নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি অথবা লেখক হয়ে উঠবার বৃত্তান্ত ...

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৯

একাকীত্বের রঙে রাঙানো নিঃসংগ কবিতা আমার ...



ক্লাশের শেষ ঘন্টা বেজে গিয়েছিলো সেদিন।আমার হুঁশ ছিলোনা।কাঠের পেন্সিল দিয়েই হাবিজাবি লিখছিলাম বান্ধবীর খাতায় , ক্লাশ টিচার কখোন পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন খেয়াল করিনি।খাতাটা মুখের সামনে ধরে কিছুক্ষন পড়লেন,তারপর বললেন-তুমি একদিন খুব ভালো লেখক হবে।

না,আমার আর তেমন ভালো লেখক হওয়া হয়ে উঠেনি।ছোট ছোট করে চার লাইন অথবা দশ লাইন লিখে চলেছি বছরের পর বছর।এতো কম লিখে কেউ লেখক হয় না।লেখক হতে হলে অনেক পড়তে হয়,অনেক জানতে হয়।একটা সময় ছিলো-শীর্ষেন্দু অথবা সমরেশ বুকের মধ্যে চেপে না রাখলে ঘুম হতো না।কখোন গল্পটা পড়ে শেষ করবো এই নিয়ে থাকতো তীব্র আকাংখা ।তারপর এলেন হুমায়ূন আহমেদ ,হুমাহূন আজাদ।সব সময়ি বিতর্কিত লেখার প্রতি আমার আগ্রহ।সে জন্যই হয়তো তসলিমা নাসরিন ও হুমাহূন আজাদের লেখাই আমাকে বেশি প্রভাবিত করেছে।তবে গল্প আকারে নয়,আমি কবিতা লিখতে ভালোবাসি।এটা হয়তো সময়ের অভাবেও হতে পারে।সারাদিন কামলা গিড়ি করে লম্বা কোন লেখার ধৈর্য্য হয় না।যাক ,যে কথা বলছিলাম।

আমি ব্যপক হারে লিখতে আরম্ভ করি সম্ভবত ১৯৯৭ থেকে।কবিতা আর ছোট গল্প এই ছিলো সম্বল।প্রথম আলো,কালের কন্ঠ ও বেতার বাংলায় লিখতাম,কিন্তু পাঠকের সাথে কোন সরাসরি যোগাযোগ ছিলো না।কারন তখন প্রযুক্তি মানুষের হাতের মুঠোয় ছিলো না।প্রকাশকদের ছাপানোর আগ্রহর উপর সারাক্ষন নির্ভর করতে হতো,একটা লেখা দিয়ে এসে অপেক্ষা করতে হতো সপ্তাহের পর সপ্তাহ।

একদিন দেখলাম প্রথম-আলোতে বিঞ্জাপন-ব্লগ খোলা হচ্ছে।বিষয়টা আমাদের কাছে একদম নতুন।অফিসে কাজের এক ফাঁকেই আট লাইনের একটা কবিতা লিখে পোস্ট করে দিলাম।পাশে দেখলাম ছবি আপলোড করার একটা অপশনো আছে।বাহ,কি দারুন।কয়েক মিনিটের মধ্যে ৭-৮ টা মন্তব্যে ভরে গেলো আমার খেড়োখাতা।কোন কলম লাগেনি,খাতাও লাগেনি-আমি পৌঁছে গেলাম পাঠকের মস্তিষ্কে।আর কি ছাড়া যায় এই নেশা,সেই থেকেই চলছে ব্লগিং।সামহোয়ার ইন ব্লগ,লেখক ফোরাম,বন্ধু ব্লগ,নক্ষত্র-ব্লগ এমন বেশ কয়েকটি ব্লগে লেখা দিলাম,লেখা বলতে তখন কেবলি কবিতা।ব্যাপক ভাবে সাড়া পেলাম আমার ব্লগে।সবচেয়ে আনন্দদায়ক ব্যাপার হলো-বেশির ভাগ ব্লগার দেশের বাইরে থাকেন।তারা নিখুঁত ভাবে আমার ভুল বানান ধরিয়ে দিচ্ছে্ন।এখানে একটু বলে রাখা দরকার-আমি অংকের ছাত্রী ।বাংলা সম্পর্কে ঞ্জান নেই বললেই চলে।এখনো বঙ্কিম পড়তে আমার দাঁত ভেঙ্গে যায়।

ব্লগ যখন এমন জমজমাট তখন সবাই উতসাহিত করলো-এবার একটা বই বের করো।আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম।আমার লেখা কে ছাপবে কেই বা পড়বে।খালি খালি টাকা নষ্ট।কিন্তু স্বপ্ন দেখে ফেললে কোন একটা কিনারা বুঝি হয়েই যায়.২০১০ সালে প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হলো ভাষাচিত্র প্রকাশনী থেকে-ফাগুনঝরা রোদ্দুর।খুবি আনাড়ি ছিলো বেশির ভাগ লেখা।নিজেই এখন হাসি পায় ওই গুলো পড়লে।তবু প্রথম সন্তান হবার মুগ্ধতার মতো আমিও মুগ্ধ হয়ে রইলাম।এরপর টাকা পয়সার হিসেব কষতে হয়নি,একটা একটা করে বই বের হয়েছে।তবে সংকলন ছিলো বেশি-পঞ্চপত্রের উপপাদ্য,আলোরমিছিল,নক্ষত্র। কবিতা ও গল্পের সমন্বইয় ছিলো সেখানে।ব্লগার আনন্দময়ী আমার কবিতার বইয়ের চমৎকার রিভিউ করেছিলো।আজ ওর কথা খুব মনে পড়ছে।

মূলত আমার লেখার বিষয়-নারী জীবনের নিঃসঙ্গতা ,প্রেম, আহবান আর জীবন যুদ্ধের আহাকারের অদ্ভূত এক সংমিশ্রন।আমি নারীবাদী নই,তবে পুরুষ শাষিত সমাজে নারীকে কি ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তাই আমার লেখনীতে তুলে আনার চেষ্টা করেছি।এবার যে ছোট গল্পের গুচ্ছ বের হয়েছে যমুনা প্রকাশন থেকে সেটার নাম-রোদ্দুরের গল্প।এই রোদ্দুর একটা নয়,অনেক গুলো নারী চরিত্রকে এক সাথে করে তাদের মনের অজানা সব কথা গুলো সাজানোর চেষ্টা করেছি।আজ এক সাথে পাঁচটা রোদ্দুরের গল্পের বই বিক্রী হয়েছে এবং ক্রেতা ছিলেন একজন মহিলা –এটা আমার জন্যে অনেক বড় প্রাপ্তি।আমার জানা মতে পাঠক লেখক কে খুঁজে,কিন্তু আমি সব সময়ি পাঠকদের খুঁজে বেড়াই-কে আমার বই পড়লো এই নিয়ে আমার তীব্র আগ্রহ।বইটা পড়ে যদি কমেন্টস দেবার কোন জায়গা চালু করা যেত তবে বেশ হতো।

নীলপদ্ব-একটি দ্বৈত কবিতার বই।ফৌজিয়া রওশন ও আমার কিছু সম-সাময়িক ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে এখানে।দৈনন্দিন জীবনের চাওয়া পাওয়া,আনন্দ ও ব্যর্থতার ইতিহাস কয়েকটি চরণে ফুটিয়ে তুলবার চেষ্টা করেছি।বলা চলে প্রতি দিনকার ফেইসবুক ভাবনাগুলোকে এক সাথে করলেই এখান কার কবিতাগুলো পাওয়া যাবে।সে ক্ষেত্রে ফেইস বুকের বন্ধুরা বুঝি আর আগ্রহ করে এটা আর পড়বেনা ,আর যদি কেউ ফাইল করে রেখে দিতে চান তাহলে ভিন্ন কথা।এই বইয়ের প্রচ্ছদ কে করেছেন আমার মনে নেই ,তবে খুব চমৎকার হয়েছে প্রচ্ছদটি।এখানে আরো একটা কথা বলতে চাই-আমার নিজের বই নিজের সংগ্রহে থাকেনা,সব বিক্রী হয়ে যায় তা ভাব্বার কোন কারন নেই।থাকে না এটা আমার বাজে অভ্যাসের কারনে।যখন খুব গুরূত্বপূর্ন কাউকে বই দিতে হয় তখনি কেবল হুঁশ হয় আমার।গুছিয়ে কাজ করার ব্যাপারটা আসলে আমার মধ্যে একদম নেই।দুটি বই একসাথেই পাওয়া যচ্ছে লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ,মেঘ ফুল স্টলে,নং-৪২।আর পাবলিক লাইব্রেরীর খোলা প্রাঙ্গন ,যমুনা প্রকাশনীর স্টলেতো আছেই।মূল্য মাত্র -১০০ টাকা।

অনন্যার ওয়েব সাইটেও নতুন বইয়ের ইতিবৃত আপ্লোড দিয়েছি।সব নারী লেখকদের বইয়ের খবরাখবরও পাওয়া যবে এখান থেকে-http://anannya.com.bd/readmore.php?dB=466

ও আর একটা জরুরি কথা ,যারা চট্রগ্রামে আছেন তারা বিস্তারিত ভালো বলতে পারবেন।ওখানে DC হিলে ছোট পরিসরে একটি বই মেলা চলছে।ওই শহরে আমি বড় হয়েছি,অনেক স্মৃতি জমে আছে।মূলত ওখানেই আমার লেখক জীবনের সূত্রপাত।তাই একটা টান অনুভব করি সব সময়।আর ওই টানেই আসতে চাচ্ছি প্রিয় শহরে।যারা প্রকাশনায় আছেন দয়া করে যোগাযোগ করলে খুশি হবো।ফাল্গুনের বৃষ্টি্মাখা শুভেচ্ছা সবা্র জন্য।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৩৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ফাল্গুনের বৃষ্টি!মাখা শুভেচ্ছা আপনাকেও

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ গ্রহন করুন।

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুভ কামনা
ফাগুণের শুভেচ্ছা :)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

রোদেলা বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সংক্ষিপ্ত আকারে আপনার লেখক হবার পিছনের ইতিকথা জানলাম। ভালো লাগলো। 'রোদ্দুরের গল্প' আর 'নীলপদ্ম' বই দুটি পাঠক প্রিয়তা পাক এটাই কামনা করছি। অনেক শুভ কামনা রইলো রোদেলা।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

রোদেলা বলেছেন: বই দেশের বাইরে পাঠাতে পারলে আমার খুব ভালো লাগতো।

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

প্রামানিক বলেছেন: লেখক হওয়ার কাহিনী পড়লাম। বয়ের সফলতা কামনা করি। ধন্যবাদ

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

আবু শাকিল বলেছেন:

আপনার কবি অথবা লেখক হয়ে উঠবার বৃত্তান্ত জানলাম।
বের হওয়া বইগুলির সাফল্য কামনা করছি।


পহেলা ফাল্গুনে আপনার সাথে আমার দেখা হয়েছিল।তখন জানতাম না,আপনি লেখালেখি করেন ।
অটোগ্রাফ মিছড করেছি । =p~

বসন্তের শুভেচ্ছা আপু।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

রোদেলা বলেছেন: ফটুগ্রাফতো তুলসো।ওইতেই চলবো ।

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১২

কলমের কালি শেষ বলেছেন: বইটির সাফল্য কামনা করছি ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: জানলাম। ভালো লাগল।
আশা করি প্রকাশিত বইগুলো পাঠক প্রিয়তা পাক।

ভালো থাকুন। নিরন্তর শুভ কামনা।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

রোদেলা বলেছেন: প্রবাসীরা পড়তে পারলে বেশ ভালো লাগতো।শুভেচ্ছা।

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: কবিকে অভিনন্দন....................

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: গল্প শুনলাম আপু। আপনার কয়টা বই আছে আপু?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

রোদেলা বলেছেন: কবিতার বই দুটি,গল্প একটি আর তিনটি ব্লগার সংকলন।

১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার লেখক হওয়ার গল্প খুব ভাল লাগলো ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২০

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.