![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে প্রগতিশীল এবং মুক্তমনা বলে যারা নিজেদের দাবী করে তারা মোটামুটি একটা বিষয় তাদের আলোচনায় প্রায়ই আনেন সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশে মাদ্রাসাগুলো জঙ্গি তৈরি করে বা জঙ্গিরা মুলত মাদ্রাসা থেকে আসে। তাদের এই ধারণা কোথায় থেকে এসেছে বা তারা যেই বিজ্ঞানমনস্কতার কথা বলে সেই বিজ্ঞান তাদের ধারণাকে সমর্থন করে কিনা সেটা তারা জানেন না বলেই বিশ্বাস। এই প্রসঙ্গে কয়েকমাস আগে ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক আলী রিয়াজের একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে এই Who are the Bangladeshi ‘Islamist Militants’? শিরোনামে।
জঙ্গীবাদ সম্পর্কে কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য বেরিয়ে এসেছে:
অধ্যাপক আলী রিয়াজ জুলাই ২০১৪ থেকে জুন ২০১৫ পর্যন্ত প্রথম আলো, জনকণ্ঠ ও নিউ এজ পত্রিকায় ইসলামী জঙ্গি গ্রেফতারের যে সমস্ত খবর প্রকাশিত হয়েছিল সেই সমস্ত গ্রেফতারকৃতদের প্রৌফাইলিং করা হয়েছে। এই সময়কালে জঙ্গিবাদের অভিযোগে ১১২ জন গ্রেফতার হয়েছিল।
-কোন পত্রিকায়, কবে কোন খবর প্রকাশিত হয়েছিল?
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৬৫ জনের পেশা জানা গিয়েছিল। ৬৫% এর বয়স ছিল ১৮-৩০ বছর, সর্বোচ্চ বয়স ছিল একজনের ৫৮ বছর। এর মধ্যে মাত্র ১২ জন হচ্ছে মাদ্রাসা ছাত্র যাদের একদিনেই হাটহাজারি থেকে র্যাব অপারেশনে ধরা হয়েছিল খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০১৫। এবং সরকারী প্রেসনৌট অনুসারে তাদের সবাইকে ছেড়েও দেয়া হয়েছিল কোন অভিযোগ না পাওয়া জাওয়ায়। বাস্তবিক সেই হয়রানিমুলক অপারেশনটি না হলে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজনও মাদ্রাসা ছাত্র থাকতো না।
বাকিদের মধ্যে আছে ইঞ্জিনিয়ার, ছাত্র, শিক্ষক, ব্যাবসায়ি এমনকি দিন মজুর। যাদের ধরা হয়েছে তাদের প্রত্যেকেই টুয়েলভ গ্রেড পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে এবং একজন সমাজবিদ্যায় পি এইচ ডি ক্যান্ডিডেট, একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ছে, একজন বিবিএ শেষ করেছে, আরেকজন কেমিস্ট্রি গ্রাজুয়েট। এর মধ্যে একজন প্রকৌশলী মালয়েশিয়া থেকে ডিগ্রী লাভ করেছে, অন্যরা দেশের মধ্যেই স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছে এমনকি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে একজন। নয়জন ব্যবসায়ীর মধ্যে সবাই উচ্চ শিক্ষিত, একজনের একটা ছাপাখানা আছে এবং সে সয়েল সাইন্সে মাস্টার্স, একজন ইংরেজিতে স্নাতক, দুইজন আই টি এক্সপার্ট, একজন ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করেছে, দুইজন আই টি এক্সপার্ট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, পাচজন ক্যাডেট কলেজের ছাত্র।
যারা জঙ্গী পেশায় আসছে তারা সবাই হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব। তারা সবাই অনেক জ্ঞানী।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারকৃতরা সকলেই আধুনিক স্যেকুলার শিক্ষায় শিক্ষিত। তাহলে মাদ্রাসা মানে জঙ্গি উৎপাদনের কারখানা এই তত্ত্বের আবিস্কর্তা কারা? খেয়াল করলে দেখবেন এই তত্ত্ব আবিস্কার করেছে তারাই যারা মুখে বলে প্রমাণ ছাড়া ঈশ্বরের অস্তিত্বও তাঁরা স্বীকার করেনা। তারা এবার বলবেন কি “মাদ্রাসায় জঙ্গি তৈরি হয়” এই প্রচারণা চালিয়ে সুতীব্র মাদ্রাসা বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন কোন প্রমাণ থেকে?
এখানে বোঝা যাচ্ছে যারা ইসলাম ধর্ম পছন্দ করে না তারায়মাদ্রসার ছাত্রদের বিরোধিতা করে ও মিথ্যা অপবাদ দেয়। সবশেষে জার্মান যেয়ে ঘাটি গেড়ে ঘুমায়!
উৎস: পিনাকি দা
০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: আপনার কথা গবেষনায় প্রতিফলিত হয় না। তাই কার মগজ আছে আর কার মগজ নাই তা বোঝা মুশকিল!
-ধন্যবাদ
২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: লিখাটা ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে!!
১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫
রেদওয়ান কাদের বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৮
বিপরীত বাক বলেছেন: অাপনি যাদের কথা বলছেন তারা তো জঙ্গীবাদের নেতা। সংখ্যায় কম। কর্মীবাহিনী কিন্তু মাদ্রাসা থেকেই বেশী অাসে। কারণ ওগুলোর বেশির ভাগেরই মাথায় কিছু নেই। তাই ওইসব নেতারা যখন সংঘবদ্ধ কিছু করতে চায় মাঠকর্মির অভাব পড়ে। তখন বিপুল পরিমাণ মগজহীন মাদ্রাসা কর্মীর প্রয়োজনস পড়ে।