![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সমাজের অনেকের আবার মন্তব্য যে, প্রেম-ভালবাসা নাকি বৈধ, তাদের উক্তি হল যে, প্রেম পবিত্র, ভালবাসা পবিত্র। সাধারণত ভালবাসা দুই ধরনের হয়ে থাকে। এর মধ্যে একটা স্বাভাবিকভাবেই ভাল অন্যটি ভদ্রভাবে বলতে গেলে ভাল নয়। কিন্তু বাস্তবে কোন সম্পর্কগুলো ভাল আর কোন গুলো ভাল নয় তা জানা দরকার। তার আগে ভালবাসার প্রকারভেদটা জেনে নিই।
(১) বৈধ ও পবিত্র
(২) অবৈধ ও অপবিত্র ।
কিছু অবৈধ ভালবাসা বা অসুস্থ ভালবাসা:
বিবাহের পূর্বে আধুনিক যুবক-যুবতীরা যে সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকেই অবৈধ ও অপবিত্র ভালবাসা বলে। কারন কোন পিতা-মাতাই তার সন্তানের বিবাহপূর্ব ভালবাসা মেনে নেন না। আমাদের সমাজ, ধর্মও তাকে অবৈধ বলে। কিন্তু বর্তমানে আমরা এত বেশী খোলামেলা যে বিয়ের আগেই ছেলে মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে যায়, যদিও ছেলে ও মেয়েতে কখোনোই বন্ধুত্ব হয়না বলেই আমার বিশ্বাস। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, প্রেম থেকে কখনো বিয়ে কখনো লিভ-টুগেদার। এটা হলো আমাদের বাংলাদেশের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা। এসবের মাধ্যমে অবশ্য আমাদের নৈতিক অধ:পতনই প্রকাশ করছে।
আমাদের সমাজে বেগানা যুবক-যুবতীর প্রেম-ভালবাসার নামে যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি উত্তাল সাগরের উর্মিমালার মত বহমান রয়েছে তা সম্পূর্ণ রূপে অবৈধ ও হারাম। বিবাহের পূর্বে এরূপ প্রেম-ভালবাসা শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়, অবৈধ। ইসলামের বিধি-বিধান অনুযায়ী কোন যুবতী কোন অবস্থায় কোন যুবকের সান্নিধ্যে থাকতে পারেনা।
হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কোন পুরুষ যখন কোন নারীর সাথে একান্তে থাকে, তখন তাদের মাঝে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত হয় স্বয়ং শয়তান, তাদের মাঝে ভাবাবেগকে উৎসাহিত করে এবং উভয়ের মাঝে খারাপ কুমন্ত্রণা দিতে থাকে এবং সর্বশেষে লজ্জাকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়।”
অবশ্য একটা ভাল গ্রুপও আছে যারা এসব থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে তাদেরকে আবার আনস্মার্ট, সেকেলে বলে থাকেন আমাদের অধ:পতিত নৈতিক সমাজের অত্যাধুনিক স্মার্ট মানুষেরা! বাস্তবে তারাই জয়ী।
কিছু পবিত্র কিছু ভালবাসার কথা শুনি:
১. পবিত্র ভালবাসা বলতে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি ভালবাসা,
২. সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার ভালবাসা,
৩.স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা ইত্যাদিকে বুঝায়।
এসকল বিষয় অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই সত্যিকারের ভাল মানুষদের।
আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি ভালবাসা:
যারা ঈমানদার মুমিন, তাদের অন্তরে আল্লাহর মহব্বত ভালবাসা হবে সর্বাধিক প্রগাঢ়। সূরা আল বাকারা। (আয়াত সূরা আল বাকারা: ১৬৫)
আর নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন: ‘কোন লোক পূর্ণ মুমিন হবে না যতক্ষণ না সে নিজের জীবন এবং পরিবার পরিজনের চেয়ে আমাকে বেশী ভালবাসবে।’
প্রিয় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “সে ব্যক্তি নিপাত যাক! সে ব্যক্তি নিপাত যাক! সে ব্যক্তি নিপাত যাক! সাহাবারা আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, মাতা-পিতাকে জীবিত পেয়েও তাদের সেবা-যত্ন করে যে জান্নাত খরিদ করেনি।”
এ ছাড়া মাতা-পিতার দুআ সন্তানের জন্য অনিবার্যভাবে কবুল হয়।
সন্তানকে ভালবাসার ফযিলত : রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ সন্তান ফাতিমাকে অত্যাধিক ভালবাসতেন। তিনি স্বীয় জবানে এরশাদ করেন, “ফাতিমা আমার কলিজার টুকরা, তাকে কেউ কষ্ট দিলে আমাকেই কষ্ট দেয়া হবে।” নবীজির পাক জবানের বর্ণনায় ফুটে উঠে যে সন্তানকে ভালবাসা ছাওয়াবের কাজ।
স্বামী-স্ত্রীকে ভালবাসার ফযিলত : হাদীস শরীফে আছে, স্বামী-স্ত্রী মহব্বতের সাথে আলাপ আলোচনা করা, কথা-বার্তা বলা নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম। অন্যত্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে মহিলা (স্ত্রী) তার স্বামীকে সন্তুষ্ট রেখে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয় সে অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশ করবে।
০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩০
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: জ্বী হ্যাঁ আপা।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৯
কানিজ রিনা বলেছেন: যতক্ষন পর্যন্ত সে পুর্ন মুমিন হবেনা,নিজের
পরিবার পরিজনের চেয়ে আমাকে ভালবাসবে।