|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মৌসুমী হওয়া লাগে আমার মনে
আহা! কী আনন্দ আকাশে বাতাসে। শাখে শাখে পাখি ডাকে। কত শোভা চারিপাশে। একাকীত্বের মুর্চ্ছনায় মন খুশীতে আত্মহারা। ইট, কাঠ, পাথরের দেয়ালের বাঁধন ছেড়ে হয়েছি স্বাধীন। ভবঘুরের বেশে মনে হয় মূলুক ছেড়ে চলে যাই বহুদূর, অচিনপুর। যেখানে দুঃখ নেই, কষ্ট নেই। আছে চির সজীবতা, সোনালী সুখ। অচিনপুর বলে আদৌ কী কিছু আছে? না থাকলেই বা কী? সত্তুর দশকের মাঝামাঝি সময়ে হেমন্ত মুখুজ্জের গাওয়া গানটির কয়েক লাইন সুরের সাথে তাল মিলিয়ে আনমোনা হয়ে গুন গুন করতে করতে নয়নাভিরাম দৃষ্টিনন্দন বনের গহীনে সরু মেঠোপথ ধরে হাঁটতে থাকি সোনালী স্বপ্নকে সঙ্গী করে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় সুরটি নিয়েছিলেন আমার ভীষণ প্রিয় একটি গান থেকে,
Strawberries, cherries and
an angel's kissing in spring
my summer wine is really
made from all these things
রঙ-বেরঙের চোখ জুড়ানো ফুল, পাখি, উদ্ভিদ ইত্যাদি এবং সবুজ গাছের সমারোহ, জলাশয়ের টলমলে জল স্মৃতি পটে এঁকে দিল নতুন এক জগৎ। চিত্ত ভরে উঠতে থাকে প্রফুল্লতায়।
ঈশ্বর প্রদত্ত প্রকৃতিতে যেমন শাসন আছে তেমনি সৌন্দর্য্যও আছে। প্রকৃতির এই অভিপ্রায়, যাতে শাসন চলে গিয়ে সুন্দরের বিস্তার হয়। শাসনের রাজদণ্ড কেড়ে নিয়ে সৌন্দর্য্যের মাথায় রাজছত্র ধরাই প্রকৃতির চরম উদ্দেশ্য। প্রকৃতি যদি নিষ্ঠুর শাসনপ্রিয় হত, তাহলে সৌন্দর্য্যের আবশ্যকই থাকত না। তাহলে প্রভাত মধুর হত না, ফুল মধুর হত না, ইত্যাদি।
মোদ্দা কথা যে, আমরা বাইরে যেমনই হই-না কেন, আমরা বাস্তবিকই সুন্দর। সে জন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সাথেই আমাদের যথার্থ ঐক্য দেখতে পাই। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য-চেতনা সকলের কিছু সমান হয়। যার হৃদয়ে যত সৌন্দর্য্য বিরাজ করছে, সে ততই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারে। প্রকৃতির সুন্দরের সাথে তার নিজের ঐক্য ততই সে বুঝতে পারে ও ততই সে আনন্দ লাভ করে। আমরা যে প্রকৃতি এত ভালবাসি তার কারণ আর কিছু নয়, প্রকৃতির সাথে আমাদের হৃদয়ের গূঢ় একটা ঐক্য আছে। যে সৌন্দর্য্য প্রকৃতি হয়ে ফুটেছে সে সৌন্দর্য্যই অবস্থাভেদে আমাদের হৃদয় থেকে বিকশিত হয়েছে; সে জন্য প্রকৃতিও আমাদের হৃদয় চাইছে, আমরাও প্রকৃতিকে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে চাইছি। মনের মধ্যে বার বারই একটি ভাবনা জাগছে যে, আমরা এক পরিবারের লোক, তবে কেন অবস্থান্তর নামক দেয়ালের আড়ালে পর হয়ে বাস করছি? পরস্পরকে সর্ব্বতোভাবে কাছে পেতে চলুন না ঘুরে আসা যাক পাইন-ভূর্জ বৃক্ষ বনের শ্যামল-ছায়া থেকে। যেখানে পাখির গান, বনের ছায়া, দক্ষিণে মৌসুমী মৃদু হওয়া মনে দোলা জাগায়।
ব্যাঙের ছাতার মৌসুম ও ছোট সজারু
বেল ফুল
মগডালে কাঠবিড়ালি
ঝিনুক-শামুকে ভরা বালু চরে
একাকী ভ্রমণের সাথী
যেতে যেতে পথে মাকড়সার জালে
বেলা বয়ে যায় / মধুমতী বহিয়া যায়
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ শোভায় শোভিত ভ্রমণের শেষ আনন্দের রেশটা সঙ্গে করে নীড়ে ফিরে এলাম অনেক মোহনীয় স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে।
২৬ টি 
+৯/-০ ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৬
গোর্কি বলেছেন:
-অনেক ধন্যবাদ।
-শুভকামনা ও ভালো থাকুন অবিরত।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: 
+++++++
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৫৪
গোর্কি বলেছেন:
-ধন্যবাদ।
-শুভকামনা ও ভালো থাকুন অবিরত।
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২০
আরজু পনি বলেছেন:
সাথে সাথে পাখি ডাকে ....শাখে শাখে পাখি ডাকে
গাছের শাখায় পাখি ডাকে.... এমনটিই বলা হয়েছে ।
সার্চ দিয়ে আরেকটা ব্লগেও পেলাম সাথে সাথে লিখেছে ...
লিংকটা দিলাম
https://www.youtube.com/watch?v=HXdqUqZIoXo
নিশ্চিত হয়ে এই মন্তব্যটা মুছে দিলেও হবে ।
পোস্ট নিয়ে পরে বলবো ।।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
গোর্কি বলেছেন:
-"হীরক রাজার দেশে" ছবিটি ও গানটি বহুবার দেখেছি এবং শুনেছি। -তারপরেও লেখাতে ভুল হয়ে গেল।
-আপনি সঠিক। ঠিক করে দিলাম।
-ভুলটি ধরিয়ে দেবার ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ছবি দেখে মন ভরে গেলো। প্রকৃতির কাছে মানে হলো জীবনের কাছে! প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।
শহর থেকে বের হবার কোন উপায় কি আছে?
“মোদ্দা কথা যে, আমরা বাইরে যেমনই হই-না কেন, আমরা বাস্তবিকই সুন্দর। সে জন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সাথেই আমাদের যথার্থ ঐক্য দেখতে পাই।” ভালো বলেছেন
অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে, গোর্কি
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
গোর্কি বলেছেন:
-ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত বোধ করছি।
-আমরা প্রকৃতির সন্তান। নিরিবিলি পরিবেশ আমাকে সবসময় টানে।
-তাই প্রকৃতির টানে দেশে-বিদেশে যেখানেই অবস্থান করি-না-কেন, সময় ও সুযোগ বের করে চলে যাই শহর থেকে দূরে কোথাও।
-ধন্যবাদ।
-শুভকামনা ও ভালো থাকুন অবিরত।
৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
বর্ণহীণ বলেছেন: খুব সুন্দর।
++++++++++++
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
গোর্কি বলেছেন:
-ধন্যবাদ।
-শুভকামনা ও ভালো থাকুন অবিরত।
৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ। এটা কোন জায়গা?
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
গোর্কি বলেছেন: -মস্কো থেকে প্রায় ১৮০ কি.মি. দক্ষিণে তুলা ডিভিশন'এ জায়গাটা। -চমৎকার লেগেছে জেনে চমৎকৃত।
-ধন্যবাদ।
-শুভকামনা ও ভালো থাকুন অবিরত।
৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
বোকামন বলেছেন:
অ সা ধা র ণ !
কাব্যিক শব্দ বুনন, আর আপনি দারুণ ছবি তুলতে পারেন দেখছি !
মোহনীয় স্মৃতি সঙ্গে আমাদের সঙ্গী করলেন। কৃতজ্ঞতা অনেক।।
ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা।।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
গোর্কি বলেছেন:
-এরকম প্রশংসা যেমন বিব্রত করে, তেমনি আত্নবিশ্বাসও বাড়িয়ে দেয়।
-প্রকৃতি ও ভ্রমণ: জীবনে খুব শখের একটি অধ্যায়। তাই শখের বশবর্তী হয়ে সৌখিন ফটোগ্রাফি।
-ভ্রমণের সঙ্গী করতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি।
-আপনিও কৃতজ্ঞতা জানুন।
-শুভকামনা ও ভালো থাকুন অবিরত।
৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
অদৃশ্য বলেছেন:
''প্রকৃতির সাথে আমাদের হৃদয়ের গূঢ় একটা ঐক্য আছে। যে সৌন্দর্য্য
প্রকৃতি হয়ে ফুটেছে সে সৌন্দর্য্যই অবস্থাভেদে আমাদের হৃদয় থেকে
বিকশিত হয়েছে; সে জন্য প্রকৃতিও আমাদের হৃদয় চাইছে, আমরাও
প্রকৃতিকে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে চাইছি। ''
________ দারুন বললেন
ছবিগুলো দেখে মনটা একদম ভরে গ্যাছে... আবার অনেক ক্ষুধাও তৈরী হলো, ছুটে যেতে ইচ্ছা করছে... সুন্দর কথার সাথে সুন্দর ছবি...
অসম্ভব ভালোলাগা...
শুভকামনা...
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
গোর্কি বলেছেন:
-প্রকৃতি ও মানব: একই বৃন্তে দুটি ফুল। আমরা যে প্রকৃতির সাথে ওতঃপ্রতভাবে জড়িয়ে আছি।
-ইচ্ছের ডানাগুলো মেলে ধরে হারিয়ে যান দূর কোনো অজানায়। দেখবেন প্রশান্তিতে ভরে গেছে মন।
-অসম্ভব ভাললাগাকে অন্তরের অন্তস্তলে টেনে নিলাম।
-ধন্যবাদ।
-শুভকামনা ও ভালো থাকুন অবিরত।
৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার, চমৎকার একটি পোস্ট ++++++ ছবিগুলো মুগ্ধ করল।
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
গোর্কি বলেছেন:
-পোস্ট আপনাকে মুগ্ধ করেছে জেনে অত্যন্ত প্রীত হলাম।
-অনেক ধন্যবাদ।
-শুভকামনা ও ভালো থাকুন অবিরত।
১০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর সব ছবি আর চমৎকার একটা পোষ্ট। জয়তু রাশিয়া।
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
গোর্কি বলেছেন:
-ছবি এবং সমগ্র পোস্ট তারিফে আনন্দিত।
-জয়তু প্রিয় দেশ মাতৃকা (বাংলাদেশ)।
-ধন্যবাদ।
-শুভকামনা ও ভালো থাকুন অবিরত।
১১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
ছবিগুলো কোথায় কোথায় তুলেছেন। কোন কোন যায়গা গিয়েছিলেন, একটু বিস্তারিত বললে ভাল লাগত।
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০০
গোর্কি বলেছেন:
-মস্কো থেকে প্রায় ১৮০ কি.মি. দক্ষিণে তুলা ডিভিশন'এ জায়গাটা।
-সেখানে পারিবারিক ছোট্ট একটি কান্ট্রি কটেজ বা দাচা আছে। সম্পূর্ণ গ্রামীন পরিবেশে ছোট লোকালয় ঘিরে পাইন-ভূর্জবৃক্ষ বন। বসন্ত-গ্রীষ্ম-হেমন্তে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সেখানেই সময় কাটাই।বিভিন্ন সময়ে বন ভ্রমণ প্রাক্কালে ছবিগুলো তোলা।
-ধন্যবাদ।
-শুভকামনা ও ভালো থাকুন অবিরত।
১২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
অদৃশ্য বলেছেন:
প্রথমবরই লোকেশনের কথাটি জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলাম, ভুলেগেছিলাম... অবশ্য পরে শেষ মন্তব্যে আপনার উত্তরে মোটামুটি ধরনা পেয়ে গেছি...
আশা থাকবে আপনার আরও কিছু ভ্রমণের গল্প ও ছবি আমাদের উপহার দেবেন... সুবিধা মতো
শুভকামনা...
২২ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
গোর্কি বলেছেন:
-আপনার অনুসন্ধিৎসু মন্তব্য আমার লেখার গতি তরান্বিত করবে, প্রেরণা যোগাবে এবং সাহসী করে তুলবে। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে।
-অশেষ কৃতজ্ঞতা। খুব ভাল থাকবেন।
১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫১
আরজু পনি বলেছেন:
ছবিগুলোর মধ্যে কপিরাইট উল্লেখকরা আছে মনে হলো...পড়ার এতো চেষ্টা করলাম শেষ করতে পারলাম না 
তবে অনেক সুন্দর !
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৪
গোর্কি বলেছেন:
-ছবিগুলো সব আমারই তোলা।
-ছবিগুলোতে 'matrioshka' নিক ওয়াটার মার্ক করা।
-সামুতে নিবন্ধন করার পর প্রায় অর্ধ বছর নিরাপদ ব্লগারের মর্যাদা না পেয়ে বাংলা অন্যান্য কয়েকটি ব্লগে এই নিকটি ধারণ করি।
-সুন্দর লেগেছে জেনে আনন্দিত।
-ধন্যবাদ।
-শুভকামনা ও ভালো থাকুন অবিরত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রথম প্লাস দিলাম।
পোস্ট ভালো লেগেছে।