![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।
সূঁচের মাঝে ঔষধ ঢেলে তুমি এমন করে কেন আমাকে কষ্ট দিচ্ছো বলতো ডাক্তার ?
-উহ তোমাকে মারছি,এটাও বুঝনা।
-কিন্তু আমার কি দোষ?
কিছুক্ষন ভাবনায় থাকে ডাক্তারের হাতের চিকন কাঁচি ,
-দোষতো ভয়ঙ্কর।তুমি একটি অবৈধ ভ্রুন।
-অবৈধ মানে কি ডাক্তার?
আবার চমকে উঠে তাকায় নিস্তেজ ভ্রুনের দিকে-
উহ, তুমি বড্ড জ্বালাচ্ছো।দৈনিক এতো ভ্রূন ধংস করি তবু কেউ এতো উচ্চ-বাচ্চো করেনা।
-ওটাইতো।আমাদের মার কেন?কি হলে আমরা তোমাদের কাছে বৈধ হতাম ?
ডাক্তার হেসেই খুন-তোমাদের বাবা মা যদি বিয়ে করতো তাহলেই তোমরা বৈধ হতে।
-ও এই কথা।শুধু ওই কাগজ হলেই কি জন্ম দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় সবাই।
তাইতো বলি,পাশের ফ্ল্যাটের নবারন দৈনিক বউকে পেটায়,তাও কি সুন্দর বছর ঘুরেই তাজা মানুষ জন্মায়।
ডাক্তার আবার কিছুটা সময় ভেবে বলে-নিশ্চই তাদের মধ্যে ভালোবাসাও আছে।
-কি বললে তুমি ?তবে কি আমার বাবা মার মধ্যে ভালোবাসা ছিলোনা ? তবে কি আমার বাবা পরম যত্নে আলিঙ্গন করেনি আমার মার শরীর?
-এটা ভালোবাসা না, অপরাধ।পাপ।
-অসম ভালোবাসা কি তবে শুধুই অপরাধ।আর সেই অপরাধের শাস্তি পেতে হবে আমাকে?
-উহ , তোমার বক বক থামাও।এবার তোমাকে ময়লার ঝুড়িতে ফেলবো ।
-যাচ্ছি ডাক্তার ,কেবল একটা কথা বলে দাও-ভালোবাসায় কি বৈধতা নেই ,কাকে বলে অবৈধ ভালোবাসা ?
একটি খত বিক্ষত ভ্রুনের আর্তনাদ রেখে যায় অযাচিত কিছু প্রশ্ন যার দায় বহন কোরবার শক্তি এ সমাজের নেই।নিয়মের জন্যে মানুষ , নাকি মানুষ নিয়মের জন্যে এ প্রশ্ন আজো প্রাচীরের মতোই আমাদের আষ্ঠে পৃষ্ঠে বেঁধে রাখে সারাক্ষন।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
বর্ণহীণ বলেছেন: অনেক বিবাহিত মেয়েই কিন্তু এ্যাবরশন করায়। কারণ সেই অনাগত সন্তান সেই সময়ে আকাঙ্ক্ষিত নয়।
কাজেই অবৈধ এর চেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বলাটাই বেশি বেশি যুক্তিযুক্ত।
আর সমাজে অবৈধ, অন্যায়, পাপ এই শব্দগুলো দ্বারা যদি বিধি-নিষেধ না থাকতো তবে সমাজ অনেক বেশি বাসের অযোগ্য হয়ে যেত।
হুম ভ্রুণের কোন দোষ নয়। বরং নিজেদের নিয়ন্ত্রণই আসল। মানুষ আর পশুতে যেখানে পার্থক্য।
শুধুই জীববৃত্তি, শরীরের চাহিদা মেটাতেই মানুষরা মানুষ হয়নি। মানুষকে বুদ্ধি দ্বারাও চালিত হওয়া উচিত।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৬
রোদেলা বলেছেন: মনে হচ্ছে,আমি কবিতায় মূল বক্তব্য তুলে ধরতে পারি নি।
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: নষ্ট ভ্রুণেরও ইচ্ছে করে মানুষ হয়ে বেঁচে উঠতে। তারও তো প্রাণ আছে। কিন্তু মানুষের ক্ষনিকের সুখের পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সবাই খুনী হয়ে ওঠে...
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এমন করেই কত ভ্রুন আমাদের সমাজ নষ্ট করে দিচ্ছে--কত প্রাণকে পৃথিবীর আলো দেখতে দিচ্ছে না
৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
ভালোবাসা-পাপ-প্রেম পরস্পর বন্ধু সম। আমরই ভ্রুন সৃষ্টিতে লিপ্ত হই আমরাই আবার বিনষ্ট করি। সব কিছুই থাকে আমাদের মননে...
জানি এটা অপরাধ, তবু জেনে শুনে বিষ পান করা...
বেশ ভালো কিছুর সমন্বয় ছিল কবিতায়। কবিতায় দারুন ভাবে ফুটে উঠেছে সামাজিকতা।
৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৭
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: খুব জটিল এবং মুল্যবান একটা বিষয় তুলেছে ধরেছেন,এখানে যদি আমি আমার বিচার বুদ্ধি বিশ্বাস থেকে মন্তব্য করতে যাই তাহলে অনেক কিছুর বিপক্ষে চলে যাবে।পাঠক ভুল বুঝবে।
তবুও মন্তব্যটা করবো হয়তো
ধন্যবাদ এমন টপিক টানার জন্য
৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৯
জাফরুল মবীন বলেছেন: আমি বরাবরই ভ্রুণ হত্যার বিপক্ষে হোক সেটা বৈধ বা অবৈধ।তাই কবিতায় ভ্রুণের এই প্রতিবাদী কথপোকথন বিবেককে আরেকবার নাড়া দিল।
অভিনন্দন ও ধন্যবাদ আপনাকে অনবদ্য কবিতাটি শেয়ার করার জন্য।
শুভকামনা জানবেন।
১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০২
ঢাকাবাসী বলেছেন: বিষয়টা কাল ও পাত্র সাপেক্ষে বিতর্কের। তবু ভাল পোস্ট।
১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
রোদেলা বলেছেন: ভালোবাসারো চাই নতুন কাগজে মোড়ানো সার্টিফিকেট, নয়তো কলংকের কালি মাখানো মুখ নিয়ে প্রতীক্ষা করে থাকে অসহনীয় মৃত্যূ।সবাইকে অগ্নি দিনের শুভেচ্ছা।
১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পড়লাম।
কিছু অংশ চমৎকার লেগেছে।
কিন্তু একটি লাইন আমায় ভাবিয়েছে
শুধু ওই কাগজ হলেই কি জন্ম দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় সবাই।
এটা যদি সত্য হয় তবে ভালবাসাতো একটা কাগজের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ।
আর যদি না হয় তবে ভালবাসা ছাড়িয়ে যাবে পবিত্রতার সীমাবদ্ধতাককে।
ভাল থাকবেন।
১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৬
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
অপ্রকাশিত কাব্য বলেছেন: ভালবাসার সম্মান আমাদের কাছে আছে।
ভালোবাসা যখন কেবলি দৈহিক ও যৌন আকাঙ্খা এবং সম্পর্ক বর্হিভূত শারীরিক ক্রিয়া তখন কিভাবে তা সমাজে স্থান পেতে পারে। যে ভালোবাসার জন্য এতো আকুতি সে ভালোবাসাকে বৈধতা দেয়ার পরই না হয় আকাঙ্খাটুকু পূরন করুন