![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নাম রুবেল। পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চির খুব সাধারণ একজন মানুষ। স্বল্পভাষী, মিশুক, আর পরস্বার্থে কাজ করতে ভাল লাগে। চশমা ব্যবহার করি। বিশ্বাস প্রবণ আবেগী একটা মানুষ। বাবা তারা মিয়া, মা মারা গেছে অনেক আগে। বাড়ি টাংগাইল। মাস্টার্স করেছি ইংরেজীতে , তবু বাংলা আমার শিকড়। ভূলিনা।
ভুমিকা টানলাম না। সরাসরি মুল গদ্য চলে যাই। বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশীয় কমন একটা সংলাপ হচ্ছে " আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না-বাংলাদেশ/ভারত, ম্যায় তুমহারা বিনা জি নেহি সাক্তি-ভারত/পাকিস্তান "
মুলত এই একটি বাক্য সব থেকে বেশি ব্যবহার করে সদ্য উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে যখন Teenage age এ থাকে। তখন এই বাক্যটা অতিরিক্ত মানসিক অবস্থা থেকেই বেশি ব্যবহার করে।
এটা অনেকেই সাধারণ ভাবে প্রেম- ভালবাসার সম্পক' গত কারণ মনে করলেও আমি বলব
এটা হচ্ছে তাদের আসক্তিগত কারণ। এটা ভালোবাসা নয়। ভালবাসা সস্তা সবজির মত নয়। বাজারে গেলাম ২/২.৫ কেজি পটলের দামে প্যাকেটজাত করে এনে কেটে কুটে হলুদ, মরিচ, মশলা দিয়ে আগুনের তাপে রান্না করে খেলাম। বিষয়টা তা নয়। আসক্তির বেলায় বাজারে কিনতে পাউয়া সব্জির মতই। কারো সাথে রিলেশন হল। পাকে'গেলাম। বাদামের দাম বেড়ে যাওয়ায় ৫ টাকার পরিবতে'১৫ টাকার বাদাম কিনলাম। খেলাম। একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে সময় পার করলাম। এই যখন চিত্র। তখন, আমি বলব-
এটা প্রেম নয়। মানসিক শারিরীক আসক্তি। যেমন মোবাইলে অতিরিক্ত কথা বলাটা অসুস্থতা। এটা বাজে অভ্যাস। মাঝে মাঝে এই উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের দেখা যায় মোবাইলে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে। আমার বাসায় ও এরকম একটা ছেলে আছে। তাকেও দেখা যায় এ অনিয়ম অনুসরণ করতে। মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গুলা বেচে আছে এঁদের আসক্তিপূর্ণ মস্তিষ্ক ধরেই। শুধু তাই নয়, ভালবাসা যেখানে সম্মান বাড়ায়, আসক্তি বাড়ায় অপমান। ভালবাসায় অন্য কিছু টেনে আনাটাই আসক্তিগত লোভ প্রকাশ পায়। যাকে ভালবাসছেন/ফিল করছেন। ভেবে দেখবেন তার সাথে invest জাতিয় শব্দটা যুক্ত আছে। যদি থাকে তবে সেখানে ভালবাসা নেই। আছে gives & takes জাতিয় কিছু। আর এ জাতিয় সম্পক' মরুর বুকে গড়ে উঠা তাসের ঘরের মত ভেংগে চুড়ে যায়।
ধরুন, আপনি (মেয়েদের বলছি) একটা ছেলেকে ভালবাসলেন। হঠাত! ছেলেটা একটা এক্সিডেন্ট করে বোবা হয়ে গেল। কি করবেন। চলে যাবেন। নাকি থাকবেন। চলে যাওয়াটাই ভাল কি বলেন। বোবার সহযোদ্ধা হওয়াটা একটু বেশি কঠিন।
গল্পটা মনে আছে! বেকার ছেলেটাকে প্রত্যাক্ষান করে দামি চাকুরে দেখে মেয়েটা বিয়ে করল। অবশেষে, মেয়েটির হাজবেন্ড তার বসের সাথে তার বউয়ের পরিচয় করিয়ে দিতে নিয়ে গেল। বউকে বসতে বলে হাজবেন্ড বাইরে গেল। সেই ছেলেটা আসল। মেয়েটা তার এক্স বয়ফ্রেন্ডকে চিনল। ডাকল। কথায় কথায় তার হাজবেন্ডের গল্প করল। বড় চাকরি, বাড়ি আর পয়সা। মেয়েটির হাজবেন্ড ঢুকতেই বসকে দেখল। সালাম দিল। সেই ছেলেটিই ছিল মেয়েটির হাজবেন্ডের বস। মেয়েটি যে লজ্জাটা পেল, এজাতিয় লজ্জা মনে হয় মরনের পরেও প্রভাব ফেলে। তাই আসক্তির খপ্পরে নয়, ভালবাসুন, সুখে থাকুন।
©somewhere in net ltd.