নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।
লিক লিকে ওই বীভৎস চোখে কেবল কালচে রক্তিম আভা ;
কুৎসিত চাওয়া কেবল বাস করে গাড় অন্ধকারে।
দুম করে বাড়তে থাকা ওই দন্ডটি নিয়েই তোমার যতো হাস- ফাস ;
যতো বেশি উচাটন তোমার শরীর,
অবস্থা দর্শনে মনে হয় দুনিয়া শুদ্ধ ঝঁকিয়ে ফেলবে যেন।
কিন্তু সত্যটা এই ; হঠাত দন্ডায়মান দন্ডটির কারুসাজি থামতে খুব বেশি সময় লাগে না,
একটু অন্ধকার গুহা অথবা দু’আঙ্গুলের প্রচন্ড চাপেই নিমেষে মিশে যায় তোমার আস্ফালন।
জানি সত্যটি তোমাকে অনেক বেশী আহত করবে।
তবু তোমাকে বলতেই হচ্ছে-শুধু মাত্র ভ্রুন ঝড়ানো ছাড়া তোমার ওই লকপকে বস্তুটির বিশেষ কোন প্রয়োজনই হয় না কোন রমনীর।
অহংকারের যে বীষ ছড়াতে তুমি এতো বেশি উদ্ধত তার ওপর , সেতো শক্তিতে আর সহস্র বছরের জড়তাতেই কান্ত।
তোমাকে পালটা আক্রমন করবার মতো সাহস বা শিক্ষা কোনটাই তার নেই।
যদি তাই হতো, নিশ্চিত জানতে কি রকম পরাজয় হতো তোমার।
তোমার পৌরষ মুহূর্তে ধুলিত হতো মাটিতে,
তুমি এক ফোঁটা জলও ঝড়াতে পারতে না কপোল বেয়ে।
জানো নিশ্চই ; পুরুষদের জনসম্মুখে কাঁদতে মানা।
কিন্তু বিধাতা রমনীকে বানিয়েছেন সহ্যের ভ্রাম্যমান মূর্তি করে ;
তাই হয়তো সর্বাঙ্গে জোয়ার উঠে এলেও ভাসে না কোন পুরুষ।
সহজ ভাবে বলতে গেলে হায়েনার মতোন আক্রমন করেনা কোন দন্ডকে।
তাই বুঝি এখোন তোমরা দন্ড খানা সোজা করে নির্বিচারে ঘুরে বেড়াও ,
তোমরা বুঝেই গেছো এ সমাজে ওটা বড্ড বেশি নিরাপদ।
কেবল অনিশ্চয়তায় ভোগে নারীর যোনী –
বাসে ,ট্রামে,রাস্তায়,এমন কি ঘরের কোনে।
বিজয়ের তিলক কেটে অট্টোহাসিতে চৌচিড় করে উল্লাস করো পুরুষ ;
কিন্তু জানতেও পারো না -তোমার অপারগতা নীরবে মেনে নেয় কতো শতো নারী।
কারোবা সন্তানের চিন্তা,কারোবা আবার সমাজ।
নারীর শরীর বা চাওয়া কোন আলোচনার বিষয় হতে পারে না ,
সেতো আব্রুর ফতোয়া পড়েই খালাশ।
মুখ ফুটে বলতে যাবে কে ?
কার এমন দায় পড়েছে নির্লজ্জতার বিষ গায়ে মেখে কলংকিত হবে?
এর চেয়ে ঢের ভালো - থাকনা তারা অন্তরালেই অভুক্ত একা ;
তোমরা পাহাড় সমান দন্ড নিয়ে নির্বিকারে এদিক ওদিক লুটে বেড়াও।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৮
রোদেলা বলেছেন: আমি দেখেছি সে নারীর তৃপ্তি, হাসি,
দেখেছি নারীর ঘেমে নেয়ে জোয়ারের জলের চে
নোনতা স্বাদেও মধুর মিষ্ট হাসি! ---------------
যৌবনের সারাটা সময় চষে-প্রাকৃতিক কৃত্তিম..
তৃপ্তি জলে নেয়ে খেয়ে চলতে চাও চলো-
শুধু মা হতে চেও না। কারণ- ভ্রুন হতে গেলেই যে
ঐ পুরুষের মণি চাই। সেখানে কি জয়-না পরাজয়!!!
---------------------------------------------------
প্রতিটা কথাই মন ছুঁয়ে গেলো।
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: বিষয়বস্তু শ্রুতিপীড়ক, কিন্তু বাস্তবতা অস্বীকার করার উপায় নাই ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১০
রোদেলা বলেছেন: ভালোই বললেন।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৬
এম এম করিম বলেছেন: বাস্তব কিছু ঘটনা মাথা নুইয়ে দেয়।
আশা করছি এটা জেনারেলাইজেশন নয়।
ভালো লিখেছেন।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
রোদেলা বলেছেন: অবশ্যই জেনারাইলেশন নয়।ধন্যবাদ।
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভালো লিখেছেন !
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ অভি।
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাধারন+++
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এতো গুরুপাক হজম হবে কি?
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
রোদেলা বলেছেন: নাইবা হলো,সব কিছুই হজম করতে হবে তাতো নয়।পড়েছেন ,ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ----" মুখ ফুটে বলতে যাবে কে ?
কার এমন দায় পড়েছে নির্লজ্জতার বিষ গায়ে মেখে কলংকিত হবে?
এর চেয়ে ঢের ভালো - থাকনা তারা অন্তরালেই অভুক্ত একা ; "
++
এটা অনেক নারীর অন্তরের কথা। ! আমি অনেকের কাছ থেকেই মনের কথা বের করে দেখেছি- সেখানে সেই চিরন্তন অতৃপ্তি!
কিন্তু নারীর অধিকার আদায় যেন পুরুষ বিদ্বেষে পরিণত না হয়! সেটাই নারীর আরও বড় বিজয় হবে!!
এবার কবিতায় কাব্যের জবাব-
তোমার দূর্ভাগ্য বা নিয়তির লিখন
অল্প সময়ের কারসাহির দন্ডের মূখোমুখি হয়েছো
সেই প্রেমিক বীরের সামনে পড়োনি-
যে ভালবাসায় খসিয়ে দেয় নারীর ছ'জোয়ার
দন্ড নির্লপ্ত রেখে নারীর ন-জোয়ারে স্নান সেরেও যে
নির্লিপ্ত -একই তেজে দীপ্যমান।
আমি দেখেছি সে নারীর তৃপ্তি, হাসি,
দেখেছি নারীর ঘেমে নেয়ে জোয়ারের জলের চে
নোনতা স্বাদেও মধুর মিষ্ট হাসি!
যৌবনের সারাটা সময় চষে-প্রাকৃতিক কৃত্তিম..
তৃপ্তি জলে নেয়ে খেয়ে চলতে চাও চলো-
শুধু মা হতে চেও না। কারণ- ভ্রুন হতে গেলেই যে
ঐ পুরুষের মণি চাই। সেখানে কি জয়-না পরাজয়!!!
যেখানে পূজো আর প্রেম
যেখানে প্রীতি আর কাম
সেখানে কেন বিরোধের ঝান্ডা উড়াও
প্রত্যেকেই তার আপন স্থানে সঠিক-আপেক্ষিকতায়।
শুধু খুজে নেয়া নিজের সঠিক জনা
তবেই সব অবসান-শুধুই তৃপ্তির জলে স্নান।