নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্যার এডলফ হিটলার

স্যার এডলফ হিটলার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরবানীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫১

সৈয়দ শামছূল হুদা

বছর ঘুরে পবিত্র ঈদুল আযহা বা কুরবানী’র ঈদ আমাদের দুয়ারে করাঘাত করছে। এই করাঘাত খুশি’র, প্রেমে’র, অপার ভালোবাসা’র। কুরবানী’র ঈদ ভালোবাসায় সিক্ত এক অন্যরকম ঈদ। এই ঈদের সাথে জড়িয়ে আছে প্রেমের এক বিশাল ইতিহাস। কিছুটা স্মৃতি বহন করে মুসলিম বিশ্বের মহামিলন মেলা হজ্ব এর কার্যক্রমের মাধ্যমে। হজ্বের প্রতিটি বিধান প্রেমের স্মৃতিতে ধন্য। আল্লাহর প্রিয় বন্ধু খলিলুল্লাহ ইব্রাহীম (আ.) ও তাঁর আদরের সন্তান ইসমাইল (আ.)এর স্মৃতি বিজড়িত ঈদ হলো কুরবানীর ঈদ।

কুরআন ও হাদীসের অসংখ্য জায়গায় পবিত্র ঈদুল আযহার মহত্বের কথা, মর্যাদার কথা, সম্মানের কথা বর্ণিত হয়েছে। সূরা আল-কাওসারের ২নং আয়াতে নির্দেশ এসেছে- “সুতরাং তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামায আদায় কর এবং কুরবানী কর।” হযরত উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় ১০ বছর অতিবাহিত করার সময়ে প্রতি বছর কুরবানী করেছেন। (আহমদ ও তিরমিযী)। সূরা কাওসারের ছোট্ট একটি আয়াতের মাধ্যমে ঈদুল আযহার নামায ও কুরবানীর নির্দেশ এক সাথেই এসেছে। সুতরাং কোন মুসলমান ঈদুল আযহায় কুরবানীকে অস্বীকার করতে পারে না, অবহেলা করতে পারে না। কটূক্তির তো কোন প্রশ্নই আসে না। সাম্প্রতিককালে কুরবানী নিয়ে ইসলাম বিদ্বেষী একটি মহল থেকে নানা ধরনের প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে।

কুরবানীর দিনকে ইয়াওমুন নাহর বলা হয়। ইবনে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন- ইয়াওমুন নাহর হলো ঐ দিন, যেদিন কুরবানী করা হয়, হজ্জে আকবর করা হয়। (আবু দাউদ)।

আর এ দিনটি হলো সবচেয়ে উত্তম দিন। আব্দুল্লাহ ইবনে কারতুন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন- আল্লাহর নিকট দিন সমূহের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাবান দিন হলো কুরবানীর দিন। কুরবানীর দিনটি ঈদুল ফিতরের দিন থেকেও মর্যাদাবান। কারণ,এই দিনে দু’টি আমল এক সাথে আদায় করতে হয়। একটি নামায, অপরটি হলো কুরবানী।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাউজে কাওসার দান করা হয়েছে। এর শুকরিয়া স্বরূপ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একই সাথে ঈদের নামায ও কুরবানী করতে আদেশ করেছেন। সুতরাং কুরবানী মুসলমানদের জীবনের সাথে, জীবনের প্রতিটি বিষয়ের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যার অন্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামান্যতম ভালোবাসা আছে, সে কুরবানীকে অবহেলা করতে পারে না। কুরবানী’র মতো মহান ইবাদতকে অস্বীকার করতে পারে না। কুরবানীকে নিয়ন্ত্রন করার কোন চিন্তাও করতে পারে না। সূরা হজ্জের ২৮নং আয়াতে হজ্জের আহকাম সমূহ সম্পাদন ও কুরবানী’র গুরুত্ব দিতে গিয়ে ইরশাদ হয়েছে- “যাতে তারা তাদের কল্যাণের জন্য উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুস্পদ জন্তু হতে যা রিযিক হিসেবে দান করেছেন ওর উপর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে, অতঃপর তোমরা ওটা হতে আহার কর এবং দুঃস্থ অভাবগ্রস্থকে আহার করাও।”

সুরা হজ্জের ৩৭ নং আয়াতের সারমর্ম হচ্ছে- তোমাদের কুরবানীর গোশত বা তার রক্ত কোন কিছুই আল্লাহর কাছে পোঁছে না, একমাত্র তোমাদের নিয়্যাতের বিশুদ্ধতা তথা তাক্বওয়াই আল্লাহর কাছে পৌঁছে। অর্থাৎ- বান্দার নিয়্যাতের উপর নির্ভর করে কুরবানী কবুল হলো কি না? কুরবানীর প্রতিদান আশা করা হয় নিয়্যাতের উপর নির্ভর করে। অন্য এক সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, “আল্লাহ তায়ালা তোমাদের চেহারার দিকে দৃষ্টিপাত করেন না, তোমাদের মাল-সম্পদের দিকেও না,বরং তিনি দৃষ্টিপাত করেন তোমাদের অন্তরের দিকে, তোমাদের কাজের দিকে”।

অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে- দান-সদকা আল্লাহর হাতে নিপতিত হয় বান্দার হাতে পড়ার আগেই। আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদিত কুরবানীর রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে যায় মাটিতে রক্ত গড়িয়ে পড়ার পূর্বেই”।

উপরোক্ত হাদীস সমূহ দ্বারা এটা পরিষ্কার যে, বান্দার আমল আল্লাহর কাছে কীভাবে নিবেদিত হলো, তার উপরই নির্ভর করে ইবাদত কবূল হয়েছে কি না?

সুতরাং কুরবানী এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এর মধ্যে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আর এর প্রতি ইঙ্গিত করেই আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘কুরবানী’ কবিতায় বলেন-

ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্যাগ্রহ’

শক্তির উদ্বোধন!

দুর্বল! ভীরু! চুপ রহো,

ওহো খামখা ক্ষুদ্ধ মন!

ধ্বনি ওঠে রণি’ দূর বাণীর

আজিকার এ খুন কোরবানী’র!

দুম্বা-শির রুম-বাসীর

শহীদের শির সেরা আজি!

রহমান কি রুদ্র নন?

ব্যস! চুপ, খামোশ রোদন!

আজ শোর ওঠে জোর “খুন দে,

জান্ দে, শির দে বৎস” শোন!

ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্যাগ্রহ’

শক্তির উদ্বোধন!

দুর্বল ভীরুদের জাতীয় কবি চুপ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। কুরবানীর এই মহান উৎসবে কবি শক্তির উদ্বোধন করতে প্রেরণা জুগিয়েছেন। কিন্তু আজ আমাদের দুর্ভাগ্য যে, কিছু নামধারী মুসলিম কুরবানীর এই গৌরব নিয়ে নানা কথা বলার সাহস পাচ্ছেন। তারা একবারও ভেবে দেখছেন না যে, কুরবানী’র ধর্মীয় গুরুত্ব যেমন আছে, তেমনি এর অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্বও কম নয়। যারা বস্তুবাদের চিন্তায় বিভোর, তাদের জন্য আজকের এই আলোচনা। কুরবানীর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। এর নানা দিক রয়েছে। কুরবানী এমন একটি ইবাদত, যার সাথে অর্থনৈতিক সামর্থের বিষয়টিও জড়িত।

* প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার কুরবানী হয়। এর মাধ্যমে প্রথমতঃ যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হলো- অর্থনৈতিক লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়া। কুরবানীর গরু ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে ধনীদের সম্পদের কিছু একটা অংশ দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে।গরীব মানুষ সারা বছর গরু লালন পালন করে কুরবানীর হাটে নিয়ে আসে।কোরবানীর পুরো টাকাটাই গরীবের ঘরে যায়। গরীব মানুষ একসাথে গরুর টাকা পেয়ে তারা তাদের চাহিদা পুরণ করে। গরীবের অর্থনৈতিক চাকা সচল হয়। তাদের ক্রয়-ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে- গ্রামে-গঞ্জের বাজারগুলো সচল হয়ে ওঠে। তাদের কেনা-বেচা ভালো হয়।

দ্বিতীয়তঃ
কুরবানীর চামড়ার বহুমুখী উপকারিতা আমরা লক্ষ্য করি। একদিকে চামড়া ব্যবসায়ীদের একসাথে আড়ৎ ভরপুর হয়ে উঠে চামড়ায়। তারা স্বল্পমূল্যে চামড়া ক্রয় করে বেশি মূল্যে বিদেশে রফতানী করতে পারে। দেশের চামড়াজাত পণ্যগুলোর বাজার সরগরম হয়ে উঠে। একদিকে চামড়া ব্যবসায়ীরা উপকৃত হয়,অপরদিকে গরীব অসহায় মানুষগুলোকে এই চামড়ার পুরো টাকাটা দান করতে হয়।ধনিরা এই চামড়ার একটা পয়সাও গ্রহণ করেন না। তারা গরীবদের কল্যাণে অকাতরে দান করে দেন। চামড়ার পুরো মূল্যটাই প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে গরীবের কাছে চলে যায়। এতেও গরীব মানুষ কুরবানীর মাধ্যমে লাভবান হয়।

তৃতীয়তঃ
কুরবানীর অন্যতম এক বিধান এটি যে, কুরবানীর গোস্তের এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিলি করতে হয়, এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকীনদের মাঝে বিলিয়ে দিতে হয়। এর মাধ্যমে ধনীদের ঘরে সঞ্চিত সম্পদ থেকে কিছুটা হলেও ভাগ পায় গরীব মানুষ। গরীবের উনুন গোশতের ঘ্রাণে মুখরিত হয়ে উঠে। গরীব শিশুরা কুরবানীর গোস্ত পেয়ে যারপর নাই খুশি হয়। কুরবানীর দিন গরীব-দুখী সকল মানুষের ঘরে গোস্ত পাক হয়। সবাই একই ধরণের আহার গ্রহণ করতে পারে। কুরবানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক মহত্ব এখানেই। ঊর্ধ্বমুখী বাজারের পাগলা ঘোড়ায় চড়ে এমন অনেক গরীব মানুষ আছেন, যারা সারা বছরে এক টুকরো গোস্তের ঘ্রাণও নিতে পারে না। কুরবানীর এই সুন্দর প্রথার কারণে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে পারস্পরিক মিল-মুহাব্বত আরো বৃদ্ধি পায়।সামাজিক ঐক্য ও সংহতি আরো মজবুত হয়।

চতুর্থতঃ
কুরবানীর দিন পরিশ্রমী গরীব মানুষের চাহিদা থাকে অনেক বেশি।তারা সামর্থবান ধনীদের কুরবানীর গোস্ত কেটে দিয়ে নগদ পয়সা উপার্জন করে।উপরন্তু তারা অতিরিক্ত কিছু গোস্তও পায়। ঈদের দিনে তাদের একদিকে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়। অপরদিকে অতিরিক্ত গোসত খাওয়ার তথা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাল খাবারের আয়োজনেরও সুযোগ হয়।

পঞ্চতমঃ
দেশে যত বেশি কুরবানী হবে, তত বেশি গরু চাষীদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে। তারা গরুর ভালো দাম পাবে। দেশে গরুর চাষ বাড়বে। কুরবানী বেশি হলে চামড়া শিল্পের বিকাশ দ্রুত হবে। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বা মানব সৃষ্ট সমস্যার কারণে যদি চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়, সেটা তো ঈমানদারের কোন দোষে নয়। তারা বেশি করে কুরবানী দেয়, তাদের সামর্থকে আল্লাহর সামনে নত করার জন্য। গরীব-অসহায়, দুঃখী-দুঃস্থ্যদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য।

এভাবে কুরবানীর বিষয়টি চিন্তা করলে দেখা যায় যে, কুরবানীর রয়েছে বহুমুখী অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিধা। এর মাধ্যমে অর্থের কোন অপচয় হয় না।কুরবানীর প্রতিটি বিষয় মানুষের উপকারে আসে। গরীবের কল্যাণে আসে। তবে কুরবানীর দিন কিছু মানুষের দায়িত্বহীনতার কারণেই কুরবানীর পশুর মল-মূত্র,নাড়ী, ভুঁড়ি যেখানে সেখানে ফেলে রাখতে দেখা যায়। কিন্তু এটার জন্য তো ইসলাম দায়ী নয়, কুরবানী প্রথা দায়ী নয়। এর জন্য দায়ী আমাদের দায়িত্বহীনতা। ইসলাম শিক্ষা দেয়, মানুষের কষ্ট হয় এমন কোন বস্তু রাস্তায়, মানুষের চলাচলের উপযোগী কোন জায়গায় কোন অবস্থাতেই ফেলে রাখা যাবে না। দেশের আইনেও এটা সমর্থন করে না। দেখা যায়, পশুত্বকে অনেকেই সম্পূর্ণ কুরবানী দিতে পারেন না। ফলে মানুষের কষ্টের কথা তাদের মাথায় আসে না। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে মুসলিম হতে পারতাম, তাহলে এ বিষয়গুলো আমরা খুব সুন্দরভাবে সমাধান করতে পারতাম। তাছাড়া সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যদি কুরবানীর দিন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকতো এবং বাড়তি লোকবল নিয়োগ দিত, তবে কোন সমস্যাই থাকতো না।

এর জন্য আমাদের মানসিকতা দায়ী। আমাদের পরিবেশ দায়ী। আমরা সারা বছর যেভাবে রাস্তাঘাটে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখি, শহরকে নোংরা করে রাখি, তা কোন সভ্য জাতি করে না। কুরবানীর সাথে সাথে যদি এই পশুত্বটাও কুরবানী দেওয়া যেতো, তাহলে কুরবানীর সত্যিকার সফলতা আমরা আরো সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারতাম। এবং আমাদের এই দুর্বলতাকে পুঁজি করে ব্রাহ্মণ্য ও নাস্তিক্যবাদিরাও পবিত্র কুরবানী নিয়ে কোন ধরনেরই অপপ্রচারের সুযোগ পেতো না।

তাই আসুন, আমরা ইসলামের প্রতিটি বিধি-বিধানকে মনোযোগ দিয়ে উপলব্ধিতে আনার চেষ্টা করে যথাযথভাবে পালন করতে সচেষ্ট হই। সুন্দরভাবে আমল করতে চেষ্টা করি। তাহলেই দেখবো যে, আমাদের সমাজ সুন্দর হয়ে উঠেছে। পরিবেশ সুন্দর হয়ে উঠেছে। মহান রবের হুকুম পালনার্থে আসুন, আমরা সামর্থবানরা আরো বেশি করে কুরবানী দিই। দেশের গরীব মানুষ উপকৃত হোক। রাষ্ট্র উপকৃত হোক।দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল হোক। গরীব অসহায় পরিবারের নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশু-কিশোররা গোস্তের স্বাদ অস্বাদন করে ধনীদের সাথে মিশে তারাও আনন্দের সাথে ঈদের আনন্দ উদযাপনে শামিল হোক।

লেখকঃ
তরুণ ইসলামী গবেষক ও পত্র-পত্রিকার কলাম লেখক

সূত্রঃ ইনসাফ ব্লগ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

স্যার এডলফ হিটলার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.