![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোনিয়া (ছদ্মনাম ব্যাবহার করার প্রয়োজনীয়তাবোধ করলাম না)। বয়স ২২ কি ২৩ হবে। মেকআপের আড়ালে চেহারা ঠিকমতো বুঝে উঠতে না পারলেও ওর হাত আর পায়ের গড়ন দেখে আন্দাজ করতে পেরেছিলাম সোনিয়া দেখতে বেশ সুন্দরী। পেশায় একজন যৌনকর্মী। ওর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল শাহাবাগে হোটেল রূপসী বাংলা হোটেলের বিপরীতে সাকুরা বাঁরে। প্রতিদিন সন্ধায় সোনিয়া এখানে আসে খদ্দেরের সন্ধানে।
এটুকু পড়ে অনেকেই ছিঃ ছিঃ করছেন আর মনে মনে আওড়াচ্ছেন, "কি খারাপ ছেলে রে বাবা। বাঁরে গিয়ে মদ ফদ খায় আর খানকি নিয়ে মজ মাস্তি করে" তাইনা? দেখুন আমি নিছক কারণবসত সেখানে গিয়েছি তবে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার সারা জীবন মনে রাখব। যাইহোক সামনে আগাই.............
সময়টা ২০১৪ সালের অক্টোবর মাস। তারিখ ঠিক মনে নেই। জুঁই (আমার পুরানো প্রেমিকা) এর সাথে সদ্য সম্পর্কচ্ছেদ হয়েছে আমার। প্রথমদিকে বিষয়টা আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনি। খুব হতাশ ছিলাম তাই বাংলা সিনেমার হিরো জসিম ইস্টাইলে সাকুরা বাঁরে মদ খেতে গিয়েছিলাম। সেদিন সোনিয়া আমায় কাছে ডেকেছিল।
বেশ কিছুক্ষণ কথাবলে মনে হয়েছিল ও কোনভাবেই পতিতা হতে পারেনা। একটা বিষয় কি জানেন? সোনিয়ার সাথে পরিচয়ের পূর্বে আমি খানকি আর যৌনকর্মীর মধ্যে পার্থক্য বুঝতাম না। ওই আমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে এই পার্থক্য দেখিয়েছে। আমি সোনিয়ার পড়াশুনা কতদূর এই প্রশ্নে সে যা উত্তর দিয়েছে শুনে হতবাক হয়ে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়েছিলাম ওর দিকে। মেট্রিকে এ প্লাস পাওয়া মেয়েটির যৌন পেশায় নামার কারণ জিজ্ঞেস না করে থাকতে পারিনি।
"আমার বাবা এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রিক্সা চালাতেন। এসএসসি দেবার কদিন বাদে আমার রিক্সাচালক বাবা মারা যান। বাবার খুব ইচ্ছা ছিল তার মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। আমি বাবার ইচ্ছা পূরণে ছিলাম অটুট। সংসারে বাবা ছাড়া উপার্জনের কেউ ছিলনা। বাবা মারা যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। একটা টিউশানি জুটেছিল বটে তবে ছাত্রীর বাবার লোলুপ দৃষ্টি আমাকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে চলেছে। বেশিদিন করা হয়নি টিউশানি টা। পরে অন্যত্র কয়েকটা টিউশান পেলেও বেতন এত কম ছিল যে, সংসারের খরচ চালিয়ে আমার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারছিলাম না।
বৃত্তির জন্য কয়েকটা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেও ভাগ্য এতোটাই খারাপ ছিল যে একটাও হয়নি। আসলে আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো যে পদ্ধতিতে বৃত্তি দেয় তাতে যারা প্রকৃতপক্ষে বৃত্তি পাবার মত তারা কতটুকু পায় সেটা নিয়েও প্রশ্ন হয় আমার।
উপায় না দেখে আমার পাশের বস্তিতে থাকা মিনা বুবু কে বলেছিলাম একটা কাজের খোঁজ দিতে। মিনা বুবু যৌনকর্মী ছিল তাই তার উপরমহলের অনেকের সাথে পরিচয় ছিল। মিনা বুবু আমাকে এই পেশায় আসার জন্য অফার করেন। প্রথমে রাজী হইনি। পরে সংসারের খরচ আর নিজের পড়াশুনার খরচ জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়ে অনিচ্ছায় নেমে গেলাম যৌন পেশায়। পড়াশুনার ইতি ঘটেছিল সেই ক্ষণে।"
সোনিয়ার চোখ টলটল করছে। আমি হা করে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আছি।
"জানেন বাবার স্বপ্ন পুরন করতে পারিনি আমি। এখন তো বাবার কবরের সামনে যেতে লজ্জা হয়। বাবা প্রতিনিয়ত আমাকে প্রশ্ন করে তোর পড়াশুনা কেমন চলছে মা? আমি বাক্রুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। মনে মনে কিছু একটা উত্তর খুঁজি কিন্তু কিছুতেই উত্তর মেলে না।"
যৌনপেশায় সোনিয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম আমি। ওর উত্তর ছিল এমন, "প্রথমদিকে খুব কষ্ট হত। খুব ব্যাথা পেতাম। কিন্তু খদ্দের কোনভাবেই আমার ব্যাথা বুঝতে চাইত না। সহ্য না করে চিৎকার করতে উঠতাম মাঝে মাঝে আর ঠিক তখন খদ্দের খানকি, মাগী, বেশ্যা আরও কত কি বলে গালি দিত। কিছুই বলতে পারতাম না আমি। আমাকে যে ওরা কাজের জন্য টাকা দিয়ে কিনে নিত।
তবে খানকি-বেশ্যা আর যৌনকর্মীর মধ্যে যে বিস্তর পার্থক্য এরা কোনভাবেই এটা বুঝতে চায়না। টাকার বিনিময়ে যেকোনো কাজ করাই পেশা।
আমরা যৌনকর্মী। এটা আমাদের পেশা। আমার মনেহয় এই পেশার আইনগত বৈধতা দেওয়াটা জরুরী। তবে এক্ষেত্রে সরকার বয়সের নিয়ম করে দিতে পারে। কিছু কিছু নিয়মের মধ্যে যৌন পেশার বৈধতা হলে আমার মনে হয়না দেশের ক্ষতি হতে পারে বরং উপকারই বেশি হবে।"
যৌনপেশার বৈধতায় কি সুবিধা এই প্রশ্নের উত্তরে সোনিয়া যুক্তি দিয়ে আমায় বোঝাতে সচেষ্ট হয়। তার মতে,
"দেখুন বাংলাদেশে কিন্তু প্রতিনিয়ত নারীরা "সেক্সচুয়াল হ্যারেজমেন্ট" এর মদ্ধ দিয়ে যাচ্ছে। বাসা-বাড়ির কাজের বুয়া থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি কর্মক্ষেত্রেও নারীরা নিরাপদ নয়। শিক্ষিত অশিক্ষিত সকল শ্রেণীদ্বারা নারীরা ধর্ষণ কিংবা অপহরন হচ্ছে। সরকার যত পদক্ষেপ নিচ্ছে তার দ্বিগুণ পরিমাণে ধর্ষণ-নির্যাতন বেড়ে চলেছে। এজন্য আমি পুরুষসমাজকে কোনভাবেই দায়ী করিনা। কারণ কামনা সবার মধ্যেই আছে। আপনি যতই সভা-সেমিনার করে গণসচেতনতা বাড়াতে সচেষ্ট হন না কেন আপনার মধ্যেও কিন্তু কামনার বাস। আপনার কামনা তখনি কেবল থাকবে না যখন আপনি চাইলেই কামনা মেটানোর সঙ্গী পাবেন। আমরা যৌনকর্মীরা কিছুটা হলেও চেষ্টা করি মানুষকে সাময়িক সুখ দেবার। এতে করে যারা আমাদের কাছে আসে তারা কিছুটা হলেও এই ঘৃণ্য কাজ থেকে দূরে থাকে কারণ তাঁদের যৌন চাহিদা মেটানোর প্রয়োজন হলেই আমাদের কাছে আসতে পারে। এজন্য বাইরের জগতে তার যৌনতা মেটানোর খুব একটা দরকার হয়না।"
আমি প্রশ্ন করেছিলাম, "তুমি তো অভাবের জন্য এই পথে এসেছ। তাহলে তোমার কি মনে হয়না যে যৌন পেশার বৈধতা দিলে অনেক দরিদ্র ঘরের মেয়েরা অনিচ্ছায় এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হবে?"
সোনিয়া হাসতে হাসতে, "আপনার কি মনে হয় শুধুমাত্র অভাবের জন্য আমরা মেয়েরা এই পেশায় আসি? আমি বা আমার মত কিছু সংখ্যক মেয়ে আছে যারা নিছক অভাবের জন্য যৌনতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। তবে আমি যতদূর দেখেছি তাতে আমাদের চেয়ে ধনীশ্রেণী এই পেশায় এগিয়ে। এখন তো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক সুন্দরী রমণীও এই পেশাকে সানন্দে বেছে নিয়েছে।"
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম সোনিয়ার কাছে। প্রতিউত্তরে বলেছে, "আমি টুকটাক লেখালেখি করি। তবে অধিকাংশ লেখাই আমাদের পেশা সম্পর্কিত। জানিনা কখনো প্রকাশ করতে পারব কি না তবে কোন একসময় এটা নিয়ে আন্দোলন করব আমি। উন্নত দেশগুলোর মত বাংলাদেশে যৌন পেশাকে বৈধতা দেওয়া খুব জরুরী। সরকার আমাদের পুনর্বাসনের জন্য সাময়িক যে নাটকীয়তা করছে তা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। সরকারী পুনর্বাসনে আমরা হয়তো কিছুদিন কোনমতে খেয়ে পরে থাকতে পারি তবে এই প্রক্রিয়া একটি ক্ষণস্থায়ী মাধ্যম। একটা সময় আমাদের দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হয়।"
সোনিয়ার কাছে অনেক বিষয়ে জেনেছি। সামান্য নেতিবাচক দিক থাকলেও ইতিবাচকতা বেশি মনে হয়েছে। ওর সাথে হয়তো আর দেখা হবেনা আমার। তবে আমি নিজেকে সোনিয়ার আন্দোলনের বিরুদ্ধে নিতে পারব না। হয়তো আমার সেই ক্ষমতা কোন কালেই হবেনা।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: সময় নিয়ে পড়েছেন এতে আমি ধন্য। আসলে আমার লেখাটার মধ্যে সকল যৌনকর্মীদের হৃদয়ের কথা তুলে ধরতে চেয়েছি। ওদের ও একটা জীবন আছে আমাদের মতই। আমরা গোপনে সঙ্গম করলে কোন কথা হয়না আর ওরা পেটের দায়ে করলে হয় খানকি কিংবা মাগী।
"সভা সমিতি সেমিনারে যা বলা হয়-= তার দশভাগের একভাগও যদি অন্তর থেকে বলত- করত দেশ অনেক এগিয়ে যেত।"--- একমত আপনার সাথে
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
ব্রিক্সশাওন বলেছেন: সরকার যদি জনগনের টাকা মেরে খায় তাহলে প্রতিটি গরীব পরিবারের মেয়েরা এক সময় যৌন কর্মীতে পরিনত হবে তাই যৌন কর্মীর লাইসেন্স দেয়ার আগের সরকারের আগে ভালো হওয়া উচিত।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য আর মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৬
মানবী বলেছেন: আমাদের দেশে যৌনকর্মী বা পতিতাদের যে ঘৃনার দৃষ্টিতে দেখা হয় তার সহস্রভাগের এক অংশও জুটেনা পতিত পুরুষদের ভাগ্যে! এক নির্বোধ জাতি আমরা অনেকটা জেনেও না জানার ভান করে থাকি এক জন পতিতা মানে তার সাথে কয়েক শত পতিত পুরুষ। একজন পতিত যদি ঘৃনভার পাত্রী হয়, তার সাথে সমান ভাবে ঘৃন্য তাকে ব্যবহার করা পতিত পুরুষটি! তাহলে এদের নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য নেই কেনো?
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভবোঘুরে বাউল।
বিদ্রোহী ভৃগু: আপনি মেয়েটির প্রশ্নে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন বলেই হয়তো তাকে মনে করিয়ে দিতে ভুলে গেছেন যে, সুপথে আসা বা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা মানেই আরেকজন পুরুষ কে বিয়ে করে ঘর করা নয়। পেশা পরিবর্তন করে সুস্থ কোন পথে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা। আর একবার এই পথ থেকে ফিরে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করলে হয়তো তখন অনেকেই তাকে বিয়ে করতে চাইবে। কোন চেষ্টার পূর্বেই "কেউ বিয়ে করবেনা" ধরনের হতাশা নিয়ে হাল ছেড়ে দিলে কি কোন পরিবর্তন সম্ভব!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: আপনার বিবেচনাপ্রসূত মন্তব্যের জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞ। সময় নিয়ে পড়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১১
ধঅনের শীষ বলেছেন: কেন পথ কি ছিল না । গারমেন্সে কাজ করতো। কত মানুষ গারমেন্সে কাজ করে জীবিকা নিরবাহ করছে। এই কুপথে আসতে হবে কেন? আজব ।যতসব ঢং এর কথা ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকিয়ে যায় ভাই। আর যৌন পেশা কে কুপথ বলার মানে বুঝলাম না। একটু বর্ণনা চাইছি যদি আপনার সময় হয় তাহলে।
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৮
মানবী বলেছেন: ধঅনের শীষ, গার্মেন্টস কর্মীদের কি ভীষণ যৌন নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তা হয়তো অনেকেই জানেননা। শুধু ফ্যাক্টরীর মালিক পক্ষ বা সুপারভাইজাররাই নয়, তাঁরা যখন সারা দিনে হাড় ভাঙ্গা খাটুনী শেষে পরিশ্রান্ত হয়ে রাতে বাসে ঘরে ফিরে সেসময় বাস চালক সহ কন্ডাক্টররাও তাদের ধর্ষন করতে পিছপা হয়না।
এবিষয়ের কয়েকজন লেখালেখি করেছিলেন ৫/৬ বছর আগে, আর দশটি মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনের মতো এই আন্দোলনেটিও সফল ভাবে দমন করা হয়েছে মনে হয়।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: এজন্য সোনিয়ারা মনে করে বাংলাদেশে যৌন পেশার বৈধতা জরুরী। তাতে কিছুটা হলেও নারী নির্যাতন হ্রাস পাবে হয়তো।
৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮
ধঅনের শীষ বলেছেন: @মানবী, বাসে কিংবা ফ্যাক্টরীতে কিছু অমানুষ দ্বারা ইভটিজিং এর শিকার হলেই ঐ মেয়েকে যৌনকর্মির পেশা বেছে নিতে হবে !! আজব তো !!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: ধঅনের শীষ ভাই আপনি হয়তো লেখার বিষয়বস্তু বুঝতে অসমর্থ হয়েছেন।
৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
ধঅনের শীষ বলেছেন: যৌন পেশাকে যদি কুপথ মনে না করেন, তাহলে একটা কাজ করেন - আপনার মা-বোনকেও এই পথে নামায়া দেন ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: আপনার মা-বোনকে যে এই পথে নামাতে হবে এর কোন মানে হয়না। না বুঝে বা পোস্ট না পড়ে মন্তব্য করা ঠিক না। আপনি যদি নরাধম না হন তাহলে আপনি আপনার মা-বোনের ভরণপোষণ যোগাতে পারবেন।
আর আপনার এটাও বোঝা উচিৎ বাংলাদেশে যৌন পেশা অবিরত চলছে। সরকার বলেন বা আপনাদের মত চুচিল সমাজ বলেন বড় বড় লেকচার মেরে কেউ তা থামাতে পারেনি আর পারবে ও না। আপনি কি মনে করেন আপনার মধ্যে যৌনবৃত্তি নেই? যদি সেটা মনে করেন তাহলে আপনি একটা বড় ধরনের আহাম্মক।
পেটের দায়ে বা অন্ন ক্ষুধায় যদি কেউ সেচ্ছায় যৌনকর্মী হয় তাহলে তাকে বাঁধা দিলেও সে ফিরে আসবে না যতক্ষণ না তার আহার জোগানর ব্যাবস্থা করা হবে। আপনি কি দেশের সমগ্র যৌনকর্মীকে আহার জোগানর ব্যাবস্থা করতে পারবেন?
কুপথ কোনটা সেটা একটা দুধের বাচ্চাও বলে দিতে পারে কিন্তু সেই কুপথ ছেড়ে সুপথ কোনটা সেই রাস্তাটা আপনাদের মত চুচিলরা বাতলাতে পারেনা এটাই হল সমস্যা।
অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫
মানবী বলেছেন: ধঅনের শীষ, আপনার সাথে এই প্রসঙ্গে আলোচনায় যাওয়াটা অনৈতিক হয়েছে কিনা বুঝতে পারছিনা! এধরনের সমস্যা বা বিষয় নিয়ে আলোচনা করার ম্যাচুরিটি আপনার নেই তা আপনার মন্তব্য ও জবাব থেকে স্পষ্ট!
প্রথমত ইভটিজিং এবং ধর্ষনের মাঝে কি পার্থক্য তা আপনার জানা নেই, অথবা ধর্ষন আপনার কাছে অতি সামান্য ও স্বাভাবিক ব্যাপার। দ্বিতীয়ত কর্মক্ষেত্র ও বাসে গার্মেন্টসকর্মীদের যৌনহয়রানীর কথা আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেবার অর্থ ছিলো, পতিতা বৃত্তির মতো এই পথেও নারীদের প্রতিনিয়ত একধরনের ঘৃন্য হায়নার পালের আক্রমনের শিকার হতে হয় তাই পতিতারা সুস্থ জীবনের আশায় ভিন্ন পেশা বেছে নিতে চাইলে নিঃসন্দেহে গার্মেন্টসকর্মীর কাজ যথার্থ নয়। এই সামান্য বিষয়টি বোঝার মতো ম্যাচুরিটি বা বোধ আপনার নেই, এটা দেখে অবাক হলাম!
"গার্মেন্টসকর্মীরা যৌননির্যাতনের শিকার সুতরাং পতিতা বৃত্তি বেছে নিতে হবে" এমন ভাবনা এবং বক্তব্য আমার নয়, এটা আপনার চিন্তাপ্রসূত।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৪
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: একমত আপুমনি।
৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আমাডের চুচিলেরা সভা সেমিনারে বড় বড় বুলি দিয়ে বেড়ায় । আর রাত হলে সোনিয়াদের বা বাসার কাজের মেয়ে কে খুজে বেড়ায় । এটাই হয়ে যাচছে পরতিনিয়ত ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পজেটিভ ভাবে নেওয়ার জন্য।
আপনার কথায় যৌক্তিকতা আছে বটে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গল্প হলেও ভাল!
সত্যি হলে আরও ভাল!
আমি একবার এমনি এক যৌন কর্মীর সাথে ছাত্রাবস্থায় গল্প করেছিলাম। অনেক কথার ফাকে যখন বল্লাম তোমার কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ইচ।ছে করে না।
সে অপলক চেয়ে থেকে বলল- হ্যা করে। কে দেবে?
আপনি করবেন আমাকে বিয়ে?
আমার ব্যাংকে ২ লাখ টাকা আছে সাভারে আড়াই কাঠা জমি আছে। করবেন?
স্বভাবতই আক্সমিকতায় আমি চুপ হয়ে গেছিলাম।
আর সে বলেই চলছে- এই যে দেখেন। মূখে বরা কত সহজ! আর এখন চুপ হয়ে গেলেন্।
আসলেই বরার মতো কিছূ ছিল না। আমাদের সামাজিকতার ঠুনকো ভয়, আমাদের লৌকিকতাম বোধের সীমাবদ্ধতায় আমরা অহর্নিশি আটকে থাকি!
সভা সমিতি সেমিনারে যা বলা হয়-= তার দশভাগের একভাগও যদি অন্তর থেকে বলত- করত দেশ অনেক এগিয়ে যেত।
++