নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলতে থাকা শহর ...

০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

--মামা,এইযে এদিকে, যাবেন নাকি মিরপুর দশ নম্বর?

তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও রিক্সা মামা আমার ডাক শুনতে পেলো,ঘাড় ঘুরিয়ে বললো-না।

রিক্সা চলে গেলো বাম দিকে,অর্থাৎ শহরের শেষ প্রান্তে।এই সক্কাল বেলাতো সবার অফিসে যাবার কথা ,কিন্তু সমস্ত রিক্সা ডান দিকে না গিয়ে বাম দিকে যাচ্ছে কেন তা আমি বুঝতে পারলাম না।

আবার আর একজনকে দেখলাম তুমুল বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আসছে।

-মামা,দশ নম্বর যাবেন?

আবারো সেই একি উত্তর।

এই দিয়ে পাঁচ পাঁচ টা রিক্সাওয়ালা আমাকে নিরাশ করে দুয়ারীপাড়ার রাস্তায় চলে গেলো।

আমি নালার পানিতে দু পা ডুবিয়ে চাতক পাখীর মতো দাঁড়িয়ে আছি।

অফিসে দেরী করে যাওয়াটা আমার কাছে বাজে অভ্যাসের মধ্যে একটি।এই কাজটি আমি সহজে করতে চাই না।কিন্তু যে বৃষ্টিকে এতোকাল ধরে ডাকলাম সে আজ এলো ঠিকি,একদম কুকুর বিড়াল হয়েই এলো।

যাই হোক,অবশেষে একখানা রিক্সা মিললো তাও আবার পলি বিহীন।আমার কপালে আজ ভেজা বসনা হবার ই দিন ছিলো।ভাবলাম সি এন জি ট্রাই করবো নাকি। পকেটে যে কখানা পয়সা আছে তাতে বোধ করি পান্থপথ অব্দি চলবে। কিন্তু একি বিধাতা,কি দিন দেখালে ?অন্যদিন তাও বা বন্দী খাঁচার দেখা মিলে ,আজতো তাও নেই। সবাই যেন ঘুমের শহরে চলে গেছে।

অবশেষে চললাম কুকুর বিড়াল মাথায় করে।



বৃষ্টির ঝাপ্টা এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে আমার নাক ,মুখ -সমস্ত শরীর।কিন্তু তা নিয়ে আমার মোটেও মাথা ব্যাথা নেই,আমার সমস্ত মায়া গিয়ে পড়লো ইট কাঠের এই ঢাকা শহরের প্রতি।রাস্তা খুড়ে খুড়ে কি চেহারাটাই না বানিয়েছি আমরা,পীচ ঢালার উপর হাজারটা গর্ত।একটা শহর কতটা অনাচার সহ্য করতে পারে ? নালার উপচে পড়া পানিতে ভেসে যাচ্ছে মানুষ-বাস-ঢেলা গাড়ী।আমরা কেবল চলছিতো চলছি।

কেউ থেমে নেই,বর্ষা কালে চলছে বিরামহীন খোড়া খুড়ি।সি এন জি ইচ্ছে মতোন হাঁক ছাড়ছে ভাড়ার টাকার।এ যেন নিলাম চলছে,কে কত চাইতে পারে তার প্রতিযোগিতা।অসহায় মানুষগুলো বাসের মধ্যেই একে অপরকে ঠেলা ঠেলি করছে, ড্রাইভার নির্বিকার মনে মোবাইলে কথা বলছে।আমরা কেউ কাউকে দেখছিনা, কিংবা আমরা আমাদেরকেই দেকতে পাচ্ছি না।কারন কোন কিছু দেখার সময়তো আমাদের নেই।

এইরকম রিক্সা বাস করে যাওবা পান্থপথ এলাম,আটকে গেলাম গলির মুখেই। কারন ধনীর দুলাল বড় সাইজের একখানা জিপ নিয়ে তার ঘর থেকে বের হচ্ছেন।আটকে গেলো চলা,উনি বের না হতে পারলেতো ঐ পথ দিয়ে আমাদের মতোন সাধারন মানুষ আর এগুতেই পারবে না।আমরা পড়ে রইলাম পিছনের শারিতে।

সেই জীপ পান্থপথের নানান রঙের গলি পেড়িয়ে পুরো আধঘন্টায় জায়গা ত্যাগ করলো। ততোক্ষনে বৃষ্টির তেজ কমতে শুরু করেছে। ক্লান্ত হয়ে পড়েছে সে,ক্লান্ত হয়ে পড়েছি আমিও।

কিন্তু চলা কি আর ক্লান্ত হবে। আমাদেরতো চলতেই হবে।এই মায়াবতী শহরকে বুকে নিয়েই হাঁটতে হবে বাকীটা পথ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০

গ্রাসহোপার বলেছেন: :)

০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫

রোদেলা বলেছেন: B-)

২| ০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

বোকামানুষ বলেছেন: হুম ঠিকই বলেছেন

ভাল লাগলো ভাবনাগুলো

০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭

রোদেলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমাদের চলতে হবে তাই আমরা চলছি

০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭

রোদেলা বলেছেন: ঠিক তাই।

৪| ০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯

সুমন ২০১২ বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভালো......লেখা চালিয়ে যান। শুভ কামনা

০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

রোদেলা বলেছেন: চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।সময় পাই না ভাই।

৫| ০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

দেশি আতেল বলেছেন: এই অবস্থা সবারই,,,, কিছুই করার নেই মনে হয়

০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

রোদেলা বলেছেন: :(

৬| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লিখেছেন শহর কথন।

০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪১

রোদেলা বলেছেন: অনেক দিন পর দেখা পেলাম।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: এই মায়াবতী শহরকে বুকে নিয়েই হাঁটতে হবে বাকীটা পথ।


এই যান্ত্রিক শহরকে এতোটা মায়াভরে দেখেছিল কেউ ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

রোদেলা বলেছেন: আমারতো খুব মায়া হয় এই পোড়া শহরটার জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.