ইরান কি সত্যই যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি চায় না হরমুজ প্রনালীতে?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

গত ২৫ ডিসেম্বর হরমুজ প্রনালীর কাছে কয়েকটি ইরানীয় নৌবাহিনীর মিসাইল বোট থেকে হরমুজ প্রনালীর কাছা কাছি অবস্থানে দাড়িয়ে থাকা USS Harry S.Truman এয়ার ক্র্যাফট ক্যারিয়ার এবং পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি ডেস্ট্রয়ার কে লক্ষ্য করে কয়েকটি অনিয়ন্ত্রিত রকেট নিক্ষেপ করে । এতে অবশ্য কোন জাহাজের কোন ক্ষতি হয়নি তবে ব্যাপারটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে, আশে পাশে কয়েকটি ফ্রান্সের বানিজ্যিক জাহাজ ও ছিল । বানিজ্যিক জাহাজের ক্রু রা এতে বেশ ভয় পেয়ে গেলেও কোন ক্ষয়ক্ষতি এতে হয়নি ।

জাহাজ থেকে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা সি-হক হেলিকপ্টার থেকে এই ( ভিডিও টি প্রকাশ করা হয় ।

৪৫ সেকেন্ড এর এই ভিডিওটি মার্কিন নৌবাহিনীর এতদিন বিশেষ কিছু কারনে প্রকাশ করে নি ।




সবচেয়ে বড় কথা । কিছুদিন আগেও মার্কিন বাহিনীর কিছু মেরিন সদস্যকে গ্রেপ্তার ও জিম্মি করে ফেলে ইরানীয় নৌবাহিনী । পরে অবশ্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় , কিন্তু মুল বিষয় এই , ইরান কি শুধু হরমুজ প্রনালীতে নিজের শক্তি প্রদর্শন ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য এটি করছে নাকি মার্কিন উপস্থিতি হরমুজ এলাকায় তারা একেবারেই দেখতে চায় না?

হরমুজ প্রনালি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জনই কৌশলগত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা । ইরান বরাবরই হুমকি দিয়ে থাকে ইরান এর উপর আঘাত আনলে বা ইরান এর জাতীয় 'Interest" এ আঘাত আসলে তারা এই প্রনালী বন্ধ করে দেবে । যার ফলাফল হতে পারে চরম ভয়াবহ , কারন এই প্রণালী বন্ধ করে দিলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কয়েক ঘন্টারম মধ্যেই আকাশছোঁয়া হয়ে যাবে । বিপদে পড়বে সাড়া বিশ্বের তেল-বাজার । ২০১৩ সালের এক হিসাব মতে সাড়া বিশ্বের মোট তেল সাপ্লাই এর ৩০ ভাগ ( ১৭ মিলিয়ন ব্যারেল ) সাপ্লাই হয় এই হরমুজ প্রণালী দিয়ে । একবার ভেবে দেখা যায় কি এই ৩০ শতাংশ তেল এর সাপ্লাই এর পথ যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে কি অবস্থা হবে?

ঠিক এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানকেই ঘরের পাশে বলে বেশ কাজে লাগাতে পারছে ইরান । তবে এই প্রণালীতে নিজের শক্তি প্রদর্শন করলে করতে পারে ইরান, বন্ধ করে দিলে যে " আশেপাশের" প্রতিবেশীরা পরের দিন যুদ্ধ ঘোষণা করে বসবে না তাতে কোন গ্যারান্টি নেই । এই পপথ বন্ধ করে দেওয়া কিছুটা উস্কানিমূলক এবং একই সঙ্গে যুদ্ধের বার্তা দেওয়ার মতই ।

২ টি +০/-০