মা এবং একটি চিঠি

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৭

পাগলি আলেয়া,
কেমন আছিস? আল্লাহ তোকে অনেক ভাল রেখেছে আমার বিশ্বাস। কেন রাখবেনা? আমি যে সবসময় তোর জন্য দুয়া করি। আমি আল্লাহর সৃষ্টি হলে তাকে তো আমার কথা রাখতেই হবে। আমি তো আমার মন থেকে শুধু একটা জিনিস চাই ঐ কারিগরের কাছে তা হল তিনি যেন সর্বদা তোকে খুব খুব ভাল রাখে।
আমি কেমন আছি? তোর দুয়া যার সাথে আছে সে কি কোনদিন খারাপ থাকতে পারে? বিশ্বাস কর অনেক ভাল আছি। ঠিক যেমনটা তুই আশা করিস সবসময়। এতো চিন্তা করিস কেন তুই আমাকে নিয়ে? আমি কি এখনো আগের মত ছোট আছি নাকি রে পাগলি?
অনেকদিন দেখিনা তোকে। খুব মনে পড়ে তোকে জানিস! তোর সাথে প্রতিদিন কথা বলতে পারিনা তাই বলে কি ভাবিস তোকে ভুলে গেছি? একদম না। তুই তো আমার রক্তে মাংসে মিশে আছিস। বিশ্বাস হচ্ছেনা? সত্যি বলছি তোর স্থান আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে উপরে। আমার প্রতিটা নিঃশ্বাসে তোর নাম উচ্চারিত হয়। বিধাতার কাছে শুনে দেখ আমি সত্যি বলছি।
তুই কিন্তু দিনে দিনে শুকিয়ে যাচ্ছিস। এতো চিন্তা করতে কে বলে রে তোকে? আমি তো কিছুদিন পরেই তোর কাছে ছুটে আসব। পরীক্ষাটা শেষ হলেই তো আমি বাড়ি আসছি। তোর কোলে অনেকদিন মাথা রেখে ঘুমাইনা। তোর কোলে মাথা রেখে ঘুমাতে খুব ইচ্ছে করে জানিস! তোর হাতের রান্না ও খুব মিস করি প্রতিদিন খাওয়ার সময়।
ওই দেখ রান্নার কথা বলেছি বলে এখনি ভাবতে বসেছে কি কি রান্না করবে। এতো কিছু কি আমি খেতে চেয়েছি নাকি? তুই ও পারিস! এতো কষ্ট করে এতকিছু রান্না করার কথা কি আমি একবার ও বলেছি? তোর হাতের ডাল ভাত খেলেই তো আমার প্রান জুড়ায়। কি বললি? পিঠা? হা হা হা হা হা........! আচ্ছা ঠিক আছে পিঠা তৈরি করিস। আল্লাহ গো.......! তোমার এই পাগলি কেন এতো চিন্তা করে বলতো। কি দিয়ে বানাইছ তুমি একে?
ও হ্যাঁ! “মা” তুই ঠিকঠাক ঔষুধ খাচ্ছিস তো নিওমমতো? দেখ একদম অনিয়ম করবি না। আর ঔষুধ শেষ হয়ে গেলে নাদিরাকে বলিস এনে দিতে। আমি কিন্তু ওর কাছে খোঁজ নেব।
শেষ করতে ইচ্ছা হচ্ছেনা। তুই চিঠি পেয়েই আমাকে লিখবি। আমি তোর চিঠির অপেক্ষায় থাকব সবসময়। বাবাকে আমার সালাম দিস। আর নিজের দিকে খেয়াল রাখতে বলিস।
তোর
হারুন

২ টি +০/-০