বেঁধে দেয়া লগ্ন বা সময় পেরিয়ে গেলে বিবাহ কার্য সম্পাদন করা যাবে না। পরবর্তী চন্দ্র মাসের তারিখ অনুযায়ী পুনরায় লগ্ন নির্ধারণ করা হয় এবং তারপরই কেবল বিবাহ কার্য সম্পাদন করা যাবে। বিবাহের আগের দিন বর-কনে উভয়কেই সংযম পালন করতে হয়। অর্থাৎ শুধু উপবাস করে থাকতে হয় এবং বিবাহের দিনও উভয়েই উপোস থাকে। বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পরই কেবল পাত্র-পাত্রী খাবার গ্রহণ করতে পারে।

খ্রীষ্টান ধর্মে বিয়ে : পাত্র-পাত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর উভয় পরিবারের সম্মতি নিয়ে গির্জায় একজন ফাদার বা পাদ্রিকে জানাতে হয়। জানানোর পর ফাদার গির্জায় আগত সবার সামনে ঘোষণা করেন, এ পাত্রীর সঙ্গে অমুক পাত্রের বিবাহ সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপস্থিত আপনাদের কারও কোনও মন্তব্য বা বক্তব্য থাকলে বলতে পারেন। এ ঘোষণার পর থেকে পাত্রী তিন সপ্তাহ ধরে ওই গির্জায় প্রার্থনার জন্য যাতায়াত করেন। ওই তিন সপ্তাহ চলাকালীন সময়ে কারও কোনও প্রকার অভিযোগ না থাকলে ৪র্থ সপ্তাহে বিবাহের দিন ধার্য করা হবে। অর্থাৎ সবার স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পাওয়ার পর দুই পরিবার বিয়ের আয়োজন শুরু করে থাকে। নির্ধারিত তারিখে নির্ধারিত কোনও গির্জায় ফাদার কর্তৃক পবিত্র বাইবেল পাঠের মাধ্যমে বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়।

বৌদ্ধ ধর্মে বিয়ে : প্রথমেই ছেলের পক্ষ থেকে পাত্রী নির্বাচন করা হয়। পরে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের সমঝোতার ভিত্তিতে এনগেজমেন্টের তারিখ নির্ধারণ করে সেই তারিখেই এনগেজমেন্টের আনুষ্ঠানিকতা পালন করার পর বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। বিয়ের তারিখের আগের দিন পাত্র এবং পাত্রী উভয়েই তাদের নিজ নিজ মন্দিরে বাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করার পর পাত্র এবং পাত্রী উভয়ে তাদের নিকট আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বৌদ্ধ মন্দিরে একজন পুরোহিতের কাছে উপস্থিত হন। সেখানেই মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে বিয়ে পড়ানো হয়। একে বলা হয় মঙ্গলাচরণ। বিয়ের দিন কমিউনিটি সেন্টার বা পাত্রীর বাড়িতে বিয়ের সামাজিকতা বা আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। অর্থাৎ সেখানে পাত্র-পাত্রী উভয়কে কিছু মন্ত্র পাঠের পর সদুপদেশ দেয়া হয় তাদের ভবিষ্যৎ সুখী-সমৃদ্ধ দাম্পত্য জীবনের জন্য। তবে এখানে কাবিন জাতীয় কোন প্রকার শর্তারোপ থাকে না।

ইসলাম ধর্মে বিয়ে: মুসলিম আইন উৎসগত দিক থেকে কুরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস নির্ভর। শরীয়া আইন থেকেই বিয়ে সংক্রান্ত বিধানসমূহ অনুসৃত হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মে বিয়ে একটি আইনগত, সামাজিক ও ধর্মীয় মর্যাদা রয়েছে। ছেলে ও মেয়ের একসাথে জীবন-যাপন ও সংসার ধর্ম পালনকে আইনগত, ধর্মীয় ও সামাজিক সুরক্ষা দিতেই বিবাহ প্রথার জন্ম। মুসলিম আইন অনুযায়ী বিয়ে হলো দেওয়ানী চুক্তি। এখানে খুব বেশি আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় না। অন্যান্য চুক্তির মতই এতে দুটি পক্ষ থাকে। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে একপক্ষ বিয়ের প্রস্তাব করলে এবং অন্যপক্ষ তা গ্রহণ করলে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়। মুসলিম বিয়েতে মহর বাধ্যতামূলক, আর বিয়ের পর ছেলের বাড়িতে অলিমা (বৌভাতের আয়োজন) করা সুন্নত।

বিবাহ বর্হিভুত যৌন সম্পর্ক:
মানুষ যখন বৈধ সম্পর্ক তথা বিয়েতে আবদ্য না হয়ে সাধারণভাবে যৌন চাহিদা পূরণ করে থাকে। এমন যৌনাচারকে ব্যভিচার বলা হয়। ব্যভিচার এমন এক ধ্বংসাত্মক কলুষতা যা মানুষকে সবদিক দিয়ে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি যে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা প্রয়োজন ছিলো তা বিবেকবান ব্যক্তিমাত্রই স্বীকার করবেন।

তাই সমাজ থেকে দূর হয়ে যাক, লিভ টুগেদার, পতিতাবৃত্তি আর সকল অবৈধ সম্পর্ক।

লেখাটির সূত্র:মাসিক আল-হুদা

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪২

ইমরান আশফাক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটির জন্যে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৭

রেদওয়ান কাদের বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.