নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিন্দুর মাঝে সিন্ধু দর্শনের আশায় পথ চলি...

রিদওয়ান হাসান

শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।

রিদওয়ান হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘ফার্স্ট বোশেখ’ ও আমাদের বাঙালিত্ব

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে আমাকে একটা বার্তা পাঠিয়েছে তামান্না। বার্তাটির ভাষা বাংরেজি—বাংলা ও ইংরেজির সম্বনয়ে। শেষের শব্দগুলো ছিল এ রকম, Happy 1st Boshekh- 1422; এর বঙ্গানুবাদ হলো ‘১৪২২ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখ শুভ হোক’। আমি একজন বাঙালি হলেও বছরের কোনো সময়েই আমার বাংলা তারিখ মনে থাকে না। তবে পয়লা বৈশাখকে আমি ব্যক্তিগতভাবে ‘এইজ ক্যালকুলেটর’ বা বয়স নির্ধারক যন্ত্র হিশেবেই জানি। কারণ, এই দিন এলেই বুঝতে পারি, আমার বার্ধক্যের আয়তন কতকের ঘরে পৌঁছেছে।



আমার বাবা অনেক আগের যুগের মানুষ। বাবার মুখে শুনেছি, বাবার দাদার যুগের মানুষেরা তদানীন্তনকালে সাল গণনা করত হিজরি সাল হিশেবে। কিন্তু উপমহাদেশের সারাবছরের কৃষিকাজ তখন চাঁদের সঙ্গে অতটা সম্পৃক্ত হত না। যে কারণে তৎকালীন লোকেরা খাজনা দেয়ায় নানা প্রতিকুলতার সম্মুখীন হত। যথাসময়ে যথাযোগ্য খাজনা আদায়ের জন্য সম্রাট আকবর তার সভার বিশিষ্ট গুণীজন ফতেউল্লাহ সিরাজীকে দিয়ে হিজরি চন্দ্রাব্দ এবং বাংলা পঞ্জিকার সমন্বয়ে ‘বাংলা সনের’র প্রচলন করেন।



ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায়, হিজরি সন গণনা করা হয় ইসলামের প্রবর্তক মহানবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের পবিত্র মক্কা থেকে পূণ্যভূমি মদিনা হিজরতে ঘটনাকে কেন্দ্র করে। হজরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহর হিজরতকে স্মরণীয় করে রাখতে হিজরতের বছরকে ভিত্তি বছর ধরে ‘হিজরি সনে’র প্রবর্তন করেন। পরে মুঘল সম্রাট আকবর সভাসদ আমীর ফতেউল্লাহ সিরাজীর পরামর্শে হিজরি ৯৬৩ সনকে বাংলা ৯৬৩ সন ধরে বাংলা সন গণনার নির্দেশ দেন। এটি প্রথমত ‘ফসলী সন’ নামে ১৫৮৪-এর মার্চ মাসে প্রবর্তিত হয়। প্রকৃতপক্ষে ১৫৫৬ সালে সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণের দিনটি থেকেই বঙ্গাব্দ বা বাংলা সনের সূত্রপাত।



বাবার দাদা যুগের মানুষরা অত খ্রিস্টাব্দের (ইংরেজি সনের) খবর রাখত না। বাঙালি হিশেবে স্বভাবতই বাংলা সনের প্রতি তাদের প্রীতির সম্পর্ক অনিবার্য এবং কৃতজ্ঞতাবোধ অফুরন্ত। এরই পরম্পরায় প্রীতির সম্পর্ক কিংবা কৃতজ্ঞতাবোধ সংক্রামণ করেছিল আমার বাবার অন্তরে। সেটা বুঝতে পেরেছি ইশকুলে ভর্তি হবার সময় জন্মতারিখ জানতে গিয়ে। বাবার ডায়েরিটা খুঁজতে খুঁজতে অনেক বিস্ময়ে আবিষ্কার করেছিলাম, আমার বাংলা জন্মতারিখ—যেখানে ইংরেজি সনও নেই; হিজরিও নেই।



ইশকুলের স্যারকে গিয়ে জন্মতারিখের স্থানে বাংলা সনের কথা জানালাম। স্যার চশমার ফাঁক দিয়ে রাগের চোখটা দেখালেন আমাকে। পরে বললেন, ‘ইংরেজিরটা নিয়ে এসো’। অথচ স্যার নিজেও হয়তো বা পারতো গণনা করে ইংরেজি জন্মতারিখটা বের করতে আবার হয়তো বা নাও পারত—যদি স্যারের বাংলা মাসের নাম কিংবা এর ধারাবাহিকতা মনে না থাকে! তাই পরবর্তীতে আমাকেই তারিখ নির্ধারক তালিকা ঘেঁটে আবিষ্কার করতে হয়েছিল ইংরেজি জন্মতারিখ। সেই থেকে পয়লা বৈশাখ আসলে আমার মন জুড়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে আমি জানতে সক্ষম হই, আমার আসল বয়সটা কত?



যাকগে, তামান্নার বার্তাটি আমার পরম প্রাপ্তি বৈকি! পয়লা বৈশাখে তার মাঝে এ ‘বাঙালি চেতনা’কে আমি সাধুবাদ জানাই। এটা শুধু চেতনা কিংবা নিছকই আনন্দ-মিলনমেলা দিয়ে নয়; এর পেছনে রয়েছে ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার’ পার হয়ে আসার দুঃসাহসিক ইতিহাস। কারণ ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, হাজার বছরের বাংলার এই মহোত্তম কীর্তিসাধনে পয়লা বৈশাখের চেতনা একটি উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান।



একটি জাতিকে ধ্বংস করতে হলে প্রথমে সে জাতির সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে হবে। এ কারণেই পাকিস্তানি আমলে পাক-সরকার প্রথমে আঘাত হেনেছিল বাংলাভাষার ওপর। সে চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পাকিস্তান বিভাজন হওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত তারা সে অপচেষ্টা থেকে বিরত হয়নি। কাজী নজরুল ইসলাম, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, রবী ঠাকুর ও তাদের ভাষার ওপর লিখিত বই, গান সবকিছুর ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আর এ দেশের দেশপ্রেমিক মানুষ পাকিস্তানি কুটিল শাসকশ্রেণির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাঙালি চেতনা অব্যাহত রেখে তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছিল।



আজ সেই বাঙালি চেতনা, সংস্কৃতি বিশ্বায়নের নামে বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার। আজ তামান্না ঐধঢ়ঢ়ু ১ংঃ ইড়ংযবশয লিখছে কেন আর কেনই বা তার ‘বাঙালি চেতনায়’ অন্য অপসংস্কৃতির ইন্দ্রজাল? বছরের একটি দিনেও কি সে বিশুদ্ধ বাংলাভাষায় বার্তা লেখার উদারতা রাখে না! এক্ষেত্রে সে কেন এমন হীনম্মন্যতার শিকার?



Happy 1st (হ্যাপি ফার্স্ট) শব্দটি ইংরেজি আর Boshekh শব্দটিকে কোনো এক রীতিতে ধরে নিলাম ‘বোশেখ’ হলো বৈশাখের সাহিত্যরূপ। এখানে বাঙালি ‘সংস্কৃত’ শব্দের মধ্যে কি আশ্চর্য নিপুণতায় ইংরেজির অনুপ্রবেশ ঘটালো—এটাই লক্ষণীয়। অথচ ইতিহাস পর্যবেক্ষণে জানা যায়, সময় কাল আজ থেকে প্রায় সোয়াশ’ বছর পূর্বেকার। বাংলাদেশে তখন জাতীয় গৌরব সম্পাদনী সভার সভ্যরা ‘গুড নাইট’ না বলে ‘সুরজনী’ কিংবা ‘শুভ রজনী’ বলতেন। থার্টি ফার্স্ট নাইটে পরস্পর অভিনন্দন না করে তারা পয়লা বৈশাখে করতেন আর ইংরেজি-বাংলা না মিশিয়ে কেবল বিশুদ্ধ বাংলাতে কথা বলাতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। যে একটি ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করত তার এক পয়সা জরিমানা হত। ( সূত্র : রাজনারায়ণ বসুর ‘আত্মচরিত’ )



খাঁটি বাংলাভাষার যা দশা। খাঁটি বাঙালিদেরও একই দশা এই স্বাধীন বাংলাদেশে। বাংলাভাষার সবচেয়ে বেহালা দশা দেখা যায় আমাদের দেশীয় এফ.এমগুলোতে। মাঝেমধ্যে তো বোঝাই মুশকিল হয়ে যায়, বাংলা বলছে না ইংরেজি। বড়ই পরিতাপের বিষয়, কোথায় হারিয়ে গেল আমাদের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য? অন্যসব জাতি থেকে আমাদের স্বতন্ত্রতা রইল কোথায় আর কোথায়ই বা পালালো আমাদের বাঙালিত্ব? সব যে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল!



বাঙালি হওয়া অত সহজ নয়। শুধু জামা-কাপড়, জুতো থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বাড়ালেই বাঙালির গৌরবগাঁথা ইতিহাস তুঙ্গে ওঠে না। বাজার থেকে ইলিশ মাছ উধাও হয়ে গেলেই ‘গিনেস বুকে’ নাম ধারণের মতো গৌরব করা যায় না। বছরের একটা দিনেই শুধু বৈশাখি পাঞ্জাবি-পায়জামা পরলে কিংবা স্যান্ডেল, খড়ম পরলেই বাঙালি হওয়া যায় না। কেবল পোশাকে বাঙালি হওয়া তো ‘পোশাকি বা খড়মি বাঙালি’ হওয়ারই নামান্তর। অগত্যা বলতে হয়, আজকাল তো পোশাকি বাঙালি হওয়াটাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত টাইট এবং আঁটোসাঁটো পোশাক পরা যায়, ততই যেন দৃষ্টিনন্দিত হয় ‘সুসভ্য বাঙালিয়ান’দের চোখে। সবচেয়ে কঠিন, নির্মম, নৈর্ব্যক্তিক যে সত্য, তা হলো আমরা শুধু বছরের একদিনই বাঙালি সাজি; আর ৩৬৪ দিন বাঙালি সাজতে গেলে মনে হবে ন্যাকামি করছি, পশ্রয় দিচ্ছি কৃত্রিমতার, আশ্রয় নিয়েছি অ্যাফেকটেশনের। একটিও ইংরেজি শব্দ ব্যবহার না করে বাংলা বলার ধনুর্ভঙ্গ পণের মতোই কৃত্রিম মনে হবে ব্যাপারটা; মনে হবে চালিয়াতি করছি।



পয়লা বৈশাখ মানে বাঙালি নববর্ষ। নববর্ষ মানেই নতুন কিছু—নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন, নতুন সংকল্প। আর ইসলামেও নতুনত্বের গুরুত্ব আছে। তবে সেটা নিশ্চয় শরিয়তের গ-ির ভেতর থাকতে হবে। ইসলাম হিন্দুয়ানি কিংবা পাশ্চাত্যের অপসাংস্কৃতিক রীতিনীতি কিছুতেই সমর্থন দেয় না। এ কারণেই আজ পাশ্চাত্যরা আদাজল খেয়ে নেমেছে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে, ৯০ভাগ মুসলমানের দেশে তাদের হিন্দুয়ানী কিংবা পাশ্চাত্য রীতিনীতির অনুপ্রবেশ ঘটাতে! ওই যে বলেছিলাম, কোনো জাতিকে ধ্বংস করতে হলে প্রথমে তার সংস্কৃতিতে আঘাত হানতে হয়। আজ তারা এ নীতি অবলম্বন করেছে। তারা প্রতিনিয়ত আঘাত হেনে যাচ্ছে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে। ধীরে ধীরে তাতে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে তাদের মনগড়া সংস্কৃতি, রীতিনীতি আর নারী-পুরুষ অবাধে মেলামেশার মতো জঘন্য গর্হিত কাজ! যা রাজধানীর পার্কগুলোতে দিনে দুপুরে নজর করলেই দেখা যায় অহরহ। কী অশ্লীলতা আর বেহায়াপনা দেখা যায় সেখানে, এক মুহূর্তের জন্য যেন তারা মনুষ্যত্বটাই হারিয়ে বসে।



ভোর হতেই রমনা বটমূলে শুরু হয় ‘এসো হে বৈশাখ...’ দিয়ে। বাঙালি হিশেবে এটা মেনে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু সান্ধ্যকালীন দেশোয়ারী সমাজ শ্রেষ্ঠ্য লক্ষ্মীর বরপুত্র, বাণিজ্য শ্রেষ্ঠ্য গেজেট তালিকাভুক্ত অফিসাররা, তারাও বিশেষ সাজসজ্জায় ভূষণাবৃত হয়ে গদগদচিত্তে শামিল হয়ে যায় ‘বৈশাখি ইভেনিং পার্টি’তে। শুরু হয় অর্ধনগ্ন নারীর শরীরের অশালীন নড়নচড়ন আর ফুলভলিয়ম ডলভি ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেমে বাঁজতে থাকে ‘শীলা... শীলা কি জওয়ানি...।’ এই হলো আমাদের ‘বাঙালিত্ব’। এটা যে আমাদের সংস্কৃতিকে—জাতিকে ধ্বংস করার পায়তারা, তা যে কোনো সচেতন নাগরিকদের বুঝতে আর বাকি নেই। তথাপি আজ আমরা পাশ্চাত্যের গোলামি করেই চলছি। আমরা যেন বুঝেও না বোঝার ভান করে চলছি প্রতিনিয়ত।



এখনো কি আমাদের সময় আসেনি রুখে দাঁড়াবার? অবশ্যই, এটাই যে সময়। এখনই সমাজকে অপসংস্কৃতির কবল থেকে মুক্ত করতে না পারলে সামনে আমাদের দুঃসময় অপেক্ষা করছে, যা কাম্য হতে পারে না। আগেই বলেছি, ইসলামে নতুনত্বের গুরুত্ব আছে। তাই নতুন দিনে নতুনত্বের গুরুত্ব দিয়ে রুখে দিতে হবে পাশ্চাত্যের সভ্যতা, পরিহার করতে হবে চাপিয়ে দেয়া সব ধরনের অপসংস্কৃতি। তরুণ-যুব ও শিক্ষার্থীদের মাঝে জাগ্রত করতে হবে জাতীয় মূল্যাবোধে সংস্কৃতি ও নৈতিকতার চেতনা। তবেই সার্থক হবে এ দিনের উদযাপন। আর এটাই হোক নতুন বছরের প্রত্যাশা।



কবিগুরু রবী ঠাকুরের গানের ভাষা, ‘মুছে যাক গ্লানি/ ঘুঁচে যাক জরা/ অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা/ রসের আবেশ রাশি/ শুষ্ক করে দাও আসি’ এমন উচ্চারণে বাঙালি নতুনকে আজ আহ্বান করছে। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে এ উদযাপন বাঙালির, বাংলাদেশের। জাতি-দল-মত নির্বিশেষে সকলে মিলে সম্ভাবনার নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উদযাপন এ পয়লা বৈশাখ। এ দিনে সবার প্রার্থনা একটাই- বৈশাখের চেতনা আর শক্তিতে বাঙালি যেন পরাভূত করতে পারে সব অশুভ শক্তিকে।



সব তামান্নারাই যে এমন বার্তা লেখে, তা নয়। এরাই আবার বাঙালি চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বহিঃপ্রকাশ করে থাকে এই দিনের শুভ বার্তা। যেমনটি আরেক শুভাকাক্সক্ষীর বার্তা, ‘বোশেখ এলো বালুচড়ে, ঘুরণী ওড়ায় গ্রাম্য বাতাস/ সূর্য যেন পাগলা ঘোড়া, রোদ গণগণ উপর আকাশ/ ঘর-বাড়ি আর ঘাসের সাঁকা ভেঙে একাকার/ শ্রাবণ এসে কাল বোশেখি সব করে ছারখার। ... শুভ নববর্ষ।’ বার্তাটি প্রশংসার দাবিদার। যদিও জানি না, বার্তার এ কথাগুলো কবিসত্তার মনের বাস্তবিক অনুভূতি, নাকি ‘এসএমএস গাইড’ থেকে ধার করে নেয়া কৃত্রিম সস্তা অনুভূতি কিংবা ভার্চুয়াল ফরম্যালিটি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

লেখায় পেইন আছে ;)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: কেমন পেইন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.