![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোরান ও মানবতার ২৫ টি আদেশঃ
১। হে মানবজাতি, আমি তোমাদেরকে এক জোড়া মানব-মানবী হতে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্নজাতি, বর্ন ও গোত্রে, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। (৪৯/১৩)
২। আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি-যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন। অতএব, দৌড়ে কল্যাণকর বিষয়াদি অর্জন কর। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অতঃপর তিনি অবহিত করবেন সে বিষয়, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে। (৫/৪৮)
৩। আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্যে থেকে সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি লাভ কর এবং সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া। (৩০/২১)
৪। নারী ও পুরুষ একে অন্যের সমান। (৩/১৯৫)
৫। নিশ্চয়ই আমি আদম সন্তানকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেছি।(১৭/৭০)
৬। তোমরাই হলে সর্বোত্তম, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমরা। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অসৎ কাজে বাধা দেবে। (কোরান ৩/১১১)
৭। তোমরা লড়াই করবে দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে। (কোরান ৪/৭৫)
৮। মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়, অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে দেবে। এটি এজন্যে যে এরা জ্ঞান রাখে না। ( ৯/৬)
৯। যে কেউ একজন নিরপরাধকে হত্যা করে, সে যেন পুরো মানবতাকেই হত্যা করে। যে একজন নিরপরাধের প্রান বাচায়, সে পুরো মানবতারই প্রান বাচায়।(৫/৩২)
১০। দুর্ভোগ সেই ব্যাক্তির যে এতিমকে গলাধাক্কা দেয়, মিসকিনকে অন্ন দিতে অনুতসাহ করে, লোকদেখানো নামায পড়ে এবং কাউকে প্রয়োজনীয় বস্তু দ্বারা অন্যকে সাহায্যে অস্বীকার করে। ( ১০৭/২-৭)
১১। বস্তুতঃ আমি দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি। অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি? তা হচ্ছে দাসমুক্তি অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান। এতীম আত্বীয়কে অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে। অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় ধৈর্যের ও দয়ার। (৯০/১০-১৭)
১২। তোমরা এতীমকে সম্মান কর না, মিসকীনকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না, মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে কুক্ষিগত কর এবং তোমরা ধন-সম্পদকে প্রাণভরে ভালবাস, এটা অনুচিত। যখন পৃথিবী চুর্ণ-বিচুর্ণ হবে এবং তোমার পালনকর্তা ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হবেন, এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে? (৮৯/১৭-২৩)
১৩। ন্যায় সাক্ষ্য দাও, যদি তা তোমার পিতা মাতা বা নিকটাত্নীয়ের বিপরিতে যায় তবুও, বিচারে রিপুর কামনার অনুসরন কোরো না।(৪/১৩৫)
১৪। ন্যায়ের ক্ষেত্রে অটল থাক যেন কারো প্রতি শত্রুতা তোমাকে ন্যায়ের পথ হতে চ্যুত না করে। (৫/৮)
১৫। ক্রীতদাস-দাসীকে মুক্ত করে দাও। (৫/৮৯)
১৬। আত্নীয়-স্বজনকে তার হক দান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। এবং কিছুতেই অপব্যয় করো না।
(১৭৭/২৬)
১৭। মেপে দেয়ার সময় পূর্ণ মাপে দেবে এবং দাঁড়িপালায় সঠিক ওজন করবে।(১৭/৩৫)
১৮। প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তা উত্তম। যদি গোপনে অভাবগ্রস্তদের দাও, তা আরো উত্তম।(২/১৭১)
১৯। এতিমের মালের কাছেও যেয়ো না, একমাত্র তার কল্যাণ আকাংখা ছাড়া। (১৭/৩৪)
২০। পৃথিবীতে দম্ভভরে পদচারণা করো না। (১৭/৩৭)
২১। দারিদ্রের কারনে নিজ সন্তানকে হত্যা কর না।(১৭/৩১)
২২। নারীরা তোমাদের পোশাক, তোমরা নারীদের পোশাক। (২:১৮৭)
২৩। পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর। বিশেষ করে মায়ের প্রতি যিনি কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছেন এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছেন। (৪৬/১৫)
২৪। পিতামাতা যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না। (১৭/২৩)
২৫। সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী (২/১৭৭)
সূত্রঃ- Md Rafat Rahman [ Click This Link ]
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
স্যার এডলফ হিটলার বলেছেন: হম। ঠিক বলেছেন। কিন্তু ১জন পড়েও মানার চেষ্টা করলে আমার কষ্ট স্বার্থক। ধন্যবাদ।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
Silent Listener বলেছেন: ধর্ম ও মতাদর্শ নির্বিশেষে বাণীগুলো সত্যিই খুব মানবতাবাদী। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০
স্যার এডলফ হিটলার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১২
নির্লিপত্ নিয়ন বলেছেন: মানুস ধরম থেকে দুরে সরছে না। বরং আমরা দুরে সরছি আর বিধরমিরা ধিরে ধিরে ধরমের কাছে আসছে..। আললাহ আমাদেরকে হেডাআত দান করুন।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
স্যার এডলফ হিটলার বলেছেন: এটাও কিছুটা ঠিক। আমরা এখন ধর্মের কথা কম, কুসংস্কারে বেশী বিশ্বাস করি -_-
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০০
বিজন রয় বলেছেন: শেয়ারিং এর জন্য ধন্যবাদ। শিক্ষার কোন শেষ নেই।
তবে মানুষ এখন ধর্ম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, সেটাই হলো খারাপ বিষয়।
এই যে আপনি এতগুলো সুন্দর বিষয় তুলে ধরলেন, দেখবেন কজনইবা পড়বে।