নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিন্দুর মাঝে সিন্ধু দর্শনের আশায় পথ চলি...

রিদওয়ান হাসান

শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।

রিদওয়ান হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশী কমিউনিজম আর ডেমোক্রসি আর কত

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

তালেবানরা আমেরিকা এবং তার পাপেট সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল নিয়েছে। এতে বাংলাদেশের অনেক মিডিয়া ও সংস্কৃতিকর্মীদের দেখলাম, তারা তালেবানদের এই বিজয়ে নাখোশ।

এখন তালেবানদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে ভবিষ্যত শঙ্কা, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং সাধারণ নাগরিকদের স্বাধীনতা খর্ব করা হবে দাবি করছেন অনেকে। এমনকি তালেবানদের আয়ের উৎস কী, কোথা থেকে পায় অস্ত্রশস্ত্র—এসব নিয়েও প্রশ্ন তুলছে অনেকে।

অথচ আজ যদি তালেবানরা ইসলামপন্থী না হত। দেখতেন, এদের কত উল্লাস! তখন কিন্তু ঠিকই বলত, এ বিজয় শুধু তালেবানের নয়, এ বিজয় আফগানিস্তানের প্রতিটা সাধারণ মানুষের!

তাহলে এখন সমস্যাটা কোথায়?

তালেবানের দাবি, প্রেসিডেন্ট গানি চলে যাওয়ায় তারা খুব শীঘ্রই ইসলামি খেলাফত বা ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তান ঘোষণা করবে।

মূলত এই প্রশ্নে এসেই এদের কষ্টটা। তালেবানরা ক্ষমতা দখলে নিলেও সমস্যা ছিল না। সমস্যা হচ্ছে শরিয়া আইনে বা ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠায়৷ কারণ, তালেবান একাধিকবার বলছে, এই যুদ্ধ শুধু কাবুল সরকারের বিরুদ্ধে, বরং এ যুদ্ধ ইসলামি আমিরাত' প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ।

রাশিয়া চেয়েছিল আফগানিস্তানে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করতে, আমেরিকাও চেয়েছিল গণতন্ত্র। কিন্তু রাশিয়া-আমেরিকা ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে। কারণ, তারা সাধারণ মানুষের মন-মগজে ঢুকতে পারেনি। কিছু পেইড এজেন্ট তারকা দিয়ে বড়জোর বিজ্ঞাপন চিত্র বানাতে পারলেও বিদেশীদের শাসনের ব্যাপারে আফগানদের মধ্যে যে সহজাত ঘৃণা রয়ে গিয়েছিল, সেটা বুঝতে একপ্রকার ব্যর্থই হয়েছে রাশিয়া-আমেরিকা।

বর্তমানে খোদ আফগানরাও চাইছে শরিয়া আইন। দ্রুত বিচারব্যবস্থা এর অন্যতম কারণ। শরিয়া মতে তারা অনেক অপরাধের বিচার মূহুর্তে পেয়ে যায় এবং সেটা কার্যকর হয় জনসম্মুখেই। এতে চুরি-চামারির মতো অনেক অপরাধপ্রবণতা কমে আসছে। নারীরা পর্দার প্রতি হয়ে উঠছে শ্রদ্ধাশীল, হু হু করে বাড়ছে বোরকা বিক্রি। দেয়ালে দেয়ালে নারী-চিত্রের অঙ্কনও সরিয়ে ফেলছে তারা।

মূলত আফগানরাই এখন ইসলামি শরিয়া চাইছে। তো, একটা দেশের জনগণ যেই আইনব্যবস্থা চায়, সেটা যত দ্রুত প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাতেই রয়েছে দেশের কল্যাণ। নয়ত বিদেশী কমিউনিজম আর ডেমোক্রসি আর কত?

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০১

সাসুম বলেছেন: এতদিন এই পোস্টের জন্য ই অপেক্ষা করছিলাম ভাই। সাহস করে কেউ, কথা বলেনা তালেবান দের পক্ষে।

এই যে, মর্দে মোজাহিদ রা নিজেদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে একটা ইস্লামী শরিয়া আইনের দেশ, ইসলামিক এমিরাত অফ আফগানিস্তান তৈরি করল-এটাই নাস্তেক নাসারা দের মনোকস্টের বড় কারন।

যাজাকাল্লাহ খায়রান ভাই। আশা করি, একদিন আমাদের এই কাফের দেশেও বাংলাস্তান তৈরি হবে, চালু হবে আল্লাহ নবীর দেখানো শরিয়া আইন। হুহু করে বেড়ে যাবে বোরকার বিক্রি।

আল্লাহ আকবর

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চোদ্দশত বছরে এই প্রথম পৃথিবীতে একটি ১০০% ইসলামি আইনের একটি আদর্শ মুসলিম দেশ হতে যাচ্ছে আফগানিস্তান।
বাংলাস্থানের মুজাহিদরা উল্লসিত!

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৯

রবিন.হুড বলেছেন: ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামী সরকার কায়েম হলে জনগনের শান্তিতে বসবাস করার কথা। তবে কেন আফগানী জনগন কেন নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোজেঁ ছুটে বেড়াচ্ছে তা জানতে ইচ্ছে করে।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আফগান এয়ারপোর্টে মানুষজন ভিড় করেছে দেশ ছাড়ার জন্য। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখলে এরাই হলো রাজাকার। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন কিছু মানুষ পাকিস্থানকে সমর্থন করেছিলো। যুদ্ধ শেষে তাদের যেমন অবস্থা হয়েছিলো। আজকে আফগানিস্তানের দীর্ঘ বিশ বছর ধরে যে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার সাথে লড়াই চলছে, সেখানে এরা স্বজাতিকে সমর্থন না করে বিদেশি প্রভুদের পক্ষে সাফাই গেয়ে গেছে। সুতরাং আজকের বিজয়ে এদের ঘুম হারাম হবে এটাই স্বাভাবিক।

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১২

সাহিনুর বলেছেন: আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না । আপনার আনন্দ দেখে মনে হচ্ছে মনে হচ্ছে যে পাকিস্তান যদি বাংলাদেশকে দখল করে রাখতো তাতে আপনি অনেক বেশি খুশি হতেন ।
সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আর আপনি ঘরে বসে আনন্দ করছেন ? খুবই খারাপ মানসিকতা ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আফগান এয়ারপোর্টে মানুষজন ভিড় করেছে দেশ ছাড়ার জন্য। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখলে এরাই হলো রাজাকার। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন কিছু মানুষ পাকিস্থানকে সমর্থন করেছিলো। যুদ্ধ শেষে তাদের যেমন অবস্থা হয়েছিলো। আজকে আফগানিস্তানের দীর্ঘ বিশ বছর ধরে যে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার সাথে লড়াই চলছে, সেখানে এরা স্বজাতিকে সমর্থন না করে বিদেশি প্রভুদের পক্ষে সাফাই গেয়ে গেছে। সুতরাং আজকের বিজয়ে এদের ঘুম হারাম হবে এটাই স্বাভাবিক।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের ৪৫ ভাগ মানুষ আপনার মতো উৎসাহিত হয়েছে, ব্লগারদের মাঝে শতকরা ৪০ জন আপনার পক্ষে থাকবেন।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১৮

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: দারুণ সমীক্ষা।

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




আফগানিস্তান যাচ্ছেন শীঘ্রই?

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: জার্মান যাওয়ার জন্য কী করতে পারি, একটু যদি নির্দেশনা দিতেন?

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৭

সাজিদ! বলেছেন: এটা শুধু এর কথা না। আমাদের দেশের অনেকেই শরিয়াহ আইন চায়। এটা শুধু এর কথা না। আমাদের দেশের অনেকেই শরিয়াহ আইন চায়।

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৩১

সাজিদ! বলেছেন: যুগের সাথে টেকসই উন্নয়ন ও শিক্ষা কি এই আলোচ্য আইনটি দিতে পারবে? যেমন কমিউনিজম ও গনতন্ত্র মানুষকে চাঁদে নিয়েছে, সেল বায়োলজি নিয়ে গবেষণা শিখিয়েছে। আপনার আইন কি এমন করতে পারবে নাকি জানাবেন।

সৌদি আরবে জোর করে এক পরিবারই তো ক্ষমতায় বসে খুনোখুনি করছে। আর ওখানে এমনই আইন যে তারা শ্রমিকদের মানুষ মনে করে না।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ভাই, একটা হাস্যকর কথা শুনাইলেন। কমিউনিজম ও গণতন্ত্র কবে মানুষকে চাঁদে নিলো?

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

বিটপি বলেছেন: আপনার কাছে কেন মনে হচ্ছে এটা আফগান জনগণের বিজয়? তালেবানের বিজয়ে জনগণের কোন অংশগ্রহণ কি ছিল? এখনও সরকার গঠন শুরু করেনি - অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে দিয়েছে। এঈ তালেবান আর যা-ই হোক, মোল্লা ওমরের সেই তালেবান না।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: সমর্থন না পেলে আপনি কি মনে করছেন, বন্দুকের নলের মুখে তারা এ বিজয় লাভ করেছে?

১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ বোরকা বিক্রি বেড়েছে- তার মানে আফগান রমণীরা ইচ্ছে করে পর্দার ভিতরে যেতে চাইছে!!!!!

আগের আফগান সরকার তাদের পর্দা করতে নিষেধ করে ছিল নাকি???
এটাকি স্বেচ্ছায় পর্দা অনুসরন করতে চাচ্ছে, নাকি ভয়ে- একটু ব্যাখ্যা করুন?
ওদের মুল আইনগুলোই কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনের পাশাপাশি মুলত নারীশক্তিকে দমিয়ে রাখার আইন নয় কি? ইসলামের মুল নীতি কি এতই কঠোর- কঠিন?
শরিয়াহ আইন কার আইন? প্রশ্নের উত্তরের পরে প্রশ্ন আসবে- আশা করি ধৈর্যের সাথে উত্তরগুলো দিবেন।
আমরা শরিয়াহ আইন সন্মন্ধে ভীষন কম জানি- আমাদের একটু শেখান -দয়া করে

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ১। এক্স আফগান সরকার তাদের পর্দা নিষেধ করেনি, আইনও করেনি।
২। আইনের আওতাভুক্ত কোনো নীতি পালনে ভয়ের প্রয়োজন হয় না। কই, বাইক চালাতে আপনি হেলমেট পরেন বা প্রাইভেট কার চালাতে সিট বেল্ট, তখন কীসের ভয় করেন?
৩। ধর্মীয় অনুশাসনই তাদের মূল লক্ষ্য, নারীশক্তি দমিয়ে রাখা নয়। আজও আফগানিস্তানে মেয়েরা ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছে।
৪। ইসলামের মূলনীতি মানববান্ধব। না কঠোর, না সহজ।
৫। শরিয়া আইন হচ্ছে ঐশীপ্রদত্ত কোরআনের।

১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০৩

রানার ব্লগ বলেছেন: বাহ !!! আফগান সাধারন মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছা আপনি জেনে ফেলেছেন , আপনাকে পুরুষ্কৃত করা হচ্ছে না কেনো তাই ভাবছি।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৩

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: বললেই কেবল ইচ্ছা-অনিচ্ছা জানা যায় না। পৃথিবীতে বিশ্লেষণ বলতে কিছু একটা আছে ভাই।

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ইসলাম কি সশস্ত্র উপায়ে ইসলামী শাসন কায়েম সমর্থন করে?

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১৬

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: সশস্ত্র উপায়ে না হলে কি প্রতিরোধ সম্ভব? তালেবানরা তো গায়েপড়ে সশস্ত্র বিপ্লব করেনি, সেই ইতিহাসটাও আপনার জানা দরকার।

১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১১

সাজিদ! বলেছেন: ইউরোপিয়ান দেশগুলো, আমেরিকা, নরডিক দেশগুলো বা চায়না বা ভারত, এই দেশগুলোর শাসন ব্যবস্থা কি?

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১৮

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কি মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি? যদি তা না হয়, তাহলে মানুষের মানবিক বিকাশকে আপনি গণতন্ত্রের সফলতা কীভাবে বলেন?

১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২৮

নতুন বলেছেন: আপনাকে আফগানস্থান, সৌদি আরব, সুইডেন, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার পাসপোটের মাঝে ১টা বেছে নিতে বললে আপনি আফগানস্থানের নাগরিক হয়ে শরিয়া আইনের দেশে আপনার পরিবার সহ বাস করতে যাবেন?

অবশ্যই না।

কিন্তু ঠিকই শরিয়া আইনের পক্ষে কথা বলছেন।

দুনিয়াতে শরীয়া আইনে দেশ চলেছে তার কোন উদাহরন নেই। বর্তমানে ২০২১ সাল চলে এখন গনতন্ত্র কে আরো একটু মডিফাই করে দুনিয়াতেই অনেক ভালো সরকারের উদাহরন আছে।

Rank Country Score
1 Czech Republic 69.36
2 Ireland 68.84
3 Slovenia 68.12
4 Estonia 68.02
5 Slovakia 66.65
6 Germany 66.57
7 Latvia 66.06
8 Liechtenstein 65.91
9 Poland 65.57
10 Mauritius 64.62
11 Luxembourg 63.92
12 Croatia 63.91
13 Portugal 63.71
14 Denmark 63.06
15 New Zealand 62.78
16 Austria 62.45
17 Bulgaria 61.92
18 Romania 61.69
19 Iceland 61.21
20 Malta 61.04

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১০

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: আপনি আমার ইচ্ছার ব্যাপারে প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দিয়ে দিলেন। দারুণ তো!!

১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫৬

রাজীব বলেছেন: কেউ কেউ বলছে পর্দার আড়ালে তালেবানকে সাহায্য করেছে রাশিয়া ও চীন।
তাহলে কমুনিস্ট ও নাস্তিকদের সাহায্যে তালেবান আফগানিস্তানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করলো?

দলে দলে মানুষ বিমানবন্দরে ছুটছে দেশ ছাড়ার জন্য। কিন্তু মক্কা বিজয়ের দিনে কয়জন মক্কা ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছে?
আফগানিস্তানে কেমন শান্তির ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে যে মানুষ সেখানে থাকতে চাচ্ছে না?

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১৩

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: যুগে যুগে রাজাকারেরা ভীত হয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছে। তালেবানরা তো সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। তবুও তারা ভীত। বাংলাদেশে শেখ মুজিবের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরেও যদি রাজাকারদের বিচার হয়, তাহলে আফগানিস্তানে হবে না, এর কি নিশ্চয়তা, হয়ত এমনটাই ভেবেছে তারা। নতুবা তারা ভাবতে পারে, ছোটকালে কোনো অপরাধ করে ফেরারি থাকলে মা বেতের কঞ্চি নিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে বলে, বাসায় আয়, কিচ্ছু বলবো না। তারপর এলে শুরু হয়ে যায় ওস্তাদের মাইর।

১৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে তালেবানদের সমর্থন করা সম্ভব নয়। একটা বিতর্কিত শক্তিকে যারা ইসলামিক শক্তিকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে চায় - তাদের উদ্দেশ্য খুব একটা ভালো নয়। যেখানে বিশ্বে বর্তমানে ইসলামে কনভার্ট হওয়ার হার অনেক বেশি, যেখানে এই ধরনের একটি অপশক্তিকে ইসলামিক শক্তির আইকন বানিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হলো।

* কেয়ামতের লক্ষন হিসাবে আছে -ইলম উঠিয়ে নেয়া ও অজ্ঞতা বিস্তার লাভ করা।
সেটা ফেসবুক ও ব্লগের বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্ট পড়লেই বুঝা যায়।

সবচেয়ে বড় কথা তালেবানদের সম্পর্কে ইসলাম যা বলে

হযরত ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, “আমার উম্মতের মাঝে এমন একটি দলের সৃষ্টি হবে, যারা শরীয়তের আইনে খুবই পারদর্শিতা অর্জন করবে। তারা কুরআন তিলাওয়াত করবে। অতঃপর তারা বলবে চল আমরা ক্ষমতাসীনদের নিকট গিয়ে তাদের পার্থিব কাজ-কর্মে অংশীদার হই। অবশ্য আমরা আমাদের দ্বীনদারী তাদের থেকে দূরে সরিয়ে রাখব। প্রকৃত পক্ষে এমনটি কখনও সম্ভব হবে না। কাঁটা যুক্ত গাছ থেকে যেমন কাঁটা ছাড়া আর কিছু আশা করা যায় না, অনুরূপ ঐ সকল ক্ষমতাসীনদের নিকট থেকে পাপাচার ব্যতীত অন্য কিছু অর্জন করা সম্ভব হবে না”। [ইবনে মাজাহ]

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৫

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: প্রচলিত ক্ষমতাসীনরা যেখানে পাপাচারে জর্জরিত, এমন কাঁটাযুক্ত গাছ থেকে কাঁটা ছাড়া আর কী পাওয়া যাবে? এমনটাই হাদিসের বক্তব্য। এই কারণেই তো প্রচলিত ক্ষমতাসীনদের স্ট্রাকচার পরিবর্তন করতে হবে, শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে পার্থিব কাজ-কর্মে অংশীদার হওয়ার সুফল পাওয়া যাবে। নয়ত ক্ষমতায় ডেমোক্রেসি আর কমিউনিজমকে বসিয়ে রেখে তার কাঁধে কাঁধ রেখে যদি বলা হয়, আমরা আমাদের দ্বীন থেকে এইসব গণতন্ত্র আর সমাজতন্ত্রকে দূরে রাখবো, সেটা তো সম্ভব না। আশা করি, বুঝতে পেরেছেন।

১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: তালেবানরা সারা বিশ্বের শত্রু।

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৪

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: দেখা যাক, বিশ্ব তো তালেবানদের সমর্থনে এগিয়ে আসছে...

১৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০২

রক্তহীন বলেছেন: এরা তো স্পষ্টতই মানুষ মারছে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.