![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপুর ১০ টা। হঠাৎ আবিরের ফোনটা বেজে
উঠল।
.
> হ্যালো আবির।
> হুম, নীলু বল।
> কেমন আছ তুমি।কি কর।সকালে ঠিকমত
নাস্তা করছ।
> ভাল। শুয়ে আছি।হুম।
> কি!!! এই কি বল বুঝি নাতো। ঠিক করে বল।
> কি করব বল তুমি একসাথে এতো প্রোশ্ন
করছ। তাই আমিও একসাথেই উওর দিলাম।
> ওওও।তাহলে এবার আলাদ আলাদ করে
দেও।
> তাহলে তুমিও আলাদা আলাদ করে আবার
জিঞ্জেস কর।
> থাক বলা লাগবে না আমি আমার উওর
পেয়ে
গেছি। আচ্ছা আজকে ৩টায় আমার সাথে
একটু
দেখা করতে পারবা।
> কেন।
> ওই এতো কথা বল কেন। পারবা কিনা বল।
> পারব জান।
> ওকে তহলে ঠিকটাইমে চলে আসবা নদীরর
পারে। বায়
> বায়।
.
আবির ও নীলিমা দুজনেই মধ্যবিও পরিবারের
সন্তান। দুজনেই একই ভারসিটিতে পরে।আর
একে অপরকে খুব খুব ভালোবাসে, কেয়ার
করে,, খুনসুটি ঝগরা করে। অবশ্য তাদের
ভালোবাসার কথা দুই পরিবারই জানে।
অনেক
স্বপ্ন দুজনের চোখে। অনেক আশা
দুজনের বুকে। সবকিছুই এদের মধ্যকার
ভালোবাসার
সম্পর্কটাকে নিয়ে। ধুমধাম করে বিয়ে হবে,
বাসর
রাতে একে অপরকে প্রথবারের মত খুব কাছে
পাবে, ছোট অথচ সুইট একটা সংসার হবে,
কিউট
একটা/
দুইটা সন্তান থাকবে, বাপ-মেয়ে মিলে মা-
ছেলের
সাথে ঝগড়া করবে, একজন রাগ করে থাকলে
আরেকজন রাগ ভাঙ্গানোর জন্য পাগল হয়ে
যাবে,
এক মুহূর্তের জন্যেও কেউ কাউকে ছেড়ে
কোথাও যাবে না এরকম আরো কত কিছু।
এদের
স্বপ্ন, আশা পূরণ করতে হলে অনেক
অসম্ভবকে সম্ভব করতে হবে। অন্যথায় স্বপ্ন
স্বপ্নই থেকে যাবে। পূরণ হবে না কখনো।
.
.
দুপুর ২:১৫ । নীলিমার দেওয়া নীল
পাঞ্জাবিটা পরে আজ আগে আগে বেরিয়ে
পরল আবির। জীবনের প্রতিটা কাজ সময়মত
করতে পারলেও
নীলিমার সাথে দেখা করার বেলায় তার
সময়ের
হিসেবে গড়মিল লেগে যায়। এই পর্যন্ত
যতবার
দেখা করতে গেছে ততবারই দেরি করে
গেছে। কিন্তুু পাগলিটা এই নিয়ে কখনও
কোনো অভিযোগ করে নি। উল্টো
দেখাহওয়ার
সাথে সাথে নিজের ওরনা দিয়ে আমার
কপালে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘামগুলো মুছে
দিবে আর বলবে আসতে কোনো অসুবিধা
হয়নি
তো। মাঝে মাঝে নিজেকে খুব ভাগ্যবান
মনে
হয় নীলুর মতো মেয়েকে আমার এই জীবনে
পেয়েছি বলে।
.
.
ঘড়ির কাটা তখন ৩টা ১০ মিনিট।নদীর পারে
পৌছলাম। দেখি নীলিমা আমার আগেই এসে
দারিয়ে আছে।রিকশা ভাড়া মিটিয়ে
একসথে
একে আপরে হাতধরে নদীর পারে গিয়ে
বসলাম।নদীর থেকে আসা মৃদু ঠান্ড দক্ষীণা
বতাস নীলিমার চুলগুলোকে উরিয়ে বারবার
তা চোখের সামনে এনে দিচ্ছে আর
পাগলিটা
একহাত দিয়ে চুলগুলোকে সরানোর বৃথা
চেষ্টা
কটে যাচ্ছে।
.
> আবির দুপুরে খাবার ঠিক মতো খাইছ।
(নিলীমা)
> হুম। খাইছি তুমি খাইছ?? ( যদিও মিথ্যা
কথা,কারণ আজকে মেছে ভাল খাবার রান্না
করা হয় নাই।)
> হুম। তো বুয়া আজকে কি রান্না করছে??
> এইতো তোমাররর মাছ, তারপরর আলু
ভত্তা,আর ডাল।
> আবির তুমি মিথ্যা কথাটাও ঠিকমতো
গুছিয়ে বলতে পার না। তাহলে কেন শুধু শুধু
মিথ্যা বলতে যাও।
>....
> নিলীমা তার বেগের থেকে একটা টিফিন
বক্স বের করল।নাও এটার তোমার জন্য।
> কি এটাতে??
> কথা না বলে খুলে দেখতেই তো পার।
> টিফিন বক্সের মুখ খুলতেই আবিরের দুই
চোখ প্রসারিত হতে লাগলো। হবেই না কেন?
খাবারটা তো তার খুব প্রিয়।
মুরগীর গোশত আর ভাত। খুব আয়েশ করে
খাচ্ছে
আবির আর নিলীমা ও খুব আয়েশ করে বসে
বসে আবিরের খাওয়া দেখছে।
.
.
.
.
**** মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা KFC/BFC
তে গিয়ে পাঁচশত টাকা দামের বার্গার
খেতে
পারে
না। তবে এদের কাছে ঘর থেকে নিয়ে আসা
রান্না
করা মুরগীর গোশত অথবা নুডুলস KFC/BFC এর
পাঁচশত টাকা দামের বার্গার থেকেও অনেক
মজাদার,
অনেক উপভোগ্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:২৩
হুকুম আলী বলেছেন: মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা KFC/BFC তে গিয়ে পাঁচশত টাকা দামের বার্গার খেতে পারে না। তবে এদের কাছে ঘর থেকে নিয়ে আসা রান্না করা মুরগীর গোশত অথবা নুডুলস KFC/BFC এর পাঁচশত টাকা দামের বার্গার থেকেও অনেক মজাদার, অনেক উপভোগ্য।
সুন্দর কথা