নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত সময় -২

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪২


February 25, 2015 at 11:55p

প্রতিদিন রুটিন করাই থাকে-লোকাল বাসে ঘাম ঝরা হাজার মানুষের ভীড়ে চিড়ে চ্যাপ্টা যাত্রা।আর কোথায় অফিস ,প্রতিদিন আমাদের উপস্থিতি একান্ত কাম্য।এতোটা উপস্থিতি আর কেউ কামনা করেনি কোন দিন ।কখনো ভাগ্য খুব বেশি সহায় হোলে ছোট একটা সীটের মধ্যে গুটি শুটি বসে থাকা।পাশে সুসমর্থ পুরুষ ;যতো বেশি সংযত হবার চেষ্টা তার দায় তো এই রমনীর।কার এমন ঠেকা পড়েছে শরীর আলগা করে বসে।যতোটা বসার ঘরের আরাম কেদারা মনে করা যায় ।মাঝে মাঝে হেল্পারকে সাশাতেও ভোলে না-এই আর মহিলা নিস না।যে শহরের প্রায় ৫০ শতাংশ নারী আজ পেটের দায়ে রাস্তায় নেমেছে তাদের সাথে আবার বৈষম্য কিসের?কিসের আবার সমতা?কোন কিছুই আজ আর অপ্রতিরোধ্য করে না।চলছি –ট্রাফিক আইন উপেক্ষা করে,ঘামের বিকট গন্ধে নাট শিটকানো ভীড় ঠেলে।চলছি, চলতে হবে বলেই ।
ভাঙ্গা কাঁচের আরশীতে চোখ চলে যায় দুরে, দৃষ্টি গিয়ে আটকে থাকে বিশাল বিশাল বিলবোর্ডের উপর।রঙ্গে রঙ্গে রাঙ্গানো শহরটিকে অন্যরকম লাগে।সূর্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে জনমানুষের মাঝে হারিয়ে যাওয়া শূন্যতা।রাস্তা পা্র হতে বরাবরই আমার বড্ড ভয়,তবু একলা একলা কি নির্ভয়ে পেরিয়ে যাই আট ফিটের লম্বা পথ।একা থাকার এই বুঝি সার্থকতা,ভয়ঙ্কর কঠিন সমস্যাটাও অনায়াসে সহজ হয়ে যায়।
অফিস পাড়ায় ম্যাগাজিন বেরুনোর আগ অব্দি তেমন কোন তাড়া থাকেনা,আমার কাজ ওয়েবে ।বিনোদন যখন সবার ঘরে জায়গা করে নেয় আমার ব্যস্ততা তখন তুমুল,কি ফেইস বুকে অথবা ওয়েব পেইজে ।সারাদিন শেয়ারের মধ্যেই থাকি।এর মাঝেই অনবরত গান –কবিতা এইসব হাবি জাবি শেয়ার করতেও ভালো লাগে।ভালো লাগে ,কারন –মনে হয় ,আমি এই মুহূর্তে যে গানটা শুনছি তা ওই প্রান্তে বসে তুমি শুনতে পারছো।আরো মনে হয়-এইতো তুমি পাশে বসেই আছো,আমার একদম গা ঘেষে যেখানে শব্দরা কোন বিচ্ছেদ ঘটাতে পারবেনা।এমন এলোমেলো ভাবনা আর অযৌক্তিক চাওয়া নিয়েই কাটতে থাকে দিন।যার কিছুই দেবার নেই তার কাছে চাইছি-কি দায় আমার ?উত্তর জানা নেই।
সাগর কি কখনো ঝড়নাকে বলেছিলো-এসো আমরা এক হয়ে মিশি,আকাশ কি কখনো নীলিমাকে টেক্স পাঠিয়েছিলো-এসো,শূন্যে মিলাই।তাও তো তারা মেশে,কোন ই-মেইল লাগেনা,হোয়াটস আপ লাগেনা-মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়।আবার সজীব হয়ে ওঠে সূর্য ওঠার আগেই,তবেইনা পৃথিবী এতো স্নিগ্ধতা ফিরে পায়।
জলের সাথে রঙ মেশালে হয় ছবি আর শব্দের সাথে ছন্দ মিলালে হয় কবি।আমি কেবল তোমার সাথে মিলে যেতে চাই।কবি বা ছবি হবার কোন ইচ্ছে আমার নেই।রোদের মতোন দিপ্ত থেকেই গুনে নিতে চাই নিশ্চিত মৃত্যূ।আমার মৃত্যূর সময় কেউ থাকবে না,কারো চোখের জল আমি সহ্য করবো না।এমন কি প্রিয় যে সন্তান তাদেরকেও দেখতে চাই না,আমি চাই নির্ভেজাল শান্ত মৃত্যূ।ভাবছো,আজ যার জন্মদিন সে এতো মরার কথা বলছে কেন?বলছি-জন্মালেই মরতে হয় বলে।আমি জন্মেছি –জন্মাতে হয় বলে,সেখানে অন্য কেউ হলেও হতে পারতো।যেহেতু জন্মটা আমারি হয়েছে তাই নিজের চাওয়াটাকে একটু ঝালাই করে নেওয়া আর কি।
প্রতি বছর ফাল্গুন আসে,প্রতি বছর এই দিনটা আসে।প্রতি বছর আমি একলা হতে থাকি।বই-মেলা বা ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা আমিকে একিরকম দেখতে দেখতে এখন ভীষন ক্লান্ত লাগে।আমি একটি বার অন্য আমিকে দেখতে চাই।এ যেন পূনর্জন্ম আমার,তোমার বাহুর আলিঙ্গনে,তোমার হাসির ঝরনা ধারায়,অযথাই ক্লিক ক্লিক ক্যামেরায় বন্দি করে রাখতে চাই এই আমিকে।
এতো বড় জীবনের কাছে একটা দিন খুবি সামান্য।আবার এমনো হতে পারে ছোট্ট একটা জীবনে এই টূকুন একটু চাওয়া।যেভাবেই ভাবোনা কেন-উল্টে পাল্টে কথাটা একি রকমি দাড়ায়।আকাংখার নীল চাদরে মোড়ানো সপ্নরা কেবল ঠাই খুঁজে পায়।হয়তো ব্যাপ্তিকাল তার খুব সামান্য ,তবু চাওয়াটা কিন্তু খাটো করে দেখবার কিছু নেই।সময়ের ঘন্টাকাল চলে টিক টিক টিক।কোন কিছুই থেমে নেই,ভারী যানের গতি,অযথাই পিছ থেকে চালকের সাইরেন,লাঠি হাতে পুলিশের হট্টগোল।এতো কিছুর মাঝেও আটকে আছি আমি-সেখানেই যেখানে প্রথম দিন আমি আটকে ছিলাম।পার হতে পারিনি ৮ ফুটের ওই রাস্তাটা ।জানতে পারিনি –কোথায় তুমি থাকো,কেমন তোমার ঘর।ভাত খেতে গেলে লবনের বাটিটা আনতে তোমাকে একাই উঠতে হয় কিনা।
তোমার উঁচু বারান্দার ঝুল ঘেষে কোন বাগান বিলাস আছে কিনা।জানতে ইচ্ছে করে তোমার চায়ে ভুল করে কেউ চিনি বেশি দিয়ে ফেললো কিনা।এমন উটকো সব জানার ইচ্ছারা আমাকে প্রবল ভাবে তাড়া করে বেড়ায়।ভাবনাদের জন্যে অধিকার নামক শব্দটি জায়েয নয়,জানোতো।আর সেই না জায়েয অধিকারটাই আমি ইচ্ছে মতন এপ্লাই করতে চাই।কালো জ্যাকেটের ভাঁজ খোলা গায়ের সোদা গন্ধে বিনিদ্র বারোটি রাত কোন দিন এক সাথে হবে না,তবু স্টপ ওয়াচের ম্যাজিক ঘড়িতে আটকে রাখতে চাই তোমার দেওয়া এক একটি মুহূর্ত।
কাল যদি আমার জন্মদিন না হয়ে মৃত্যূ দিন হয়-কে বলতে পারে বিধাতার খেলা ? দেশ হেঁটে যাচ্ছে এক নতুন অধ্যায়ে ,আমরা কি করতে পারি।নিরাপদ করতে পারিনি কারো জন্ম ,তাহলে নিশ্চিত মৃত্যূর গ্যারান্টি চেয়ে অযথাই কেন এতো আস্ফালন?কিসের জন্যে এতো বেঁচে থাকার আকুতি?নিজের জন্যে নাকি অন্যের?নাকি কেবলি দায়িত্ব করে যাওয়া।দিন শেষে কাগজের হিসেব,দোকানীর সাথে দড় কষা কষি,উনুনের চাপে আগুন-এইতো,এর নাম কেবলি বেঁচে থাকা।মানি , বেঁচে থাকাটাই কেবল আনন্দের।কিন্তু অপূর্নতা ?সে কেবল দগ্ধ করে নিয়ত অসীম আত্মা।আমি আর একটি আত্মাকে ক্রমশ লালন করে প্রতিদিন বড় করি,আর সে ক্ষুধাতুর হয়ে ওঠে।এই হিংস্র ক্ষুধার হাত থেকে আমি মুক্তি চাই,মুক্তি চাই,মুক্তি চাই।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

ইকবাল মোস্তফা বলেছেন: চমৎকার লিখা। প্রানবন্ত। শুভ কামনা।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

রোদেলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: অসাধারণ লেখনী...আমার ও খু্বই ইচ্ছে করে এমন সুন্দরভাবে কল্পনার উপস্থাপন করা কিন্তু ..

”যাহার পা-দুটো আছে, সে-ই ভ্রমণ করিতে পারে; কিন্তু হাত-দুটো থাকিলেই ত আর লেখা যায় না। সে যে ভারী শক্ত। তাছাড়া মস্ত মুশকিল হইয়াছে আমার এই যে, ভগবান আমার মধ্যে কল্পনা-কবিত্বের বাষ্পটুকুও দেন নাই। এই দুটো পোড়া চোখ দিয়া আমি যা কিছু দেখি, ঠিক তাহাই দেখি। গাছকে ঠিক গাছই দেখি—পাহাড়-পর্বতকে পাহাড়-পর্বতই দেখি। জলের দিকে চাহিয়া, জলকে জল ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। আকাশে মেঘের পানে চোখ তুলিয়া রাখিয়া ঘাড়ে ব্যথা করিয়া ফেলিয়াছি, কিন্তু যে মেঘ সেই মেঘ। কাহারো নিবিড় এলোকেশের রাশি চুলোয় যাক—একগাছি চুলের সন্ধানও কোনদিন তাহার মধ্যে খুঁজিয়া পাই নাই। চাঁদের পানে চাহিয়া চোখ ঠিকরাইয়া গিয়াছে, কিন্তু কাহারো মুখটুকু ত কখনো নজরে পড়ে নাই ’’
আমার অবস্থা কল্পনা বর্ননা করতে শরৎচন্দ্রের স্বগক্তি তুলতে হল...


২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

রোদেলা বলেছেন: ভয়ঙ্কর রকম সুন্দর বর্ননা শক্তি আপনার লেখায়,আমি মুগ্ধ।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

আবু শাকিল বলেছেন: নীচের লাইন গুলা অসাধারন লিখেছেন।

"দেশ হেঁটে যাচ্ছে এক নতুন অধ্যায়ে ,আমরা কি করতে পারি।নিরাপদ করতে পারিনি কারো জন্ম ,তাহলে নিশ্চিত মৃত্যূর গ্যারান্টি চেয়ে অযথাই কেন এতো আস্ফালন?কিসের জন্যে এতো বেঁচে থাকার আকুতি?নিজের জন্যে নাকি অন্যের?নাকি কেবলি দায়িত্ব করে যাওয়া।দিন শেষে কাগজের হিসেব,দোকানীর সাথে দড় কষা কষি,উনুনের চাপে আগুন-এইতো,এর নাম কেবলি বেঁচে থাকা।মানি , বেঁচে থাকাটাই কেবল আনন্দের।কিন্তু অপূর্নতা ?সে কেবল দগ্ধ করে নিয়ত অসীম আত্মা।আমি আর একটি আত্মাকে ক্রমশ লালন করে প্রতিদিন বড় করি,আর সে ক্ষুধাতুর হয়ে ওঠে।এই হিংস্র ক্ষুধার হাত থেকে আমি মুক্তি চাই,মুক্তি চাই,মুক্তি চাই।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

রোদেলা বলেছেন: কোন না কিছু থেকে আমরা নিয়ত মুক্তি চেয়েই আসছি।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: শেষ অংশের শব্দগুলো তো অনেক সমৃদ্ধ!!

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫০

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ।আপনিও ভালো থাকুন।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: শুভ জন্মদিন। আনন্দ আর ভালোবাসায় ভরে উঠুক আপনার জীবন। সেখানে কষ্ট যেন প্রবেশাধিকার না পায়। উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হোক আপনার চারপাশ।

ও, পোস্ট অসাধারণ হয়েছে। চমৎকার উপস্থাপনা। শব্দবুনন প্রশংসনীয়।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫১

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজপুত্র।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: প্রথম লাইক উইথ +++

শুভকামনা জানবেন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২১

রোদেলা বলেছেন: ্ধইন্যা।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

এম এম করিম বলেছেন: ভালো লাগলো।
+++

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.