নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যার জীবন নেই তার আবার প্রতিচ্ছবি! জীবন বলতে কি কেবল শুধু বেঁচে থাকার নাম! নাকি অন্য কিছু। আমি তো জানি সামগ্রিক প্রতিকুলতার মাঝে সবার সাথে কিছু গল্পের সমন্ময়ে সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্নার মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করার পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পৃথিবীতে আবেগ দিয়ে বি

রুবে৭১

আমার নাম রুবেল। পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চির খুব সাধারণ একজন মানুষ। স্বল্পভাষী, মিশুক, আর পরস্বার্থে কাজ করতে ভাল লাগে। চশমা ব্যবহার করি। বিশ্বাস প্রবণ আবেগী একটা মানুষ। বাবা তারা মিয়া, মা মারা গেছে অনেক আগে। বাড়ি টাংগাইল। মাস্টার্স করেছি ইংরেজীতে , তবু বাংলা আমার শিকড়। ভূলিনা।

রুবে৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম-মর্যাদা নাকি নারী উত্থানের অগ্রগামীতা

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

পড়াশুনা চলাকালিন সময়ে অনেক মেয়ে খুব কম সংখ্যাক মেয়ে বন্ধুর সাথে মেশার সুযোগ ছিল। মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে হওয়ার দরুন বাবার স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হতো। পড়ালখার খরচটা নিজেকেই রোজগার করে চলতে হতো বলে জীবনে প্রেম শব্দটার সাথে অতটা পরিচিত নই বা সুযোগ ছিলনা। থাকবে কোথা থেকে সময় ছিলনা। যারা ছিল, তারা সব ধনি পরিবারের মেয়ে তেল আর জল মিশ না হবার মত সম্পর্ক । তবুও হয়তো তাদের কেউ কেউ চাইতো। বিয়ে করার বয়স হয়েছে। বয়স্ক বাবা, মা পরিবারের সবাই্ আমার বিয়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

এখন বুঝতে পাড়ছি সম্পর্কের বিয়ে গুলো অসামাজিক মনে হলেও জীবনে তার প্রোয়োজনীয়তা অনেক। কারন, বিয়ে করতে গেলে পাত্রীর বাবা-মার যা ডিমান্ড বা প্রত্যাশা তা আজো পুরন করতে পারছিনা। আমি ইংরেজীতে অনার্স /মাস্টার্স আবার এল এল বি করা, ঢাকা জজ কোর্টে প্রেকটিশনার হিসেবে আছি।

চাকুরী নাই। বলতে গেলে সোজা বাংলায় বেকার। গত মাসে একটি পাত্রী দেখতে গিয়ে প্রথমবার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে, বাংলাদেশে নারীদের অধিকার সবথেকে বেশি। কিভাবে? তার উত্তর আজকের লেখায় পাবেন।
পাত্রীর পরিবার থেকে আমাকে একজন মুরুব্বী জিজ্ঞেস করেছিলেন!

- বিয়ের ব্যাপারে ছেলেদেরতো মেয়ে পক্ষের কাছে অনেক চাওয়ার থাকে। তো বাবা তোমার কি কোন ডিমান্ড আছে! আমি উত্তর দিয়েছিলাম।
- না কোন ডিমান্ড নেই। সেই ছোট বেলা থেকে আপনাদের মেয়েকে লেখা পড়া শিখিয়েছেন, বড় করেছেন, অতি আদরের মেয়েটাকেই তো দিয়ে দিচ্ছেন। আর কি ডিমান্ড থাকতে পারে বলেন।

নায়কোচিত জবাবে ভদ্র মহিলা খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু, আমি খুব কষ্ট পেয়েছি, কেন জানেন! একটা চাকুরীর জন্য আমাকে তাদের কাছ থেকে ৬ মাস সময় চেয়ে নিতে হয়েছে। পুরুষ বেকারে সমস্যা! নারী বেকারে সমস্যা না কেন?

সবার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা রেখেই লিখছি । কাউকে আঘাত করার জন্য নয় ।
পৃথিবীর সব মেয়ে মানুষই একরকম । বেশ কয়েকবছর ধরে নারী স্বাধীনতা , নারীদের সমান অধিকার নিয়ে বিস্তর আলোচনা ,সেমিনার , সিম্পোজিয়াম এমনকি আন্দোলনও হচ্ছে । বিষয়টা কি খুব যৌক্তিক ?

টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফকে গ্যালারী থেকে এক পুরুষ ভক্ত তাকে বিয়ে করবে কি না জানতে চাইলে স্টেফি পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চান ঐ ভক্তের কত টাকা আছে , আরেক পুরুষ টেনিস তারকা নাদালকেও এক নারী ভক্ত গ্যালারি থেকে চিৎকার করে তাকে বিয়ে করবে কিনা জানতে চাইলে নাদাল শুধু হেসেছিলেন । একজন নারী তারকা এবং একজন পুরুষ তারকার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটার পর নারী-পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য বেশ ভালোই টের পাওয়া যায় । টাকা থাকলেই যেকোন নারীকে যেকোন পুরুষ পেতে পারে ।

ছেলেরা লেখাপড়া শেষ করে, কঠোর পরিশ্রম করে , বাড়ি গাড়ি করে , একটা বেকার মেয়েকে বিয়ে করে সংসারের দায়িত্ব তার হাতে তুলে দেয় । আর তার ভরণপোষণের বিনিময়ে নারী শুধু পুরুষকে সেক্স বিতরন করে । ভাবখানা এমন যেন সেক্স শুধু পুরুষের দরকার, নারীর দরকার নেই !
যেদিন একজন কর্মজীবী নারী একজন বেকার ছেলেকে বিয়ে করে সংসারের দায়িত্ব তার হাতে তুলে দিতে পারবে, সেদিন বুঝবো, নারী সমান অধিকার অর্জন করেছে । তার আগ পর্যন্ত নারীকে সমান অধিকার ভিক্ষা, আর নিজ দেহকে বিক্রি করে যেতে হবে । ভিডিওতে দেখুন স্টেফি আর নাদালের মন্তব্য ।াত্রছ। কারো কারো সঙ্গে ঘনিস্ট ও আন্তরিক সম্পর্কও আছে । সবার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা রেখেই লিখছি । কাউকে আঘাত করার জন্য নয় ।
পৃথিবীর সব মেয়ে মানুষ একরকম । বেশ কয়েকবছর ধরে নারী স্বাধীনতা , নারীদের সমান অধিকার নিয়ে বিস্তর আলোচনা ,সেমিনার , সিম্পোজিয়াম এমনকি আন্দোলনও হচ্ছে । বিষয়টা কি খুব যৌক্তিক ?
টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফকে গ্যালারী থেকে এক পুরুষ ভক্ত তাকে বিয়ে করবে কি না জানতে চাইলে স্টেফি পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চান ঐ ভক্তের কত টাকা আছে , আরেক পুরুষ টেনিস তারকা নাদালকেও এক নারী ভক্ত গ্যালারি থেকে চিৎকার করে তাকে বিয়ে করবে কিনা জানতে চাইলে নাদাল শুধু হেসেছিলেন । একজন নারী তারকা এবং একজন পুরুষ তারকার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটার পর নারী-পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য বেশ ভালোই টের পাওয়া যায় । টাকা থাকলেই যেকোন নারীকে যেকোন পুরুষ পেতে পারে ।

ছেলেরা লেখাপড়া শেষ করে, কঠোর পরিশ্রম করে , বাড়ি গাড়ি করে , একটা বেকার মেয়েকে বিয়ে করে সংসারের দায়িত্ব তার হাতে তুলে দেয় । আর তার ভরণপোষণের বিনিময়ে নারী শুধু পুরুষকে সেক্স বিতরন করে । ভাবখানা এমন যেন সেক্স শুধু পুরুষের দরকার, নারীর দরকার নেই !
যেদিন একজন কর্মজীবী নারী একজন বেকার ছেলেকে বিয়ে করে সংসারের দায়িত্ব তার হাতে তুলে দিতে পারবে, সেদিন বুঝবো, নারী সমান অধিকার অর্জন করেছে । তার আগ পর্যন্ত নারীকে সমান অধিকার ভিক্ষা, আর নিজ দেহকে বিক্রি করে যেতে হবে । ভিডিওতে দেখুন স্টেফি আর নাদালের মন্তব্য ।

(আমার প্রীয় করিম স্যারের থেকে তথ্য যোগ করে লেখা)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৮

নজসু বলেছেন: শুভ ব্লগিং।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.