নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবি ও কবিতা

নিজেকে কবি বলে পরিচয় দিতে ভাল লাগে। ভালবাসি দেশকে।

ঋভু অনিকেত

আমার দেশকে আমি ভালবাসি।কবিতা লেখা আমার শখ।

ঋভু অনিকেত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছি রাজাকার ধিক মুক্তিযোদ্ধা!

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৭:৪৬

ছি রাজাকার! ধিক মুক্তিযোদ্ধা!!

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল

আমার নানাকে নিয়ে আমি একটা লেখা লিখেছিলাম। সেই লেখাটি ফরিদ কবির ছেপেছিলেন ভোরের কাগজে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৩-এ, পরে তা গ্রন্থিত হয়েছে মাওলা ব্রাদার্স কর্তৃক ১৯৯৪ প্রকাশিত 'স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি' গ্রন্থে। আমার নানা মাওলানা ইউসুফ মিয়া শেরপুরে (বর্তমানে জেলা) শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। আর তার কু'যোগ্য সাগরেদ ছিলেন জামায়াতের যুগ্ম সেক্রেটারি কুখ্যাত রাজাকার কামরুজ্জামান। তাদের কুকর্মের স্বাক্ষ্য এখনও মুছে যায়নি। কিন্তু তারা তাদের কুকর্ম মোছার নানা অপচেষ্টা করছে। তাই প্রতিবছর মার্চ আর ডিসেম্বর মাস এলেই শুরু হয় তাদের নিত্যনতুন মোনাফেকি কথাবার্তা, কর্মসূচি। সে জন্যই এবার তথাকথিত 'জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ' গঠন করে গত ২০ ডিসেম্বর 'পাঁচ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা' দেয়ার নতুন প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যখন তারা বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, তখন 'দেশপ্রেমিক' সাজার কৌশল করছে। বলছে, 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার মানে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।' এটা তো আর নতুন কিছু নয়। ইতোপূর্বে জাতির জনক বঙ্গবনন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে। বলেছে, '৭১-এ বাঙালি জাতিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে মুজিব পাকিস্তানে বসে হালুয়া-রুটি খেয়েছে। তাদের আরও কিছু প্রলাপ নিম্নরূপ :

ক। '৭১-এ তারা ভুল করেনি। কারণ, যুদ্ধের সময় গণহত্যা, নারী নির্যাতন, লুণ্ঠন ও অগি্নসংযোগ জাতীয় অপরাধ জায়েজ এবং ওয়াজেব।

খ। ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা আওয়ামী লীগেরই নীলনকশা।

গ। পাকিস্তান 'আল্লাহ ঘর'। তাই পাকিস্তান আর নিজামীর সমালোচনা করা মৃত্যুদ- অপরাধ।

ঘ। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী শামসুর রাহমান, জাহানারা ইমাম, কবীর চৌধুরীরা ইসলামের দুশমন!

ঙ। গোলাম আজমের ভাষ্য '৭১-এর রাজাকার বাহিনী তৈরি না হলে পূর্ব পাকিস্তানের পাঁচ কোটি মানুষকেই প্রাণ দিতে হতো।

চ। প্রগতিশীলতার নামে যারা ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে বক্তৃতা ও বিবৃতি দেয়, তাদের জন্য 'বস্নাসফেমি আইন' প্রর্বতন প্রয়োজন ইত্যাদি ইত্যাদি।

'বিজয়ে দিবসে' তারা তাদের 'পরাজয় দিবস' মানতে রাজি নয়। আজ মনে পড়ছে- ইমদাদুল হক মিলনের 'রাজাকারতন্ত্র' এবং হুমায়ূন আজাদের 'পাকসার জমিন সাদবাদে'র কথা। কিভাবে সুপরিকল্পিতভাবে তাদের উত্থান-উত্তরণ ঘটেছে। স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজ প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, আবদুর রহমান বিশ্বাস স্পিকার ও রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, বিচারপতি নূরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, মওলানা মান্নান, মুজাহিদ, নিজামীরা মন্ত্রী হয়েছেন। জাতির জন্য চরম অপমানের বিষয়_ এদের গাড়িতে শহীদদের রক্তমাখা জাতীয় পতাকা শোভা পেয়েছে। সেই দুঃখ-গ্লানি-অপমান নিয়ে আবু হাসান শাহরিয়ার লিখেছেন কষ্টের কবিতা_ 'খুনিদের গাড়িতে উড়ে জাতীয় পতাকা!'

আমরা যারা সাধারণ, যৎসামান্য লেখালেখি করি, তারাও স্বাধীনতা বিরোধীদের সহযোগিতা করি না। অথচ প্রায় সব রাজনৈতিক দলই 'কমপ্রোমাইজ' করছে। বিএনপি, জাতীয় পার্টির কথা বাদই দিচ্ছি; আওয়ামী লীগও শান্তি কমিটির মওলানা নূরুল ইসলামকে ধর্ম-মন্ত্রী বানিয়েছে। সমঝোতায় এসেছে মওলানা মান্নানের ইনকিলাবের সঙ্গে। অথচ ঘনিষ্ট কবিবন্ধু আতাহার খান ওই দৈনিকটির সহযোগী সাপ্তাহিক 'পূর্ণিমা' দীর্ঘদিন নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন, কিন্তু আমরা কখনই রাজাকারদের রক্তাক্ত হাতে হাত মিলাইনি এবং তাদের পত্রপত্রিকাতেও লেখালেখি করিনি!

আমার মাকে ক্ষেপানোর জন্য মাঝে মধ্যে দুঃখ করে বলি: আমিও তো এক রাজাকারের নাতি, আমার জন্ম পাকিস্তান আমলে, বাল্যশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আমিও স্কুলে পাকিস্তানি জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছি_ পাক সার জমিন সাদ বাদ/কিশোয়ারে হাসিন সাদ বাদ ...

দুঃখ হয়, তিন দশক পরেও তারা এই সঙ্গীতকে ভুলতে পারে না। 'আমার সোনার বাংলা' ... তাদের কাছে হিন্দু কবির লেখা গান। তাতে আছে_ 'তোমার কুলে ঠেকাই মাথা' ...। তাই জাতীয় সঙ্গীত পাল্টানোর জন্য তারা পাঁয়তারা করেছিল। জাতীয় সঙ্গীত পাল্টাতে না পারলেও ইতিহাস পাল্টানোর চেষ্টা করে। তাই স্বাধীনতার শত্রু 'মোমেন খান' এখন 'শহীদ মোমেন খান' হয়ে উঠছে। জাতির এই লজ্জা আমরা কী দিয়ে ঢাকব ?

হে পঞ্চপা-ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) আবদুল জলিল, বীর প্রতীক আফাজ উদ্দিন, মেজর জেনারেল (অব.) শফি আহমেদ, উইয়ং কমান্ডার (অব.) হামিদুল্লাহ খান এবং কবি আল মাহমুদ, দেশ ও জাতি কি আপনাদের সম্মান দেয়নি? আপনারা কীভাবে সম্মতি দিলেন যে, স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-রাজাকারদের কাছ থেকে আপনারা 'সংবর্ধনা' নেবেন? আপনারা একটি বারও ভাবলেন না_ এত কলঙ্কের তিলক! মেজর জলিলের পরিবারও কীভাবে রাজি হলেন, 'মরণোত্তর' সংবর্ধনার নামে কলঙ্কের তিলক নিতে? দেশের মানুষ আজ বিস্মিত!

এতদিন আমরা বলতাম; ছি রাজাকার! এখন কি বলতে হবে_ ছি মুক্তিযোদ্ধা !!

উল্লেখ্য, প্রথমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান স্থগিত করলেও পরে গত ২৭ ডিসেম্বর ২০০৯-এর কড়া নিরাপত্তার ভেতর সংবর্ধনা দেয়। এতে মরণোত্তর মেজর জলিলের পক্ষে কেউ যাননি। অনুষ্ঠানে কবি আল মাহমুদ ৫০ হাজার টাকা পেয়ে জামায়াতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, 'এ সম্মাননা গ্রহণকে নিজের জন্য ন্যায়সঙ্গত ভাবছি। এ সংবর্ধনা ইতিহাসের জন্য অনির্বায।' সংবর্ধিত লে. ক. (অ.) আফাজ উদ্দিন বলেন, জামায়াত মুুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে কী না তা তার জানা নেই। তিনি আরও বলেন 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। তাই বলে কি তাদের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলব?' (উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খানের নাম সংবর্ধনার তালিকায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত তার নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি)।

এদিকে সংসদের উপ-নেত্রী সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, 'যারা জামায়াতের সংবর্ধনা নিয়েছে, তাদেরও বিচার করা হবে।' এই হচ্ছে তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা এবং মোনাফেক রাজাকারদের নাট্যচিত্র।



[লেখক: কানাডা প্রবাসী কবি ও গবেষক। টরন্টো থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বাংলা রিপোর্টারের প্রধান সম্পাদক।]

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-৮

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৭:৫০

লীনা জািম্বল বলেছেন: আর কত নাটক দেখতে হবে আমাদের?????????????

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৭:৫৮

ঋভু অনিকেত বলেছেন: রাজাকারদের নাটকের ক্লাইমেক্স এখনো বাকি। অপেক্ষায় এবং প্রস্তুত থাকুন সে ক্লাইমেক্স মোকাবেলার জন্য। লেখা পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ। লেখাটা আজকের 'সংবাদ' পত্রিকায় আছে।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:০৯

স্বপ্নকথক বলেছেন: হুম

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৪২

মানু্ষ বলেছেন: jantam na je আওয়ামী লীগও শান্তি কমিটির মওলানা নূরুল ইসলামকে ধর্ম-মন্ত্রী বানিয়েছে। সমঝোতায় এসেছে মওলানা মান্নানের ইনকিলাবের সঙ্গে/

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:১০

ও.জামান বলেছেন: মানু্ষ বলেছেন: jantam na je আওয়ামী লীগও শান্তি কমিটির মওলানা নূরুল ইসলামকে ধর্ম-মন্ত্রী বানিয়েছে। সমঝোতায় এসেছে মওলানা মান্নানের ইনকিলাবের সঙ্গে/

আরো জানুন.......

১.শেখ হাসিনার বর্তমান মন্ত্রীসভার সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ছিলেন ফরিদপুর শান্তি কমিটির প্রধান। তিনি শেখ হাসিনার বেয়াই।

২. বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের এমপি ডা.আনোয়ার হোসেন একজন যুদ্ধাপরাধী। তার সম্পর্কে সাঈদ বাহাদুর লিখিত ‘গণহত্যা ও বধ্যভূমি ৭১’ গ্রন্থে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ডা. আনোয়ার হোসেন ১৯৭১ সালে তার সহপাঠী ও যশোর বোর্ডের কৃতী সন্তান গণপতি হালদারকে রাজাকারদের হাতে তুলে দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।

৩. শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে পাটমন্ত্রী করেছিলেন একে ফয়জুল হককে। যিনি দালাল আইনে ১ বছর জেল খেটেছেন।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:২০

মুখ ও মুখোশ বলেছেন: বর্তমানেও আওয়ামীলীগের মন্ত্রীসভায় শান্তিকমিটির সদস্য ইন্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বহাল তবিয়তে রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আবার শেখ হাসিনার বেয়াই (পুতুলের শশুর)। তাদের কথা কিছু বলেন না কেন? না আওয়ামীলীগের ঝোলার মধ্যে ঢুকে গেলেই কলন্কের সব তিলক মুছে যায়?

এরকম পুর্বেও আওয়ামী লীগ শান্তি কমিটির সদস্য মওলানা নূরুল ইসলামকে ধর্ম-মন্ত্রী বানিয়েছিল। অন্য একজন ফাইজুল হক দালাল আইনে জেল খেটেও আওয়ামী লীগের পাট মন্ত্রী হয়েছিল। এত সব জেনেও যারা মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুকচুক করে তাদেরকেও ধ্বিক বলতে হবে, শূধূ ধ্বিক না সাথে থূথূ দিতে হবে। ওয়াক...................

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:২০

মুখ ও মুখোশ বলেছেন: বর্তমানেও আওয়ামীলীগের মন্ত্রীসভায় শান্তিকমিটির সদস্য ইন্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বহাল তবিয়তে রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আবার শেখ হাসিনার বেয়াই (পুতুলের শশুর)। তাদের কথা কিছু বলেন না কেন? না আওয়ামীলীগের ঝোলার মধ্যে ঢুকে গেলেই কলন্কের সব তিলক মুছে যায়?

এরকম পুর্বেও আওয়ামী লীগ শান্তি কমিটির সদস্য মওলানা নূরুল ইসলামকে ধর্ম-মন্ত্রী বানিয়েছিল। অন্য একজন ফাইজুল হক দালাল আইনে জেল খেটেও আওয়ামী লীগের পাট মন্ত্রী হয়েছিল। এত সব জেনেও যারা মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুকচুক করে তাদেরকেও ধ্বিক বলতে হবে, শূধূ ধ্বিক না সাথে থূথূ দিতে হবে। ওয়াক...................

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৪২

"বৃষ্টির কান্না" বলেছেন: ইনিয়ে বিনিয়ে কত কথাইতো বললেন, পারলে মানু্ষ, ও.জামান বা মুখ ও মুখোশ এর কথঅর জবাবটা দেন........চুপ করে থেকে নানার মত রাজাকারি কইরেন না, জবাব দেন X(( X(( X((

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৫০

সাকীব বলেছেন: Some of these are common knowledge but about the more obscured ones, Care to cite any reference to these claims?

কেউ যদি শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সম্পর্কে আপনার থেকে ভিন্ন মত পোষন করেন আপনি সেই অধিকার কেড়ে নিতে চান?

১৯৭১ সালে যারা চেয়েছিলেন পাকিস্তান বিভক্ত না হোক তা চাওয়ার এবং কামনা করার পূর্ণ অধিকার তাদের ছিল। আমার এই বক্তব্য সম্ভবত অনুদিত হবে বিভিন্ন অপরাধের পক্ষের সাফাই হিসেবে।

১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:০৪

এস এইচ খান বলেছেন: ১৯৯৬ টার্মে আউয়ামীরা অন্তত ৪০ জন রাজাকারকে নমিনেশন দিয়েছিল। বিষয়টি তখনকার বেশ কয়েকটা পত্রিকায় এসেছিল। তো ভাইজান, দেশে অনেক সমস্যা, এই ধরেন ১৪০ টাকায় এক কেজি মশুর ডাল খাচ্ছি (আবার দাদাগো দেশের ডাইলনা, ওটার দাম এখন সকল শ্রেনীর গ্রাহকের একদম নাগালের মধ্যে করে দিয়েছে, জানেন তো? বিডিআর তো এমনি এমনি শেষ করা হয়নি?) আইন শৃংখলা, দেশের সাধীনতা, সার্বভৌমত্বসহ হাজারও সমস্যার মধ্যে খালি এই একখান সমস্যা ঘুইরা ফিইরা আপনারা লিখেন। জনগনের দৃষ্টি ঘুরানো বাবদ নগদ নারায়ণ বোধ হয় বেশ পাচ্ছেন?

১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:১১

"বৃষ্টির কান্না" বলেছেন: সাকীব বলেছেন: Some of these are common knowledge but about the more obscured ones, Care to cite any reference to these claims?

কেউ যদি শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সম্পর্কে আপনার থেকে ভিন্ন মত পোষন করেন আপনি সেই অধিকার কেড়ে নিতে চান?

১৯৭১ সালে যারা চেয়েছিলেন পাকিস্তান বিভক্ত না হোক তা চাওয়ার এবং কামনা করার পূর্ণ অধিকার তাদের ছিল। আমার এই বক্তব্য সম্ভবত অনুদিত হবে বিভিন্ন অপরাধের পক্ষের সাফাই হিসেবে।



ভারতে প্রসঙ্গে বলছি- উলফারা যুদ্ব করছে আসামের স্বাধীনতার জন্যে আর অনেক আসামী আছে যারা চাচ্ছেনা আসাম স্বাধীন হোক। এখন ঘটনা ক্রমে কোনদিন যদি আসাম স্বাধীন হয়ে যায়ই তখন কি উলফা বাদে সব আসামী জনগনকে দেশ থেকে বের করে দিবে বা ফাসিতে ঝুলিয়ে মারবে?

আরেকটি কথা- আমাদের স্বাধীনতা যুদ্বের সময় আসামী জনগন আমাদেরকে, আমাদের অসহায় জনগনকে অনেক ভাবে সাহায্য করেছে আর এখন তাদের স্বাধীনতা যুদ্বে আমরা তাদের পাশে তো নেইই বরং তাদের নেতা কর্মীকে খুজে খুজে বের করে ধরিয়ে দিচ্ছি? এটা কেমন নৈতিকতা? তখন যদি তারা লুকিয়ে থাকা আমাদের নেতা কর্মীকে ধরিয়ে দিত তবে কেমন হত?

দয়া করে উপড়ের উত্তর গুলো কি দিবেন মি: দেশপ্রেমিক?


১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:২০

রঙ্গভরা বঙ্গদেশী বলেছেন: আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা ফ্যাক্টরী থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে নিলেই তো হয়। যতোই দালালী করেন গলায় লেখা থাকবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারী। ছি, ধিক

১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:২৩

রোহান বলেছেন: @ও জামান, মুখ ও মুখোশ: জামাতের ৭১ এর কূকর্মের কথা কইলেই কুমিরের গল্পের মতো মোশাররফ রে টাইনা আইনা কি লাভ? আপনাদের সাথে সবাই এক মত। রাজাকার লিষ্টে উপরের তিনজন অবশ্যই থাকবে। কিন্তু এই তিনটা পাতি রাজাকারের নাম আপনাদের মুখে সবসময় ফেনিয়ে থাকলেও তাদের তৎকালীন নেতা এ দিকনির্দেশক দের নাম একবারও নিতে দেখা যায় না। ডা: আনোয়ার হোসেনের এলাকাতেই দেলু রাজাকার নামে এক কূখ্যাত রাজাকার ছিলো... বলতে পারবেন আনোয়ারের থেকেও কূখ্যাত এই রাজাকারের বর্তমান পরিচয়? আসে আপনারে হেল্প করি...

১. গোলাম আজম
২. নিজামী
৩. কামরুজ্জামান
৪. সাঈদী
৫. মুজাহিদ
৬. সাকা চৌধুরী
৭. বেয়াই মোশাররফ
৮. ডা: আনোয়ার
৯. ফায়জুল হক

এই লিষ্টে কারে কারে আপনাদের রাজাকার আলবদর মনে হয়????

১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:২৯

রোহান বলেছেন: @সাকিব & বৃষ্টির কান্না:

ধরে নিলাম ৭১ এর শুরুতে কিছু লোক দেশ বিভক্তির বিরোধীতা করতেই পারে। তারা হয়তো অভিন্ন পাকিস্তান চেয়েছিলো (২৫শে মার্চের আগে নেতৃবৃন্দেরও একই দাবী থাকার কথা যেহেতু ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা চলছিলো শেষ পর্যন্ত)। অবশ্যই সেই অধিকার তাদের ছিলো।

এখন বলেন তো ২৫শে মার্চের পরেও তারা কেনো পাক আর্মির সাফাই গেয়ে চললো পুরা ৯ মাস? আপনি একজন শান্তি কমিটির লোক হয়ে চারপাশের এমন বর্বরতা দেখেও শুধু না দেখার ভান করেই থাকলেন না বরং কয়েক ধাপ এগিয়ে আর্মি তোষন এবং তাদের বর্বরতম নৃশংসতার সহকারী হয়ে নিজের দেশের নিরীহ মানুষকে চিনিয়ে দিলেন, ঘরের মেয়েকে পশুর হাতে তুলে দিলেন, ঘরের সবচেয়ে মেধাবী ছেলে গুলোকে ঘর থেকে ধরে ধরে কসাই এর দোকানে দিয়ে আসলেন.... এরপরেও বলবেন এইটা তাদের অধিকার ছিলো, অপরাধ নয়????????

ধিক আপনাদের....

১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৩৮

এরশাদুর রহমানা বলেছেন: ১৯৯৪ সালে হাসিনার সাথে একত্রে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে ছিল মতিউর রহমান নিজামী। তাহলে রাজাকারতো হাসিনাও। ১৯৯২ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য গোলাম আজমের পদধুলি নিতে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
কে রাজাকার আর কে মুক্তিযোদ্ধা তা প্রশ্নবিদ্ধ আজ।

১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:১২

এস এইচ খান বলেছেন: রোহান সাব, অনেক দিন থেকেইতো আপনাদের মত খাটি চেতনাধারীদের এই ব্লগে দেখছি। তো যাদের লিষ্ট দিলেন তাদের নিয়াতো আপনারাই কাফি। কিন্ত আশ্চর্য হই যখন দেখি শুধু গো.আ.দের (হেন্দুসতানের গোয়া না আবার) পিছনে লাগেন কিন্ত নিজ দলের গো.আ. দের সজ্ঞানে দৃষ্টির আড়ালে রাখেন। আউয়ামীদের উদলা পা.. .. কাপড় আর কত তুলে দিবেন। কাপড় পুরান হয়ে গেছে। নতুন কাপড় লাগান নতুন ইস্যু ধরেন। নতুন কামাইর রাসতা বানান।

১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩৬

"বৃষ্টির কান্না" বলেছেন: রোহান সাব উপড়ে যারাই রাজাকার নিয়ে কথা বলেছে তারা কেউই তো আপনাদের!! দেওয়া রাজাকার লিষ্ট !!! নিয়ে কথা তুলে নাই। শুধু আওয়ামী পকেটের রাজাকারদের (পরে আওয়ামী সনদ পেয়ে সাচ্চা মক্তিযোদ্বা এমনকি ঘরে ঢুকে জামাই বনে যাওয়া) কথাও একটু বলতে বলেছে, এতেই আপনার এত গাত্র জ্বালা শুরু হয়েছে কেন? আপনাদের দেওয়া লিষ্টেড রাজাকারদের!!! বিচার তো হবেই কিন্তু আত্মীয় স্বজনদের তো একবারে মন্ত্রীত্ব দিয়ে ঘরে নিয়ে জামাই আদর করা হচ্ছে। যারা এটা করছে তাদের বিচার করবার একতিয়ারইবা কতটুকু আছে? এটা কোন ধরনের গোয়া-মী? সেইদিকে না যেয়ে, না দেখে না বুঝে ধিক দিলে সেটা কিন্তু আগে নিজের গায়েই লাগবে জনাব। ৩৭ বছর পর্যন্তইতো এই রাজনীতি করলেন, এখন এগুলান বন্ধ করেন, দুমুখো নীতি বাদ দেন।

১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৬:৫৩

ঋভু অনিকেত বলেছেন: রাজাকার চিরকালই রাজাকার, সে আওয়ামি লিগ এর মোশাররফ হলেও রাজাকার আর জামায়াতের আমীর নিজামী হলেও রাজাকার। কেউ শুধু রাজাকার কেউ রাজাকারের সর্দার পার্থক্য এটুকুই। আর রাজাকার চিরকালই ঘৃনার পাত্র।

১৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:২০

রোহান বলেছেন: খান সাহেব ও বৃষ্টির কান্না: রাজাকার লিষ্ট আইলেই আম্বালীগরে টাইনা ট্যাগিং করেন ক্যান? গোলামা আজম আর নিজামীর নাম নিলেই আম্লীগ ট্যাগিং করেন ক্যান? আমারে গাইলাইয়া মাইরা ফালান তয় হের আগে সরাসরি তো কন যে উপরের লিষ্টের ১ থিকা ৯ এর সবগুলানরে রাজাকার বইলা মাইনা নিতাছেন তো? নাম ধইরাই কন গোলাম আজম নিজামী মুজাহিদ থিকা শুরু কইরা মোশাররফ, আনোয়ার -- এরা সবগুলান রাজাকার... আম্লিগ, রোহান এইগুলান না টাইনা সরাসরি তো বলেন, হের পরে কে কিভাবে কোন লেভেলের রাজাকার পালন ও তোষনে ব্যস্ত সেইটা নিয়া অনেক কথা কওন যায়...

অট: কেপি টেষ্ট একটা ক্লাসিকাল জিনিস... সবাই এইখানে আইসা পিছলায় ক্যান কে জানে =p~ =p~

২০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৭:১১

সাকীব বলেছেন: @ রোহান

আপনি আমার বিপক্ষে যা বলেছেন তাতে কিছু সমস্যা আছে। ইংরেজীতে একে বলে 'খড় মানব' (straw man argument) এর অর্থ হলো আমি যেই অবস্থান নেই নাই আমাকে সেই অবস্থানে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে তর্ক করা।

আমি বলিনাই যারা 'পাক আর্মির সাফাই' গেয়েছে তারা ঠিক কাজ করেছে। আমি বলিনাই, এবং আমার লেখা কোন প্রকারে এবং আকারে এই ইংগীত দেয়না, যে 'আর্মির তোষন এবং তাদের বর্বরতম নৃশংসতার সহকারী হয়ে নিজের দেশের নিরীহ মানুষকে' হত্যা/অত্যাচার করা ঠিক ছিল ।

বিবর্তনবাদের তত্ত্বানুসারে কোন জীব যেই অংশটার ব্যাবহার করেনা তা আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়। আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে এখনো টিকে আছে আমার বোধগম্য হয়না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.